আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

সাধারণ জ্ঞান = ০১

সাধারণ জ্ঞান = ০১


মজা পাওয়ার মত তথ্য

১।খরগোশ ও টিয়াপাখি দুটোই খুব সুন্দর প্রাণী। অনেকেই এগুলো বাসায় পোষে। তবে বাসায় থাকা খরগোশ বা টিয়াকে পেছন থেকে চুপি চুপি এসে চমকে দেওয়ার চেষ্টা বৃথা। কারণ এই দুটি প্রাণী মাথা না ঘুরিয়েও পিছনে কী ঘটছে দেখতে পায়। 

২।কোনো খাবারের স্বাদ জানতে আমরা জিহ্বা ব্যবহার করি। চিন্তা করো তো প্রায় সব প্রাণীরই তো জিহ্বা আছে, তাই না। আচ্ছা হাত বা পা দিয়ে কখনো খাবারের স্বাদ জানা যায়! অবিশ্বাস্য মনে হলেও প্রজাপতি এই কাজটিই করে। প্রজাপতি কোনো খাবারের ওপর বসে পা দিয়ে এর স্বাদ নেয়। কারণ মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ক্ষেত্রে স্বাদ গ্রহণের গ্রন্থি থাকে জিহ্বায়। কিন্তু প্রজাপতির ক্ষেত্রে এই গ্রন্থি থাকে পায়ে। 

৩।প্রায় প্রতিদিনই তো বাসায় ঘর ঝাড়ু দেওয়া হয়। খেয়াল করে দেখো এর মধ্যে ধুলার মতো ময়লা থাকে। আর এই ময়লার মধ্যে তোমার শরীরের ত্বকের কোষও আছে। মজার বিষয় হলো, আমাদের বাড়িঘরের ধুলোর মতো গুঁড়ো ময়লার অধিকাংশই আমাদের শরীর থেকে ঝরে যাওয়া মৃত ত্বক কোষ। 

৪।আদিকালে পৃথিবীজুড়ে ঘুরে বেড়াত ডাইনোসরসহ বিভিন্ন প্রাগৈতিহাসিক প্রাণী প্রজাতি। বৃহদাকৃতির ডাইনোসরের একটি প্রজাতি ছিল স্টেগোসাউরাস। প্রায় নয় মিটার লম্বা দাবনাকৃতির এই ডাইনোসর প্রজাতির মস্তিষ্ক ছিল কাঠবাদামের সমান। 

৫।খাটো বলে মন খারাপ। লম্বা হওয়ার এক বুদ্ধি বাতলে দিতে পারি। মহাকাশচারী হও, এতে একটু হলেও লম্বা হতে পারবে। বিস্ময়কর মনে হলেও সত্যি, মহাকাশে কিছুদিন টানা থাকলে উচ্চতা কিছুটা বাড়ে। মহাকাশে অভিকর্ষণ বল না থাকায় মানুষের শরীরের ওপর নিচের দিকে টান থাকে না। এ কারণে মানুষের উচ্চতা বাড়ে। 

৬।অস্ট্রেলিয়া মহাদেশের বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রাণী ক্যাঙ্গারু আর ইমু পাখি। লাফিয়ে লাফিয়ে চলা আর পকেটে বাচ্চা রাখার জন্য ক্যাঙ্গারু সবার কাছেই মোটামুটি পরিচিত। আচ্ছা ক্যাঙ্গারুকে কখনো পেছনে হাঁটতে দেখেছো কেউ। উত্তর হবে ‘না’। পায়ের গঠনের কারণে ক্যাঙ্গারু ও ইমু পাখি পেছনে হাঁটতে পারে না বললেই চলে।  

৭।চিড়িয়াখানায় জলহস্তী দেখেছো। বিশালদেহী প্রাণীটির পা বেশ ছোট হলেও এটি মানুষের চেয়ে দ্রুতগতিতে দৌড়াতে পারে। আর দেখতে নিরীহ হলেও জলিহস্তী কিন্তু হিংস্রতম প্রাণীর একটি। 

৮।কাঁটাঘড়ি দেখেছো। তিনটি কাঁটায় দেখায় সেকেন্ড, মিনিট আর ঘণ্টা। এই ঘড়িতে ব্যাটারি না থাকলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও কিন্তু দিন-রাত মিলে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত দুবার সঠিক সময় দেখায়। 

৯।মানুষ কখনোই চোখ খোলা রেখে হাঁচি দিতে পারে না। হাঁচি এলে মানুষের চোখ আপনাআপনিই বন্ধ হয়ে যায়। 

১০।ইংরেজি বলায় অনেকেই বেশ সাবলীল। এই ইংরেজি বাক্যটি দ্রুত বলার চেষ্টা করে দেখো তো— Sixth sick sheik’s sixth sheep’s sick.


আমাজন এর জানা অজানা

আমরা যতই চাঁদ, মহাকাশ জয় করিনা কেন, পৃথিবীর অনেক রহস্যই আজো অজানাই রয়ে গেছে। আমাজন অরণ্য এমনই একটি রহস্য। আমাজন জঙ্গল নিয়ে আগ্রহ নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। আর আগ্রহ থাকবেই বা না কেন! এই পুরো জঙ্গলটাই তো একটা রহস্য আর বিষ্ময়ের প্যাকেট।

আমাজন বা আমাজন রেইনফরেস্টের কথা বলতে গেলে একটি কথা বারবার বলতে হয়, আর তা হলো- “পৃথিবীর সবচেয়ে বড়….”। যেমন- পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বন এটি, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রিভার বেসিন অথাৎ সবচেয়ে বড় নদীর অববাহিকা এই আমাজনে, পৃথিবী সবচেয়ে বড় নদী এই অঞ্চলে….ইত্যাদি।

আমাজন বন হলো আমাজন নদীর অববাহিকায় অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় নিরক্ষীয় বন, যা দক্ষিন আমেরিকা মহাদেশের উত্তরভাগে অবস্থিত ৯টি দেশের অন্তর্ভুক্ত। এর আয়তন প্রায় সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন বর্গ কিলোমিটার। আমাজন বন অত্যন্ত দুর্গম। তবে দক্ষ গাইড সহ নদী পথে ভ্রমন এই নিরক্ষীয় বনের প্রাকৃতিক বিষ্ময় দেখার সবচেয়ে ভালো উপায়।

প্রাচিনকাল থেকেই অভিযাত্রীরা আমাজনে যাত্রা করে মূলত স্বর্ণ, রৌপ্য এবং ধন-রত্নের খোঁজে। পর্তুগীজ অভিযাত্রীরা বিশ্বাস করত, বিশাল এ বনের মধ্যেই কোথাও লুকিয়ে আছে "এলডোরাডো" নামক এক গুপ্ত শহর যা পুরোপুরি সোনার তৈরি।এই ভ্রান্ত ধারনাটি এসেছে গ্রীক পৌরাণিক গল্প থেকে যেখানে বলা হয়েছে যে “এলডোরাডো” নামক সোনায় মোড়ানো শহরটি পাহাড়া দেয় এক শ্রেনীর বিশেষ নারী যোদ্ধারা; যাদেরকে গল্পে “আমাজন” বলে অভিহিত করা হয়েছে। পর্তুগিজ, স্প্যানিশ এবং ফ্রেঞ্চ অভিযাত্রীরা প্রতিযোগীতায় নামে এই “এলডোরাডো” শহর আবিষ্কারের জন্য। কিন্তু কেউ এই কাল্পনিক শহরের খোঁজ পায়নি।শহরের সন্ধান না পেলেও স্থায়ী হয়ে যায় সেই নারী যোদ্ধাদের নাম।তাদের নামানুসারেই এই জঙ্গলের নাম হয় “আমাজন” জঙ্গল।

আমাজনকে রেইনফরেস্ট বলা হলেও এর অর্থ কিন্তু এই না যে এখানে সারা বছর বৃষ্টিপাত হয়। বরং রেইনফরেস্ট বলা হয় এখানকার অত্যধিক আর্দ্রতা, বৃষ্টিপাত (বর্ষা মৌসুমে) এবং গরম আবহাওয়ার কারনে। প্রচন্ড গরমের কারনে এখানে বাষ্পীভবনের হার অনেক বেশি যা আর্দ্রতা এবং বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার অন্যতম কারন।

এই গরম আবহাওয়া, বৃষ্টিপাত এবং আর্দ্রতার কারনে এ বনে উদ্ভিদ ও প্রানিকুলের বৈচিত্রময় সমাহার দেখা যায়। এখানে আছে ১২০ ফুট উঁচু গাছ, ৪০ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ২.৫ মিলিয়ন প্রজাতির কীট-পতঙ্গ ১,২৯৪ প্রজাতির পাখি, ৩৭৮ প্রজাতির সরীসৃপ, ৪২৮ প্রজাতির উভচর এবং ৪২৭ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রানি সহ হাজারো প্রজাতির অজানা জীব-অনুজীব। এখানকার প্রানিবৈচিত্র অতুলনীয়। মজার বিষয় হল হাজারো রকমের প্রানির সমাহার থাকলেও এখানকার ইকোসিস্টেম অত্যন্ত শক্তিশালী যা মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে।
এই বনের স্তন্যপায়ীদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল জাগুয়ার, গোলাপি ডলফিন (একমাত্র প্রজাতির ডলফিন যা স্বাদু পানিতে বাস করে),তামানডুয়া, তাপির, মানাতি, ইঁদুর, কাঠবিড়ালি,বাদুড় ইত্যাদি।

পাখিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ঈগল, টুকান, হোয়াটজিন, দ্রুতগামী হামিং বার্ড এবং আরো রঙ-বেরঙের অনেক পাখি। পৃথিবীর সকল পাখির এক পঞ্চমাংশ পাখি এই বনের অধিবাসী।
মাছের মধ্যে আছে মাংসাশী লাল পিরানহা, বিপদজনক বৈদ্যুতিক মাছ এবং স্বাদু পানির অন্যতম বড় মাছ-পিরারুকু, যার ওজন ১৫০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। উভচর প্রানির মধ্যে লাল চোখ বিশিষ্ট গেছো ব্যাঙের নাম না বললেই নয়। সরিসৃপের মধ্যে আছে বিখ্যাত সাপ বোয়া যা তার শিকারকে পেঁচিয়ে ধরে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলে। তাছাড়া রয়েছে কুমির, অ্যালিগেটর, কচ্ছপ প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পিঁপড়া, হাতের তালুর সমান বড় তেলাপোকা, রঙ-বেরঙের প্রজাপতি, শুঁয়োপোকা আর জানা অজানা হরেক রকমের পোকা-মাকড়ের বসতি এই আমাজনে।

তবে এ বন শুধু জীবজন্তু আর উদ্ভিদের জন্যই স্বর্গরাজ্য নয় বরং এখানে অনেক মনুষ্য বসতিও আছে। হাজার বছর ধরে এখানে আদি ইনডিয়ানরা বসবাস করে আসছে। বর্তমানে এখানে বসবাসরত ইনডিয়ানের সংখ্যা প্রায় ২ লাখ। এই বনে গড়ে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে প্রায় ৭৫,০০০ ধরনের বৃক্ষ পাওয়া যায়।বিশ্বের মোট ঔষধের ২৫% কাঁচামাল আসে এ বনের মাত্র ৪০০ প্রজাতির গাছ থেকে।

বিভিন্ন জীবের পাশাপশি কিছু ক্ষতিকর প্রানিও আছে আমাজনে। তাদের মধ্যে পিরানহা, রক্তচোষা বাদুর, বিষাক্ত ব্যাঙ, বৈদ্যুতিক মাছ, রেবিস, ম্যালেরিয়া, ইয়েলো ফিভার, ডেঙ্গু ফিভারের জীবানু উল্লেখযোগ্য। তাছাড়া জাগুয়ার এবং অ্যানাকোন্ডা-ও অনেক সময় বিপদের কারন হতে পারে।

আমাজন হল বিশাল এবং জটিল এক জায়গা যেখানে প্রকৃতি তৈরি করেছে অদ্বিতীয় এক ভৌগলিক ও জৈবিক সমন্বয় যা পৃথিবীর অন্য কোথাও অনুপস্থিত। আমাজনের রহস্য এবং ভয় আমাদের একই সাথে জয় করতে হবে এবং সাথে সাথে জিইয়ে রাখতে হবে। নতুবা বিশ্বায়নের এই যুগে আমাজনের রহস্য নিয়ে আমরা হয়ত আর বেশিদিন গর্ব করতে পারব না।

পৃথিবী সম্পর্কে জানা-অজানা পাঁচটি তথ্য

১) প্রাচীন পৃথিবীর লোকেরা মনে করতো পৃথিবী চ্যাপ্টা বা সমতল। আর কেউ যদি জাহাজে করে বা কোন ভাবে পৃথিবীর কিনারা বা শেষ প্রান্তে যেতে পারে তবে সে বা ঐ জাহাজটি পড়ে যাবে। আর এমনটা মনে করার কারন হলো পৃথিবী খুব বড় একটি গোলক। এর কোন নির্দিষ্ট স্থানে দাড়িয়ে চারপাশে তাকালে পৃথিবীকে সমতলই মনে হয়। তবে খ্রিস্টপূর্ব ৪র্থ শতকে গ্রিকরা পৃথিবীর আকৃতি সম্পর্কে সঠিক ধারনা পেতে শুরু করে। ক্রমেই পুরো পৃথিবী জুড়েই সমতল পৃথিবীর ধারনা পরিত্যক্ত হতে শুরু করে। কিন্তু বর্তমানেও ফ্ল্যাট আর্থ সোসাইটি নামে একটি সংগঠন আছে যার সদস্যরা সমতল পৃথিবীতে বিশ্বাস করে এবং এ বিশ্বাসের প্রসারে কাজ করে।

২) সমতল পৃথিবী মতে বিশ্বাস না করলেও অনেকটা সময় জুড়েই মানুষ বিশ্বাস করতো পৃথিবীই সোরজগত এবং মহাবিশ্বের কেন্দ্র। একে বলা হয় জিওসেন্ট্রিক মডেল বা ভূকেন্দ্রিক মডেল। খোলা চোখে অবশ্য এমনই মনে হয়। আমাদের দৃষ্টিকোন থেকে দেখা যায়, চাঁদ, সূর্য, তারা আরো অন্যান্য গ্রহ, নক্ষত্র ইত্যাদি পৃথিবীকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে। আর ১৬শ শতকের আগে পর্যন্তও মানুষ এমনটাই বিশ্বাস করতো। তবে এরপরই একটি যুক্তিযুক্ত ও সঠিক মডেল উপস্থাপন করেন নিকোলাস কোপার্নিকাস। যার কেন্দ্র হলো সূর্য এবং নাম হেলিওসেন্ট্রিজম বা সৌরকেন্দ্রিক মতবাদ। পরে মডেলটির আরো উন্নতি সাধন করেন জ্যোতির্বিদ ইওহান কেপলার এবং দুরবিন ব্যবহার করে শক্ত পর্যবেক্ষনমূলক প্রমান হাজির করেন ইতালীয় বিজ্ঞানী গ্যালিলিও গ্যালিলে।

৩) পৃথিবীর ইংরেজি হলো Earth. আর Earth ই একমাত্র গ্রহ যার নাম কোন গ্রীক বা রোমান দেব দেবীর নামে হয়নি। বিভিন্ন দেশে পৃথিবী বা Earth এর ভিন্ন ভিন্ন নাম থাকলেও সবগুলো নামের সাথেই এসেছে মাটি বা ভূমি সম্পর্কিত কোন শব্দ থেকে বা তা মাটি কিংবা ভূমির সমার্থক শব্দ । যেমন: বাংলাদেশ বা বাংলা ভাষাভাষীরা একে পৃথিবী নামে ডাকে যার সমার্থক শব্দ ভূমি, বসুন্ধরা ইত্যাদি। সুইডেনে পৃথিবীকে ডাকা হয় ইউডান (Jorden) নামে আর সেখান মাটিকে বলা হয় ইউড। আবার পৃথিবীর ল্যাটিন নাম হলো টেরা এসেছে টেলুস থেকে যা মাটির সমার্থক।

৪) আমরা সবাই জানি পৃথিবীতে একদিন হলো ২৪ ঘন্টা। যার মানে হলো সূর্যকে কেন্দ্র করে নিজ অক্ষে ঘুরে আসতে পৃথিবীর ২৪ ঘন্টা সময় লাগে। পৃথিবীর এ গতিকে বলা হয় আহ্নিক গতি। তবে এই হিসাবে কিছুটা ভুল রয়েছে। কারন বাস্তবে দেখা যায়, সূর্যকে কেন্দ্র করে নিজ অক্ষে ঘুরতে পৃথিবীর সময় লাগে ২৩ ঘন্টা ৫৬ মিনিট ০৪ সেকেন্ড।

৫) পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে প্রাণ থাকুক বা না থাকুক পৃথিবীর সকল পরিবেশেই কোন না কোন প্রাণি দেখা যায়ই। আর এই প্রানের অস্তিত্ব এমন অনেক স্থানে দেখা যায় যেখানে কল্পনাও করা যায় না কোন প্রাণী থাকতে পারে। অ্যান্টার্কটিকার বরফের নিচে কিংবা তপ্ত মরুভূমিতে সবখানেই দেখা যায় প্রাণের অস্তিত্ব। আর পানির নিচের প্রাণিদের সম্পর্কে বলতে গোলে আমরা কিছুই জানিনা।

জানা অজানা মানব দেহের তথ্য

১) মানুষের শরীরে প্রচুর পরিমাণে লবণ রয়েছে। শরীরের রক্তে লবণের পরিমান একটা সাগরে থাকা লবনের সমান।

২) একজন মানুষের শরীরে হাড় জমাট বাঁধা কংক্রিটের চেয়ে অনেক বেশি শক্ত।

৩) আমাদের শরীরের ভিতরের সমস্ত যন্ত্রাংশ কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় যখন আমরা হাঁচি দিই। এমনকী, আমাদের হৃদয়ও।

৪) পুরুষদের থেকে মহিলারা প্রতিদিন বেশি চুল হারান। প্রতিদিন পুরুষেরা হারান ৪০ টার মতো চুল আর মহিলারা হারান ৭০ টার মতো।

৫) বিশ্বাস না হলে মিলিয়ে দেখুন। মানুষ চোখ খোলা রেখে কখনই হাঁচি দিতে পারে না। ৬) মানুষ রাতের থেকে সকালে তুলনামূলক বেশি লম্বা হয়ে যায়।

৭) মানুষের মুখ থেকে পেটে খাবার যেতে সময় লাগে মাত্র সাত সেকেন্ড।

৮) মানুষের দেহের সবচেয়ে ছোট হাড় হলো কানের হাড়।

৯) আমাদের চোখের পাপড়ির আয়ুকাল মাত্র ১৫০ দিন।

১০) মানুষের শরীরের হৃদপিন্ডের প্রতিদিনের গড় রক্তসঞ্চালনের পরিমাণ ১০০০ বার।

১১) মানুষের চোখের ভ্রুতে চুলের পরিমাণ প্রায় পাঁচ শ’র মত।

১২) একজন মানুষের শরীরে গড় নার্ভের পরিমাণ গড়ে প্রায় এক শ’ বিলিয়ন।

১৩) ছোটদের জন্য বসন্তকালটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা বসন্তকালে সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়ে উঠে।

১৪) মানুষের মাথার খুলি বিভিন্ন রকমের ২৬টি হাড় দিয়ে তৈরি।

১৫) জিভ শুধু স্বাদ গ্রহণ আর উচ্চারণে নয়, মানুষের শরীরের সবচেয়ে শক্তিশালী একটি পেশীও।

১৬) স্বাভাবিক একজন মানুষ দৈনিক ছয়বার মূত্রত্যাগ করেন।

১৭) হাঁচির সময় মানুষের নাক থেকে যে বাতাস বের হয় তার গতিবেগ ১০০ কিমি।


পৃথিবীর রহস্যময় ২৫টি স্থান

১. ম্যাকেঞ্জি ভূত: এডিনবরোর ব্ল্যাক মসোলিয়াম হল স্যার জর্জ ম্যাকেঞ্জির সমাধি। এখানে যে সব পর্যটকরা ঢোকেন, তাদের অনেকেরই গায়ে পড়ে অদ্ভুত আঁচড়। এই আঁচড়ের রহস্য ভেদ করা যায়নি। 

২. আইয়ুদের অ্যালুমিনিয়াম গোঁজ: ১৯৭৪ সালে রোমানিয়ায় আবিষ্কৃত হয় ২৫ লক্ষ বছর আগের একটি গোঁজ। গোঁজটিতে অ্যালুমিনিয়ামের চিহ্ন পাওয়া যায়। কিন্তু সেসময় অ্যালুমিনিয়ামের ব্যবহার ছিল অজানা। সেসময় কোথায় থেকে এ গোঁজ আনা হয়েছে সেটি আজো উদঘাটন হয়নি। 

৩. এসএস ঔরাঙ্গমেডাং অন্তর্ধান রহস্য: ১৯৪৭ সালে মালয়েশিয়ার এই জাহাজ আকস্মিক ভাবেই সমুদ্রপথে হারিয়ে যায়। সেই জাহাজ কোথায় হারিয়ে গেল জানা যায় না আজও। এমনকি কখনো এ জাহাজের সন্ধান পাওয়া যাবে কিনা সেটিও বলতে পারছেন না বিজ্ঞানীরা। 

৪. নাজকা লিপি: প্রাচীন নাজকা সভ্যতার মানুষজন মাটির বিরাট অংশ জুড়ে এঁকে গেছেন মাকড়সা, হনুমান, হাঙর আর ফুলের ছবি। যেগুলোর প্রকৃত আকৃতি একমাত্র বিমান থেকে দেখলেই বোঝা যায়। সেসময় কীভাবে তারা এসব ছবি একেছিলেন সে রহস্য আজো উদঘাটন হয়নি। 

৫. লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যুরহস্য: ১৯৬৬ সালে তাসখন্দে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর আকস্মিক মৃত্যু এক রহস্যময় বিষয়। কিভাবে তার মৃত্যু হয়েছে সেটি আজো রসহস্যময়।  

৬. ডিবি কুপার: একটি বোয়িং ৭২৭ বিমান হাইজ্যাক করার পর মাঝআকাশে দুই লাখ ডলার সমেত প্যারাশুট নিয়ে প্লেন থেকে ঝাঁপ দেন কুপার। তার পর কী হল, কোথায় গেলেন তিনি, সে রহস্য আজো অজানা। ১৯৭১ সালের ২৪ নভেম্বর পোর্টল্যান্ড এবং সিয়াটলের মধ্য আকাশে এ ঘটনা ঘটেছিল। উড়োজাহাজ ছিনতাইয়ের অভিযোগে আজও তাকে খুঁজছে মার্কিন গোয়েন্দারা। 

৭. ‘ওয়াও’ সঙ্কেত: ওহিও বিশ্ববিদ্যালয়ে আকাশ নিরীক্ষণ কেন্দ্রে কর্মরত জেরি এমান স্যাজিটেরিয়াস তারকাপুঞ্জ থেকে হঠাৎ এক অদ্ভুত বেতার বার্তা পেয়েছিলেন। সেই বার্তার অর্থ আজও অজানা। বিজ্ঞানীরাও এ বার্তার অর্থ উদঘাটন করতে পারেনি। 

৮. ব্রিটিশ কলম্বিয়ার সমুদ্রসৈকতের কাটা পা: এই সমুদ্রসৈকতে প্রায়শই ভেসে আসে মানুষের পায়ের কাটা নিম্নাংশ। কাদের পা, কোথা থেকে আসে তা কেউ জানে না। এ নিয়ে অনেক গবেষণাও হয়েছে কিন্তু ফলাফল শূন্য। ফলে কাটা পায়ের নিম্নাংশের রহস্য আজো উদঘাটন হয়নি। 

৯. ভিনগ্রহের প্রাণী: পৃথিবী ছাড়া অন্য গ্রহে সত্যি কি প্রাণের অস্তিত্ব আছে? তারা কি আনাগোনা করে পৃথিবীতে? অনেকে অবশ্য দাবি করেন, পৃথিবীতেই দেখা পেয়েছেন সেসব ভিনগ্রহের প্রাণীর। কিন্তু বস্তুত আজো সেটি ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে এ বিষয়ে রহস্য থেকেই যায়। 

১০. অ্যাটলান্টিসের হারানো শহর: প্লেটোর ‘টিম্যাউস’ এবং ‘ক্রিটিয়াস’ বইতে উল্লেখ রয়েছে অ্যাটলান্টিস বলে এক শহরের। সেই শহর আজ কোথায় গেল? তা কি সমুদ্রের তলায় হারিয়ে গেল সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। এ নিয়ে অনেক অনুসন্ধানও চালিয়েছেন গবেষকরা কিন্তু রহস্য উদঘাটন হয়নি আজো।   

১১. তুরিনের শবাচ্ছাদন: এই শবাচ্ছাদনে আঁকা রয়েছে কার মুখ? যিশু খ্রিষ্টের কি? এর খ্রিষ্টান ভক্তরা ও গবেষকরা এই প্রশ্নের কোনও উত্তর পাননি। 

১২. স্টোনহেঞ্জ: ইংল্যান্ডের উইল্টশায়ারে দু’ মাইল এলাকা জুড়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে প্রাগৈতিহাসিক যুগে প্রথিত একগুচ্ছ প্রস্তরখণ্ড। কে, কারা বা কেন এই পাথরগুলো সেখানে এনেছিল, কীভাবে এনেছিল, তা সবই রহস্য। 

১৩. ব্ল্যাক দাহিলা হত্যা: এলিজাবেথ শর্ট ওরফে ব্ল্যাক দাহিলা ১৯৪৭-এ যখন নিহত হন, তখন তাঁর বয়স বাইশ। কে ছিল হত্যাকারী? আজও অজানা। 

১৪. বিগ ফুট: আমেরিকা ও কানাডার পাহাড়ি অঞ্চলে দেখা মেলে এক গোরিলা সদৃশ জীব। যাকে স্থানীয়রা বিগ ফুট নামে ডাকেন।



১৫. লচ নেস দৈত্য: স্কটল্যান্ডে লচ নেস অঞ্চলের সমুদ্রে এক ডায়নোসর প্রতিম দৈত্যের দেখা পেয়েছেন বলে দাবি করেন অনেকেই। যদিও সত্যিই এমন কোনও দৈত্যের অস্তিত্ব রয়েছে কি না তা জানা যায় না।



১৬. রঙ্গোরঙ্গো: রহস্যমণ্ডিত ইস্টার দ্বীপপুঞ্জে কয়েকটি হায়রোগ্লিফিক লিপি খোদিত কাঠের টুকরো পাওয়া গেছে। সেই লিপির পাঠোদ্ধার আজও করতে পারেনি কেউ।



১৭. জর্জিয়া গাইড স্টোন: ১৯৭৯ সালে আমেরিকার আলবার্ট কউন্টিতে স্থাপিত এই বিরাট প্রস্তরখণ্ডগুলোর গায়ে ইংরেজি, সিংহলি, হিন্দি, হিব্রু, আরবি, চাইনিজ, রাশিয়ান এবং স্প্যানিশ ভাষায় লেখা হয়েছে দশটি নিউ কমান্ডমেন্টস। কিন্তু সেগুলোর অর্থদ্ধার আজও সম্ভব হয়নি।



১৮. জোডিয়াক চিঠি: ১৯৬০-এর দশকে সানফ্রান্সিসকো শহরে এক অপরাধীর আবির্ভাব ঘটে। যার নাম পুলিশের খাতায় ছিল ‘জোডিয়াক কিলার’। পুলিশকে সাতটি মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া চিঠি পাঠায় তিনি। যার তিনটি অর্থ আজও রহস্যমণ্ডিত।



১৯. তামাম শুদ: ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের সমুদ্রসৈকতে পাওয়া যায় এক ব্যক্তির মৃতদেহ। তার পকেটে ছিল এক টুকরো কাগজ। যাতে লেখা ছিল তামাম শুদ। যার অর্থ শেষ। কিন্তু কে ছিল সেই ব্যক্তি? আজও অজানা।



২০. শেফার্ড মনুমেন্টের গায়ে খোদিত লিপি: ইংল্যান্ডের স্ট্যাফোর্ডশায়ারে অষ্টাদশ শতকে নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভের একজায়গায় খোদাই করে লেখা রয়েছে ‘DOUOSVAVVM’ এর অর্থ জানা আজও সম্ভব হয়নি।



২১. ক্রিপ্টোজ: ভার্জিনিয়ায় গুপ্তচর সংস্থা সিআইএর সদর দপ্তরে রাখা রয়েছে এই সাংকেতিক লিপি। জিম স্যানবর্ন-এর তৈরি করা এই লিপির চতুর্থ অংশটির অর্থ আজও অজানা। 

২২. বারমুডা ট্র্যাঙ্গেল: মায়ামি, বারমুডা এবং পুয়ের্তো রিকোর মধ্যবর্তী এই সমুদ্র-অঞ্চলে হারিয়ে গেছে বহু জাহাজ। এমনকী পাইলটরাও অনেকে দাবি করেছেন, এই অঞ্চল দিয়ে উড়ে যাওয়ার সময় কোনও এক অঞ্জাত কারণে অকেজো হয়ে গিয়েছিল তাদের প্লেনের যন্ত্রপাতি। 

২৩. জ্যাক দ্য রিপার: অষ্টাদশ শতকের ইংল্যান্ডে কোনও এক রহস্যময় আততায়ী ১১জন মহিলাকে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে খুন করে। সেই আততায়ী যে আসলে কে ছিল, তা আজও অজানা। 

২৪. ভয়নিখ পুঁথি: যে রহস্যময় ভাষায় এই পুঁথি রচিত তার মর্মদ্ধার আজ পর্যন্ত কেউ করতে পারেননি। শুধু অর্থ পাওয়া গেছে এই পুঁথির পাতায় পাতায় আঁকা ছবিগুলোর। 

২৫. তাওয়ের গুঞ্জন: নিউ মেক্সিকোর ছোট্ট শহর তাওয়ে দিগন্তের দিক থেকে ভেসে আসে ডিজেল ইঞ্জিন চলার মতো এক অস্পষ্ট গুঞ্জন। এই আওয়াজ কীসের, তা বিজ্ঞানও জানতে পারেনি।



পোস্টটি লিখেছেন☞☞মোঃ-বিপ্লব পার্বতীপুর ০১৭৮৭৯১৮৮৮
                               BIPLOB
কপি করবেন না☞☞করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "সাধারণ জ্ঞান = ০১ "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel