আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

আহসান মঞ্জিল

আহসান মঞ্জিল

পুরান ঢাকার ইসলামপুরে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে গোলাপী প্রাসাদ যা একসময়ের বাগানবাড়ি কিন্তু বর্তমান সময়ে যা আহসান মঞ্জিল। এখানে এখন তুমুল দর্শনার্থীদের ভিড়। মুঘল আমলের কৃতি গুলো খুব কাছ থেকে দেখতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন প্রাচীন এই প্রাসাদ থেকে। প্রসাদের ঠিক দক্ষিণদিকে রয়েছে বুড়িগঙ্গা নদী। গেট দিয়ে প্রবেশ করে রাস্তার পার্শ্বে দেখবেন ফুলের বাগান। লাল-নীল-বেগুনি রঙের ফুলের সমারোহ দেখে মুগ্ধ হবেন। মঞ্জিলের সামনে বিশাল সবুজ মাঠ। মঞ্জিল থেকে বড় একটা সিড়ি নেমে এসেছে মাঝে।

প্রকৃতি ছেড়ে এবার প্রাসাদের দিকে যাওয়া যাক। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি বুড়িগঙ্গার তীর ঘেঁষে তখনকার জামালপুর পরগনার (বর্তমান ফরিদপুর-বরিশাল) জমিদার শেখ ইনায়েতউল্লাহ রংমহল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর মৃত্যুর পর জমিদারের ছেলে শেখ মতিউল্লাহ এটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করেন। ১৮৩৫ সালের দিকে বেগমবাজারে বসবাসকারী নবাব আবদুল গনির বাবা খাজা আলীমুল্লাহ এটা কিনে নিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন। ১৮৭২ সালে নবাব আবদুল গনি নতুন করে নির্মাণ করে তার ছেলে খাজা আহসানউল্লাহর নামে ভবনের নামকরণ করেন আহসান মঞ্জিল।

এটি একটি দোতলা ভবন। বারান্দা ও মেঝে মার্বেল পাথরে তৈরি। প্রতিটি কক্ষের আকৃতি অষ্টকোণ। প্রাসাদের ভেতরটা দুভাগে বিভক্ত। পূর্বদিকে বড় খাবার ঘর। উত্তরদিকে লাইব্রেরি। পশ্চিমে জলসাঘর। পুরো ভবনের ছাদ কাঠের তৈরি। নিচতলায় খেলার ঘরে রয়েছে বিলিয়ার্ড খেলার জন্য আলাদা জায়গা। দরবার হলটি সাদা, সবুজ ও হলুদ পাথরের তৈরি। দোতলায় বৈঠকখানা, গ্রন্থাগার আর তিনটি মেহমান কক্ষ। পশ্চিম দিকে আছে নাচঘর আর কয়েকটি আবাসিক কক্ষ।

আহসান মঞ্জিল ঢাকার প্রথম ইট-পাথরের তৈরি স্থাপত্য। যেখানে প্রথম বৈদ্যুতিক বাতির ব্যবস্থা হয় নবাবদের হাতে। মঞ্জিলের স্থাপত্যশৈলী পশ্চিমাদের সবসময়ই আকৃষ্ট করত। লর্ড কার্জন ঢাকায় এলে এখানেই থাকতেন। বাংলাদেশ সরকার আহসান মনঞ্জিলকে জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করে। ১৯৯২ সালে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আহসান মঞ্জিল জাদুঘরে এখন পর্যন্ত সংগৃহীত নিদর্শন সংখ্যা ৪ হাজার ৭৭। এই রংমহলের ৩১টি কক্ষের মধ্যে ২৩টিতে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টিকেট মূল্যঃ

প্রবেশ মূল্যঃ প্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী দর্শক = ৫ টাকা জনপ্রতি, অপ্রাপ্ত বয়স্ক বাংলাদেশী শিশু দর্শক (১২ বছরের নিচে) = ২ টাকা জনপ্রতি, সার্কভুক্ত দেশীয় দর্শক = ৫ টাকা জনপ্রতি, অন্যান্য বিদেশী দর্শক = ৭৫ টাকা জনপ্রতি, এছাড়া প্রতিবন্ধী দর্শকদের জন্য কোন টিকিটের প্রয়োজন হয় না ও পূর্ব থেকে আবেদনের ভিত্তিতে ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে জাদুঘর দেখতে দেয়া হয়।

কিভাবে যাওয়া যায়?

ঢাকার যে কোনো স্থান থেকে গুলিস্তান এসে নর্থ সাউথ রোড ধরে কিছুদূর গেলেই পড়বে নয়াবাজার মোড়। এখান থেকে বাবুবাজার দিকে যেতে থাকবেন। বাবুবাজার ব্রিজের বামপাশে নিচ দিয়ে গেলে পড়বে আরেকটি মোড়। এর বামপাশে গেলেই ইসলামপুর। এখানে এসে যে কাউকে জিজ্ঞেস করলেই দেখিয়ে দেবে আহসান মঞ্জিল যাওয়ার রাস্তা।

অথবা আপনাকে প্রথমে পুরান ঢাকার সদরঘাট যেতে হবে। সেখান থেকে হেঁটে অথবা রিকশায় করে আপনি চলে যেতে পারবেন আহসান মঞ্জিল।

আহসান মঞ্জিল খোলার সময়সূচীঃ


অক্টোবর থেকে মার্চ

সাপ্তাহিক বন্ধ

বৃহস্পতিবার

শুক্রবার

বিকাল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত

শনিবার – বুধবার

সকাল ৯.০০ টা থেকে বিকেল ৪.৩০ টা পর্যন্ত

এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর

সাপ্তাহিক বন্ধ

বৃহস্পতিবার

শুক্রবার

বিকাল ৩.০০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭.০০ টা পর্যন্ত

শনিবার – বুধবার

সকাল ১০.০০ থেকে বিকাল ৫.০০ টা পর্যন্ত

ফোন: ৭৩৯১১২২, ৭৩৯৩৮৬৬

সরকারি ছুটির দিন বন্ধ থাকে

 

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "আহসান মঞ্জিল"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel