রেজিস্টর এর কথকতা
শুক্রবার, ৭ জুন, ২০১৯
Comment
রেজিস্ট্যান্স (Resistance)
রেজিস্টার বা পরিবাহীর যে বৈশিষ্ট্যের কারনে এর মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হয় উক্ত বৈশিষ্ট্য বা ধর্মকে রেজিস্ট্যান্স বা রোধ বলে।
প্রকাশ, একক ও সিম্বল (Unit of resistance)
রেজিস্ট্যান্স বা রোধকে গানিতিকভাবে R দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর একক হলো ওহম Ω
চিত্র দেখলে এর সিম্বল(Symbol) বুঝা যাবে, স্কেমেটিক ডায়াগ্রাম (Schematic Diagram) এবং সার্কিট বোর্ড এ এই ধরনের সিম্বল ব্যবহার করা হয়।
প্রকারভেদ
এটি দুই প্রকার –
ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল
ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল
*** যে রেজিস্টর তৈরি করার সময় এর মান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান প্রয়োজন অনুসারে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায়না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে।
*** যে রেজিস্টর মান প্রয়োজন অনুসারে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায় তাকে ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে। রেজিস্টর এর কাজ (Working principle of a resistor)
সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহে বাধা দান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানোই রেজিস্টর এর প্রধান কাজ। এখন হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে কোনো পার্টসকে কেন কম ভোল্ট/কারেন্ট প্রদানের প্রয়োজন হয়। একটা উদাহরন দেই শুধুমাত্র বেসিক ব্যাপারটুকু বুঝবার সুবিদার্থে।
জীবনের প্রয়োজনে আমরা সবাই খাদ্য গ্রহণ করি তা বলাই বাহুল্য। এই খাদ্য গ্রহণের ফলেই আমরা শক্তি পাই আমাদের বিভিন্ন কাজ করার জন্য।
ঠিক একই ভাবে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কাজ করতে গেলে প্রতিটি পার্টসেরই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। ভোল্টেজ আর কারেন্ট ই হচ্ছে সেই খাদ্য। বাস্তবে আমরা যদি বেশি খাই তাহলে স্বভাবতই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
ঠিক তেমনি ভাবেই সার্কিট সংযুক্ত কোনো পার্টস কিংবা কম্পোনেন্টে যদি এর খাদ্য (ভোল্ট-কারেন্ট) বেশি দেয়া হয় তাহলে সেটা কাজ করতে পারেনা। ফলশ্রুতিতে সেই কম্পোনেন্ট টি নষ্ট হয়ে যায় অতি দ্রুত। এটি যাতে না ঘটে তাই এই রেজিস্টরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ভোল্ট-কারেন্ট প্রদান করা হয়।
তাত্ত্বিকভাবে বললে, ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহৃত বিভিন্ন কম্পোনেন্টসমূহ বিভিন্ন ভোল্টেজ ও কারেন্টে কাজ করে। এজন্য কম্পোনেন্টসমূহের চাহিদা মোতাবেক নির্দিষ্ট মানের ভোল্টেজ সরবরাহ দেয়ার জন্য ঐ কম্পোনেন্টের সাপ্লাই ভোল্টেজ এর পথে রেজিস্টর সংযোগ করে অতিরিক্ত ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানোর উদ্দেশ্যেই ইলেকট্রনিক্স সার্কটে রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী কারেন্ট বা এম্পিয়ার সরবরাহ করাও হল রেজিস্টর এর কাজ। মান নির্ণয় পদ্ধতি (How to find out value of a resistor)
প্রতিটা রেজিস্টর এর নিজস্ব মান থাকে, এই মান এর গায়ে উল্লেখ করা থাকে। বড় আকারের রেজিস্টর এর গায়ে মান সরাসরি লেখা থাকে। ছোট আকারের রেজিস্টর এর মান গায়ে লেখা সম্ভব হয়না বা লিখলে বোঝা কষ্টকর হবে, এজন্য কালার কোড ব্যবহার করা হয়। রেজিস্টর এর গায়ে সুস্পষ্টকালার এর রিং করে দাগ দেয়া থাকে।
মান নির্ণয়:
মান দুই ভাবে নির্ণয় করা যায় –
ওহমমিটার/ এনালগ মাল্টিমিটার/ ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর সাহায্যে।
কালার কোড এর সাহায্যে।
ওহমমিটার বা এনালগ মাল্টিমিটার (AVO meter)

এর সাহায্যে রেজিস্টর এর মান নির্ণয় করতে হলে (এনালগ মিটার এর ক্ষেত্রে সিলেকটিং নবটিকে ওহম পজিশন এ স্থাপন করতে হবে) শুরুতেই মিটারের কর্ড (প্রোব) দুটিকে শর্ট করে, জিরো এডজাস্টমেন্ট স্ক্রুর সাহায্যে নির্দেশক কাটাকে জিরো অবস্থানে আনতে হবে। এরপর যে রেজিস্টর এর মান পরিমাপ করতে হবে তার দুইপ্রান্তে (লেগ) ওহমমিটার বা এনালগ মাল্টিমিটারের কর্ড দুটি স্থাপন করালে বা ধরলে যে পাঠ পাওয়া যাবে তাই হবে রেজিস্টর এর মান।
ডিজিটাল মাল্টিমিটার (digital Multimeter)
এর সাহায্যে রেজিস্টর এর মান নির্ণয় করতে হলে সিলেকটিং নবটিকে ওহম পজিশন এ স্থাপনকরতে হবে। এরপর যে রেজিস্টর এর মান পরিমাপ করতে হবে তার দুই প্রান্তে মাল্টি মিটারেরকর্ড দুটি স্থাপন করালে বা ধরলে যে পাঠ পাওয়া যাবে তাই হবে রেজিস্টর এর মান।
কালার কোড এর সাহায্যে মান নির্ণয়
ছোট আকারের রেজিস্টর এর মান প্রকাশ করার জন্য এদের গায়ে বিভিন্ন রং এর কতগুলো চিহ্ন বা রিং আকারের দাগ প্রদান করা হয়। এই চিহ্ন বা রিং দাগ গুলোকে কালার কোড বলে। ছোট ছোট রেজিস্টর এর গায়ে এদের মান লেখা সম্ভব নয় বলে কালার কোড পদ্ধতিতে এদের মান প্রকাশ করা হয় ।(বড় আকারের রেজিস্টর এর গায়ে মান লেখা থাকে)
রেজিস্টর কালার চার্ট
১ম ও ২য় কালার ব্যান্ড-মান-৩য় কালার ব্যান্ড-গুনক-৪র্থ কালার ব্যান্ড (টলারেন্স)-মান (মাইনাস, প্লাস)
কালো (Black)-0-কালো (Black)-1
বাদামী (Brown)-1-বাদামী (Brown)-10-বাদামী (Brown)--+1%
লাল (Red)-2-লাল (Red)-100-লাল (Red)--+2%
কমলা (Orange)-3-কমলা (Orange)-1000--
হলুদ (Yellow)-4-হলুদ (Yellow)-10000--
সবুজ (Green)-5-সবুজ (Green)-100000-সবুজ (Green)--+0.5%
নীল (Blue)-6-নীল (Blue)-1000000-নীল (Blue)--+0.25%
বেগুনী (Violet)-7-সোনালী (Golden)-0.1-বেগুনী (Violet)--+0.1%
ধূসর (Gray)-8-রুপালী (Silver)-0.01-ধূসর (Gray)--+0.05%
সাদা (White)-9----
সোনালী (Golden)--1---সোনালী (Golden)--+5%
রুপালী (Silver)--2---রুপালী (Silver)--+10%
নো কালার (No colour)----নো কালার (No colour)--+20%
কালার কোড মনে রাখার বিশেষ পদ্ধতি
মানগুলো ক্রমিক অনুসারে মনে রাখার জন্য অনেক পদ্ধতি আছে নিচে একটি দেওয়া হলো
BB ROY Good Boy Very Good Worker
B তে – কালো (Black)
B তে – বাদামী (Brown)
ROY এর
R তে -লাল (Red)
O তে – কমলা (Orange)
Y তে – হলুদ (Yellow)
Good এর G তে -সবুজ (Green)
Boy এর B তে -নীল (Blue)
Very এর V তে -বেগুনী (Violet)
Good এর G তে -ধূসর (Gray)
Worker এর Wতে – সাদা (White)
BB ROY Good Boy Very Good Worker
বুঝবার সুবিদার্থে, উপরের বাক্যটিতে প্রতিটি প্রয়োজনীয় অক্ষরে রং দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে
মান নির্ণয় করতে হলে :
খুব সহজ উপায়-
১ম কালারের মান লিখি আর এর পাশেই ২য় কালার এর মান লিখি
৩য় কালার এর মান যত ঠিক ততটি শুণ্য (১ম ও ২য় কালারের) পাশে লিখি। যেমন ৩য় কালারের মান যদি ৪ হয় তাহলে চারটি শূন্য লিখি (“০০০০”)
**৩য় কালার যদি কালো রং হয় তবে এর জন্য কিছু লেখার দরকার নাই।
এইভাবে প্রাপ্তমান টি উক্ত রেজিস্টরের মান।
যেমন কমলা, কমলা, হলুদ হচ্ছে -> “৩ ৩ ০০০০” বা ৩৩০,০০০ ওহম (৩৩০ কিলো ওহম )
অথবা
সূত্রের মাধ্যমে-
১ম ও ২য় কালারের পাশাপাশি বসানো মানকে উপরের চার্ট এ উল্লেখ্ করা গুনক দ্বারা গুন করি।
৪র্থ কালার ব্যান্ড হচ্ছে রেজিস্টর এর টালারেন্স এটা লেখার দরকার নাই মুখে জানা থাকলেই হবে ।
এই বার যে মান পাওয়া যাবে তা হল – রেজিস্টর এর মান
অর্থাৎ রেজিস্টর টি তত ওহম ( Ω বা R ) এখন এই মান যদি এক হাজার এর ভিতরে থাকে তবে তাকে তত ওহম এর রেজিস্টর বলা হয় । যেমন ৫৬০ ওহম।
*যদি এই মান এক হাজার ওহম এর সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করতে হবে, যে মান পাওয়া যাবে তাতে ঐ রেজিস্টর কে ততো কিলো ওহম ( KΩ ) এর রেজিস্টর বলা হয় । যেমন ১০০০ ওহম কে ১ কিলো ওহম বলে।
*আবার এই মান যদি এক হাজার কিলো ওহম এর সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করতে হবে। এবং যে মান পাওয়া যাবে তাতে ঐ রেজিস্টর কে তত মেগা ওহম ( MΩ ) এর রেজিস্টর বলা হয়। যেমন ১০০০, ০০০ ওহমকে ১ মেগা ওহম হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশ, একক ও সিম্বল (Unit of resistance)
রেজিস্ট্যান্স বা রোধকে গানিতিকভাবে R দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এর একক হলো ওহম Ω
চিত্র দেখলে এর সিম্বল(Symbol) বুঝা যাবে, স্কেমেটিক ডায়াগ্রাম (Schematic Diagram) এবং সার্কিট বোর্ড এ এই ধরনের সিম্বল ব্যবহার করা হয়।
প্রকারভেদ
এটি দুই প্রকার –
ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল
ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল
*** যে রেজিস্টর তৈরি করার সময় এর মান নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয় এবং যার মান প্রয়োজন অনুসারে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায়না তাকে ফিক্সড বা অপরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে।
*** যে রেজিস্টর মান প্রয়োজন অনুসারে ইচ্ছামতো পরিবর্তন করা যায় তাকে ভেরিয়েবল বা পরিবর্তনশীল রেজিস্টর বলে। রেজিস্টর এর কাজ (Working principle of a resistor)
সার্কিটে কারেন্ট প্রবাহে বাধা দান করা বা ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানোই রেজিস্টর এর প্রধান কাজ। এখন হয়তো অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগতে পারে যে কোনো পার্টসকে কেন কম ভোল্ট/কারেন্ট প্রদানের প্রয়োজন হয়। একটা উদাহরন দেই শুধুমাত্র বেসিক ব্যাপারটুকু বুঝবার সুবিদার্থে।
জীবনের প্রয়োজনে আমরা সবাই খাদ্য গ্রহণ করি তা বলাই বাহুল্য। এই খাদ্য গ্রহণের ফলেই আমরা শক্তি পাই আমাদের বিভিন্ন কাজ করার জন্য।
ঠিক একই ভাবে ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে কাজ করতে গেলে প্রতিটি পার্টসেরই খাদ্য গ্রহণ করতে হয়। ভোল্টেজ আর কারেন্ট ই হচ্ছে সেই খাদ্য। বাস্তবে আমরা যদি বেশি খাই তাহলে স্বভাবতই অসুস্থ হয়ে পড়ি।
ঠিক তেমনি ভাবেই সার্কিট সংযুক্ত কোনো পার্টস কিংবা কম্পোনেন্টে যদি এর খাদ্য (ভোল্ট-কারেন্ট) বেশি দেয়া হয় তাহলে সেটা কাজ করতে পারেনা। ফলশ্রুতিতে সেই কম্পোনেন্ট টি নষ্ট হয়ে যায় অতি দ্রুত। এটি যাতে না ঘটে তাই এই রেজিস্টরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ভোল্ট-কারেন্ট প্রদান করা হয়।
তাত্ত্বিকভাবে বললে, ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ব্যবহৃত বিভিন্ন কম্পোনেন্টসমূহ বিভিন্ন ভোল্টেজ ও কারেন্টে কাজ করে। এজন্য কম্পোনেন্টসমূহের চাহিদা মোতাবেক নির্দিষ্ট মানের ভোল্টেজ সরবরাহ দেয়ার জন্য ঐ কম্পোনেন্টের সাপ্লাই ভোল্টেজ এর পথে রেজিস্টর সংযোগ করে অতিরিক্ত ভোল্টেজ ড্রপ ঘটানোর উদ্দেশ্যেই ইলেকট্রনিক্স সার্কটে রেজিস্টর ব্যবহার করা হয়। প্রয়োজন অনুযায়ী কারেন্ট বা এম্পিয়ার সরবরাহ করাও হল রেজিস্টর এর কাজ। মান নির্ণয় পদ্ধতি (How to find out value of a resistor)
প্রতিটা রেজিস্টর এর নিজস্ব মান থাকে, এই মান এর গায়ে উল্লেখ করা থাকে। বড় আকারের রেজিস্টর এর গায়ে মান সরাসরি লেখা থাকে। ছোট আকারের রেজিস্টর এর মান গায়ে লেখা সম্ভব হয়না বা লিখলে বোঝা কষ্টকর হবে, এজন্য কালার কোড ব্যবহার করা হয়। রেজিস্টর এর গায়ে সুস্পষ্টকালার এর রিং করে দাগ দেয়া থাকে।
মান নির্ণয়:
মান দুই ভাবে নির্ণয় করা যায় –
ওহমমিটার/ এনালগ মাল্টিমিটার/ ডিজিটাল মাল্টিমিটার এর সাহায্যে।
কালার কোড এর সাহায্যে।
ওহমমিটার বা এনালগ মাল্টিমিটার (AVO meter)

এর সাহায্যে রেজিস্টর এর মান নির্ণয় করতে হলে (এনালগ মিটার এর ক্ষেত্রে সিলেকটিং নবটিকে ওহম পজিশন এ স্থাপন করতে হবে) শুরুতেই মিটারের কর্ড (প্রোব) দুটিকে শর্ট করে, জিরো এডজাস্টমেন্ট স্ক্রুর সাহায্যে নির্দেশক কাটাকে জিরো অবস্থানে আনতে হবে। এরপর যে রেজিস্টর এর মান পরিমাপ করতে হবে তার দুইপ্রান্তে (লেগ) ওহমমিটার বা এনালগ মাল্টিমিটারের কর্ড দুটি স্থাপন করালে বা ধরলে যে পাঠ পাওয়া যাবে তাই হবে রেজিস্টর এর মান।
ডিজিটাল মাল্টিমিটার (digital Multimeter)
এর সাহায্যে রেজিস্টর এর মান নির্ণয় করতে হলে সিলেকটিং নবটিকে ওহম পজিশন এ স্থাপনকরতে হবে। এরপর যে রেজিস্টর এর মান পরিমাপ করতে হবে তার দুই প্রান্তে মাল্টি মিটারেরকর্ড দুটি স্থাপন করালে বা ধরলে যে পাঠ পাওয়া যাবে তাই হবে রেজিস্টর এর মান।
কালার কোড এর সাহায্যে মান নির্ণয়
ছোট আকারের রেজিস্টর এর মান প্রকাশ করার জন্য এদের গায়ে বিভিন্ন রং এর কতগুলো চিহ্ন বা রিং আকারের দাগ প্রদান করা হয়। এই চিহ্ন বা রিং দাগ গুলোকে কালার কোড বলে। ছোট ছোট রেজিস্টর এর গায়ে এদের মান লেখা সম্ভব নয় বলে কালার কোড পদ্ধতিতে এদের মান প্রকাশ করা হয় ।(বড় আকারের রেজিস্টর এর গায়ে মান লেখা থাকে)
রেজিস্টর কালার চার্ট
১ম ও ২য় কালার ব্যান্ড-মান-৩য় কালার ব্যান্ড-গুনক-৪র্থ কালার ব্যান্ড (টলারেন্স)-মান (মাইনাস, প্লাস)
কালো (Black)-0-কালো (Black)-1
বাদামী (Brown)-1-বাদামী (Brown)-10-বাদামী (Brown)--+1%
লাল (Red)-2-লাল (Red)-100-লাল (Red)--+2%
কমলা (Orange)-3-কমলা (Orange)-1000--
হলুদ (Yellow)-4-হলুদ (Yellow)-10000--
সবুজ (Green)-5-সবুজ (Green)-100000-সবুজ (Green)--+0.5%
নীল (Blue)-6-নীল (Blue)-1000000-নীল (Blue)--+0.25%
বেগুনী (Violet)-7-সোনালী (Golden)-0.1-বেগুনী (Violet)--+0.1%
ধূসর (Gray)-8-রুপালী (Silver)-0.01-ধূসর (Gray)--+0.05%
সাদা (White)-9----
সোনালী (Golden)--1---সোনালী (Golden)--+5%
রুপালী (Silver)--2---রুপালী (Silver)--+10%
নো কালার (No colour)----নো কালার (No colour)--+20%
কালার কোড মনে রাখার বিশেষ পদ্ধতি
মানগুলো ক্রমিক অনুসারে মনে রাখার জন্য অনেক পদ্ধতি আছে নিচে একটি দেওয়া হলো
BB ROY Good Boy Very Good Worker
B তে – কালো (Black)
B তে – বাদামী (Brown)
ROY এর
R তে -লাল (Red)
O তে – কমলা (Orange)
Y তে – হলুদ (Yellow)
Good এর G তে -সবুজ (Green)
Boy এর B তে -নীল (Blue)
Very এর V তে -বেগুনী (Violet)
Good এর G তে -ধূসর (Gray)
Worker এর Wতে – সাদা (White)
BB ROY Good Boy Very Good Worker
বুঝবার সুবিদার্থে, উপরের বাক্যটিতে প্রতিটি প্রয়োজনীয় অক্ষরে রং দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে
মান নির্ণয় করতে হলে :
খুব সহজ উপায়-
১ম কালারের মান লিখি আর এর পাশেই ২য় কালার এর মান লিখি
৩য় কালার এর মান যত ঠিক ততটি শুণ্য (১ম ও ২য় কালারের) পাশে লিখি। যেমন ৩য় কালারের মান যদি ৪ হয় তাহলে চারটি শূন্য লিখি (“০০০০”)
**৩য় কালার যদি কালো রং হয় তবে এর জন্য কিছু লেখার দরকার নাই।
এইভাবে প্রাপ্তমান টি উক্ত রেজিস্টরের মান।
যেমন কমলা, কমলা, হলুদ হচ্ছে -> “৩ ৩ ০০০০” বা ৩৩০,০০০ ওহম (৩৩০ কিলো ওহম )
অথবা
সূত্রের মাধ্যমে-
১ম ও ২য় কালারের পাশাপাশি বসানো মানকে উপরের চার্ট এ উল্লেখ্ করা গুনক দ্বারা গুন করি।
৪র্থ কালার ব্যান্ড হচ্ছে রেজিস্টর এর টালারেন্স এটা লেখার দরকার নাই মুখে জানা থাকলেই হবে ।
এই বার যে মান পাওয়া যাবে তা হল – রেজিস্টর এর মান
অর্থাৎ রেজিস্টর টি তত ওহম ( Ω বা R ) এখন এই মান যদি এক হাজার এর ভিতরে থাকে তবে তাকে তত ওহম এর রেজিস্টর বলা হয় । যেমন ৫৬০ ওহম।
*যদি এই মান এক হাজার ওহম এর সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করতে হবে, যে মান পাওয়া যাবে তাতে ঐ রেজিস্টর কে ততো কিলো ওহম ( KΩ ) এর রেজিস্টর বলা হয় । যেমন ১০০০ ওহম কে ১ কিলো ওহম বলে।
*আবার এই মান যদি এক হাজার কিলো ওহম এর সমান বা অতিক্রম করে তবে তাকে এক হাজার দিয়ে ভাগ করতে হবে। এবং যে মান পাওয়া যাবে তাতে ঐ রেজিস্টর কে তত মেগা ওহম ( MΩ ) এর রেজিস্টর বলা হয়। যেমন ১০০০, ০০০ ওহমকে ১ মেগা ওহম হিসেবে প্রকাশ করা হয়।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "রেজিস্টর এর কথকতা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন