সরকারি ছুটি কত প্রকার ও কি কি এবং "ছুটির বিধিমালা"
শনিবার, ২৯ জুন, ২০১৯
4 Comments
"ছুটির বিধিমালা"
____________
____________
'গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২'- এ অধ্যাদেশের অন্তর্ভুক্ত বিষয়গুলো সংক্ষেপে নিন্মরূপ:
১. এ অধ্যাদেশ গণকর্মচারী শৃঙ্খলা (নিয়মিত উপস্থিতি) অধ্যাদেশ, ১৯৮২ নামে অভিহিত হবে।
২. ক. কতৃর্পক্ষ বলতে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক এ অধ্যাদেশের আওতায় কতৃর্পক্ষের ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা কতৃর্পক্ষকে বুঝাবে।
খ. গণকর্মচারী বলতে প্রজাতন্ত্রের বা বিধিবদ্ধ সংস্থায় কর্মরত কর্মচারীদেরকে বুঝাবে।
৩. গণকর্মচারী সংক্রান্ত অন্য কোন আইন, বিধিমালা বা রেগুলেশন অথবা গণ কর্মচারীর চাকরির শর্তাবলীতে যা কিছুই বর্ণিত থাকুক না কেন এ অধ্যাদেশ কাযর্কর হবে।
৪. বিনা অনুমতিতে কাজে অনুপস্থিতির দণ্ড: কোন গণকর্মচারী তার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যাতিরেকে ছুটিতে গেলে বা কর্মে অনুপস্থিত থাকলে, কর্তৃপক্ষ প্রতিদিনের অনুপস্থিতির জন্য উক্ত কর্মচারীর একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
৫. বিনা অনুমতিতে অফিস ত্যাগের দণ্ড: কোন গণকমর্চারী অফিস চলাকালীন সময়ে তার উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে অফিস ত্যাগ করলে, কর্তৃপক্ষ এ রূপ প্রতি ক্ষেত্রে একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
* অবকাশ বিভাগের কর্মচারীদের ছুটি:
অবকাশ বিভাগে স্থায়ীভাবে কর্মরত কোন সরকারি কর্মচারী কর্তব্য সম্পাদন বিষয়ে যে বৎসর অবকাশ ভোগ করবেন, সে বৎসর পূর্ণ গড় বেতনে কোন ছুটি পাবেন না। এরূপ সরকারি কর্মচারী যদি কোন বৎসর সমগ্র অবকাশ ভোগ করতে না পারেন তবে তিনি সুপিরিয়র সার্ভিসের কর্মচারী হলে সমগ্র অবকাশের যতভাগ ভোগ করতে পারেন নি, ত্রিশ দিনের ততভাগ এবং চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হলে ১৫ দিনের ততভাগ এ অনুপাতে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি পাবেন। এরূপ সরকারি কর্মচারী কোন বৎসর যদি অবকাশ ভোগ না করেন, তা হলে অবকাশ নেই এমন বিভাগের মত ঐ বৎসরের জন্য তাকে পূর্ণগড় বেতনে ছুটি প্রদান করা হবে। এরূপ সরকারি কর্মচারীগণ অন্যান্য সরকারি কর্মচারীর মত অর্ধ গড় বেতনে ছুটি অর্জন ও ভোগ করতে পারবেন।
* অসাধারণ ছুটি:
অসাধারণ ছুটি সংক্রান্ত নিয়মাবলি বাংলাদেশ চাকরি বিধির ১৭৪-এর উপ-বিধি (১), (২) ও (৩)-এ বর্ণিত হয়েছ। অসাধারণ ছুটির নিয়মাবলি: নিন্মোক্ত বিশেষ অবস্থায় একজন সরকারি কর্মচারীকে অসাধারণ ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে। তবে কোন সরকারি কর্মচারী অসাধারণ ছুটিকালীন সময়ের জন্য কোন ছুটিকালীন বেতন প্রাপ্য হন না এবং এ ছুটি তার পেনশন ও পদোন্নতির জন্য গণনাযোগ্য নয়। বিধি মেতাবেক যখন অন্য কোন ধরণের ছুটি পাওনা না থাকেন, অথবা অন্য কোন প্রকার ছুটি পাওনা থাকা সত্বেও সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারী যদি লিখিতভাবে অসাধারণ ছুটির জন্য আবেদন করেন।
* নৈমিত্তিক ছুটির নিয়মাবলী:
নৈমিত্তিক ছুটি চাকরি বিধিমালা স্বীকৃত ছুটি নয় এবং নৈমিত্তিক ছুটিজনিত অনুপস্থিতিকে কাজে অনুপস্থিতি হিসেবে গণ্য করা হয় না। পঞ্জিকাবর্ষে সকল সরকারি কর্মচারী বৎসরে সর্বমোট ২০ দিন নৈমিত্তিক ছুটি ভোগ করতে পারবেন। কোন সরকারি কর্মচারীকে এক সঙ্গে ১০ দিনের বেশি নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে না। তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় কর্মরত সকল সরকারি কর্মচারীকে এক বৎসরের মঞ্জুরযোগ্য ২০ দিনের মধ্যে ১৫ দিন নৈমিত্তিক ছুটি একই সাথে ভোগ করতে দেয়া যেতে পারে। কোন কর্মকর্তা আবেদন জানালে সর্বোচ্চ ৩ দিনের নৈমিত্তিক ছুটি একবার বা একাধিকবার অন্য কোন সরকারি ছুটির পূর্বে অথবা পরে সংযুক্ত করার অনুমতি প্রদান করা যেতে পারে। যে ক্ষেত্রে এ ধরণের আবেদন করা হবে না বা অনুমতি দেয়া হবে না, সে সকল ক্ষেত্রে শুক্রবার বা সরকারি ছুটির দিনগুলোও নৈমিত্তিক ছুটি হিসেবে গণ্য করা হবে।
নৈমিত্তিক ছুটির উভয় দিকে সরকারি ছুটি সংযুক্ত করা যাবে না। কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে নৈমিত্তিক ছুটি ভোগকারী কোন ব্যক্তি সদর দপ্তর ত্যাগ করতে পারবেন না। সরকারি কাজে অথবা প্রশিক্ষণার্থী বাংলাদেশের বাহিরে অবস্থানরত কর্মকর্তাদিগকে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান সরকার নিরুৎসাহিত করেন। তবে কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে অত্র বিজ্ঞপ্তিতে বর্ণিত শর্ত সাপেক্ষে নৈমিত্তিক ছুটি প্রদান করা যাবে।
* মাতৃত্ব ছুটি:
একজন নারী সরকারি কর্মচারী সমগ্র চাকরিকালীন সময়ে প্রসূতি ছুটি ২ বারের বেশি প্রাপ্য হবেন না।- এ বিধির অধীনে মঞ্জুরিকৃত প্রসূতি ছুটি নারী কর্মচারীর 'ছুটির হিসাব' হতে বিয়োগ হবে না এবং ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে উত্তোলিত বেতনের হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হবেন।- ২০১১ সালে এ ছুটিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে এ ছুটির মেয়াদ ছিল ৩ মাস। আর বর্তমানে ৬ মাস। উক্ত ছুটি আরম্ভের তারিখ সন্তান প্রসবের উদ্দেশ্যে আতুর ঘরে আবদ্ধ হওয়ার তারিখের পরবর্তী কোন তারিখ হতে পারবে না। অর্থাৎ ছুটি আরম্ভের সর্বশেষ তারিখ হবে আতুর ঘরে প্রবেশের তারিখ।
উল্লেখ্য গভর্বতী হওয়ার স্বপক্ষে ডাক্তারি সার্টফিকেটসহ আবেদন করা হলে প্রসূতি ছুটির আবেদন না মঞ্জুর করার কিংবা ৬(ছয়) মাসের চেয়ে কম সময়ের জন্য ছুটি মঞ্জুর করার কিংবা ছুটি আরম্ভের তারিখ পরিবর্তন করার ক্ষমতা ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষের নেই।
ক. গেজেটেড কর্মকতার্দের ক্ষেত্রে সরকার অথবা সরকার কতৃক ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতাপ্রাপ্ত। অর্থাৎ উভয় ক্ষেত্রেই অর্জিত ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ প্রসূতি ছুটি মঞ্জুরির জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত।
খ. সমগ্র চাকরি জীবনে প্রসূতি ছুটি দুবারের অধিক প্রাপ্য হবে না।
গ. প্রসূতি ছুটি 'ছুটি হিসাব' হতে বিয়োগ হবে না। অর্থাৎ প্রসূতি ছুটির জন্য ছুটি অর্জন করতে হবে না এবং পাওনা ছুটি হতে প্রসূতি ছুটির কাল বাদ যাবে না।
ঘ. ছুটিকালীন সময়ে ছুটিতে যাওয়ার প্রাক্কালে প্রাপ্য হারে পূর্ণ বেতন প্রাপ্য হবে।
ঙ. ডাক্তারি সার্টফিকেটের সুপারিশের ভিত্তিতে গড় বেতনে অর্জিত ছুটিসহ যে কোন প্রকার ছুটির আবেদন করলে প্রসূতি ছুটির ধার ধারাবাহিকতাক্রমে উক্ত প্রকার ছুটি প্রদান করা যাবে।
৬. বিলম্বে উপস্থিতির জন্য দণ্ড: কোন গণকর্মচারী অফিসে বিলম্বে হাজির হলে, কর্তৃপক্ষ প্রতি দুদিন বিলম্বে উপস্থিতির জন্য একদিনের মূল বেতন কর্তন করবেন।
৭. অপরাধের পুনরাবৃত্তির দণ্ড: কোন গণকর্মচারী ত্রিশ দিনের ভেতর ৪ বা ৫ বা ৬ ধারায় বর্ণিত অপরাধ একাধিকবার করলে, কতৃর্পক্ষ আরো অতিরিক্ত সাত দিনের মূল বেতন কর্তন করতে পারবেন।
৮. আবেদন পেশ: ৪ বা ৫ বা ৬ বা ৭ ধারার অধীনে কোন কর্মচারীর বেতন কর্তনের আদেশ প্রদান করা হলে, আট চল্লিশ ঘন্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট গণকর্মচারী কর্তৃপক্ষের নিকট আদেশ পুন:বিবেচনার জন্য আবেদন পেশ করতে পারবেন এবং তদপ্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ যেরূপ যথাযথ বলে বিবেচনা করবেন, সেরূপ শুনানি গ্রহণান্তে আদেশ সংশোধন, বাতিল বা বহাল রাখতে পারবেন।
৯. এ অধ্যাদেশে অধীন কোন বিষয়ে পাবলিক সার্ভস কমিশনের সহিত পরার্শর দরকার হবে না।
১০. আদালতের এখতিয়ার খর্ব: এ অধ্যাদেশের অধীন গৃহীত কোন কার্যক্রম বা আদেশ সম্পর্কে কোন আদালতে প্রশ্ন উথ্থাপন করা যাবে না।
ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯
..........................................................
ক. অর্জিত ছুটি:
কর্মকালীন সময়ে যে ছুটি অর্জিত হয় তাই অর্জিত ছুটি। অর্জিত ছুটি দুই প্রকার; যেমন- গড় বেতনে অর্জিত ছুটি এবং অর্ধ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা-১৯৫৯ অনুযায়ী স্থায়ী সরকারি কর্মচারীদের জন্য অর্জিত ছুটি নিম্নরূপ;
গড় বেতনে ও অর্ধ বেতনে ছুটি:
* (১) গড় বেতনে ছুটি;
ক. একজন স্থায়ী কর্মচারীর প্রতি ১১ দিন কর্মকালীন সময়ের জন্য ১ দিন করে পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি অর্জিত হবে এবং সর্বোচ্চ ৪ মাস পর্যন্ত এ ছুটি জমা হবে। এ চার মাসের অতিরিক্ত সময়ের অর্জিত ছুটি তার হিসাবে আলাদাভাবে জমা হবে।
খ. একজন স্থায়ী কর্মচারীকে এক সাথে সর্বোচ্চ চার মাসের বেশি পূর্ণ গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যাবে না। তবে মেডিকেল প্রত্যায়নপত্র সাপেক্ষে বা ধর্মীয় পুণ্যস্থানসমূহ দর্শনের উদ্দেশ্যে শিক্ষা বা চিত্তবিনোদনের নিমিত্তে ভারত, বার্মা ও শ্রীলঙ্কার বাইরে চার মাসের অতিরিক্ত হিসেবে এ ছুটির সীমা ছয় মাস পর্যন্ত গড় বেতনে ছুটি মঞ্জুর করা যেতে পারে।
* (২) অর্ধ গড় বেতনে ছুটি:
ক. একজন স্থায়ী কর্মকর্তার কর্মকালীন সময়ের প্রতি ১২ দিনের জন্য ১ দিন করে অর্ধগড় বেতনে ছুটি অর্জিত হবে এবং এ ছুটি সীমাহীনভাবে জমা হতে থাকবে।
খ. সর্বোচ্চ ১২ মাস পর্যন্ত অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাবে। তবে মেডিকেল প্রত্যয়নপত্র ছাড়া অর্ধ গড় বেতনের ছুটিতে পূর্ণগড় বেতনের ছুটিতে রূপান্তরিত করা যাবে না। এ রূপান্তরের হার হবে প্রতি দুদিনের অর্ধগড় বেতনের ছুটির জন্য একদিনের পূর্ণগড় বেতনের ছুটি।
* ছুটিকালীন বেতন:
ছুটিকালীন বেতন গণনার বিধানাবলী নিন্মরূপ: - যে মাসে ছুটি গ্রহণ করা হয়েছে তা পূর্ববর্তী পূর্ণ ১২ মাসের গড় বেতনের ভিত্তিতে গড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন গণনা করা হবে অথবা ছুটিতে যাওয়ার পূর্ববর্তী মাসে সরকারি কর্মচারী যে বেতন উত্তোলন করেছেন তার ভিত্তিতে ছুটির বেতন গণনা করা হবে।
উপরোক্ত দুটি পদ্ধতির মধ্যে যা সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর জন্য অধিকতর অনুকূল হবে তার ভিত্তিতে ছুটিকালীন বেতন গণনা করা যেতে পারে।- অর্ধগড় বেতনে ছুটিকালীন সময়ের ছুটির বেতন উপ-বিধি (১)-এর আওতায় গণানাকৃত অর্ধগড় বেতনের সমান হবে।- একজন সরকারি কর্মচারী যে দেশেই ছুটি কাটান না কেন, তিনি তার ছুটিকালীন সময়ের বেতন বাংলাদেশি মুদ্রায় বাংলাদেশেই উত্তোলন করবেন।
* এক সাথে প্রদানযোগ্যে সবোর্চ্চ ছুটি:
এক সাথে সর্বোচ্চ এক বৎসর পর্যন্ত ছুটি নেওয়া যাবে, তবে মেডিকেল প্রত্যায়নপত্র সাপেক্ষে এ ছুটির পরিমাণ দু'বৎসর পর্যন্ত বর্ধিত করা যেতে পারে।
* শ্রান্তি বিনোদন ছুটি:
বাংলাদেশ চাকুরি (বিনোদন ভাতা) বিধি, ১৯৭৯ অনুযায়ী একজন সরকারি কর্মচারী নিন্মোক্ত শর্ত সাপেক্ষে প্রতি ৩ বৎসর অন্তর শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ভোগ করতে পারবেন।- চাকরিকাল ধারাবাহিকক্রমে তিন বৎসর পূর্ণ হতে হবে।- গড় বেতনে কমপক্ষে ১৫ দিন ছুটি পাওনা থাকতে হবে। প্রতি ৩ বৎসর অন্তর ১৫ দিন এ প্রকার ছুটি মঞ্জুর করা যাবে। এ প্রকার ছুটিকালীন সময়ে বেতন ছাড়াও এক মসের মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ প্রাপ্ত হবেন।
ছুটি বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দশনা বা চিঠিপত্র:
উপরোক্ত সরকারি অধ্যাদেশ ও বিধি-বিধানের আলোকে বিভিন্ন সময়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হতে বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জন্য প্রযোজ্য কিছু ছুটি বিধি-বিধানের পরিপত্র এবং নির্দশেনা দেয়া হয়েছে, যেগুলো সরকারি কর্মচারী বিধি-বিধানের সাথে মেনে চলা আবশ্যক।
১. ২৬/০৭/১৯৯৯ খ্রি. তারিখে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তৎকালীন মহাপরিচালক প্রফেসর সালেহ মতিন স্বাক্ষরিত এক পত্রে বলা হয় যে, নির্ধারিত সময়ের পূর্বে স্কুল ছুটি দেয়া একটি গর্হিত অপরাধ। এ ধরণের অপরাধের জন্য সরাসরি বিভাগীয় মামলা রুজু করার নিদের্শ দেয়া হয়েছে।
২. প্রাথমিক শিক্ষা অধিপ্তরের আরেক মহাপরিচালক আব্দুর রশীদ বিগত ১১/১১/২০০১ তারিখের এক পত্রে বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকা কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি বিভাগীয় মামলা রুজু করার জন্য বলেছেন।
৩. ২১/০৪/২১৯৯৮ খ্রি. তারিখে তৎকালীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আজিজ আহমদ চৌধুরী এক পত্রে বলেন যে, কোন বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে একসাথে ২ জনকে নৈমিত্তিক ছুটি দেয়া যাবে না।
৪. অতি সম্প্রতি সাবেক মহাপরিচালক শ্যামল কান্তি ঘোষ কতৃক স্বাক্ষরিত এক নিদের্শনাপত্রে শিক্ষকদেরকে পূর্বানুমতি গ্রহণ করে নৈমিত্তিক ছুটি নিতে এবং কর্মস্থল ত্যাগের আগে অনুমতি গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া, প্রত্যেক শিক্ষককে মুভমেন্ট রেজিস্টার ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
সরকারি কর্মচারীগণ বিভিন্ন প্রকার ছুটি ভোগ করে থাকে।
সাধারণত সরকার তাদের ১৮ রকমের ছুটির ব্যবস্থা করেছে। এজন্যই যে কোন বিপদ আপদে তারা ছুটি নিতে পারে। ছুটি সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
১. অর্জিত ছুটি (Earned Leave)
২. অসাধারণ ছুটি (Extraordinary leave)
৩. অধ্যায়ন ছুটি (Study leave)
৪. সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
৫. প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave)
৬. প্রাপ্যতা বিহীন (Leave not due)
৭. অবসর উত্তর ছুটি (Post Retirement Leave)
৮. নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave)
৯. সাধারণ ও সরকারি ছুটি (Public and Government Holiday)
(ক) সাধারণ ছুটি (Public Holiday)
(খ) নির্বাহী আদেশের সরকারি ছুটি (Government Holiday)
(গ) ঐচ্ছিক ছুটি (Optional Leave)
১০. শ্রান্তি বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave)
১১. অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি (Speciala Disability Leave)
১২. বিশেষ অসুস্থতাজনিত ছুটি (SPecial Sick Leave)
১৩. অবকাশ বিভাগের ছুটি (Leave of Vacation Department)
১৪. বিভাগীয় ছুটি (Departmental Leave)
১৫. চিকিৎসালয় ছুটি (Hospital Leave)
১৬. বাধ্যতামূলক ছুটি (Compulsory Leave)
১৭. বিনাবেতনে ছুটি (Leave without pay)
১৮. বহি: বাংলাদেশ ছুটি
১. অর্জিত ছুটি (Earned Leave)
কর্মকালীন সময়ের দ্বারা যে ছুটি অর্জিত হয়, তাহাই অর্জিত ছুটি BSR part-1 rule 145
প্রকার: (ক) গড় বেতনে (খ) অর্ধগড় বেতনে
(ক) গড় বেতনে- ১৯৫৯ এর বিধি ৩ (১)
ছুটি অর্জন কর্মকালের ১১ ভাগের ১ ভাগ
(খ) অর্ধগড় বেতনে-১৯৫৯ এর বিধি ৩ (১)
BSR Part-1 এর ৫(৩২) বিধিমতে ছুটি অর্জনের হার কর্মকালের ১২ ভাগের ১ ভাগ
২. অসাধারণ ছুটি (Extraordinary leave)
১৯৫৯ এর বিধি ৯(৩) এই প্রকার ছুটি-ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হয় না। অন্য ছুটির সাথে মিলিয়ে নেয়া যাবে।
স্থায়ী কর্মচারী এই ছুটি ৩ মাসের অধিক পাবে না।
যক্ষ্মা রোগে-
বেতন প্রাপ্য নয়।
যখন বিধিমতে অন্য কোন ছুটি প্রাপ্য নয়/কর্তৃপক্ষ/নিজে
ছুটি অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ অনুপস্থিতিকালকে অসাধারণ ছুটিতে রূপান্তর
৩. অধ্যায়ন ছুটি (Study leave)
BSR Part-1 এর বিধি 194, FR-84
অর্ধগড় বেতনে
এই প্রকার ছুটি ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হয় না।
২ বছর সর্বোচ্চ অন্য ছুটিসহ ৪ মাস বৃদ্ধি
সনদ জমা দিতে হবে
পেনশনকাল তবে অর্জিত ছুটি পারে না
সরকার মঞ্জুর করবে
চাকরির মেয়াদ ৫ বৎসর পূর্ন হতে হবে
চাকরি ২৫ বৎসর হলে পাবে না
সর্বোচ্চ ২ বৎসর
অনুপস্থিতি সর্বোচ্চ ৫ বছর, BSR-34.
৪. সংগনিরোধ ছুটি (Quarantine Leave)
BSR Part-1 এর বিধি 196
অফিস প্রধান-অফিস আদেশ জারির মাধ্যমে
পরিবার বা তার বাড়ির কোন বাসিন্দার সংক্রামন রোগের কারণে ২১ দিন হতে ৩০ দিন অফিস
গুটি বসন্ত, কলেরা, প্লেক, টাইফয়েড
এই ছুটি ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হয় না (কর্মকাল হিসাবে বিবেচিত)
স্বাভাবিক বেতন ভাতা
৫. প্রসূতি ছুটি (Maternity Leave)
BSR 197, FR 101, SR (FR), 267, 268
এই ছুটি ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হইবে না।
পূর্ন বেতন পাইবেন।
সমগ্র চাকরি জীবনে ২ বার
ছুটি অর্জন করতে হবে না
অন্য ছুটির সাথে ধারাবাহিকভাবে নেয়া যাবে
অস্থায়ী কর্মচারীও এই ছুটি প্রাপ্য
প্রসবের দিনের পরে এই ছুটি আরম্ব হবে না।
৬. প্রাপ্যতা বিহীন (Leave not due)
১৯৫৯ এর বিধি-৫
অর্ধগড় বেতনের ছুটি দ্বারা সমন্বয়
ছুটি ভোগকালে অর্ধগড় বেতন
স্থায়ী কর্মে নিযুক্ত
ছুটি পাওনা না থাকলে
ভবিষ্যতে সমন্বয়ের শর্তে
সমন্বয় না হলে অন্য ছুটি পাবে না
Mc ছাড়া-৩ মাস (অর্ধগড়)
Medical Certificate হলে ১২ মাস সর্বোচ্চ (অর্ধগড়)
৭. অবসর উত্তর ছুটি (Post Retirement Leave)
Public servant retirement Act, 1974
এর ৪ ও ৭ ধারার সামজস্যতা আনয়নের জন্য জীবনের শেষ কর্মদিন অকর্ম দিবস (non working day) উক্ত দিন হতে পিআরএল কার্যকর হবে ১ বছর পর্যন্ত। পিআরএল ভোগ করার পরও ছুটি থাকলে সর্বোচ্চ ১৮ মাসের মূল বেতনের সমান আর্থিক সুবিধা প্রাপ্য হবে। যদি কেহ পিআরএল ভোগ না করেন তবুও তিনি ১২ মাসের সমান মূল বেতনের পাওনা প্রাপ্য হবেন।
৮. নৈমিত্তিক ছুটি (Casual Leave)
BSR Part-1 এর বিধি 195, Note-2
CL 10 days, Hill tract একসাথে ২০ দিন
CL এর সময় সদর দপ্তর ত্যাগ করা যাইবে না
CL এর সময় বিদেশ গমন করা যাইবে না
CL can not Extended
CL কার্যক্রম হিসেবে গন্য
After Cl যোগদানপত্র লাগেনা।
৯. সাধারণ ও সরকারি ছুটি (Public and Government Holiday)
নেগোশিয়েশন Instrument Act 1881 এর ধারা ২৫
সাধারণ: সরকার গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ঘোষণা করে পঞ্জিকাতে লার কালি চিহ্নিত।
নির্বাহী আদেশ: পৃথক আদেশে লাল কালি, সরকার আদেশ দ্বারা হ্রাসবৃদ্ধি।
ঐচ্ছিক: সাধারণ ও নির্বাহীর সাথে যোগ করে ভোগ করা যাবে।
১০. শ্রান্তি বিনোদন ছুটি (Rest and Recreation Leave)
৩ বছরে ১৫ দিন ছুটি ১ মাসের সমান মূল বেতন
যে মাসে ছুটিতে যাবেন, ঐ মাসের মূল বেতনের সমান ভাতা প্রাপ্য
ছুটি মঞ্জুর ব্যতিরেকে ভাতা দেয়া হবে না।
PRL ভোগরত অবস্থায় এ ছুটি প্রাপ্য হবে না।
১১. অক্ষমতাজনিত বিশেষ ছুটি (Special Disability Leave)
BSR Part-1 এর বিধি 192, 193 FR 83
পদের দায়িত্ব পালনকালে (Official Position) আহত হয়ে অক্ষম হলে দায়িত্ব সুচারুরূপে পালনকালে আঘাত পেলে
ঘটনার ৩ মাসের মধ্যে বা কর্তৃপক্ষ সন্তুষ্ট হলে পরেও
Medical Board যতদিন advice করবে ততদিন অন্য ছুটির সাথে যোগ করা যেতে পারে।
এই প্রকার ছুটি ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হবে না।
প্রথস ৪ মাস গড়বেতনে অথবা যতদিন গড়বেতনে ছুটি প্রাপ্য ততদিন।
সর্বোচ্চ ২৪ মাস। (একই অক্ষমতার জন্য)
পেনশনের জন্য কর্মকাল হিসেবে বিবেচিত হবে।
১২. চিকিৎসালয় ছুটি (Hospital Leave)
BSR 198,701 FR এর SR 269-273
যে সমস্ত সরকারি কর্মচারীর কর্তব্য পালনকালে দুর্ঘটনায় আহম বা অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি থাকে তাহারা এই প্রকার ছুটি প্রাপ্য
সাধারণত পুলিশ বিভাগ, বন বিভাগ, আবগারী বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পাগলা পারদ, ল্যাবরেটরী এর অধস্তন কর্মচারী
প্রতি ৩বছরে পূর্নগড় বেতনে ৩মাস
সর্বোচ্চ ২৮ মাস
গড় বেতনে বা অর্ধগড় বেতনে ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হয় না।
ছুটি অর্জন করিতে হয় না।
১৩. বিশেষ অসুস্থতাজনিত ছুটি (Special Sick Leave)
BSR 202
ছুটি অর্জন করিতে হয় না।
ছুটি হিসাব হতে বিয়োগ হয় না
সরকারি নৌযানে কর্মরত কোন অফিসার Medical Cerficate অনুযায়ী ৩ মাস গড় বেতনে
পূর্নগড় বেতনে ৬ সপ্তাহ প্রাপ্য
১৪. অবকাশ বিভাগের ছুটি (Leave of Vacation Department)
ছুটি বিধিমালা ১৯৫৯ এর বিধি-৮ যে বিভাগ বা যে বিভাগের অংশ বিশেষের কর্মচারীগণের নিয়মিতভাবে অবকাশ অনুমোদিত এবং অবকাশকালে কর্মচারীগণ কর্ম হইতে অনুপস্থিত থাকার অনুমতি প্রাপ্ত ঐ বিভাগই অবকাশ বিভাগ।
১৫. বিভাগীয় ছুটি (Departmental Leave)
BSR 203 FR এর SR 276-283
জরিপ বিভাগ
যাদের চাকরি সাময়িকভাবে প্রয়োজন
কোন বিশেষ কর্মকাল ব্যতিত বাকী অবকাশকালে এই প্রকার ছুটি প্রদান করা হয়।
ছুটি কর্মকাল হিসাবে গণ্য হয় না।
১৬. বাধ্যতামূলক ছুটি (Compulsory Leave)
এই নামে কোন ছুটি নাই
তবে ১৯৮৫ এর ৫()(এ) নাশকতা……..
১১(১) অসদাচরণ, ডিজারশন, দুর্নীতি ইত্যাদি কারণে ছুটিতে যেতে বলতে পারে।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রাপ্যতা অনুযায়ী।
১৭. বিনাবেতনে ছুটি (Leave without pay)
BSR rule 303
ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও অনুপস্থিত থাকিলে
এবং উক্ত অনুপস্থিতকাল পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ছুটি বার্ধিত করা না হইলে বিনা বেতনে অর্ধগড়বেতনে ছুটি হইলেও তাহার ছুটি ছুটির হিসাব হতে বাদ যাইবে।
অসাধারণ ছুটির মতই।
১৮. বহি: বাংলাদেশ ছুটি
অর্জিত ছুটি দেশের বাইরে কাটানো
বিদেশে যাওয়ার পূর্বেই অনুমোদন লাগবে।
যোগদানের তারিখ লাগবে
বিদেশে অবস্থানকালে CL নেয়া যায় না।
বিবিধ
গড় বেতনে ছুটি ভোগকালে প্রাপ্য না –TA, যাতায়াত, আপ্যায়ন, অর্ডারলি
গড় বেতনে ছুটি ভোগকালে প্রাপ্য বেতন, বাড়িভাড়া, ফোন, চিকিৎসা (১ম মাস) পত্রিকা।
গড় বেতনে এবং অর্ধগড় বেতনে প্রাপ্য সুবিধা (একই রকম)
শিক্ষানবিস কর্মচারী স্থায়ী কর্মচারীর অনুরুপ- FR 9(6)
PRL কালে প্রাপ্য -১ বৎসর গড় বেতনে ছুটিকালীন বেতন, বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা
PRL কালে প্রাপ্য নয় যাতায়াত, অর্ডারলি, আপ্যায়ন
ছুটি অধিকার হিসাবে দাবী করা যায় না FR 67, BSR-151
ছুটিতে গিয়ে অন্য চাকরি গ্রহণ করতে পারে না FR 69
ছুটির মেয়াদ শষ হলেও কর্মে যোগদান না করা অসাদাচরন BSR-158(2)
চাকরিচ্যুতি বা অপসারণের পর যদি আপীল বা রিভিশনের মাধ্যমে পুনর্বহাল হন তাহলে পূর্ব চাকরিকালকে ছুটি হিসাবে গননা করা হইবে। FR 65 (b), BSR-147 (2)
তবে পদত্যাগের পর পুন: নিয়োগ প্রাপ্ত হলে পূর্ব চাকরি বাজেয়াপ্ত হবে FR 65
সাময়িক বরখাস্তকালে এবং জেলে আটক থাকাকালে কোন প্রকার ছুটি প্রদান করা যাবে না BSR-74
বাধ্যতামূলক অবসর গ্রহণের তারিখে সমস্ত পাওনা ছুটি তামাদি হয়ে যাবে (FR 86)
অসাধারণ ছুটিকাল ব্যতিত অন্যান্য ছুটিকাল পেনশনযোগ্য চাকরি হিসেবে গন্য (BSR-292)
অসাদাচারণ অথবা সাধারণ অক্ষমজনিত কারণে তাৎক্ষণিকভাবে চাকরিচ্যুতির/অপসারিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোন কর্মচারিকে ছুটি প্রদান করা যাবে না FR এর SR-234
ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ আবেদনকৃত ছুটির প্রকৃতি পরিবর্তন করতে পারবেন না(FR 67)
কর্মে বিনিময়েই কেবল ছুটি অর্জিত হয়। লিভ সেলারি কন্ট্রিবিউশন জমা প্রদান করলে ফরেন সার্ভিসকাল ছুটির জন্য কর্মকাল হিসাবে গণনা করা হবে। FR 60, BSR-145
ছুটি অধিকার হিসাবে দায়ী করা যায় না, ছুটি মঞ্জুরকারী কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে যে কোন ছুটি বাতিল বা আবেদন না মঞ্জুর করতে পারে।
কর্তৃপক্ষ ছুটির প্রকৃতি পরিবর্তন করবে না।
ছুটিতে গিয়ে অন্য চাকরি করা যাবে না। শুধু PRL এর ক্ষেত্রে করা যাবে। FR 69
বিশেষ অক্ষমতাজনিত ছুটি মঞ্জুরের ক্ষমতা সরকারের
অসদাচরণ ইত্যাদি কারণে চাকরিচ্যুতির ক্ষেত্রে ছুটি দেওয়া যাবে না
স্বাস্থ্যগত কারণে ৭ দিনের ছুটি ভোগ করিতে চাহিলে তাহার হাসপাতালের ভর্তি হওয়া বাধ্যতামূলক করে ১৯৮৩সালের আদেশ ১৯৮৯ সালে বাতিল হয়।
অসাধারণ ছুটিকাল ছাড়া অন্যান্য ছুটিকাল পেনশন যোগ্য
স্বাস্থ্যগত কারণে ছুটি গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ফরমে মেডিক্যাল সনদ জমা দিতে হবে।
৩ মাসের অধিককালের ক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ড
কর্তৃপক্ষ চাহিলে ২য় বার মেডিক্যাল বোর্ড এর মতামত নিতে পারেন।
ছুটি মঞ্জুরের তারিখের ৩৫ দিনের মধ্যে ছুটি আরম্ভ হইবে।
nice post. you are invited to https://bdservicerules.info/
উত্তরমুছুনযদি চাকরির ৬ মাসের মধ্যেই কেউ অসুস্থ্য হয়ে ছুটি নেয়, তবে তার ছুটি মওকুফের বিধানাবলী বলবেন?
উত্তরমুছুনপেনশনের সময় পিআরএল এ কোনো প্রবলেম হবে কি না?
৩০ মার্চ ২০২১ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ছুটি ঘোষণা করে। এ সময় যদি কোন শিক্ষক স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে C.L হিসেবে গণ্য হবে কি-না?
উত্তরমুছুনএ নীতিমালা কি মাদ্রাসার শিক্ষক কর্মচারীদের জন্য প্র=যোজ্য ??
উত্তরমুছুন