আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

 হাতিরঝিল

হাতিরঝিল

হাতিরঝিল বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার একটি এলাকা যা জনসাধারণের চলাচলের জন্য তৈরী করা হয়েছে। ইট পাথরের এই ব্যস্ত শহরে ক্লান্তিকর নাগরিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে রাজধানীর হাতিরঝিল  হয়ে উঠেছে মনোরম এক বিনোদন কেন্দ্র। দিনে কিংবা রাতে যে কেউই ঘুরে আসতে পারেন হাতিরঝিলে।

এক হাজার ৯৬০ কোটি টাকার এ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ, জলাবদ্ধতা ও বন্যা প্রতিরোধ, ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাজধানীর যানজট নিরসন এবং নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা। পরিবেশ ও নান্দনিকতার দিক থেকে হাতিরঝিল ঢাকায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ঝিলের চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, ওভারপাসসহ ঝিলের দুপাশে পূর্ব-পশ্চিমে সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। লেকের এপার থেকে ওপারে যাওয়ার জন্য দৃষ্টিনন্দন সেতু, নজরকাড়া বাহারি ফোয়ারা, চমৎকার শ্বেতশুভ্র সিঁড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। পালতোলা নৌকায় নৌবিহার করার সুবিধাও রয়েছে এখানে। যেখানে বছর কয়েক আগেও হাতিরঝিল ছিল পঁচা পানির আধার। কিন্তু বর্তমানে এটি ঝকঝকে পানি ধারণ করছে। পাম্পের মাধ্যমে পানি সরবরাহ করা হবে এই ঝিলে। ময়লা পানি নিষ্কাশনেরও ব্যবস্থা রয়েছে। থাকবে ঝিল ঘেঁষা রাস্তার পাশে বৃক্ষরাজি আর ফুলের সমারোহ।

এছাড়া বিনোদনের জন্য সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, শিশুপার্ক, বিশ্বমানের থিয়েটার, শরীর চর্চা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। পর্যটকদের নামাজ আদায়ের জন্য থাকবে মসজিদ।  ৩০২ দশমিক ৮৭২৩ একর ভূমির উপর  ৪টি ব্রিজ, ৪টি ওভারপাস, ৩টি ভায়াডাক্টের স্থাপন করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর হাতিরঝিল নানা রকম আলোকসজ্জার রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গিয়ে তোলে অপরুপ সাঁজে।

হাতিরঝিল নামকরনের ইতিহাসঃ

ব্রিটিশ রাজার ধারাবাহিকতায় ভাওয়ালের রাজাদের পোষা হাতি রাখা হত পিলখানায়। সেই সময় গোসল করার জন্য এসব হাতি ঝিলে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করতো এখনকার এলিফ্যান্ট রোড, হাতিরপুল এলাকা। হাতিদের আনাগোনার কারণেই এলাকার নামের সঙ্গে ‘হাতি’ শব্দটি যুক্ত হয়ে গেছে। আর হাতি গোসল করানোর কারনে ঝিলের নাম হয় হাতিরঝিল। ইতিহাসের পাতা থেকে জানা যায়, ঢাকার পিলখানা থেকে বেগুনবাড়ি এলাকার ঝিলে যাওয়ার জন্য হাতিরা যেসব সড়ক ব্যবহার করা হতো, পরবর্তীতে সেসব এলাকার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে হাতি নামটি।

কিভাবে যাবেনঃ

ঢাকার যে কোন প্রান্ত থেকে বাসে কিম্বা সিএনজি করে হাতিরঝিল আসা যায়।

হাতিরঝিলে ঘুরে দেখার জন্যে আছে বাস সার্ভিস। আপাতত ২৯ আসনের চারটি মিনিবাস হাতিরঝিলের চারপাশের দশটি স্টপেজ থেকে যাত্রী তুলবে এবং নামিয়ে দেবে। টিকেট পাওয়া যাবে রামপুরা, মধুবাগ, এফডিসি মোড়, বৌবাজার, শুটিং ক্লাব ও মেরুল বাড্ডার ছয় কাউন্টারে। এক কাউন্টার থেকে আরেক কাউন্টারে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ টাকা। রামপুরা থেকে কাওরানবাজার গেলে ১৫ টাকা লাগবে। আর বাসে করে পুরো হাতিরঝিল ঘুরলে দিতে হবে ৩০ টাকা।

 

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ " হাতিরঝিল"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel