আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

কম্পিউটার মাউস পরিচিতি এবং এর  বর্ণনা

কম্পিউটার মাউস পরিচিতি এবং এর বর্ণনা


কম্পিউটার মাউস(Mouse) কি ☞☞☞

কম্পিউটার মাউস


 এটি অনেকটা ইঁদুরের মতো দেখতে তাই এর নাম মাউস। এক সরু প্রান্ত থেকে একটি তার সরাসরি সিপিইউ-এ সংযুক্ত থাকে। মাউসের উপরিভাগে দুটো চাপ দেওয়ার জায়গা আছে (অবশ্য অনেক মাউসে তিনটিও থাকে), এর ডান পাশের বোতামকে বলা হয় রাইট বাটন আর বাম পাশের বোতামকে বলা হয় লেফট বাটন। কম্পিউটার ওপেন করা থাকলে মাউস নাড়া দিলে একটি তীর চিহ্ন নড়া চড়া করে এটাকে বলা হয় মাউস পয়েন্টার। আর এই নাড়া চাড়া করাকে বলা হয় মাউস ড্রাগ করা। সাধারণত কোন ফাইল বা ফোল্ডারের আইকন সিলেক্ট বা নির্বাচন করতে হলে মাউসের পয়েন্টার তার ওপর নিয়ে মাউসের বাম পাশের বোতাম একবার চাপ দিলে তাকে বলে সিঙ্গল ক্লিক। আর ওটাকে ওপেন করতে মাউসের বাম পাশের বোতাম ঘনঘন দুবার চাপ দিতে হয় এই ঘনঘন দুবার চাপ দেওয়াকে বলে মাউসের ডবল ক্লিক। মাউসের ডান পাশের বোতাম চাপলে তাকে বলে রাইট ক্লিক। এই রাইট ক্লিক করে সাধারণত কোন ফাইল ফোল্ডার সিলেক্ট বা খোলা যায় না তবে এটা ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক কিছু মেনু কমান্ড তালিকা পাওয়া যায়।
                                           কম্পিউটার মাউস

ইনপুট ডিভাইস হিসেবে মাউস কি-বোর্ডের ব্যবহারকে অনেক সীমিত করেছে। মাউসের ব্যবহার কম্পিউটার অপারেশনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। কার্যনীতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

(ক) মেকানিক্যাল মাউস (Mecanical Mouse) : মেকানিক্যাল মাউসের মধ্যে একটি ছোট বল থাকে। মাউস নাড়াচাড়া করলে বলটি নড়াচড়া করে। বলটি দুটি রোলারের মাধ্যমে দুটি সুইচকে অন অফ করে কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে ।
                                          কম্পিউটার মাউস
(খ) অপটিক্যাল মাউসঃ অপটিক্যাল মাউসে অবশ্য ছোট বলটি থাকেনা তার পরিবর্তে থাকে লাইটবীম। বিশেষ ধরনের মাউস প্যাডের সাহায়্যে এই লাইটবীম কারসরের চলাচলকে নিয়ন্ত্রণ করে।
                                                    কম্পিউটার মাউস

বটন সংখ্যার উপর নির্ভর করে মাউস দুই ধরনের হয়। যথা-

 ১। দুই বা তিন বাটনের মাউস (আইবিএম কম্পিউটারের জন্য)।

২। এক বাটনের মাউস (মেকিনটোশ কম্পিউটারের জন্য)।

মাউস চলাচল নির্ণয়ের প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে মাউসকে তিন শ্রেণীতে ভাগ করা যায়। যথা-

১। যান্ত্রিক মাউস

২। আলোক যান্ত্রিক মাউস ও

৩। আলোকীয় বা অপটিক্যাল মাউস।

কম্পিউটার সিস্টেমের সংঙ্গে মাউসের সংযোগ পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে মাউসকে চার শ্রেণীতে ভাগ করা যায়ঃ

১। সিরিয়াল মাউস

২। বাস মাউস

৩। প্রোপ্রাইটারি মাউস

৪। তারবিহীন মাউস

প্রধানত দু’ধরনের তারবিহীন মাউস পাওয়া যায়ঃ

১। ইনফ্রারেড তারবিহীন মাউস ও

২। রেডিও সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ তারবিহীন মাউস।

অপটিক্যাল মাউস কিভাবে কাজ করে
অপটিক্যাল মাউস এক ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করে যা কিনা সেকেন্ডে ১৫০০ পর্যন্ত ছবি তুলতে সক্ষম। এটি যে কোনো রকম পৃষ্ঠেই কাজ করতে পারে। মাউসের নিচে থাকে একটি লাল এলইডি লাইট। এটি থেকে আলো পৃষ্ঠে পড়ে প্রতিফলিত হয়ে ফেরত আসে সিএমওএস সেন্সরে। এই সেন্সর প্রতিটি ছবি বিশ্লেষণের জন্য পাঠায় ডিজিটাল সিগনাল প্রসেসরে (ডিএসপি)।
                                                কম্পিউটার মাউস
এটি প্রতিটি ছবি বিশ্লেষণ করে বের করে পূর্ববর্তী ছবির সাথে নতুনটির পার্থক্য। এভাবে এটি নির্ণয় করে মাউসটি ঠিক কোনদিকে কতটুকু নড়ল। সেই অনুযায়ী কম্পিউটারে সিগনাল প্রেরিত হয় এবং আমরা মনিটরের পর্দায় মাউস কারসরটিকে নড়তে দেখি। প্রক্রিয়াটি প্রতি সেকেন্ডে শর্তাধিকার সম্পন্ন হয়।

মাউস এর ব্যবহার এবং কিভাবে মাউস দিয়ে কাজ করতে হয়☞☞☞

কম্পিউটারের ক্ষুদ্র এবং ব্যবহারকারীর হাতের থাবায় চেপে ধরে কার্যক্ষম ইনপুট যন্ত্রকেই মাউস Mouse বলা হয়। কম্পিউটারে আমরা যে কাজ করি তাঁর ৮০% মাউস দ্বারা সম্পূর্ণ করা হয়ে থাকে বাকী ২০% কীবোর্ড দিয়ে করতে হয়। মাউসটি সাধারণত কম্পিউটারের পাশে টেবিলের উপর রেখে ব্যবহার করতে হয়। এটিকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করে কাজ করতে হয় এবং টেবিলের উপর মসৃণ স্থানে রেখে নাড়াচাড়া করতে হয়। কম্পিউটারে মাউস দারাই বেশিরভাগ কাজ সম্পাদন করা হয়। বর্তমানে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চালিত মাউস এ তিনটি বোতাম থাকে  ১- বামপাশের বোতাম(primary/left Button), ২- মাঝের বোতাম বা চাকা(wheel button) ৩- ডানপাশের বোতাম(Secondary/right Button). দু’চারটি বিশেষ কাজ ছাড়া বাম দিকের বোতামই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হয়। আমরা যখন কম্পিউটারে মাউস নারা চারা করি তখন তীরের ফলার মতো একটা জিনিস দেখা যায় তাকে মাউস পয়েন্টার বলে।এই পয়েন্টার টি কাজের উপর ভিত্তি করে পরিবর্তন হতে থাকে এবং বিভিন্ন রূপ ধারন করে থাকে। নিচের ছবিতে দেখানো হল কি কি রুপ নিতে পারে।
                                              কম্পিউটার মাউস


উপরের ছবিতে দেখানো অনুযায়ী বিভিন্ন কাজে মাউস পয়েন্টারটি বিভিন্ন রূপ নেয়। স্ক্রীনের কোন স্থানে মাউস পয়েন্টার স্থাপন করে মাউসের বোতামে চাপ দেওয়াকে বলে মাউস ক্লিক করন।একবার মাউস বোতাম চাঁপাকে বলে ক্লিক। তেমনি দুবার মাউসের বোতাম চাঁপাকে বলে ডাবল ক্লিক।মাউস দারা কোন ফাইল বা প্রোগ্রাম ওপেন করতে হলে ওই ফাইল বা প্রোগ্রামের উপর মাউস পয়েন্টার নিয়ে বাম পাশের বোতাম দিয়ে ডাবল ক্লিক করতে হয়। চালু করা কোন প্রোগ্রাম বন্ধ করতে বা মিনিমাইজ করতে বামপাশের বোতাম দিয়ে একবার ক্লিক করলে বন্ধ বা মিনিমাইজ হয়ে যাবে।
                                       কম্পিউটার মাউস
ডানপাশের বোতাম দিয়ে কোন ফাইল “সেভ করা, পেস্ট করা, কেটে ফেলাসহ কোন ফাইল বা প্রোগ্রামের বিস্তারিত জানা যায়। ডান পাশের বোতামে সব সময় এক বারি ক্লিক করতে হয়।এই বাটন দিয়ে দুই বার ক্লিক করার কোন প্রয়োজন হয় না।মাঝখানের বোতাম বা চাকা বাটন শুধু কোন বড় পেজ এর উপরে ও নিচে যেতে কাজে লাগে। যেমন ধরুন আপণী কোন পত্রিকা পরছেন সেক্ষেত্রে পেজটি বড় হলে এই বোতাম দিয়ে খুব সহজে উপরে ও নিচে যাওয়া যায়।

 ১-কিভাবে কম্পিউটার স্টার্ট ও বন্ধ করা

২-কম্পিউটারের ডেক্সটপ (Desktop) কাকে বলে ?

৩-কম্পিউটারে মাউস(Mouse) এর ব্যাবহার

৪- উইন্ডো (Window)  কি? একটি উইন্ডো কে ছোট ও বড় করন এবং উইন্ডো বন্ধ করা

৫-আইকন (Icon) কি ?

৬- টাইটেল বার(Title Bar) ও মেনু বার(Menu Bar) এবং স্ক্রোলবার(Scroll Bar)  কি ?

৭- ফোল্ডার(Folder)  কি,ফোল্ডার তৈরী করা ও নাম পরিবর্তন করা।

৮-কোন ফাইল কপি(Copy) ও পেস্ট(Paste) করা

৯-কোন ফাইল ডিলিট(Delete) বা মুছিয়া ফেলা

                                                 কম্পিউটার মাউস

মাউসের কিছু টিপস☞☞☞

সবাই সাধারণভাবে মাউসের কাজ সম্পর্কে জেনে থাকে। কিন্তু এটি ব্যবহারের বাড়তি কিছু কৌশল রয়েছে। যেগুলো জানা থাকলে খুব সহজে  সময় বাঁচিয়ে অনেক কাজ করা যায়।এ টিউটোরিয়ালে আপনাদের মাউস ব্যবহারের অজানা কিছু ট্রিপস তুলে ধরা হলো। এগুলো জেনে নিলে অনেক কাজ দ্রুত ও স্বল্পতম সময়ে করা যাবে।

দ্রুত ওয়েব পেইজের নিচে যাওয়া:☞☞☞

ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সময় শিফট কি চেপে ধরে নিচে বা ওপরে স্ক্রল করলে অতি তাড়াতাড়ি পেইজটির ওপরে বা নিচে যাওয়া যায়।

জুম করা:☞☞☞

Ctrl কি চেপে ধরে ওপরে বা নিচে স্ক্রল করে ওয়েবপেজ/ওয়ার্ড পেইজকে জুম করে দেখা যায় এবং ছোটও করা যায়।

ওপেন করা উইন্ডো ম্যানেজ করা:☞☞☞

যে কোনো ওপেন করা উইন্ডোর টাইটেল বারে ডাবল ক্লিক করে উইন্ডোটিকে ম্যাক্সিমাইজ অথবা রিসাইজ করা যাবে।

এ ছাড়া ওপেন করা উইন্ডোর সবার ওপরে বাম দিকে অবস্থিত লোগোটিতে ডাবল ক্লিক করলে উইন্ডোটি বন্ধ হয়ে যাবে।

ডাবল ক্লিক ও ট্রিপল ক্লিকের মাধ্যমে সিলেক্ট করা:☞☞☞

যে কোনো শব্দের ওপর ডাবল ক্লিক করে শব্দটিকে সিলেক্ট করা যায়। আবার পুরো অনুচ্ছেদ সিলেক্ট করতে অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফের যে কোনো অংশে ট্রিপল ক্লিক বা একসাথে তিনবার ক্লিক করতে হবে।

মাউসের সাইড বাটনের ব্যবহার:☞☞☞

প্রযুক্তি উন্নয়নের সঙ্গে মাউসেও লেগেছে প্রযুক্তির ছোয়া। বর্তমানে অধিকাংশ মাউসে সাইড বাটন রয়েছে। এ বাটন দুটিকে নিজের ইচ্ছামতো প্রোগ্রামিং করে সুবিধাজনক কাজে ব্যবহার করা যায়। সাধারনত এতে ডিফল্টভাবে লেফট থাম্ব বাটন যুক্ত থাকে।

শিফট বাটন ও মাউস ক্লিক:☞☞☞

অধিকাংশ ওয়ার্ড প্রসেসিং প্রোগ্রাম বা টেক্সট এডিটরে শিফট কি ও মাউস ক্লিকের মাধ্যমে সম্পূর্ণ বা আংশিক লেখা হাইলাইট বা সিলেক্ট করা যায়।

লেখার সময় কার্সরকে যে কোনো একটি প্যারাগ্রাফের শুরুতে রেখে এরপর শিফট-কি চেপে ধরে উক্ত প্যারাটির শেষে ক্লিক করতে হবে। তাহলে পুরো প্যারাটিই সিলেক্টেড হয়ে যাবে।

তবে সেক্ষেত্রে একই কলামে অবস্থিত টেক্সট সিলেক্ট করার জন্য Alt কি চেপে ধরে ড্রাগ করে কাংক্ষিত অংশটি সিলেক্ট করা যাবে।

স্ক্রল হুইলের ব্যবহার:☞☞☞

বর্তমানে অধিকাংশ মাউসে স্ক্রল হুইল আছে। এর মাধ্যমে যে কোনো পেইজের ওপর নিচে যাওয়া যায়।

এ ছাড়াও আরও কিছু কাজে হুইলটি ব্যবহার করা যায়। মাউসে এটি শুধু একটি হুইলই নয়, একটি বাটন হিসেবেও কাজ করে।

এটিকে অনেকটা মাউসের তৃতীয় বাটন হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এ হুইলের মাধ্যমে যে কোনো লিংকের ওপর ক্লিক করলে তা নতুন একটি ট্যাবে ওপেন হয়। আবার যে কোনো ট্যাবের ওপর মাউস হুইল দিয়ে ক্লিক করে ট্যাবটিকে বন্ধও করা যায়।

1 Response to "কম্পিউটার মাউস পরিচিতি এবং এর বর্ণনা"

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel