ক্যারিয়ারের ভিত্তি: গুণগত শিক্ষা
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯
Comment
Imparting the most effective education- ই হওয়া উচিত আমাদের সকলের লক্ষ্য। অথচ এ ক্ষেত্রে অনকে ধরনের প্রশ্নের সম্মুখিন হতে হয় সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীকে, বিশেষ করে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে। এদেশে বেশ কয়েক ধরনের System রয়েছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। শিক্ষা গ্রহনের জন্যে একজন মানব শিশু তার শিক্ষা শুরু করতে পারে স্কুল থেকে অথবা বিকল্প হিসেবে মাদ্রাসায় গিয়ে।
আমাদের দেশেক স্কুল কলেজে পড়াশনার ক্ষেত্রে ভিন্নতা রয়েছে নানা কারণে। এ পর্যায়ে সিলেবাসের পার্থক্য হয়ে থাকে এবং সে কারণেই দেশীয় কারিকলাম এবং বৃটিশ কারিকলামে ভিন্নতা। দেশীয় কারিকালামের ক্ষেত্রে আবার বাংলা মিডিয়াম এবং ইংরেজি মিডিয়ামের বিভেদ।
বাংলা মিডিয়ামের ক্ষেত্রে আবার সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর পার্থক্য। সাধারণভাবে বলা চলে এদেশে ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহে তত্ত্বাবধান অপেক্ষাকৃত ভাল হয়ে থাকে। প্রধানত এ কারণেই সরকারি ফ্রি প্রাইমারি স্কুলসমূহের তুলনায় বেসরকারি কিন্ডার গার্টেন সিস্টেম পরিচালিত প্রতিষ্ঠানসমূহে পড়াশুনার মান উন্নততর। এক্ষেত্রে শিক্ষাকদের মান, তাদের sincerity কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত গ্রহনের দ্রুততা, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা প্রদানে প্রয়োজনীয় উপকরণ সরবরাহে সফলতা ইত্যাদি বিষয়সমূহ (factors) জড়িত।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে শিক্ষার মান যে পর্যায়ে নেমে দিয়েছিল জাতি তা এখনও সম্পূর্ণরূপে কাটিয়ে উঠতে পারেনি। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পিছিয়ে পড়েছি আমরা ইংরেজি ভাষার ক্ষেত্রে। ভাষার দক্ষতার এই ঘাটতির কারণে ছাত্র-ছাত্রীরা নানা ভারব পিছিয়ে পড়ছে আজকাল। বর্তমান সময়ে তাই কোন কোন ক্ষেত্রে ভাষায় দক্ষতা অর্জন স্কুল কালেজের স্টান্ডার্ড নিরূপণের মাপকাঠি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। প্রধাণত এ জন্যেই অনেকে ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠানের দিকে ঝূঁকে পড়ছেন, আজকাল, এবং তা সঙ্গত কারনেই।
এদেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলসমূহে বৃটিশ কারিকুলাম এবং বাংলাদেশী কারিকুলাম উভয় পদ্ধতিরই প্রয়োগ রয়েছে। এই পদ্ধতিদ্বয়ের সুবিধা এবং অসুবিধা উভয়ই স্পষ্ট হয়ে ধরা পড়ে অনেকের কাছেই। বৃটিশ কারিকুলামে পড়াশুনা করেছে এমন শিক্ষার্থীরা এ দেশের উচ্চ শিক্ষায় ভালভাবে অংশ গ্রহণ করতে পারে না। যারা এদেশেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে চায় তাদের জন্য বাংলাদেশের কারিকুলামের ইংলিশ মিডিয়ামই সর্বাপেক্ষা ভাল। পক্ষান্তরে এদেশে HSC বা A level করে বিদেশে যেয়ে গ্রাজুয়েশন করতে আগ্রহী কোন শিক্ষার্থীর জন্য তুলনামূলকভাবে A level system এ পড়াশুনা করা অনেক বেশি সুবিধাজনক।
কোর্স কারিকুলামে ভিন্নতার কারণে বাংলাদেশে বিদ্যমান মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায়ও রয়েছে নানা প্রকার ভেদ। মাদরাসায় শিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীর জন্য সুবিধা হয় ধর্মীয় বিষয়সমূহ জানতে। কিন্তু এই সকল সুবিধার পাশাপাশি অনেকগুলো অসুবিধাও রয়েছে। যেমন:
✦✦ (ক) এদেশে মাদরাসার সিলেবাস, কারিকুলামকে বর্তমান সময়ের উপযোগী করে সাজানো হয়নি।
✦✦ (খ) এই সময়ের দাবি বাংলা, ইংরেজি, গণিত এবং বিজ্ঞানের বিষয়গুলো তাঁর কম প্রাধান্য দিয়ে পড়িয়ে থাকেন। ফলশ্রুতিতে মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে।
✦✦ (গ) এদেশের মাদরাসার শিক্ষা আবার problem oriented ও হচ্ছে না।
এই সমস্যাগুলো শুধুমাত্র আমাদের দেশের মাদরাসা শিক্ষার ক্ষেত্রে পযোজ্য- অন্য দেশগুলোতে এমন নয়। মালয়েশিয়ার শিক্ষা ব্যবস্থায় জীবনের শুরুতে কোন শিক্ষার্থীকে প্রথমেই মাদরাসায় পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্কুল, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যখন সে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে তখন সে ইউরোপ বা আমেরিকার একজন গ্রাজুয়েটর সমমানে অবস্থান করে থাকে, এমনকি modern practical বিষয়গুলোতে। এ দেশের ক্ষেত্রে এই ব্যর্থতার কারণসমূহ হচ্ছে যেমন একদিকে সিলেবাস কারিকুলামে ঘাটতি অন্যদিকে আবার পদ্ধতিগত ঘাটতি, পরীক্ষা পদ্ধতির ত্রুটি; সর্বোপরি একজন ছাত্র-ছাত্রীকে পূর্ণাঙ্গ মানুষে পরিণত করার মানসে প্রয়োজনীয় সকল উপাদান প্রদানে ব্যর্থতা। এ সকল সমস্যা উত্তরণের জন্য অনেক বুদ্ধিমান অভিভাবক তাদের সন্তানকে প্রাথমিকভাবে স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন এবং বাসায় আলাদাভাবে ধর্মীয় শিক্ষকের ব্যবস্থা করে ধর্মীয় শিক্ষার ব্যাপারে ঘটতিটুকু পূরণ করেন।
এভাবে হিসাব মেলানোর পরে সব শেষে আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গুণগত মানের প্রশ্ন। ভাল ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে ভাল প্রতিষ্ঠানের কোন বিকল্প নেই। তাই অভিভাবককে এ বিষয় সর্বাপেক্ষা বেশি নজর দিতে হয়ে সঙ্গত করনেই। বুদ্ধিমান পিতা-মাতা অনেক কিছুকে বিসর্জন দিচ্ছেন এই অর্জনটুকুকে ধরার জন্যে। পিতা-মাতাকে মনে রাখতে হবে বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাল অর্জন হচ্ছে-
✦✦ (ক) সর্বপ্রকার ভাষার (বাংলা এবং ইংরেজি) উপরে দক্ষতা অর্জন। এ ক্ষেত্রে লিখিত এবং কখ্য উভয় দিকই বিবেচনায় রাখতে হবে। এ প্রসঙ্গে দৃঢ়তার সাথে বলা যায় যে তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীর জন্য Creative writing খুবই উপযোগী। এ বয়সের কোন শিক্ষার্থী তার পরিচিত কোন বিষয়ে নিজে বানিয়ে লেখার দক্ষতা অর্জন করবে সেটাই কাম্য হওয়া উচিত। বর্তমান সময়ের মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থায় িএই বিষয়টিকে একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে এমন কি পঞ্চম শ্রেণীর বাংলা পাঠ্য পুস্তকে কোন গদ্য বা পদ্য থেকে শিক্ষার্থী নিজে বানিয়ে উত্তর দিবে এমন বর্ণনামূলক প্রশ্ন মাদরাসাবোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত বইতে কমই দেওয়া হয়েছে। অভিভাবক- অভিভাবকাকে এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে বাড়িতে বাড়তি শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে অথবা বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিজে কাজটি করবেন গুরুত্বের এবং সতর্কতার সাথে।
✦✦ (খ) উপরে উল্লেখিত বয়সে বিদ্যা শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্জন নিরূপণের দ্বিতীয় বিষয় হচ্ছে গণিতের উপর দক্ষতা অর্জন। এদেশে অনেকের জন্য গণিত ভীতি সাধারণ (common) ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকাল। সাধারণভাবে বলা চলে বিদ্যালয়ে এই বিষয়ে ভাল মানের শিক্ষকের অভাবই সমস্যাটিকে সৃষ্টি করছে মূলতঃ। এই সমস্যাটাকে কোনভাবেই এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। যে শিক্ষার্থী ছোট কাল হতে ভালভাবে বুঝে অংক করতে শিখবে না ভবিষ্যতে জীবনে সে বিজ্ঞান বা কমার্স দুটো অনুষদের বিষয়সমূহ হতে পিছিয়ে পড়বে। যারা ভাল অংক করতে পারে তাদের মধ্যে এ ধরনের (reasoning) তৈরি হয়ে যার ফলে তাদের ব্যক্তিত্বও অনেকটা প্রভাবিত হয়ে থাকে। মূলত এ কারণেই USA-এর মিলিটারি একাডেমীতে plebe Maths নামক একটি বিষয় রাখা হয়েছে সকল ক্যাডেটের জন্য। গুরুত্বের সাথে বিষয়টিকে উপস্থাপন করা হয় সেখানে। গণিতের উপরে গুরুত্বের অভাব বর্তমান সময়ে মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে বেশ কিছুটা পিছিয়ে দিয়েছে। এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠার জন্যে আন্তরিকভাবে প্রচেষ্টা হতে হবে একাধারে যেমন বিদ্যালয়/মাদরাসা শিক্ষক-শিক্ষিকাকে আবার বাড়িতে অভিভাবককে। যে সমস্ত অভিভাবক মাদরাসাকেই নির্বাচন করবেন বিদ্যাপিঠ হিসেবে তাদের উচিৎ হবে এই বিষয়ে শিক্ষা দানের জন্য বাড়িতে বাড়তি ব্যবস্থা করা। এদেশে বড় বড় শহরগুলোতে আজকাল বেশ কিছু ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল তৈরি হয়েছে। শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে play Group (PG) শ্রেণীতে এ স্কুলে ভর্তি করে কায়েকটি বছর (আনুমানিক Std 3 পর্যন্ত) এখাবে রেখে এবং এর পরে স্কুলে পরিবর্তন করে ভাল বাংলা মিডিয়ামক স্কুলে স্থানান্তার করে উভয় System–এর সুবিধা নিচ্ছেন কেউ কেউ। এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রকৃতপক্ষে অনেক গুলো সুবিধা দিয়ে থাকে।
PG থেকে ক্লাস 3 পর্যন্ত শিক্ষার সময়কালে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হলো-
✦✦ (ক) ক্লাসের সাথে বয়সের সঠিক সামঞ্জস্য রাখতে হবে। কোন ক্রমেই বয়সের তুলনায় শিক্ষার্থীকে উপরের ক্লাসে উঠিয়ে দেওয়া ঠিক হবে না।
✦✦ (খ) শিক্ষার্থীর মনের উপরে চাপ দিয়ে শিক্ষা দান করা যাবে না। বরং শিক্ষা দান পদ্ধতি যেন এমন হয় যে শিক্ষার্থী আনন্দ ঘন পরিবেশে শিখতে পারে।
✦✦ (গ) এই বছরগুলোতে সবচেয়ে বড় অর্জন হতে হবে নিজের ভাষায় ব্যক্ত করার (লিখিত ও কথ্য উভয় ক্ষেত্রেই) দক্ষতা অর্জন করা।
✦✦ চতুর্থ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষা
আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণীতে উঠে ছাত্র-ছাত্রীরা বিভিন্ন গ্রুপে (আর্টস, সাইন্স, কমার্স) বিভক্ত হয়ে যায়। সাধারণত এর পূর্বের সময়টার জন্য শিক্ষার্থীদের পঠিত বিষয় একই থাকে। এ ব্যাপারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভেদের কথা আগেই বিবৃত হয়েছে। এবারে যদি আমরা একটা বিশেষ প্রতিষ্ঠানের দিকে মনোযোগ নিবেশ করি তাহলে আমাদের আলোচনা নিম্নরূপ হবে।
চতুর্থ শ্রেণী হতে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত সময় অর্থাৎ সর্বমোট পাঁচটি বছর পরো জীবনের প্রেক্ষিতে খুব বড় ব্যাপ্তি না হলেও এ সময়টা অবশ্যই খুবই মূল্যবান। মানব জীবনের এই সময়ের ক্ষুরধার মেধা এর পরবর্তী বা পূর্ববর্তী জীবনে আর কখনও পাওয়া সম্ভব নয়। এ সময়েই কোন শিক্ষার্থী তার জীবনের বহু মূল্যবান জ্ঞানের সংস্পর্শে আসে। এ সময়ে যারা তাদের সমস্ত সুযোগকে একত্রীভুত করে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারে তারাই জীবন যুদ্ধে বিজয়ীর আসনে আসীন হয়। এ ব্যাপারে অভিভাকের নিখুঁত পরিকল্পনা এবং সঠিক সিদ্ধান্ত ক্রিয়া করে ছেলেমেয়েদের উপর। এ সময় যেসব ছাত্র- ছাত্রীরা তাদের প্রিয় শিক্ষকের সান্নিধ্য, সহযোগিতা এবং তত্ত্বাবধান পায় তারাই জীবন যুদ্ধে এগিয়ে যায় পরিপূর্ণভাবে। এর সাথে যদি যুক্ত হয় ব্যক্তির অদম্য স্পৃহা এবং নিরলস প্রচেষ্টা তাহলে সম্ভব হয় ইপ্সিত লক্ষ্যে পৌছানো।
এ বয়সের মধ্যেই একটা সময়ে শিক্ষার্থী ব্যক্তিস্বাতন্ত্র অর্জন করতে পারে, যার উপরে নির্ভর করে সে বাবা-মাকে ছেড়ে আলাদাভাবে জীবন যাপন করতে শেখে। সেজন্য সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রী থাকাকালীন কোন কোন বালাক-বালিকাকে তাদের পরিবার থেকে আলাদা করে ক্যাডেট কলেজে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে কোন কোন ছেলে-মেয়েকে আবার বাংলাদেশ ক্রীয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (BKSP) ভর্তির জন্য আলাদা করে ফেলা হয় এ বয়সেই। এদিক থেকে চিন্তা করলে এ সময়টা তাদের জন্য বিশেষভাবে অর্থবহ যারা ভবিষ্যতে ক্যারিয়ার হিসাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদান করতে বা পেশা হিসেবে খেলাধলাকে বেছে নিতে চান। এদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সামরিক বাহিনীতে অফিসার হতে পারা একটি উন্নত মানের পেশা গ্রহনের সুযোগ পাওয়ার নামান্তর মাত্র। বর্তমান সময়ে ডিফেন্স সার্ভিস যারা অফিসার হিসাবে নির্বচিত হচ্ছেন তাদের অধিকাংশেরই ক্যাডেট কলেজ ব্যাকগ্রাউন রয়েছে। সেদিন হতে বিবেচনা করলে বলা চলে সামরিক বাহিনীতে চাকুরিকে যারা বেছে নিবেন ভবিষ্যতে, তাদের টার্গেট হওয়া উচিত ক্যাডেট কলেজে পড়াশুনার সুযোগ গ্রহণ করা।
বয়সের বিষয় বিবেচনা করলে এই সময়টা আলাদাভাবেই গুরুত্ব বহন করে। এ সময়েই কোন ব্যক্তি তার শারীরিক ও মানসিক ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা বেশি বিকাশের সুযোগ পেয়ে থাকে। Teen age হচ্ছে বয়সন্ধিকাল। এ সময়ের demand ব্যকিক্রমধর্মী এবং নানাবিধ। বালক-বালিকাদের মানসিক ও দৈহিক বিকাশের পাশাপাশি কিছু বাড়তি বিষয়ে সমস্যাগ্রন্থ করে ফেলে এই বয়স। এই সময়ে তাই পিতা-মাতা বা অভিভাবককে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে তাদের ছেলে-মেয়েদের ব্যাপারে। বালক-বালিকারা এ বয়সে যথেষ্ট Sensitive থাকে।
মানব জীবনের সম্পূর্ণ দৈহিক বিকাশের বেশির ভাগই সম্পন্ন হয়ে থাকে এই বয়স কালের মধ্যে। এই ব্যাপারটাও বিবেচনায় আসা উচিৎ। সেজন্যে এ বয়সে পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ বাড়াতে হয়। শিক্ষা জীবনের মোট তিনটি দিক রয়েছে- তা হলো একাডেমিক পড়াশুনা, সুস্বাস্থ্য অর্জন এবং চরিত্র গঠন। ৪র্থ শ্রেণী হতে ৮ম শ্রেণী সময়কালে শেষোক্ত দুটি বিষয়কে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া উচিৎ। চরিত্র গঠনের ক্ষেত্রে যদি কেউ প্রয়োজনীয় গুরুত্ব দিতে ব্যর্থ হয় তবে এ সময়েও কিছু পদস্খলন হতে পারে, যা ব্যক্তির জীবনে অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করতে পারে।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "ক্যারিয়ারের ভিত্তি: গুণগত শিক্ষা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন