উপসর্গ - অনুসর্গ
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯
Comment
অব্যয়ের একটি প্রকরণ। মূলত উপসর্গ এক প্রকার ধ্বনি কণিকা। যা সাধারণত তেমন কোনো স্বতন্ত্র অর্থ বহন করে না, কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে বসে, ভিন্ন ভিন্ন অর্থ-বোধক নূতন শব্দের সৃষ্টি করে। এই জাতীয় ধ্বনি কণিকা উপসর্গ বলে। ইংরেজিতে উপসর্গকে (suffix) বলে। উপসর্গ বদ্ধ রূপমূল (bound morpheme)
উপসর্গের প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশী উপসর্গের বিচারে, উপসর্গ ৩ প্রকার।
এই উপসর্গগুলো হলো-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ,
বাংলা উপসর্গ, ও
বিদেশি উপসর্গ।
১. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ বিশটি; যথা- প্র, প্ররা, অপ, সম্, নি, অব, অনু, নির্, দুর্, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত খাঁটি বাংলা উপসর্গ একুশটি; যথা- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়্, আন্, আব্, ইতি, উন্ (উনু, উনা), কদ্, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
৩. বিদেশী উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশী উপসর্গের মধ্যে ফারসি ও ইংরেজি উপসর্গই বেশি দেখ যায়। কিছু উদাহরণ-
ফারসি উপসর্গের উদাহরণ- আম্, কার, খাস, সে (তিন), গর্, দর্, না (লা), নিম্, ফি, বর, ব, বদ্, বে, বাজে, হর্।
ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ- ফুল, সাব, হাফ, হেড।
অনুসর্গ
ব্যাকরণে বর্ণিত অব্যয় পদের একটি বিভাগ বিশেষ। এই জাতীয় অব্যয় অন্য পদের পরে পৃথকভাবে বসে পদটিকে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে সম্পর্কিত করে বা বিভক্তির ন্যায় আচরণ করে। এদের অন্যান্য নাম পরসর্গ, কর্মপ্রবচনীয় (post position)।
প্রকারভেদ
অনুসর্গ কোন পদের পরে বসে বাক্যের সাথে ওই পদকে সম্পর্কিত করতে পারে, তার প্রকৃতি বিচার করে ৩টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
১. বিশেষ্য অনুসর্গ : এই জাতীয় বিশেষ্য পদের পরে বসে। যেমন–
প্রাণের চেয়ে প্রিয়
ছাদের উপর খোলা আকাশ
২. সর্বনাম উপসর্গ : এই জাতীয় সর্বনাম পদের পরে বসে। যেমন–
আমার চেয়ে সে বড়।
ওর কাছে বইটি আছে।
৩. বিশেষণ উপসর্গ : এই জাতীয় বিশেষণ পদের পরে বসে। যেমন–
মন্দের চেয়ে একটু ভালো
খারাপের চেয়ে খারাপ
উপসর্গের প্রকারভেদ
বাংলা ব্যাকরণে সংস্কৃত, বাংলা ও বিদেশী উপসর্গের বিচারে, উপসর্গ ৩ প্রকার।
এই উপসর্গগুলো হলো-
তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ,
বাংলা উপসর্গ, ও
বিদেশি উপসর্গ।
১. তৎসম বা সংস্কৃত উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত সংস্কৃত উপসর্গ বিশটি; যথা- প্র, প্ররা, অপ, সম্, নি, অব, অনু, নির্, দুর্, বি, অধি, সু, উৎ, পরি, প্রতি, অভি, অতি, অপি, উপ, আ।
২. খাঁটি বাংলা উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত খাঁটি বাংলা উপসর্গ একুশটি; যথা- অ, অঘা, অজ, অনা, আ, আড়্, আন্, আব্, ইতি, উন্ (উনু, উনা), কদ্, কু, নি, পাতি, বি, ভর, রাম, স, সা, সু, হা।
৩. বিদেশী উপসর্গ
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশী উপসর্গের মধ্যে ফারসি ও ইংরেজি উপসর্গই বেশি দেখ যায়। কিছু উদাহরণ-
ফারসি উপসর্গের উদাহরণ- আম্, কার, খাস, সে (তিন), গর্, দর্, না (লা), নিম্, ফি, বর, ব, বদ্, বে, বাজে, হর্।
ইংরেজি উপসর্গের উদাহরণ- ফুল, সাব, হাফ, হেড।
অনুসর্গ
ব্যাকরণে বর্ণিত অব্যয় পদের একটি বিভাগ বিশেষ। এই জাতীয় অব্যয় অন্য পদের পরে পৃথকভাবে বসে পদটিকে বাক্যের অন্যান্য অংশের সাথে সম্পর্কিত করে বা বিভক্তির ন্যায় আচরণ করে। এদের অন্যান্য নাম পরসর্গ, কর্মপ্রবচনীয় (post position)।
প্রকারভেদ
অনুসর্গ কোন পদের পরে বসে বাক্যের সাথে ওই পদকে সম্পর্কিত করতে পারে, তার প্রকৃতি বিচার করে ৩টি ভাগে ভাগ করা যেতে পারে।
১. বিশেষ্য অনুসর্গ : এই জাতীয় বিশেষ্য পদের পরে বসে। যেমন–
প্রাণের চেয়ে প্রিয়
ছাদের উপর খোলা আকাশ
২. সর্বনাম উপসর্গ : এই জাতীয় সর্বনাম পদের পরে বসে। যেমন–
আমার চেয়ে সে বড়।
ওর কাছে বইটি আছে।
৩. বিশেষণ উপসর্গ : এই জাতীয় বিশেষণ পদের পরে বসে। যেমন–
মন্দের চেয়ে একটু ভালো
খারাপের চেয়ে খারাপ
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "উপসর্গ - অনুসর্গ"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন