আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

ফাইল এবং ফোল্ডার

ফাইল এবং ফোল্ডার

Files-and-folders


ফাইল হলো কোন এ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যারের আওতায় বা মাধ্যমে আমাদের তৈরী করা তথ্যসম্বৃদ্ধ ডকুমেন্ট। আর ফোল্ডার হলো ফাইল রাখার ক্যাবিনেট বা খাম। এই ফোল্ডারের ভিতর যত ইচ্ছা ফাইল ও ফোল্ডার জমা রাখা যায়।কম্পিউটারে কাজ করতে গেলে এধরণের অসংখ্য ফোল্ডার আইকন দেখতে পাওয়া যাবে।কম্পিউটারের সবগুলো প্রোগ্রামের আইকন ডেস্কটপে থাকে না।এগুলো ষ্ট্যাট মেনুর অধীনে প্রোগ্রাম নামক মেনুর ভিতর থেকে ওপেন করতে হয়। আবার কীবোর্ড শর্টকাট তৈরী করে নিয়েও ওপেন করা যায়।এই মেনুর অধীনে কম্পিউটারের যাবতীয় এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলো থাকে।

আমাদের কম্পিউটারের খোলা জানালার একেবারে ডানদিকে উপরের কোণায় ‘অফিস শর্টকাট’ মেনু থাকে। এখান থেকে মাইক্রোসফট অফিসের অধীনের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ওপেন করে কাজ করা যায়।একেবারে প্রথমে যে আইকনটি রয়েছে এটি ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরারে’র আইকন। এই আইকনে মাধ্যমে এক্সপ্লোরার ওপেন করে আমাদের কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মধ্যে কি কি ফাইল বা ফোল্ডার আছে সেগুলো দেখা যাবে। এর পাশের আইকনটি ‘মাইক্রোসফট ওয়ার্ড’ ডকুমেন্ট এর আইকন।এখান থেকে আমরা লেখা লেখি করার জন্য ডকুমেন্ট ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট একসেল’ নামের আইকন।এটাকে ব্যবহার করে আমরা হিসাব নিকাশ করার যোগ্য একাট চমৎকার হিসাবের ফাইল ওপেন করে কাজ করতে পারি। এরপাশে আছে ‘মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট’ নামের আইকন। এটা একটি প্রেজেন্টেশন প্রোগ্রাম। এর মাধ্যমে আমরা একটি সুন্দর প্রেজেন্টেশন ডিসপ্লে তৈরি করতে পারি। এরপাশেই রয়েছে ‘মাইক্রোসফট একসেস’ নামের আইকন। এর সাহায্যে ডাটাবেস প্রোগ্রামিং এর কাজ অতি সহজে করা যায়।

ডেক্সটপের একেবারে নীচে উইন্ডোজ মনোগ্রাম যুক্ত ‘ষ্ট্যাট লেখা’ একটি লাইন আছে,একে টাস্কবার বলে। এর যে অংশে ষ্ট্যাট লেখা আছে ঐ অংশকে ‘ষ্ট্যাট মেন’ বলে। এই মেনুর সাহায্যে কম্পিউটারে কি কি সফটওয়্যার দেওয়া আছে তা যেমন দেখা যায় আবার এগুলো ওপেন করে কাজও করা যায়। কোন প্রোগ্রাম ওপেন করলে টাস্কবারে তার নামটি দেখা যায়। এছাড়া টাস্কবারের ডান কোণে ডেট-টাইম, সাউন্ড ভলিউমসহ বেশ কিছু আইকোন রয়েছে। এগুলোতে ডবল ক্লিক করে ওপেন করে তা এডিট করাও যায়।এই হলো আমাদের ডেস্কটপ বা উইন্ডোজের খোলা জানালা।

কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পদ্ধতি☞☞
কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক থেকে ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার পূর্বে কিছু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। যে কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলার আগে দেখতে হবে ফাইলটি সত্যিই অপ্রয়োজনীয় কিনা। ফেলে দেওয়ার পর ফাইল উদ্ধার করা সম্ভব হলেও সেটা বেশ কষ্টসাধ্য। তাছাড়া সব ফাইল ফোল্ডার আবার উদ্ধার করা যায়ও না। সুতরাং কোন ফাইল বা ফোল্ডার ফেলে দেওয়ার আগে ভাল করে নিশ্চিত হতে হবে যে ফাইলটি অপ্রয়োজনীয় বা এর গুরুত্ব কতখানি।

কোন ফাইল বা ফোল্ডার মুছে ফেলতে হলে প্রথমে ফাইল বা নির্বাচন করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার ফাইল বা ফোল্ডারের উপর নিয়ে মাউসের বামপাশের বোতাম একবার চাপ দিতে হবে অর্থাৎ সিঙ্গল ক্লিক করতে হবে।ফাইলটি সিলেক্ট হবে। এবার কীর্বোড থেকে ‘ডিলেট কী’ চাপতে হবে। সাথে সাথে ফাইল বা ফোল্ডারটি রিসাইকেল বিন নামক ফোল্ডার আইকনে জমা হবে।



এবার রিসাইকেল বিন পরিষ্কার করার জন্য মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চেপে রিসাইকেল বিন সিলেক্ট করতে হবে। তারপর মাউসের পয়েন্টার রিসাইকেল বিনের উপর রেখে মাউসের ডান পাশের বোতাম একবার চাপলে একটি সংলাপ বক্স চলে আসবে। এখানে ওপেন, এক্সপ্লোর, এমটি রিসাইকেল বিন, পেষ্ট, ক্রিয়েট শর্টকাট ও প্রোপাটিজ লেখা দেখতে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ কম্পিউটার জানতে চায় সে কি করবে। তাই এবার ফাইল বা ফোল্ডার চির কালের জন্য মুছে ফেলতে ‘এমটি রিসাইকেল বিন’ এর উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে বাম পাশের বোতাম একবার চাপলেই আরও একটি সংলাপ বক্স ভেসে আসবে। এটা সাবধান বাণীও বলা যায়। কারণ কম্পিউটার আমাদের বিশ্বস্ত বন্ধুর মতো কাজ করে। তাই কোন কিছু করার আগে মাঝে মাঝে এধরণের সংলাপ বক্স এসে জানতে চাইবে বা জিজ্ঞাসা করবে সত্যিই যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তা পালন করবে কিনা, অর্থাৎ ফাইলটি চিরতরে মুছে ফেলবে কিনা। এবার সংলাপ বক্সের ইয়েস লেখাতে মাউসের বাম বোতাম ক্লিক করলেই ফাইলটি চিরতরে মুছে যাবে।
 Files-and-folders

ফোল্ডার তৈরী করা ও ফোল্ডার এর নাম বদলানো☞☞
কম্পিউটারের কাজ করে ফাইল রাখার জন্য ফোল্ডার তৈরীর প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে। ফোল্ডার তৈরী করার অনেকগুলো পদ্ধতি রয়েছে।

ফোল্ডার তৈরীর পদ্ধতি ☞☞
(১):প্রদর্শিত ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার’ এর খোলা সংলাপ বক্সের মেনুবার থেকে ‘ফাইল’ নামের মেনুটি সিলেক্ট করলে ডান পাশে একটি ‘সাব সংলাপ মেনু’ ওপেন হবে। এর তালিকা থেকে নিউ সাব মেনুটি সিলেক্ট করলে আরও একটি সাব মেনু প্রদর্শিত হবে এখান থেকে ‘ফোল্ডার’ নামের সাব মেনুটি সিলেক্ট করলে সাথে সাথে ‘নিউ ফোল্ডার’ নামের একটি ফোল্ডার তৈরী হবে।এই ফোল্ডারের মধ্যে প্রয়োজনীয় ফাইল জমা রাখা যাবে।

(২): প্রদর্শিত ‘উইন্ডোজ এক্সপ্লোরার’ এর খোলা সংলাপ বক্সের ডান পাশের অংশে মাউসের পয়েন্টার নিয়ে মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে একটি কমান্ডের তালিকা আসবে। এ থেকে ‘নিউ’ কমান্ডের উপর ক্লিক করলে আরও একটি সাব মেনু তালিকা ওপেন হবে এখান থেকে ‘ফোল্ডার’ নির্বাচন করলেই সাথে সাথে ‘নিউ ফোল্ডার’ নামে একটি ফোল্ডার তৈরী হয়ে যাবে।মাউসের সাহায্যে প্রয়োজনে উইন্ডোজের যে কোন স্থানে ফোল্ডার তৈরী করা যায়।

ফোল্ডারের নাম বদলানো☞☞
কম্পিউটারের ফাইল সংরক্ষণ এবং পরবর্তীতে তা সহজে খুজে পেতে ফাইল বা ফোল্ডারের নাম বদলাবার প্রয়োজন দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ উপায় বা করণীয়- যে ফোল্ডার বা ফাইলের নাম বদলাতে হবে তার উপর মাউসের পয়েন্টার নিয়ে সিঙ্গল ক্লিক করে সিলেক্ট করে নিতে হবে।তারপর মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে একটি সাবমেনু ওপেন হবে এখান থেকে ‘রিনেম’ লেখা মেনুটি সিলেক্ট করলে নির্বাচিত ফাইল বা ফোল্ডারের নিচে পূর্বের লেখা না সিলেক্ট হবে। এখানে কিবোর্ডের সাহায্যে টাইপ করে ফাইলের নির্বাচিত নামটি লিখতে হবে অর্থাৎ যে নামে ফাইলের নাম করণ করতে চাই তা টাইপ করতে হবে এবং কিবোর্ডের এন্টার কী চাপলে ফাইলের নাম পরিবর্তন হয়ে যাবে।এক্ষেত্রে একই নামের ফাইল যদি কম্পিউটারে থাকে তা হলে আর একটি সংলাপ বক্স সাবধান বাণী নিয়ে হাজির হবে। অর্থাৎ কম্পিউটার জানতে চাইবে পূর্বের ফাইলের স্থলে এটা রিপ্লেস হবে কিনা। তার অর্থ আগের ফাইল মুছে নতুনটা সেভ হবে।আগের ফাইল মুছতে না চাইলের নির্বাচিত নামের সাথে কোন একটা অক্ষর বা সাংকেতিক চিহ্ন যোগ করলে সেভ হয়ে যাবে।

পোস্টটি লিখেছেন☞☞মোঃ-বিপ্লব পার্বতীপুর ০১৭৮৭৯১৮৮৮
                               BIPLOB
কপি করবেন না☞☞করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।

1 Response to "ফাইল এবং ফোল্ডার"

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel