আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: যেভাবে

ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: যেভাবে


প্রয়োজনীয় শিক্ষা শেষে কোন পেশার প্রবেশের পূর্বে একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হয়। বাংলাদেশের চাকুরির বাজার তীব্র প্রতিযোগীতাপূর্ণ হওয়ায় এই পরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়টি সুক্ষ্ম পর্যবেক্ষণ এবং বিবেচনাপসুত হওয়া প্রয়োজন। আমরা চাকুরিপ্রার্থীদের চারস্তর বিশিষ্ট নিম্নলিখিত ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পদ্ধতিটি বিবেচনা করতে বলবো।

✦✦ (ক) আত্মপ্রকৃতি যাচাই

নিজের প্রকৃতি বিরুদ্ধে কোন পেশা ব্যক্তির জীবনে সর্বাঙ্গীন সফলতা আনতে পারে না। এ কারণে ক্যারিয়ার প্ল্যানিং পদ্ধতির এই স্তরে একজন চাকুরিপ্রার্থীকে মনে রাখতে হবে যে, প্রত্যাশিত চাকুরিটি যেন তার সহজাত পছন্দ বা আগ্রহ এবং আদর্শ, বিশ্বাস ও মূল্যবোধের পরিপন্থী না হয় েএবং ব্যক্তিগত বিশ্বাস ও আদর্শকে লালন করার অধিকার ক্ষুণ্ন না করে। এছাড়া এ পর্বে শিক্ষা এবং শারীরিক ও মানসিক দক্ষতাকে সামনে রেখে পেশা পছন্দ করা জরুরি। কারণ শিক্ষা জীবনে অর্জিত বিষয়ই যদি কর্মক্ষেত্রের বিষয় হয় তাহলে সেক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়।

✦✦ (খ) পেশা নির্বাচনের উপায়

সীমিত ধারণার উপর ভিত্তি করে ক্যারিয়ার হিসেবে কোন পেশাকে ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় নেওয়া উচিত নয়। কাঙ্ক্ষিত পেশাটি ক্যারিয়ার পরিকল্পনায় স্থান দেওয়ার পূর্বে সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পঠন-পাঠন পরীক্ষা খুবই জরুরি। পেশা সম্পর্কে ধারণা ও তথ্য সংগ্রহের জন্য যে বিষয়গুলোর সাহায্য নেওয়া যেতে পারে তা হলো-

সংশ্লিষ্ট পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের পরামর্শ।

পেশাদার ক্যারিয়ার কাউন্সিলরদের কাউন্সিলিং (পরামর্শ)

পেশার ক্ষেত্রসমূহে (অফিস, আদালত মিল, ফ্যাক্টরি ইত্যাদি) সরেজমিনে ভ্রমণ।

খণ্ডকালীন চাকুরি, internships, volunteer সার্ভিসের মাধ্যমে।

সংশ্লিষ্ট পেশা সম্পর্কে লিখিত বই এবং তথ্যবহুল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে।

✦✦ (গ) পেশা নির্দিষ্ট কারণ

এই ধাপে একজন প্রার্থী-

সম্ভাব্য পেশাকে নির্দিষ্ট করবে

এই পেশাকে মূল্যায়ন করবে

ব্যতিক্রম কিছু থাকলে সেগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখবে।

পেশা অর্জনের ক্ষেত্রে স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী উভয় option ই নির্ধারণ করবে।

✦✦ (ঘ) পেশা অর্জনের প্রয়োজনীয় উপকরণ

এ পর্বে একজন প্রার্থী প্রত্যাশিত চাকুরিটি পাবার জন্য প্রয়োজনীয় জ্ঞানগত এবং উপকরণগত উন্নতি করার চেষ্টা করবে। যেমন-

প্রয়োজনবোধে অতিরিক্ত শিক্ষা বা ট্রেনিং এর উৎসগুলো তদন্ত করবে।

চাকুরি খোঁজার কৌশল নির্ধারণ করবে।

Resume বা জীবনবৃত্তান্ত লিখবে।

চাকুরির সাক্ষাৎকারের জন্য প্রস্তুতি নেবে।

ভাল আবেদনপত্র লেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করবে।

প্রয়োজনে কোচিং এর সাহায্য নেবে।

ক্যারিয়ার: স্তর বিন্যাস

একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ার পাঁচটি স্তরে পরিবাহিত হয়।

✦✦ ১। স্বপ্নময় স্তর/সময়

শিক্ষা জীবনের শুরু থেকে কর্মজীবনে প্রবেশের আগ পর্যন্ত সময়ই স্বপ্নময় সময়। অধিকাংশ মানুষ জীবনের প্রথম পঁচিশ বছর অতিক্রম করার সঙ্গে সঙ্গে স্বপ্নময় সময় অতিক্রম করে। এসময় ক্যারিয়ার সম্পর্কিত নানা প্রত্যাশা বা স্বপ্ন একজন ব্যক্তির মনে জন্ম নেয়, যার অধিকাংশই অবাস্তব এবং অলীক। এইসব ক্যারিয়ার ভাবনা কয়েক বছরের মধ্যেই অপ্রাপ্তিতে রূপ নেয়। পরিণতিতে ব্যক্তি হাতশায় নিমজ্জিত হয়।

✦✦ ২। প্রতিষ্ঠার স্তর/সময়

ক্যারিয়ার প্ল্যানিং এ একজন ব্যক্তির শিক্ষা শেষে চাকুরি সন্ধান এবং প্রথম চাকুরি গ্রহণের সময়টা প্রতিষ্ঠার সময় হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এ স্তরের মেয়াদ আনুমানিক ২৫ থেকে ৩৫ –এ দশ বছরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।

✦✦ ৩। মধ্যবর্তী স্তর/ সময়

ক্যরিয়ারের এ পর্যায়ে একজন ব্যক্তি তার কর্মতৎপরতায় ক্রমাগত উৎকর্ষ সাধন করে অথবা স্থিতি পায় অথবা কর্মতৎপরতায় ভাটা পড়তে শুরু করে। ক্যারিয়ারে এই সময়টার মেয়াদই সবচেয়ে দীর্ঘ। এদেশে ৩৫ থেকে ৫৫ পর্যন্ত সময়কে আমরা একজন ব্যক্তির ক্যারিয়ারের মধ্যবর্তী স্তর হিসেবে অভিহিত করতে পারি।

✦✦ ৪। স্থিতি স্তর/ সময়

ক্যারিয়ারের এই সময়টাকে একজন মানুষ তার পেশা সম্পর্কে নতুন কিছুই শেখে না, কিংবা শেখার আগ্রহও থাকেনা। এ পর্যায়ে ব্যক্তি তার কার্যসম্পাদন প্রক্রিয়ায় পূর্ববর্তী বছরগুলোর তুলনায় কম দক্ষতার পরিচয় দিতে শুরু করে। সাধারণত ৫৫ থেকে ক্যারিয়ারে স্থিতির স্তর শুরু হয়ে যায়।

✦✦ ৫। সমাপ্তি এ পর্বে কর্মজীবন শেষে অবসর গ্রহণ করে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "ক্যারিয়ার পরিকল্পনা: যেভাবে"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel