আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

গোপালগঞ্জ জেলা

গোপালগঞ্জ জেলা


                                        গোপালগঞ্জ জেলা 
গোপালগঞ্জ জেলা(নামকরণ)☞☞গোপালগঞ্জ জেলা শহরের রয়েছে প্রাচীন ইতিহাস। অতীতের রাজগঞ্জ বাজার আজকের জেলা শহর গোপালগঞ্জ। আজ থেকে প্রায় শতাব্দীকাল পূর্বে শহর বলতে যা বুঝায় তার কিছুই এখানে ছিলোনা। এর পরিচিতি ছিলো শুধু একটি ছোট্ট বাজার হিসেবে। এঅঞ্চলটি মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদার রানী রাসমণির এলাকাধীন ছিলো। উল্লেখ্য রানী রাসমণি একজন জেলের মেয়ে ছিলেন। সিপাই মিউটিনির সময় তিনি একজন উচ্চ পদস্থ ইংরেজ সাহেবের প্রাণ রক্ষা করেন। পরবর্তীতে তারই পুরস্কার হিসাবে বৃটিশ সরকার রাসমণিরকে মাকিমপুর ষ্টেটের জমিদারী প্রদার করেন এবং তাঁকে রানী উপাধিতে ভূষিত করেন। রানী রাসমণির এক নাতির নাম ছিলো নব-গোপাল তিনি তাঁর স্নেহাস্পদ নাতির নাম এবং পুরানো ইতিহাসকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নাতিন নামের ‘গোপাল’ অংশটি প্রথমে রেখে তার সাথে রাজগঞ্জের ‘গঞ্জ’ যোগ করে এ জাযগাটির নতুর নামকরণ করেন গোপালগঞ্জ। 
গোপালগঞ্জ জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞১৯৮৪ সালে ফরিদপুর জেলার মহকুমা থেকে গোপালগঞ্জ জেলা সৃষ্টি হয়।


গোপালগঞ্জ জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞এ জেলার পূর্বে মাদারিপুর জেলা ও বরিশাল জেলা, দক্ষিণে পিরোজপুর জেলা, বাগেরহাট জেলা ও খুলনা জেলা, পশ্চিমে নড়াইল জেলা ও মাগুরা জেলা এবং উত্তরে ফরিদপুর জেলা অবস্থিত।


গোপালগঞ্জ জেলা

গোপালগঞ্জ জেলা(পৌরসভা)☞☞ ৪টি- গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া, কোটালীপাড়া ও মকসুদপুর।

গোপালগঞ্জ জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ ৬৮টি।

গোপালগঞ্জ জেলা(গ্রাম)☞☞ ৮৮৯টি।

গোপালগঞ্জ জেলা(উপজেলা)☞☞ ৫টি- গোপালগঞ্জ সদর, মকসুদপুর, কোটালীপাড়া, টুঙ্গীপাড়া ও কাশিয়ানী।

গোপালগঞ্জ জেলা(ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থান)☞☞বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি, কোটালিপাড়া চন্দ্রভর্মা ফোর্ট, দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি, কোর্ট মসজিদ, ধর্মরায়ের বাড়ি প্রভৃতি।

 গোপালগঞ্জ জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ 
দত্ত মিষ্টান্ন ভান্ডারের
রসগোল্লা ও ছানার জিলাপি, দানোর সন্দেশ, নারায়ন
চন্দ্র সাহার রস মঞ্জুরী ও দধি গোপালগঞ্জ জেলার
বিখ্যাত খাবার।
গোপালগঞ্জ জেলা(কৃতী ব্যক্তিত্ব)☞☞ 
শেখ মুজিবুর রহমান - জাতির জনক;
শেখ হাসিনা - বর্তমান প্রধানমন্ত্রী;
সুকান্ত ভট্টাচার্য (কবি),
আবুল হাসান (কবি),
রকিবুল হাসান (বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক)
শেখ ফজলুল হক মনি (যুবলীগের প্রতিষ্টাতা চেয়ারম্যান),
ওয়াহিদুজ্জামান ঠান্ডা মিয়া (পাকিস্তান আমলের সাবেক বানিজ্যমন্ত্রী),
শেখ ফজলুল করিম সেলিম, (সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ও এম.পি)
লেঃ কর্ণেল (অব) মুহাম্মদ ফারুক খান (সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী ও এম.পি.)
খন্দকার সামশুদ্দিন আহমেদ (সাবেক এম.এল.এ)
এম এইচ খান মঞ্জু (গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপি'র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য),
খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ (অর্থনীতিবিদ),
এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবউদ্দিন আহমেদ (সাবেক সংসদ সদস্য, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও প্রবীণ আইনজীবী),
মথুরানাথ বসু (বিশিষ্ট খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচারক),
চন্দ্র নাথ বসু (শিক্ষানুরাগী),
মেজর জেনারেল (অব.) মহব্বতজান চৌধুরী (সাবেক মন্ত্রী)
নরেন বিশ্বাস (বাক শিল্পী),
খালেক বিন জয়েন উদ্দিন (শিশু সাহিত্যিক),
মারজুক রাসেল (অভিনেতা, কবি ও সঙ্গীত পরিচালক),
আবদুস সামাদ (কৃতি ফুটবলার),
সোহরাব হোসেন (কৃতি ফুটবলার),
নির্মল সেন (বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট, বাম রাজনীতির পুরোধা ও মুক্তিযোদ্ধা),
এম এ সাঈদ (সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার)
ফিরোজা বেগম (সংগীত শিল্পি)
কাজী হায়াৎ পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার, প্রযোজক এবং অভিনেতা

গোপালগঞ্জ জেলা(চিত্তাকর্ষক স্থান)☞☞ 
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধি কমপ্লেক্স,
চন্দ্রা ভর্মা ফোর্ট (কোটাল দুর্গ),
কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের পৈত্রিকবাড়ী,
কবি কৃষ্ণনাথ সর্বভৌম (ললিত লবঙ্গলতা কাব্যগন্থের প্রণেতা)-র বাড়ী,
হরিণাহাটির জমিদার বাড়ী,
দিঘলীয়া দক্ষিণা কালী বাড়ী,
বহুতলী মসজিদ (১৫৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত),
সেন্ট মথুরানাথের সমাধি,
উজানীর জমিদার বাড়ী,
শ্রীধাম ওড়াকান্দি,
জগদান্দ মহাশয়ের তীর্থভূমি,
ননীক্ষীরে নবরত্ন মঠ,
ঐতিহাসিক রমেশ চন্দ্র মজুমদারের পৈতৃক বাড়ী,
ধর্মরায়ের বাড়ি,
দীঘলিয়া দক্ষিণা কালীবাড়ি,
মধুমতি নদী,
বিলরুট ক্যানেল,
হেরন কান্দির আমগাছ,
আড়পাড়া মুন্সীবাড়ি,
শুকদেবের আশ্রম,
খানার পাড় দীঘি,
উলপুর জমিদারবাড়ি,
৭১-এর বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ (স্মৃতিস্তম্ভ),
রাজা সমাচার দেব, ধর্মাদিত্য ও গোপচন্দ্রের আমলের তাম্রলিপি,
সত্য ধর্মের প্রবর্তক দীননাথ সেনের সমাধিসৌধ (জলিরপাড়, মুকসুদপুর)।

1 Response to "গোপালগঞ্জ জেলা"

  1. আমি আপনার সাথে সরাসরি কথা বলতে চাই। আপনি এই লেখার লিঙ্ক কথায় পেয়েছেন ভাই? আমার সত্যিই জানাটা খুবই দরকার

    উত্তরমুছুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel