শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা
মঙ্গলবার, ২৩ জুলাই, ২০১৯
Comment
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজরা আমাদের দেশে ঘোড়দৌড় বা রেস খেলার প্রচলন করে। খেলা দেখা ও বাজি ধরায় প্রচন্ড উত্তেজানা সৃষ্টি হত। শহরাঞ্চলেই ঘোড়দৌড় মাঠ বা রেসকোর্স ছিল। রেসের নেশায় দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসতেন। অনেকে এ খেলায় সর্বস্বান্ত হয়েছে। কার্যত আয়োজকরাই লাভবান হয়েছে। রাজশাহী শহরের রেসকোর্স ছিল পদ্মার পাড়ে। এখন এই রেসকোর্স ময়দান রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা। রাজশাহী কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানার এক পুরনো তথ্য বিবরণী থেকে জানা যায়, রেসের পর এখানে টমটম বা ঘোড়াগাড়ী দৌড়ও হতো। রেস ও টমটম বন্ধ হওয়ার পর রাজশাহীর রেসকোস ময়দান দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত ছিল। উদ্যান প্রতিষ্ঠায় তৎকালীন মন্ত্রী শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক আহম্মদ আব্দুর রউফ এর প্রচুর ভূমিকা ছিল। তাদের প্রচেষ্টায় ১৯৭২ সালে রাজস্ব বিভাগ হতে অনুমতি প্রাপ্ত ৩২.৭৬ একর এই জমিতেই কেন্দ্রীয় উদ্যান স্থাপিত হয় ও ৩ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫শ টাকার ১টি প্রকল্প তৈরী করে টেস্ট রিলিফের টাকায় লেক খনন, সাইট উন্নয়ন ও কিছু বৃক্ষরোপণের ব্যবস্থাকরা হয়। মূল্যবান গাছের চারা রোপণ, ফুল গাছের কোয়ারি ও কুঞ্জ তৈরি, লেক ও পুকুর খনন, কৃত্রিম পাহাড় তৈরি অর্থাৎ সামগ্রিক কাজ শুরু হয় ১৯৭৪-৭৫ ও ১৯৭৫-৭৬ সালে। প্রকৃত পক্ষে ১৬/২/১৯৮৩ তারিখে চিড়িয়াখানার কার্যক্রম শুরু করাহয়।
কিভাবে যাওয়া যায়:
জিরোপয়েন্টথেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. কোর্ট এর দিকে, প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বে, রিক্সা, অটোতে যাওয়া যায়।
কিভাবে যাওয়া যায়:
জিরোপয়েন্টথেকে পশ্চিমদিকে আনুমানিক ৩ কি.মি. কোর্ট এর দিকে, প্রধান রাস্তার উত্তর পার্শ্বে, রিক্সা, অটোতে যাওয়া যায়।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "শহীদ কামারুজ্জামান কেন্দ্রীয় উদ্যান ও চিড়িয়াখানা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন