আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

আনারসের চাষাবাদ

আনারসের চাষাবাদ



চলছে আনারসের মৌসুম। এটি একটি পুষ্টিকর ও সুস্বাদু ফল। বাণিজ্যিক ফল হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশে আনারসের আবাদকৃত জমির পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর এবং মোট দুই লক্ষ ৪৩ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন হয়ে থাকে। আধুনিক চাষ পদ্ধতি ও উন্নত জাতের আনারস চাষ করলে ফলন অনেক বেশি হয়। আনারস হেক্টরপ্রতি ১০-১২ মেট্টিক টন, হানিকুইন ২৫-৩০ টন, জায়েন্ট কিউ ৩০-৪০ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।



আনারস পাহাড়ি অঞ্চলে চাষাবাদের জন্য বেশি উপযোগী। আমাদের দেশে পার্বত্য চট্টগ্রাম, সিলেট, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, ঢাকা, কুমিল্লা, দিনাজপুর, নরসিংদী জেলায় প্রচুর পরিমাণে আনারসের চাষ হয়। পুষ্টিমানের দিক দিয়েও আনারসের গুরুত্ব অপরিসীম। আনারস ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ও ‘সি’ -এর উৎস। বসতবাড়ির আশেপাশে খালি জায়গাতেও আনারস চাষ করে সহজেই পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা যায়, সেই সঙ্গে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হওয়া যায়। আমাদের দেশে হরিচরণ ভিটা, বারুইপুর ও ঘোড়াশাল জাতের আনারস সাধারনত বেশি জন্মে।



হরমোন প্রয়োগে সারা বছর আনারস

পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে সারা বছর আনারস উৎপাদন করা যায়। হরমোন প্রয়োগের পদ্ধতি হচ্ছে, আনারসের শাকার রোপণের আট-নয় মাস বয়সের ৩০-৩২টি পাতা সম্বলিত গাছে হরমোন প্রয়োগ করতে হয়। গাছপ্রতি ৫০ মিঃ লিঃ ইথ্রেল দ্রবণ প্রয়োগ করতে হবে। ইথ্রেল দ্রবণ তৈরির পদ্ধতি হচ্ছে- পানি-এক লিঃ, ইথ্রেল-৫০০ গ্রাম ভালভাবে মিশিয়ে প্রতি গাছে ৫০ গ্রাম করে প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে এক লিটার দ্রবণ ২০ গাছে প্রয়োগ করা যায়। হরমোন প্রয়োগের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে।



জমি তৈরি
জমির মাটি ঝুরঝুরে করে নিতে হবে। প্রতি বীজতলার জমির চারদিকে নালার ব্যবস্থা করতে হবে যাতে সেচ দেওয়া ও পানি নিকাশের সুবিধা হয়।



রোপণের উত্তম সময়

অক্টোবর থেকে নভেম্বরে চাষ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়। তবে সেচের সুবিধা থাকলে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রোপণ করা যেতে পারে। সারি থেকে সারি দূরত্ব ৫০ সেমি এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩০-৪০ হতে হবে।



সারের পরিমাণ

প্রতি গাছে গোবর সার ২৯০ থেকে ৩১০ গ্রাম, ইউরিয়া সার ৩০ থেকে ৩৬ গ্রাম, টিএসপি ১০ থেকে ১৫ গ্রাম, এমপি ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম, জিপসাম ১০ থেকে ১৫ গ্রাম।



সার প্রয়োগ পদ্ধতি

গোবর, জিপসাম এবং টিএসপি বেড তৈরির সময় প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া এবং পটাশ সার চার-পাঁচ মাস পর থেকে শুরু করে পাঁচ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।



পানি সেচ ও নিকাশ

মাটিতে রসের অভাব হলে সেচ দিতে হবে। পানি অতিরিক্ত হলে তা নিকাশের ব্যবস্থা করতে হবে।



অন্তর্বতীকালীন পরিচর্যা

আগাছার উপদ্রব হলে নিড়ানী দিয়ে পরিস্কার করে দিতে হবে। দুই থেকে তিন বার আগাছা পরিস্কার করলে চলে। এতে গাছে আনারসের উৎপাদন বাড়বে। চারা গাছ বেশি লম্বা হলে ৩০ সেমি রেখে আগার পাতা সমান করে কেটে দিতে হবে। তাতে ভাল ফলন পাওয়া যাবে।



সংগ্রহ

চারা রোপণের ১৫ থেকে ১৬ মাস পর ফসল সংগ্রহ কর সম্ভব। হিমাগারে কয়েকদিন সংরক্ষণ করা যায়।



উন্নত জাতের বীজ, আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ও সঠিক নিয়ম অনুযায়ী চাষ করলে আনারসের ভাল ফলন পাওয়া যায়। যেকোনো পরামর্শের জন্য গ্রাম/মহল্লায় নিয়োজিত উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "আনারসের চাষাবাদ"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel