আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

পরিকুণ্ড ঝর্ণা

পরিকুণ্ড ঝর্ণা


মাধবকুন্ডের পাশে পরিকুণ্ড জলপ্রপাত টানবে সবাইকে। বেড়ানোর জায়গাটা যদি প্রকৃতির খুব কাছাকাছি হয়, তবে তো কথাই নেই। পরিকুণ্ড ঝর্ণা মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলায় মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের নিকটে অবস্থিত। ‘মাধবকুণ্ড‘ জলপ্রপাত কমবেশি সবারই চেনা। তবে এর কাছেই যে আরেকটি জলপ্রপাত আছে, সেটা হয়ত অনেকেরই জানা নেই। স্থানীয় মানুষের কাছে এর নাম পরিকুন্ড ঝর্ণা। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গাটি টানবে সবাইকে। মাধবকুন্ড ঝর্ণার চেয়ে পরিকুণ্ড কিছুটা নির্জন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় ছেয়ে আছে এর চারপাশ। প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু থেকে পাথরের খাড়া পাহাড় বেয়ে শোঁ শোঁ শব্দ করে জলধারা নিচে আছড়ে পড়ছে। নিচে বিছানো ছোট-বড় পাথর গড়িয়ে স্রোতধারা একটি বড় ছড়ায় মিশে গেছে। বড় একটি পাথরে বসে আনমনে খুব কাছ থেকেই জলপ্রপাতের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যেতে পারে। ইচ্ছা করলে স্বচ্ছ পানির ছড়ায় ভালোমতো গোসলও সেরে নেওয়া যায়। যাঁরা মাধবকুণ্ডে বেড়াতে যেতে চান, তাঁরা চাইলেই পরিকুণ্ড দেখে আসতে পারেন।

পরিকুন্ড ভ্রমণের সেরা সময়ঃ

পরিকুণ্ড যাওয়ার উত্তম সময় হচ্ছে বর্ষাকাল। এ সময় ঝর্ণা পানিতে পূর্ণ থাকে।

কিভাবে যাবেন পরিকুন্ডঃ

রাজধানী ঢাকার কমলাপুর ও ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন ৩টা ট্রেন ছাড়ে সিলেটের উদ্দেশ্যে। ট্রেন গুলোর মধ্যে আছে জয়ন্তিকা,পারাবত,উপবন।  ট্রেনের ভাড়া প্রকার ভেদে ১২০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। আর সময় লাগবে ৭-৮ ঘণ্টা। ট্রেনে গেলে রাত ১০টার উপবন এক্সপ্রেসে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো। কুলাউড়ায় এসে পৌছায় ভোর ৫ টায় ।কুলাউড়া থেকে  মাধবকুন্ডের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কি.মি ,আপনি এখান থেকে সিএনজি রিজার্ভ করে সরাসরি মাধবকুন্ড যেতে পারেন । ভাড়া পড়বে ২৫০-৩০০ টাকা ।

এছাড়া বাসেও যাওয়া যাবে। বাসে যেতে চাইলে অনেক বাস আছে। এর মধ্যে শ্যামলী, রূপসী বাংলা, হানিফ, সোহাগ, এনা,ইউনিক, উল্যেখযোগ্য। এছাড়াও আরো বিভিন্ন নামের একাধিক বাস রয়েছে, যেগুলো অপেক্ষাকৃত কম ভাড়ায় যাত্রী সেবা করে থাকে। ভোর থেকে শুরু করে রাত ১টা পর্যন্ত এসব বাস পাবেন। বাসে যেতে সময় লাগবে ৪ থেকে ৫ ঘন্টা। ননএসি ৩০০/৩৫০ টাকা। এসি ৯০০ টাকা পর্যন্ত। সরাসরি বাসে আসলে বড়লেখার একটু আগে  “কাঠাঁলতলী” নামক জায়গায় নামবেন । এখান থেকে মাধবকুন্ড বেশি দূর নয় । তবে আপনাকে মাধবকুন্ড চূড়ার কাছে যেতে হলে এখান থেকে অবশ্যই সিএনজি বা রিক্সা নিতে হবে। জনপ্রতি গেলে সিএনজিতে ভাড়া পড়বে ১৫-২০ টাকা,আর আপনি পুরো ভাড়া করলে ১০০ টাকার কাছাকাছি নিবে।

বিমান পথে যেতে হলে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ফ্লাইট নং 4H-0511 এ করে সিলেট গিয়ে সেখান থেকে পাবলিক বাসে করে মৌলভীবাজার আসতে হয়। মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, রবি সপ্তাহের এই চার দিন ঢাকা-সিলেট রুটে বিমানে করে যাওয়া যায়। ভাড়া ৩০০০ টাকা। যোগাযোগ: ৮৯৩২৩৩৮, ৮৯৩১৭১২।

টিকিট কেটে প্রধান ফটক পেরিয়ে মাধবকুণ্ড ঝর্নার রাস্তা। হাঁটতে হাঁটতে সামনে গিয়ে হাতের বাঁ পাশে টিলার ওপর শিবমন্দির। এর ঠিক বিপরীতে রাস্তার সঙ্গে একটি নতুন পাকা সিঁড়ি তৈরি হয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে নেমে মাধবকুণ্ডের মূল ছড়া। আর ওই ছড়াটির সোজাসুজি পাথর বিছানো ছড়া দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটলেই পরিকুণ্ড জলপ্রপাত। ভয়ের কারণ নেই। ছড়ায় শুধু পায়ের পাতাই ভিজবে। নিচে বিছানো পাথরগুলো কিন্তু বেশ পিচ্ছিল। শ্যাওলা জমে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই পা ফেলতে হবে সাবধানে। মাধবকুণ্ড ও পরিকুণ্ড বেড়াতে এসে কাছাকাছি রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদের দুই কক্ষের একটি বিশ্রামাগার আছে। সেটি কমপক্ষে সাত দিন আগে বুকিং দিতে হয়।

কোথায় থাকবেনঃ                      

মাধবকুন্ডে জেলা পরিষদের ২টি বাংলো ও ২টি আবাসিক হোটেল রয়েছে।

তাছাড়া আপনি চাইলে সিলেট কিংবা মৌলভীবাজার শহরের হোটেলেও থাকতে পারেন। সিলেটে থাকার মত অনেকগুলো হোটেল আছে,সিলেটে আপনি আপনার প্রোয়োজন ও সামর্থ অনুযায়ী যে কোন ধরনের হোটেল পাবেন। কয়েকটি পরিচিত হোটেল হল – হোটেল হিল টাউন, গুলশান, দরগা গেইট, সুরমা,কায়কোবাদ ইত্যাদি। লালা বাজার এলাকায় কম ভাড়ায় অনেক মানসম্মত রেস্ট হাউস আছে৷ হোটেল অনুরাগ – এ সিঙ্গেল রুম ৪০০টাকা (দুই জন আরামসে থাকতে পারবেন), তিন বেডের রুম ৫০০টাকা(নরমালই ৪জন থাকতে পারবেন)। রাত যাপনের জন্য দরগা রোডে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেল রয়েছে। রুম ভাড়া ৫০০/- টাকা থেকে ৫০০০/- টাকা পর্যন্ত।

শহরের শাহজালাল উপশহরে হোটেল রোজ ভিউ (০৮২১-৭২১৪৩৯)।
দরগা গেইটে হোটেল স্টার প্যাসিফিক (০৮২১-৭২৭৯৪৫)।
ভিআইপি রোডে হোটেল হিলটাউন (০৮২১-৭১৬০৭৭)।
বন্দরবাজারে হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (০৮২১-৭২১১৪৩)।
নাইওরপুলে হোটেল ফরচুন গার্ডেন (০৮২১-৭১৫৫৯০)।
জেল সড়কে হোটেল ডালাস (০৮২১-৭২০৯৪৫)।
লিঙ্ক রোডে হোটেল গার্ডেন ইন (০৮২১-৮১৪৫০৭)।
আম্বরখানায় হোটেল পলাশ (০৮২১-৭১৮৩০৯)।
দরগা এলাকায় হোটেল দরগাগেইট (০৮২১-৭১৭০৬৬)।
হোটেল উর্মি (০৮২১-৭১৪৫৬৩)।
জিন্দাবাজারে হোটেল মুন লাইট (০৮২১-৭১৪৮৫০)।
তালতলায় গুলশান সেন্টার (০৮২১-৭১০০১৮) ইত্যাদি।

কোথায় খাবেনঃ

পরিকুণ্ড ও মাধবকুণ্ড একই জায়গা হওয়ার কারনে খাওয়ার সুবিধা আপনি মাধবকুন্ড ঝর্ণার ওখানেই পাবেন, মুটামুটি মানের রেস্টুরেন্ট আছে। দাম একটু বেশি পড়বে । তাই সবচেয়ে ভাল হবে আপনি যদি বাইরে থেকে খাবার সাথে করে নিয়ে যান। এছাড়া সিলেট শহরে ফিরে খাওয়ার জন্য জিন্দাবাজারে বেশ ভালো তিনটি খাওয়ার হোটেল আছে। হোটেল গুলো হচ্ছে পাঁচ ভাই,পানশি ও পালকি। এগুলোতে প্রায় ২৯ প্রকারের ভর্তা আছে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "পরিকুণ্ড ঝর্ণা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel