কামরাঙা
শুক্রবার, ২ আগস্ট, ২০১৯
Comment
কামরাঙা |
বাড়ির আনাচে-কানাচে গজিয়ে ওঠা গাছ কামরাঙ্গা। সবুজ ও হলুদের মিশ্রণে বাহারি ফলটির বেশ চাহিদা রয়েছে আমাদের কাছে। এই সময়ে ফলটি বাজারেও বেশ সহজলভ্য। অন্যান্য ফলের তুলনায় এর দামও কম। তাই ঔষধীগুণ সমৃদ্ধ ফল কামরাঙ্গা যেমন পূরণ করবে শরীরের পুষ্টি তেমনি প্রতিরোধ করবে নানান রোগ। টক ও মিষ্টি স্বাদযুক্ত দু’ধরনের কামরাঙ্গা সাধারণত পাওয়া যায়। এতে ভিটামিন-এ অল্প পরিমাণে থাকলেও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে থাকে।এতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ আম, আনারস ও আঙ্গুরের চেয়ে বেশি। কামরাঙ্গায় আয়রনের পরিমাণ পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, লিচু, কমলালেবু ও ডাবের পানির থেকেও বেশি। আবার কামরাঙ্গা দিয়ে জ্যাম, জেলি, চাটনি ইত্যাদি তৈরি করা যায়। জেনে নিই এর উপকারিতা :
এতে থাকে এলজিক এসিড যা খাদ্যনালির (অন্ত্রের) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
এর পাতা ও কচি ফলের রসে রয়েছে ট্যানিন, যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
পাকা ফল রক্তক্ষরণ বন্ধ করে।
ফল ও পাতা গরম পানিতে সিদ্ধ করে পান করলে বমি বন্ধ হয়।
কামরাঙ্গা ত্বক মসৃণ করে।
এর পাতা ও ডগার গুঁড়া খেলে জলবসন্ত ও বক্রকৃমি নিরাময় হয়।
কামরাঙ্গা পুড়িয়ে ভর্তা করে খেলে ঠান্ডাজনিত (সর্দিকাশি) সমস্যা সহজেই ভালো হয়ে যায়।
এর মূল বিষনাশক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
কামরাঙ্গা ভর্তা রুচি ও হজমশক্তি বাড়ায়।
পেটের ব্যথায় কামরাঙ্গা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
শুকানো কামরাঙ্গা জ্বরের জন্য খুবই উপকারী।
২ গ্রাম পরিমাণ শুকনো কামরাঙ্গার গুঁড়া পানির সঙ্গে রোজ একবার করে খেলে অর্শ রোগে উপকার পাওয়া যায়।
১৩) কামরাঙ্গা শীতল ও টক। তাই ঘাম, কফ ও বাতনাশক হিসেবে কাজ করে। তবে অধিক পরিমাণে কামরাঙা বা তার জুস খেলে ক্ষতির সম্ভাবনাও রয়েছে।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "কামরাঙা"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন