আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ


বীরশ্রেষ্ঠ কাদের বলা হয়☞☞☞বাংলাদেশের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক জন মুক্তিযোদ্ধার ত্যাগ অনস্বীকার্য।
যুদ্ধের প্রতিটি রক্তকণিকার পেছনে রয়েছে একটি গল্প, রক্তমাংসের একজন মানুষের গল্প যিনি হয়তো ছিলেন আমাদের মতোই
খুব সাধারণ একজন মানুষ। কিন্তু দেশমাতার প্রয়োজনে পরিবার-পরিজন ফেলে রেখে সংগ্রামের পথ বেছে নিয়েছিলেন তিনি।
তাদের সেই সংগ্রাম বৃথা যায়নি মোটেও।
যুদ্ধ শেষে স্বাধীনতার সূর্য ওঠে বাংলাদেশের দিগন্তে, কিন্তু এদের অনেকেই সেই সূর্যোদয় দেখে যেতে পারেননি। দেশের জন্য
আত্মত্যাগী এই বীর শহীদদের মাঝেই রয়েছেন বাংলার বীরশ্রেষ্ঠগণ। দাপ্তরিক ভাষায় বলা যেতে পারে, বীর শ্রেষ্ঠ বীরত্বের জন্য
প্রদত্ত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সামরিক পদক। যুদ্ধক্ষেত্রে অতুলনীয় সাহস ও আত্মত্যাগের নিদর্শন স্থাপনকারী যোদ্ধার স্বীকৃতিস্বরূপ
এই পদক দেয়া হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদ সাতজন মুক্তিযোদ্ধাকে এই পদক দেয়া হয়েছে। কিন্তু এতটুকু বলার
মাধ্যমে তাদের সাহসিকতার কতটাই জানা যায়? তাদের অসামান্য আত্মত্যাগের বর্ণনা কি ভাষায় দেওয়া সম্ভব? বীর শ্রেষ্ঠ পদক
প্রাপ্ত সাত জন মুক্তিযোদ্ধা হলেন বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ হামিদুর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ
মোস্তফা কামাল, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেঃ মতিউর রহমান, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক
মুন্সি আব্দুর রউফ এবং বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ। তাদের প্রত্যেকেই মুক্তিযুদ্ধে রেখেছেন এমন অসামান্য
অবদান যার জন্য আজো তারা ইতিহাসের পাতায় রয়েছেন অম্লান।

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ

বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ
                      


মুন্সি আব্দুর রউফ(১৯৪৩ - এপ্রিল ২০, ১৯৭১) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে
অসামান্য বীরত্বের জন্য তাঁকে বীরশ্রেষ্ঠ উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

সংক্ষিপ্ত জীবনী☞☞☞মুন্সি আব্দুর রউফ ১৯৪৩ সালের মে মাসে ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার (পূর্বে বোয়ালমারী
উপজেলার অন্তর্গত) সালামত পুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তাঁর পিতার নাম মুন্সি মেহেদী হোসেন এবং মাতার নাম মকিদুন্নেসা। কিশোর বয়সে রউফ-এর পিতা
মারা যান। ফলে তিনি উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন। তিনি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩-র ৮ মে ইস্ট
পাকিস্তান রাইফেলস-এ ভর্তি হন। তাঁর রেজিষ্ট্রেশন নম্বর ১৩১৮৭। ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ স্বাধীনতা যুদ্ধের শুরুতে চট্টগ্রামে ১১
নম্বর উইং এ কর্মরত ছিলেন। সে সময় তিনি ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সঙ্গে স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগদান করেন।

যেভাবে শহীদ হলেন☞☞☞৮ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের একটি কোম্পনীর সাথে বুড়িঘাটে অবস্থান নেন পার্বত্য চট্টগ্রামে
রাঙ্গামাটি-মহালছড়ি জলপথ প্রতিরোধ করার জন্য ৮ এপ্রিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডো ব্যাটেলিয়নের দুই কোম্পানী সৈন্য,
সাতটি স্পীড বোট এবং দুটি লঞ্চে করে বুড়িঘাট দখলের জন্য অগ্রসর হয়।
তারা প্রতিরক্ষি বূহ্যের সামনে এসে ৩" মর্টার এবং অন্যান্য ভারী অস্ত্র দিয়ে হঠাৎ অবিরাম গোলা বর্ষন শুরু করে। গোলাবৃষ্টির
তীব্রতায় প্রতিরক্ষার সৈন্যরা পেছনে সরে বাধ্য হয়। কিন্তু ল্যান্সনায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ পেছনে হটতে অস্বীকৃতি জানান। নিজ
পরিখা থেকে মেশিনগানের গুলিবর্ষণ শুরু করেন। মেশিনগানের এই পাল্টা আক্রমণের ফলে শত্রুদের স্পীড বোট গুলো ডুবে যায়।
হতাহত হয় এর আরোহীরা। পেছনের দুটো লঞ্চ দ্রুত পেছনে গিয়ে নিরাপদ দুরত্বে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে শুরু করে
দুরপাল্লার ভারী গোলাবর্ষণ। মর্টারের ভারী গোলা এসে পরে আব্দুর রউফের উপর।লুটিয়ে পড়েন তিনি, নীরব হয়ে যায় তাঁর
মেশিনগান। ততক্ষণে নিরাপদ দূরুত্বে সরে যেতে সক্ষম হন তাঁর সহযোদ্ধারা।


শহীদ ল্যান্স নায়েক বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফের সমাধি পার্বত্য জেলা রাঙামাটির নানিয়ার চরে। তাঁর অপরিসীম বীরত্ব,
সাহসীকতা ও দেশপ্রেমের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে সর্ব্বোচ সম্মান বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত করে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আব্দুর রউফ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel