অক্সফোর্ড মিশন গির্জা
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
Comment
অক্সফোর্ড মিশন চার্চ এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বাংলাদেশের শৈল্পিক গির্জাগুলোর অন্যতম স্থাপত্য নিদর্শন। প্রাচ্যের ভেনিসখ্যাত বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বিভাগীয় শহর বরিশালের বগুড়া রোডে অবস্থিত সুরম্য প্রাচীন স্থাপনা ইপিফানি গির্জা নাম হলেও অক্সফোর্ড মিশন নামেই পরিচিত। লাল ইটের গির্জাটি সিস্টার এডিথের নকশায় মূল আকৃতি দেন ফাদার স্ট্রং। ১৯০৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯০৭ সালে।
গ্রিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত আকর্ষণীয় গির্জাটির ভেতরে আছে সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষ। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ভেতরে ঢুকলেই দেখবেন সবুজ ঘাসের কার্পেটে মোড়া মাঠ, ১৩টি পুকুর, অক্সফোর্ড মিশন প্রাইমারি স্কুল এবং অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল, খেলার মাঠ, ফুলের বাগান ও ঔষধি গাছ। মূল বেদির ওপর বিশাল আকৃতির ক্রস রয়েছে। ৩৫ একর জমির একাংশে গির্জার ভেতরে কাঠ দিয়ে খোদাই করা আর মার্বেল পাথরের টাইলস খচিত মেঝে। গির্জাটি একতলা হলেও উচ্চতায় পাঁচ তলার সমান। ভেতরের দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম, শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ, সারি সারি পাম্প ট্রি। দীঘির পাশে ফাদার্স হাউস জলের মাঝে প্রতিবিম্ব তোলে। মাদার্স হাউসও রয়েছে। গির্জার মধ্যে আকর্ষণীয় একটি ঘণ্টা রয়েছে, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়, প্রতিদিন সাতবার এটি বাজানো হয়। গির্জাতে অসংখ্য করিডোর ও ৪০টি খিলানপথ, যা এর কাঠামোকে সুদৃঢ় করেছে। দূর থেকে মনে হয় রেলগাড়ির ইঞ্জিন। এ ইঞ্জিনের যাত্রীরা বিশ্বাসের সুতা ধরে স্বর্গে চলে যাবেন।
অনুমতি নিয়েই ঘুরে দেখতে পারেন। দেখার জন্য সময় খুবই কম থাকে, কেননা বেশিরভাগ সময় প্রার্থনা হয়।
সময়সূচীঃ
বিকাল ৪টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
কিভাবে যাবেনঃ
বরিশাল কিভাবে যাবেনঃ
বাসে বা সড়ক পথেঃ
সড়কপথে ঢাকা থেকে বরিশাল আপনি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে বেশকিছু বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেশীরভাগ বাস পাটুরিয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায় আবার কিছু কিছু বাস মাওয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায়। ঢাকা থেকে আগত বাসগুলো বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে থেমে থাকে।
ঢাকা থেকে বরিশালে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ
শাকুরা পরিবহন, ফোনঃ ০১১৯০৬৫৮৭৭২, ০১৭২৯৫৫৬৬৭৭
ঈগল পরিবহন, ফোনঃ ০২-৯০০৬৭০০
হানিফ পরিবহন, ফোনঃ ০১৭১৩০৪৯৫৫৯
বাস ভাড়াঃ
এসি বাসের ভাড়াঃ ৭০০/- টাকা
নন এসি বাসের ভাড়াঃ ৫০০/- টাকা
লোকাল বাসের ভাড়াঃ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০/- টাকা।
নৌপথে বা লঞ্চেঃ
ঢাকা থেকে বরিশাল এর লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। এর মধ্যে সুন্দর বন ৭/৮, সুরভী৮, পারাবত ১১, কীর্তনখোলা ১/২ লঞ্চ গুলো ভাল। লঞ্চ গুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর ৫টার দিকে। সকালে গ্রিনলাইন লঞ্চে গেলে অনেক উপভোগ্য হবে আপনার ভ্রমণ।
লঞ্চ ভাড়াঃ
ডেক ভাড়া ১৫০ টাকা, ডাবল কেবিন ১৬০০, ভিআইপি ৪৫০০।
আপনি চাইলে আকাশপথেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেনঃ
বরিশালে থাকার জন্য বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
হোটেল প্যারাডাইজ টু ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০১৭১৭০৭২৬৮৬, +৮৮-০১৭২৪৮৫৩৫৯০
হোটেল গ্র্যান্ড প্লাজা, ফোনঃ +৮৮-০১৭১১৩৫৭৩১৮, +৮৮-০১৯১৭৪৫৮০৮৮
হোটেল এথেনা ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০৪৩১-৬৫১০৯, +৮৮-০৪৩১-৬৫২৩৩
হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০১৭১৮৫৮৭৬৯৮
গ্রিক স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত আকর্ষণীয় গির্জাটির ভেতরে আছে সুবিশাল প্রার্থনা কক্ষ। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা ভেতরে ঢুকলেই দেখবেন সবুজ ঘাসের কার্পেটে মোড়া মাঠ, ১৩টি পুকুর, অক্সফোর্ড মিশন প্রাইমারি স্কুল এবং অক্সফোর্ড মিশন হাই স্কুল, হাসপাতাল, লাইব্রেরি, ছাত্রছাত্রী হোস্টেল, খেলার মাঠ, ফুলের বাগান ও ঔষধি গাছ। মূল বেদির ওপর বিশাল আকৃতির ক্রস রয়েছে। ৩৫ একর জমির একাংশে গির্জার ভেতরে কাঠ দিয়ে খোদাই করা আর মার্বেল পাথরের টাইলস খচিত মেঝে। গির্জাটি একতলা হলেও উচ্চতায় পাঁচ তলার সমান। ভেতরের দৃশ্য অত্যন্ত মনোরম, শান্ত-স্নিগ্ধ পরিবেশ, সারি সারি পাম্প ট্রি। দীঘির পাশে ফাদার্স হাউস জলের মাঝে প্রতিবিম্ব তোলে। মাদার্স হাউসও রয়েছে। গির্জার মধ্যে আকর্ষণীয় একটি ঘণ্টা রয়েছে, যা এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বড়, প্রতিদিন সাতবার এটি বাজানো হয়। গির্জাতে অসংখ্য করিডোর ও ৪০টি খিলানপথ, যা এর কাঠামোকে সুদৃঢ় করেছে। দূর থেকে মনে হয় রেলগাড়ির ইঞ্জিন। এ ইঞ্জিনের যাত্রীরা বিশ্বাসের সুতা ধরে স্বর্গে চলে যাবেন।
অনুমতি নিয়েই ঘুরে দেখতে পারেন। দেখার জন্য সময় খুবই কম থাকে, কেননা বেশিরভাগ সময় প্রার্থনা হয়।
সময়সূচীঃ
বিকাল ৪টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য খোলা থাকে।
কিভাবে যাবেনঃ
বরিশাল কিভাবে যাবেনঃ
বাসে বা সড়ক পথেঃ
সড়কপথে ঢাকা থেকে বরিশাল আপনি ৬ থেকে ৮ ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন। প্রতিদিন ভোর ৬ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গাবতলি বাস টার্মিনাল থেকে বেশকিছু বাস বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। বেশীরভাগ বাস পাটুরিয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায় আবার কিছু কিছু বাস মাওয়া ঘাট অতিক্রম করে বরিশালে যায়। ঢাকা থেকে আগত বাসগুলো বরিশালের নতুল্লাবাদ বাস স্ট্যান্ডে থেমে থাকে।
ঢাকা থেকে বরিশালে চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে আছেঃ
শাকুরা পরিবহন, ফোনঃ ০১১৯০৬৫৮৭৭২, ০১৭২৯৫৫৬৬৭৭
ঈগল পরিবহন, ফোনঃ ০২-৯০০৬৭০০
হানিফ পরিবহন, ফোনঃ ০১৭১৩০৪৯৫৫৯
বাস ভাড়াঃ
এসি বাসের ভাড়াঃ ৭০০/- টাকা
নন এসি বাসের ভাড়াঃ ৫০০/- টাকা
লোকাল বাসের ভাড়াঃ ২৫০ টাকা থেকে ৩০০/- টাকা।
নৌপথে বা লঞ্চেঃ
ঢাকা থেকে বরিশাল এর লঞ্চগুলো রাত ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে সদর ঘাট থেকে ছাড়ে। এর মধ্যে সুন্দর বন ৭/৮, সুরভী৮, পারাবত ১১, কীর্তনখোলা ১/২ লঞ্চ গুলো ভাল। লঞ্চ গুলো বরিশাল পৌঁছায় ভোর ৫টার দিকে। সকালে গ্রিনলাইন লঞ্চে গেলে অনেক উপভোগ্য হবে আপনার ভ্রমণ।
লঞ্চ ভাড়াঃ
ডেক ভাড়া ১৫০ টাকা, ডাবল কেবিন ১৬০০, ভিআইপি ৪৫০০।
আপনি চাইলে আকাশপথেও যেতে পারেন।
কোথায় থাকবেনঃ
বরিশালে থাকার জন্য বেশকিছু আবাসিক হোটেল রয়েছে।
হোটেল প্যারাডাইজ টু ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০১৭১৭০৭২৬৮৬, +৮৮-০১৭২৪৮৫৩৫৯০
হোটেল গ্র্যান্ড প্লাজা, ফোনঃ +৮৮-০১৭১১৩৫৭৩১৮, +৮৮-০১৯১৭৪৫৮০৮৮
হোটেল এথেনা ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০৪৩১-৬৫১০৯, +৮৮-০৪৩১-৬৫২৩৩
হোটেল হক ইন্টারন্যাশনাল, ফোনঃ +৮৮-০১৭১৮৫৮৭৬৯৮
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "অক্সফোর্ড মিশন গির্জা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন