এক কথায় প্রকাশ
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯
1 Comment
অনেকে চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যায়। কিন্তু চাকরির ইন্টারভিউতে অবশ্যই এক কথায় প্রকাশ থাকে।তাদের জন্য আমাদের এই পোস্ট। কিছু গুরুত্বপূর্ণ এক কথায় প্রকাশ ।
অ
অকালে পক্ব হয়েছে যে – অকালপক্ব
অক্ষির সম্মুখে বর্তমান – প্রত্যক্ষ
অভিজ্ঞতার অভাব আছে যার – অনভিজ্ঞ
অহংকার নেই যার – নিরহংকার
অনেকের মধ্যে একজন – অন্যতম
অনুতে বা পশ্চাতে বা পরে জন্মেছে যে – অনুজ
অশ্বের ডাক – হ্রেষা
অবশ্য হবে বা ঘটবে যা – অবশ্যম্ভাবী
অনুসন্ধান করবার ইচ্ছা – অনুসন্ধিৎসা
অনুসন্ধান করতে ইচ্ছুক যে – অনুসন্ধিৎসু
অন্য গাছের ওপর জন্মে যে গাছ- পরগাছা
অপকার করবার ইচ্ছা – অপচিকীর্ষা
অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনা না করে কাজ করে যে – অবিমৃষ্যকারী
অগ্রে জন্মেছে যে – অগ্রজ
অতি শীতও নয়, অতি উষ্ণও নয় – নাতিশীতোষ্ণ
অতি কর্মনিপুণ ব্যক্তি – দক্ষ
অতি দীর্ঘ নয় যা – নাতিদীর্ঘ
অতিক্রম করা যায় না যা – অনতিক্রমনীয়/অনতিক্রম্য
অরিকে দমন করে যে – অরিন্দম
আ
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত – আদ্যন্ত, আদ্যোপান্ত
আকাশে উরে বেড়ায় যে – আকাশচারি, খেচর
আকাশে গমন করে যে- বিহগ, বিহঙ্গ
আচারে নিষ্ঠা আছে যার – আচারনিষ্ঠ
আপনাকে কেন্দ্র করে যার চিন্তা – আত্মকেন্দ্রিক
আপনাকে যে পণ্ডিত মনে করে- পণ্ডিতম্মন্য
আপনার রং লুকায় যে বা যার প্রকৃত বর্ণ ধরা যায় না – বর্ণচোরা
আট প্রহর যা পরা যায় – আটপৌরে
আয় অনুসারে ব্যয় করে যে – মিতব্যয়ী
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার – আস্তিক
আল্লার অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার – নাস্তিক
ই , ঈ
ই
ইতিহাস রচনা করেন যিনি – ঐতিহাসিক
ইতিহাস বিষয়ে অভিজ্ঞ যিনি – ইতিহাসবেত্তা
ইন্দ্রকে জয় করেছে যে – ইন্দ্রজিৎ
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে – জিতেন্দ্রিয়ি
ঈ
ঈষৎ আমিষ বা আঁষ গন্ধ যার – আঁষটে
উ
উপকার করবার ইচ্ছা – উপচিকীর্ষা
উপকারীর উপকার স্বীকার করে যে – কৃতজ্ঞ
উপকারীর উপকার স্বীকার করে না যে – অকৃতজ্ঞ
উপকারীর অপকার করে যে – কৃতঘ্ন
এ
একই সময়ে বর্তমান – সমসাময়িক
একই মায়ের সন্তান – সহোদর
এক থেকে শুরু করে ক্রমাগত – একাদিক্রমে
একই গুরুর শিষ্য – সতীর্থ
ক,
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী = কর্মঠ
কথায় বর্ণনা যায় না যা- অনির্বচনীয়
কষ্টে নিবারণ করা যায় যা বা যা সহজে নিবারণ করা যায় না – দুর্নিবার
কষ্টে লাভ করা যায় যা বা যা সহজে লাভ করা যায় না – দুর্লভ
কোনভাবেই নিবারণ করা যায় না যা- অনিবার্য
কোন কিছুতেই ভয় নেই যার- নির্ভীক, অকুতোভয়
কেউ জানতে না পারে এমনভাবে- অজ্ঞাতসারে
গ
গোপন করার ইচ্ছা – জুগুপ্সা
চ
চক্ষুর সম্মুখে সংঘটিত – চাক্ষুষ
চৈত্র মাসের ফসল – চৈতালি
জ
জীবিত থেকেও যে মৃত – জীবন্মৃত
জানার ইচ্ছা – জিজ্ঞাসা
জানতে ইচ্ছুক – জিজ্ঞাসু
জ্বল জ্বল করছে যা – জাজ্বল্যমান
জয় করার ইচ্ছা – জিগীষা
জয় করতে ইচ্ছুক – জিগীষু
জানু পর্যন্ত লম্বিত – আজানুলম্বিত
ত
তল স্পর্শ করা যায় না যার – অতলস্পর্শী
তীর ছোঁড়ে যে – তীরন্দাজ
দ
দিনে যে একবার আহার করে – একাহারী
দীপ্তি পাচ্ছে যা – দীপ্যমান
দু’বার জন্মে যে – দ্বিজ
ন
নষ্ট হওয়াই স্বভাব যার – নশ্বর
নদী মেখলা যে দেশের – নদীমেখলা
নৌকা দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে যে – নাবিক
নিজেকে যে বড়ো মনে করে – হামবড়া
নূপুরের ধ্বনি- নিক্কণ
প
পা থেকে মাথা পর্যন্ত – আপাদমস্তক
প্রিয় বাক্য বলে যে নারী – প্রিয়ংবদা
পূর্বজন্ম স্মরণ করে যে – জাতিস্মর
পান করার যোগ্য – পেয়
পান করার ইচ্ছা – পিপাসা
ফ
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়- ওষধি
ব
বিদেশে থাকে যে – প্রবাসী
বিশ্বজনের হিতকর – বিশ্বজনীন
ব্যাকরণ জানেন যিনি – বৈয়াকরণ
বিজ্ঞানের বিষয় নিয়ে গবেষণায় রত যিনি – বৈজ্ঞানিক
বেদ-বেদান্ত জানেন যিনি- বৈদান্তিক
বয়সে সবচেয়ে বড়ো যে- জ্যেষ্ঠ
বয়সে সবচেয়ে ছোটো যে- কনিষ্ঠ
ভ
ভোজন করার ইচ্ছা- বুভুক্ষা
ম
মৃতের মত অবস্থা যার- মুমূর্ষু
মুষ্টি দিয়ে যা পরিমাপ করা যায়- মুষ্টিমেয়
মৃত্তিকা দ্বারা নির্মিত- মৃন্ময়
মর্মকে পীড়া দেয় যা- মর্মন্তুদ
মাটি ভেদ করে ওঠে যা- উদ্ভিদ
মৃত গবাদি পশু ফেলা হয় যেখানে- ভাগাড়
মন হরণ করে যা- মনোহর
মন হরণ করে যে নারী- মনোহারিণী
য
যা দমন করা যায় না- অদম্য
যা দমন করা কষ্টকর- দুর্দমনীয়
যা নিবারণ করা কষ্টকর- দুর্নিবার
যা পূর্বে ছিল এখন নেই- ভূতপূর্ব
যা বালকের মধ্যেই সুলভ- বালকসুলভ
যা বিনা যত্নে লাভ করা গিয়েছে- অযত্নলব্ধ
যা ঘুমিয়ে আছে- সুপ্ত
যা বার বার দুলছে- দোদুল্যমান
যা দীপ্তি পাচ্ছে- দেদীপ্যমান
যা সাধারণের মধ্যে দেখা যায় না- অনন্যসাধারণ
যা পূর্বে দেখা যায় নি- অদৃষ্টপূর্ব
যা কষ্টে জয় করা যায়- দুর্জয়
যা কষ্টে লাভ করা যায়- দুর্লভ
যা অধ্যয়ন করা হয়েছে- অধীত
যা অনেক কষ্টে অধ্যয়ন করা যায়- দুরধ্যয়
যা জলে চরে- জলচর
যা স্থলে চরে- স্থলচর
যা জলে ও স্থলে চরে- উভচর
যা বলা হয় নি- অনুক্ত
যা কখনো নষ্ট হয় না- অবিনশ্বর
যা মর্ম স্পর্শ করে- মর্মস্পর্শী
যা বলার যোগ্য নয়- অকথ্য
যার বংশ পরিচয় এবং স্বভাব কেউই জানে না- অজ্ঞাতকুলশীল
যা চিন্তা করা যায় না- অচিন্তনীয়, অচিন্ত্য
যা কোথাও উঁচু কোথাও নিচু- বন্ধুর
যা সম্পন্ন করতে বহু ব্যয় হয়- ব্যয়বহুল
যা খুব শীতল বা উষ্ণ নয়- নাতিশীতোষ্ণ
যার বিশেষ খ্যাতি আছে- বিখ্যাত
যা আঘাত পায় নি- অনাহত
যা উদিত হচ্ছে- উদীয়মান
যা ক্রমশ বর্ধিত হচ্ছে- বর্ধিষ্ণু
যা পূর্বে শোনা যায় নি- অশ্রুতপূর্ব
যা সহজে ভাঙ্গে- ভঙ্গুর
যা সহজে জীর্ণ হয়- সুপাচ্য
যা সহজে অতিক্রম করা যায় না – দুরতিক্রমনীয়/দুরতিক্রম্য
যা খাওয়ার যোগ্য- খাদ্য
যা চিবিয়ে/চর্বণ করে খেতে হয়- চর্ব্য
যা চুষে খেতে হয়- চোষ্য
যা লেহন করে খেতে হয়/লেহন করার যোগ্য- লেহ্য
যা পান করতে হয়/পান করার যোগ্য- পেয়
যা পানের অযোগ্য- অপেয়
যা বপন করা হয়েছে- উপ্ত
যা বলা হয়েছে- উক্ত
যার অন্য উপায় নেই- অনন্যোপায়
যার কোন উপায় নেই- নিরুপায়
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে- প্রত্যুৎপন্নমতি
যার সর্বস্ব হারিয়ে গেছে- সর্বহারা, হৃতসর্বস্ব
যার কোনো কিছু থেকেই ভয় নেই- অকুতোভয়
যার আকার কুৎসিত- কদাকার
যার কোন শত্রু নেই/জন্মেনি- অজাতশত্রু
যার দাড়ি/শ্মশ্রু জন্মে নি- অজাতশ্মশ্রু
যার কিছু নেই- অকিঞ্চন
যে কোন বিষয়ে স্পৃহা হারিয়েছে- বীতস্পৃহ
যে শুনেই মনে রাখতে পারে- শ্রুতিধর
যে বাস্তু থেকে উৎখাত হয়েছে- উদ্বাস্তু
যে নারী নিজে বর বরণ করে নেয়- স্বয়ংবরা
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না- বনস্পতি
যে রোগ নির্ণয় করতে হাতড়ে মরে- হাতুড়ে
যে নারীর সন্তান বাঁচে না/যে নারী মৃত সন্তান প্রসব করে- মৃতবৎসা
যে গাছ অন্য কোন কাজে লাগে না- আগাছা
যে গাছ অন্য গাছকে আশ্রয় করে বাঁচে- পরগাছা
যে পুরুষ বিয়ে করেছে- কৃতদার
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি- অনূঢ়া
যে ক্রমাগত রোদন করছে- রোরুদ্যমান (স্ত্রীলিঙ্গ- রোরুদ্যমানা)
যে ভবিষ্যতের চিন্তা করে না বা দেখে না- অপরিণামদর্শী
যে ভবিষ্যৎ না ভেবেই কাজ করে/অগ্র পশ্চাত বিবেচনা না করে কাজ করে যে- অবিমৃশ্যকারী
যে বিষয়ে কোন বিতর্ক/বিসংবাদ নেই- অবিসংবাদী
যে বন হিংস্র জন্তুতে পরিপূর্ণ- শ্বাপদসংকুল
যে সকল অত্যাচারই সয়ে যায়- সর্বংসহা
যে নারী বীর সন্তান প্রসব করে- বীরপ্রসূ
যে নারীর কোন সন্তান হয় না- বন্ধ্যা
যে নারী জীবনে একমাত্র সন্তান প্রসব করেছে- কাকবন্ধ্যা
যে নারীর স্বামী প্রবাসে আছে- প্রোষিতভর্তৃকা
যে স্বামীর স্ত্রী প্রবাসে আছে- প্রোষিতপত্নীক
যে পুরুষের চেহারা দেখতে সুন্দর- সুদর্শন (স্ত্রীলিঙ্গ- সুদর্শনা)
যে রব শুনে এসেছে- রবাহুত
যে লাফিয়ে চলে- প্লবগ
যে নারী কখনো সূর্য দেখেনি- অসূর্যম্পশ্যা
যে নারীর স্বামী মারা গেছে- বিধবা
যে নারীর সম্প্রতি বিয়ে হয়েছে- নবোঢ়া
যিনি বক্তৃতা দানে পটু- বাগ্মী
ল
লাভ করার ইচ্ছা- লিপ্সা
শ
শুভ ক্ষণে জন্ম যার- ক্ষণজন্মা
শত্রুকে/অরিকে দমন করে যে- অরিন্দম
শত্রুকে বধ করে যে- শত্রুঘ্ন
স
সম্মুখে অগ্রসর হয়ে অভ্যর্থনা- প্রত্যুদ্গমন
সকলের জন্য প্রযোজ্য- সর্বজনীন
সকলের জন্য হিতকর- সার্বজনীন
স্ত্রীর বশীভূত হয় যে- স্ত্রৈণ
সেবা করার ইচ্ছা- শুশ্রুষা
হ
হনন/হত্যা করার ইচ্ছা- জিঘাংসা
হরিণের চামড়া- অজিন
হাতির ডাক- বৃংহতি
ক্ষ
ক্ষমার যোগ্য – ক্ষমার্হ
নতুন ২১৫ টি এক কথায় প্রকাশ
১.কুকুরের ডাক=বুক্কন
২.রাজহাঁসের ডাক=ক্রেঙ্কার
৩.বিহঙ্গের ডাক/ধ্বনি=কূজন/কাকলি
৪.করার ইচ্ছা=চিকীর্ষা
৫.ক্ষমা করার ইচ্ছা=চিক্ষমিষা/তিতিক্ষা
৬.ত্রাণ লাভ করার ইচ্ছা=তিতীর্ষা
৭.গমন করার ইচ্ছা=জিগমিষা
৮.নিন্দা করার ইচ্ছা=জুগুপ্সা
৯.বেঁচে থাকার ইচ্ছা=জিজীবিষা
১০.পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা
১১.চোখে দেখা যায় এমন=চক্ষুগোচর
১২.চোখের নিমেষ না ফেলিয়া=অনিমেষ
১৩.গম্ভীর ধ্বনি=মন্দ্র
১৪.মুক্তি পেতে ইচ্ছা=মুমুক্ষা
১৫.বিজয় লাভের ইচ্ছা=বিজিগীষা
১৬.প্রবেশ করার ইচ্ছা=বিবক্ষা
১৭.বাস করার ইচ্ছা=বিবৎসা
১৮.বমন করিবার ইচ্ছা=বিবমিষা
১৯.রমণ বা সঙ্গমের ইচ্ছা=রিরংসা
২০.আমার তুল্য=সাদৃশ
২১.ইহার তুল্য=ইদৃশ
২২.ঋষির তুল্য=ঋষিকল্প
২৩.দেবতার তুল্য=দেবোপম
২৪.রন্ধনের যোগ্য=পাচ্য
২৫.জানিবার যোগ্য=জ্ঞাতব্য
২৬.প্রশংসার যোগ্য=প্রশংসার্হ
২৭.ঘ্রাণের যোগ্য=ঘ্রেয়
২৮.যাহা সহজে লঙ্ঘন করা যায় না=দুলঙ্ঘ্য
২৯.যাহা সহজে উত্তীর্ণ হওয়া যায় না=দুস্তর
৩০.যা বলা হয়েছে=বক্ষ্যমাণ
৩১.যা পূর্বে চিন্তা করা যায় নি=অচিন্তিতপূর্ব
৩২.যা পূর্বে কখনও আস্বাদিত হয় নাই=অনাস্বাদিতপূর্ব
৩৩.যা পূর্বে শোনা যায় নি=অশ্রুতপূর্ব
৩৪.হিরণ্য (স্বর্ণ) দ্বারা নির্মিত =হিরন্ময়
৩৫.বাতাসে চরে যে=কপোত
৩৬.পূর্ব জন্মের কথা স্মরণ আছে যার=জাতিস্বর
৩৭.সরোবরে জন্মায় যাহা=সরোজ
৩৮.সর্বদা ইতস্তত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে=সততসঞ্চরমান
৩৯.যা পুনঃ পুনঃ জ্বলিতেছে =জাজ্বল্যমান
৪০.সকলের জন্য প্রযোজ্য=সর্বজনীন
৪১.সকলের জন্য অনুষ্ঠিত =সার্বজনীন
৪২.প্রায় প্রভাত হয়েছে এমন=প্রভাতকল্পা
৪৩.রাত্রির মধ্যভাগ=মহানিশা
৪৪.স্মৃতিশাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=শাস্ত্রজ্ঞ
৪৫.স্মৃতি শাস্ত্র রচনা করেন যিনি=শাস্ত্রকার
৪৬.যিনি স্মৃতি শাস্ত্র জানেন=স্মার্ত
৪৭.শক্তির উপাসনা করে যে = শাক্ত
৪৮.এখনও শত্রু জন্মায় নাই যার=অজাতশত্রু
৪৯.এখনও গোঁফ-দাড়ি গজায় নাই যাহার=অজাতশ্মশ্রু
৫০.যে ব্যক্তি এক ঘর হতে অন্য ঘরে ভিক্ষা করে বেড়ায়=মাধুকর
৫১.অন্যদিকে মন নাই যার=অনন্যমনা
৫২.খেয়া পার করে যে =পাটনী
৫৩.নিজেকে বড় ভাবে যে=হামবড়া
৫৪.নিজেকে যে নিজেই সৃষ্টি করেছে=সয়ম্ভূ
৫৫.নিতান্ত দগ্ধ হয় যে সময়ে (গ্রীষ্মকাল)=নিদাঘ
৫৬.যা গতিশীল = জঙ্গম
৫৭.যে বিষয়ে কোন বিতর্ক নেই=অবিসংবাদী
৫৮.স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ
৫৯.অত্যন্ত তরল জল নিঃসরণ =অতিসার/অতীসার
৬০.অঙ্গীকৃত মাল তৈরির জন্য প্রদত্ত অগ্রিম অর্থ=দাদন
৬১.অতি উচ্চ ধ্বনি =মহানাদ
৬২.অতিশয় রমণীয়=সুরম্য
৬৩.অণুর ভাব=অণিমা
৬৪.অগ্র-পশ্চাৎ ক্রম অনুযায়ী =আনুপূর্বিক
৬৫.অবজ্ঞায় নাক উঁচু করে যে=উন্নাসিক
৬৬.অসির শব্দ=ঝঞ্জনা
৬৭.অন্ধকার রাত্রি =তামসী
৬৮.অশ্বের চালক=সাদী
৬৯.ঈষৎ নীলাভবিশিষ্ট=আনীল
৭০.ঈষৎ উষ্ণ =কবোষ্ণ
৭১.ঈষৎ পাংশু বর্ণ=কয়রা
৭২.আকস্মিক দুর্দৈব =উপদ্রব
৭৩.আঙুর ফল=দ্রাক্ষা
৭৪.আজীবন সধবা যে নারী=চিরায়ুষ্মতী
৭৫.উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ধন=রিকথ
৭৬.উটের/হস্তীর শাবক=করভ
৭৭.ঋষির দ্বারা উক্ত(কথিত) =আর্য
৭৮.ঋজুর ভাব=আর্জব
৭৯.ঋতুর সম্বন্ধে=আর্তব
৮০.ঔষধের আনুষঙ্গিক সেব্য=অনুপান
৮১.কংসের শত্রু যিনি=কংসারি
৮২.কালো হলুদের মিশানো রঙ=কপিশ,কপিল
৮৩.ক্ষুধার অল্পতা=অগ্নিমান্দ্য
৮৪.কটিদেশ থেকে পদতল পর্যন্ত অংশ=অধঃকায়
৮৫.কৃষ্ণবর্ণ হরিণ=কালসার
৮৬.ক্রীড়নশীল তরঙ্গ =চলোর্মি
৮৭.কাচের তৈরি ঘর=শিশমহল
৮৮.কোন বিষয়ে যে শ্রদ্ধা হারিয়েছে= বীতশ্রদ্ধ
৮৯.কনুই থেকে বদ্ধ মুষ্টি পর্যন্ত পরিমাণ=রত্নি
৯০.কপালে আঁকা তিলক=রসকলি
৯১.কচি তৃণাবৃত ভূমি=শাদ্বল
৯২.ক্ষিতি, জল,তেজ বায়ু থেকে সঞ্জাত =চতুভৌতিক
৯৩.গৃহের প্রধান প্রবেশ পথ=দেহলি,দেউড়ি
৯৪.গরম জল=উষ্ণোদক
৯৫.গর্দভের বাসস্থান =খরশাল
৯৬.গুরুগৃহে বাস=অন্তেবাসী
৯৭.গ্রন্থাদির অধ্যায় =স্কন্দ
৯৮.গুরুর পত্নী =গুর্বী
৯৯.গাধার ডাক=রাসভ
১০০.ঘর্ষণ বা পেষণজাত গন্ধ=পরিমল
১০১.ঘোর অন্ধকার রাত্রি =তামসী,তমিস্রা
১০২.চোখের কোণ=অপাঙ্গ
১০৩.ছুতারের বৃত্তি=তক্ষণ
১০৪.চিত্তের তৃপ্তিদায়ক=দিলখোশ
১০৫ জানায় যে=জ্ঞাপক
১০৬.ছিন্ন বস্ত্র=চীর
১০৭.জজের বৃত্তি=জজিয়াতী
১০৮.জলবহুল স্থান =অনুপ,জলা
১০৯.জানা উচিত =জ্ঞেয়
১১০.ত্বরার সঙ্গে বর্তমান=সত্বর
১১১.ত্বরায় গমন করে যে=তুরগ
১১২.তৃণাদির গুচ্ছ=স্তন্ব
১১৩.তরল অথচ গাঢ়=সান্দ্র
১১৪.তোপের ধ্বনি=গুড়ুম
১১৫.তস্করের কাজ=তাস্কর্য
১১৬.তোমার মত=ত্বাদৃশ
১১৭.তার মত=তাদৃশ
১১৮.তনুর ভাব=তনিমা
১১৯.থেমে থেমে চলার যে ভঙ্গি=ঠমক
১২০.দাম উদরে যাহার=দামোদর
১২১.দেবতা থেকে উৎপন্ন বা দৈবজাত=আধিদৈবিক
১২২.দুরথীর যুদ্ধ =দ্বৈরথ
১২৩.দুই নদীর মধ্যবর্তী স্থান =দোয়াব
১২৪.দৈনন্দিন জীবনের লিখিত বিবরণ =রোজনামচা
১২৫.দুগ্ধবতী গাভী=পয়স্বিনী
১২৬.ধান্যাদি পরিমাপকারী =কয়ালি
১২৭.নিবেদন করা হয় যা=নৈবদ্য
১২৮.নির্ভুল মুনিবাক্য=আপ্তবাক্য
১২৯.নিকৃষ্ট ব্যক্তি =অজন
১৩০.নিচে জল আছে যার=অন্তঃসলিলা
১৩১.প্রস্থান করতে উদ্যত =চলিষ্ণু
১৩২.প্রদীপ শীর্ষের কালি=অঞ্জন
১৩৩.পেতে ইচ্ছা=ঈপ্সা
১৩৪.পেটের পীড়া ও তৎসহ জ্বর =জ্বরাতিসার
১৩৫.প্রতিবিধান করার ইচ্ছা=প্রতিবিধিৎসা
১৩৬.পাখির ডানা ঝাপটা =পাখসাট
১৩৭.পায়ে হেঁটে যে গমন করে না=পন্নগ
১৩৮.পায়ে হাঁটা =পদব্রজ
১৩৯.ফিকা কমলা রঙ=বাসন্তী
১৪০.পুরুষের কর্ণভূষণ =বীরবৌলি
১৪১.পূর্ণিমার চাঁদ =রাকা
১৪২.প্রভাতের নবোদিত সূর্য=বালার্ক,বালসূর্য
১৪৩.বসন আলগা যার=অসংবৃত
১৪৪.বীজ বপনের উপযুক্ত সময়=জো
১৪৫.বেলা ভূমিকে অতিক্রম =উদ্বেল
১৪৬.বিশেষ ভাবে দর্শন =বীক্ষণ
১৪৭.ভোরে গাওয়ার উপযুক্ত গান=ভোরাই
১৪৮.মরনের জন্য অনশন =প্রায়োপবেশন
১৪৯.মেঘের ধ্বনি=জীমূতমন্ত্র
১৫০.মন্থন করা হয়েছে=মথিত
১৫১.মাথায় টাক=খলতি
১৫২.যার কিছু নেই=আকিঞ্চন
১৫৩.যাহার বসন (পোশাক) মাটির রঙের=গৈরিকবসনা
১৫৪.যার পঞ্জরাস্থি ক্ষীণ =উনপাঁজুরে
১৫৫.যার দিক থেকে চক্ষু ফেরানো যায় না=অসেচনক
১৫৬.বলা হতে যাচ্ছে বা হবে=বক্ষ্যমাণ
১৫৭.যার কীর্তি শ্রবণে পূণ্য জন্মে=পূণ্যশ্লোক
১৫৮.যাহা উচ্চারণ করিতে কষ্ট হয়=দুরুচ্চার্য
১৫৯.যে স্ত্রীর বশীভূত =স্ত্রৈণ
১৬০.যা শুনলে দুঃখ দূর হয়=দুঃশ্রব
১৬১.যা গমন করে না=নগ
১৬২.যার স্পৃহা দূর হয়েছে=বীতস্পৃহ
১৬৩.লয় প্রাপ্ত হয়েছে=লীন
১৬৪.শত্রুকে পীড়া দেয় যে=পরন্তপ
১৬৫.শক্তির উপাসনা করে যে=শাক্ত
১৬৬.শাল গাছের ন্যায় দীর্ঘাকার=শালপ্রাংশু
১৬৭.ষাঁড়ের চেহারা তুল্য =ষণ্ডামার্কা
১৬৮.সুদে টাকা খাটানো=তেজারতি
১৬৯.স্বর্গের গঙ্গা=মন্দাকিনী
১৭০.হাতি বাঁধার রজ্জু=আন্দু
১৭১.হস্তী রাখার স্থান =বারী,পিলখানা
১৭২.হস্তী তাড়নের নিমিত্ত ব্যবহৃত লৌহদণ্ড =অঙ্কুশ
১৭৩.হস্তীর চারণভূমি=প্রচার
১৭৪.হত্যা করে যে=হন্তারক
১৭৫.অব্যক্ত মধুর ধ্বনি=কলতান
১৭৬.যার বাসস্থান নেই=অনিকেতন
১৭৭.আয়ুর পক্ষে হিতকর=আয়ুষ্য
১৭৮.ইতয়ার পুত্র=ঐতরেয়
১৭৯.কর্মে অতিশয় তৎপর =করিৎকর্মা
১৮০.কুরুর পুত্র=কৌরব
১৮১.কুন্তীর পুত্র=কৌন্তের
১৮২.চৌত্রিশ অক্ষরে স্তব=চৌতিশা
১৮৩.জয়লাভ করতে অভ্যস্ত যে=জিষ্ণু
১৮৪.জয় করার যোগ্য=জেতব্য
১৮৫.তমঃদূর করে যে=তমোনাশ
১৮৬.দান করে যে কেড়ে নেয়=দত্তাপহারী
১৮৭.দান করার ইচ্ছা=দিৎসা
১৮৮.ন্যায় শাস্ত্রে পণ্ডিত যিনি=নৈয়ায়িক
১৮৯.পিতার ভগিনী=পিতৃষসা
১৯০.পুণ্ডরীক্ষের ন্যায় অক্ষি যার=পুণ্ডরীকাক্ষ
১৯১.বাক্য ও মনের অগোচর=অবাঙ্মনসগোচর
১৯২.ভ্রাতাদের মধ্যে সদ্ভাব =সৌভ্রাত্র
১৯৩.মৃত্যু কামনায় উপবাস=প্রায়োপবেশন
১৯৪.যে আতপ থেকে ত্রাণ করে=আতপত্র
১৯৫.যে সুপথ থেকে ভিন্ন পথে গেছে=উন্মার্গগামী
১৯৬.যে উপরে উঠেছে =আরূঢ়
১৯৭.যে পার হতে ইচ্ছুক=তিতীর্যু
১৯৮.যে অট্টালিকা দেখতে সুন্দর=হর্ম্য
১৯৯.যে নদীর জল পূণ্যদায়ক=পূণ্যতোয়া
২০০.যে অস্ত্র একশত জনকে বধ করতে পারে=শতঘ্নী
২০১.যে বহু বুলি বলে=হরবোলা
২০২.যা বিচারের দ্বারা ঠিক করা যায় না=অপ্রতর্ক্য
২০৩.যা মিলিয়ে যাচ্ছে=অপমৃয়মান
২০৪.যা পূর্বে কথিত বা উল্লিখিত =প্রাগুক্ত
২০৫.যা শল্য ব্যথা দূর করে=বিশল্যকরণী
২০৬.যার উদর বক্রগতি সম্পন্ন=কাকোদর
২০৭.শুনতে ইচ্ছুক=শুশ্রুষু
২০৮.হস্তীর চিৎকার =বৃংচিত
২০৯.রঘুর পুত্র=রাঘব
২১০.পদ্মের ডাঁটা=মৃণাল
২১১.হাতির পিঠে আরোহী বসার স্থান =হাওদা
২১২.যা সহজে অপনীত হবার নয়=দুরপনেয়
২১৩.সন্তানের মত যত্নে=অপত্যনির্বিশেষে
২১৪.যে রমণীর হাসি পবিত্র=শুচিস্মিতা
২১৫.যে রমণীর হাসি সুন্দর=সুহাসিনী
চাকরি ও বিসিএস পরীক্ষা
অকালে পক্ব হয়েছে যা—অকালপক্ব।
অক্ষির অগোচরে—পরোক্ষ।
অক্ষির সম্মুখে—প্রত্যক্ষ।
অগ্রে গমন করে যে—অগ্রগামী।
অতি দীর্ঘ নয়—নাতিদীর্ঘ।
অতি শীতলও নয় অতি উষ্ণও নয়—নাতিশীতোষ্ণ।
অগ্রে জন্মগ্রহণ করেছে যে—অগ্রজ।
অনেক কষ্টে ভিক্ষা পাওয়া যায় যখন—দুর্ভিক্ষ।
অনেকের মধ্যে একজন—অন্যতম।
অনুসন্ধান করার ইচ্ছা— অনুসন্ধিৎসা।
পশ্চাতে গমন করে যে—অনুগামী।
অবশ্যই যা ঘটবে—অবশ্যম্ভাবী।
অভিজ্ঞতার অভাব যার— অনভিজ্ঞ।
অহংকার করে যে—অহংকারী।
অহংকার নেই এমন—নিরহংকার।
অল্প ব্যয় করে যে—মিতব্যয়ী।
আকাশ পথে যে যান ব্যবহার করা যায়—নভোযান।
আচারে নিষ্ঠা আছে যার— আচারনিষ্ঠ।
আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত—আদ্যন্ত।
আপনার বর্ণ লুকায় যে— বর্ণচোরা।
আমিষের অভাব—নিরামিষ।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস আছে যার— আস্তিক।
আল্লাহর অস্তিত্বে বিশ্বাস নেই যার— নাস্তিক।
আকাশে ওড়ে যে—খেচর।
ইতিহাস জানেন যিনি— ইতিহাসবেত্তা।
ইন্দ্রিয়কে জয় করেছে যে—জিতেন্দ্রিয়।
ক্ষণকালের জন্য স্থায়ী—ক্ষণস্থায়ী।
উপায় নেই যার—নিরুপায়।
উপকার করেন যিনি—উপকারক।
উপকারীর উপকার স্বীকার করা— কৃতজ্ঞতা
কল্পনা করা যায় না এমন— অকল্পনীয়।
খাওয়ার ইচ্ছা—ক্ষুধা।
গরুর ডাক—হাম্বা।
চোখে যার লজ্জা নেই— চশমখোর।
জন্ম থেকে আরম্ভ করে—আজন্ম।
জানা আছে যা—জ্ঞাত।
জানা নেই যা—অজ্ঞাত।
জলে ও স্থলে চরে যে—উভচর।
জায়া ও পতি—দম্পতি।
জীবন পর্যন্ত—আজীবন।
একই গুরুর শিষ্য—সতীর্থ।
একই বিষয়ে যার চিত্ত নিবিষ্ট— একাগ্রচিত্ত।
একই সময়ে—যুগপৎ।
একই সময়ে বর্তমান— সমসাময়িক।
একই মাতার উদরে জন্ম যাদের— সহোদর।
কোনো ভাবেই যা নিবারণ করা যায় না—অনিবার্য।
কণ্ঠ পর্যন্ত—আকণ্ঠ।
কম কথা বলে যে—মিতভাষী।
যার কোনো কিছুতে ভয় নেই—অকুতোভয়।
যার অন্য উপায় নেই—অনন্যোপায়।
যার কাজ করার শক্তি আছে—সক্ষম।
যার আকার নেই—নিরাকার।
যার পীড়া হয়েছে—পীড়িত।
যার উপস্থিত বুদ্ধি আছে—প্রত্যুৎপন্নমতি।
যিনি অধিক ব্যয় করেন না—মিতব্যয়ী।
যিনি শিক্ষা দান করেন—শিক্ষক।
যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন—বিশেষজ্ঞ।
শুভক্ষণে জন্ম যার—ক্ষণজন্মা।
শত্রুকে দমন করে যে—অরিন্দম।
শৈশবকাল অবধি—আশৈশব।
শুকনো পাতার শব্দ—মর্মর।
সকলের জন্য প্রযোজ্য—সর্বজনীন।
সমুদ্র পর্যন্ত—আসমুদ্র।
সমস্ত পৃথিবীর লোকের বন্দনাযোগ্য —বিশ্ববন্দিত, বিশ্ববন্দ্য।
সারা দুনিয়ায় খ্যাত—জগদ্বিখ্যাত।
সাধনা করেন যিনি—সাধক।
সিংহের ডাক—হুংকার।
সোনার মতো দেখতে—সোনালি।
হনন করার ইচ্ছা—জিঘাংসা।
হরিণের চামড়া—অজিন।
হিত কামনা করে যে—হিতৈষী।
হঠাৎ রাগ করে যে—রগচটা।
হাতির ডাক—বৃংহণ/বৃংহিত।
কষ্টে গমন করা যায় যেখানে—দুর্গম।
কোথাও উঁচু কোথাও নিচু—বন্ধুর।
কী করতে হবে তা বুঝতে না পারা কিংকর্তব্যবিমূঢ়
কূলের সমীপে—উপকূল।
কর্ম সম্পাদনে পরিশ্রমী—কর্মঠ।
কল্পনা করা যায় না এমন—অকল্পনীয়।
কোকিলের স্বর—কুহু।
খাবার যোগ্য—খাদ্য।
খ্যাতি আছে যার—খ্যাতিমান।
ঘোড়ার ডাক—হ্রেষা।
চিরদিন মনে রাখার যোগ্য—চিরস্মরণীয়।
জানার ইচ্ছা—জিজ্ঞাসা।
জয়ের জন্য যে উৎসব—জয়োৎসব।
ডালের আগা—মগডাল।
তুলনা হয় না এমন—অতুলনীয়।
তিন রাস্তার মোড়—তেমাথা।
তাল ঠিক নেই যার—বেতাল।
ত্রি (তিন) ফলের সমাহার—ত্রিফলা।
দমন করা যায় না এমন—অদম্য।
দিনের মধ্যভাগ—মধ্যাহ্ন।
দিনে যে একবার আহার করে—একাহারী।
দিবসের প্রথম ভাগ—পূর্বাহ্ন।
দিবসের শেষ ভাগ—অপরাহ্ন।
দূরে দেখে না যে—অদূরদর্শী।
নষ্ট হয় যা—নশ্বর।
নিশাকালে চরে বেড়ায় যে—নিশাচর।
নদীমাতা যার—নদীমাতৃক।
নূপুরের শব্দ—নিক্বণ।
নতুন কিছু তৈরি করা—উদ্ভাবন।
নিজের অধিকার—স্বাধিকার।
নষ্ট হয়ে যাওয়া জিনিসের গাদা—আবর্জনা।
নিজের ইচ্ছায়—স্বেচ্ছায়।
পরের অধীন—পরাধীন।
পা থেকে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পান করার ইচ্ছা—পিপাসা।
প্রতিভা আছে যার—প্রতিভাবান।
পরিহার করা যায় না এমন—অপরিহার্য।
পান করার যোগ্য—পেয়।
প্রহরা দেয় যে—প্রহরী।
পাখির কলরব—কূজন।
পান করার ইচ্ছা—পিপাসা।
পা হতে মাথা পর্যন্ত—আপাদমস্তক।
পেছনে সরে যাওয়া—পশ্চাদপসরণ।
প্রাণ আছে যার—প্রাণী।
ফল পাকলে যে গাছ মরে যায়—ওষধি।
বাঘের ডাক—গর্জন।
বয়সে সবচেয়ে ছোট—কনিষ্ঠ।
বয়সে সবচেয়ে বড়—জ্যেষ্ঠ।
বেশি কথা বলে যে—বাচাল।
বরণ করার যোগ্য—বরণীয়।
বিচার নেই এমন—অবিচার্য।
ব্যাকরণ জানেন যিনি—বৈয়াকরণ।
বীরদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ—বীরশ্রেষ্ঠ।
বেঁচে আছে এমন—জীবিত।
বিনা পয়সায়—মুফত/মাগনা।
বিভিন্ন জাতি সম্পর্কীয়—বহুজাতিক।
বড় গ্রহকে ঘিরে যে ছোট গ্রহ ঘোরে—উপগ্রহ।
ভয় নেই যার—নির্ভীক।
ভিক্ষার অভাব—দুর্ভিক্ষ।
ভাষা সম্পর্কে যিনি বিশেষ জ্ঞান রাখেন — ভাষাবিদ।
ভোজন করতে ইচ্ছুক—বুভুক্ষু।
ভাবা যায় না এমন—অভাবনীয়।
ভ্রমরের গান—গুঞ্জন।
মধুর ধ্বনি—মধুরা।
মরণ পর্যন্ত—আমরণ।
মৃতের মতো অবস্থা—মুমূর্ষু।
মেধা আছে যার—মেধাবী।
ময়ূরের ডাক—কেকা।
মায়ের মতো যে ভূমি—মাতৃভূমি।
মিষ্টি কথা বলে যে—মিষ্টভাষী।
যে গাছ অন্য গাছের ওপর জন্মে— পরগাছা।
যে নারীর পুত্রসন্তান হয়নি—অপুত্রক।
যে পরিণাম বোঝে না— অপরিণামদর্শী।
যে গাছে ফল ধরে, কিন্তু ফুল ধরে না—বনস্পতি।
যে জামাই শ্বশুরবাড়ি থাকে— ঘরজামাই।
যে মেয়ের বিয়ে হয়নি—অনূঢ়া।
যে পরে জন্মগ্রহণ করেছে—অনুজ।
যে জমিতে দুবার ফসল হয়—দো-ফসলা।
যে সংবাদ বহন করে—সাংবাদিক।
যে অত্যাচার করে—অত্যাচারী।
যে শব্দ বাধা পেয়ে ফিরে আসে— প্রতিধ্বনি।
যে অন্যের অধীন নয়—স্বাধীন।
যে নৌকা চালায়—মাঝি।
যেখানে লোকজন বাস করে— লোকালয়।
যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে —কৃতজ্ঞ।
যে হিংসা করে—হিংসক।
যে উপকারীর অপকার করে—কৃতঘ্ন।
যে বিদেশে থাকে—প্রবাসী।
যে আকাশে চরে—খেচর।
যা মর্ম স্পর্শ করে—মর্মস্পর্শী।
যা সহজে লাভ করা যায়—সুলভ।
যা সহজে লাভ করা যায়—সুলভ।
যা সহজে ভেঙে যায়—ভঙ্গুর।
যা বালকের মধ্যেই সুলভ—বালসুলভ।
যা লাফিয়ে চলে—প্লবগ।
যা বুকে হাঁটে—সরীসৃপ।
যা বলার যোগ্য নয়—অকথ্য।
যা চুষে খাওয়া যায়—চুষ্য।
যা জলে জন্মে—জলজ।
যা দেখা যাচ্ছে—দৃশ্যমান।
যা পূর্বে ছিল এখন নেই—ভূতপূর্ব।
যা একইভাবে চলে —গতানুগতিক।
যা বাক্যে প্রকাশ করা যায় না— অবর্ণনীয়।
যা কষ্ট করে জয় করা যায়— দুর্জয়।
যা হবেই/হইবে—ভাবী।
যা সহজে দমন করা যায় না— দুর্দমনীয়।
যা মাটি ভেদ করে ওঠে—উদ্ভিদ।
যা ফুরায় না—অফুরান।
যা জলে চরে—জলচর।
যা কষ্টে লাভ করা যায়—দুর্লভ।
যা পূর্বে ঘটেনি—অভূতপূর্ব।
যার তল স্পর্শ করা যায় না— অতলস্পর্শী।
যার বিশেষ খ্যাতি আছে—বিখ্যাত।
যার নাম কেউ জানে না— অজ্ঞাতনামা।
যার পত্নী গত হয়েছে—বিপত্মীক।
যার ভাতের অভাব—হাভাতে।
যার মমতা নেই—নির্মম।
যার তুলনা হয় না—অতুলনীয়।
যার সীমা নেই—অসীম।
যার তুলনা নেই—অতুলনীয়।
যার অন্ত নেই—অন্তহীন।
যার শত্রু জন্মায়নি—অজাতশত্রু।
গরু রাখার স্থান — গোয়াল।
ঢেউয়ের ধ্বনি — কল্লোল।
পুবের বাতাস — পুবালি।
গরু চরায় যে — রাখাল।
গাভির ডাক — হাম্বা।
বিশ্বের যে নবী — বিশ্বনবী।
বিদেশে থাকে যে — প্রবাসী।
পুতুল পূজা করে যে — পৌত্তলিক।
রুপার মতো — রুপালি।
মাটির তৈরি শিল্পকর্ম — মৃৎশিল্প।
আঠা যুক্ত আছে যাতে — আঠালো।
চালচলনের উৎকর্ষ — সভ্যতা।
পুরুষানুক্রমিক — ঐতিহ্য।
চিত্রকর্মের কাঠামো — নকশা।
জীবন পর্যন্ত — আজীবন।
জনশূন্য স্থান — নির্জন।
যে বৃক্ষের ফুল না হলেও ফল হয় — বনস্পতি।
মধু সংগ্রহকারী পতঙ্গবিশেষ — মৌমাছি।
জ্ঞানের সঙ্গে বিদ্যমান — সজ্ঞান।
আপনাকে ভুলে থাকে যে — আপনভোলা।
বিলম্বে নয় এমন — অবিলম্বে।
স্থির নয় এমন — অস্থির।
ফুল হতে জাত — ফুলেল।
আলাপ করতে তৎপর — আলাপী।
আলোচনার বিষয়বস্তু — আলোচ্য।
মুক্তি কামনা করে যে — মুক্তিকামী।
মৃত্তিকা দিয়ে নির্মিত — মৃন্ময়।
স্রোত আছে যার — স্রোতস্বতী।
প্রাচীন ইতিহাস — প্রত্নতাত্ত্বিক।
প্রাণিদেহ থেকে লব্ধ — প্রাণিজ।
রোগনাশক গাছগাছড়া — ভেষজ।
আলো ছড়ায় যে পাখি — আলোর পাখি।
শিক্ষা করছে যে — শিক্ষানবিশ।
বিচিত্রতায় পূর্ণ যা — বৈচিত্র্যপূর্ণ।
যেখানে লোকজনের বসবাস আছ, এদেশে মুক্তির জন্য যারা সংগ্রাম করেছেন,গবেষণা করেন যিনি ইত্যাদি নাই।
উত্তরমুছুন