আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

আজ ১৪ ডিসেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে

আজ ১৪ ডিসেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে

আজ ১৪ ডিসেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে
আজ ১৪ ডিসেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে  
একটি দিন ২৪ ঘণ্টা। ১৪৪০ মিনিট। ৮৬ হাজার ৪০০ সেকেন্ড। সময়ের হিসেবে অতি অল্প সময়। আবার একটি ঘটনার জন্য যথেষ্ট সময়। আমাদের আবাসস্থল পৃথিবী, নীল গ্রহের দিনগুলোর ইতিহাস নিয়ে সারাবাংলার একটি ধারাবাহিক আয়োজন ‘কালের ক্যালেন্ডার’। আর চালু হয় কালের দিনলিপি ক্যালেন্ডার। ৩৬৫ দিনের বছরে কালের আবর্তনে ঘুরে ফিরে আসে এই দিনগুলোই। দিনগুলো যেন পৃথিবীর ইতিহাস লুকিয়ে রেখেছে নিজের বুকে।ইতিহাস ঘেটে দেখা যায় বছরের প্রতিটি দিনে ঘটেছেঅনেক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। প্রতিটা দিন ইতিহাসে কোন না কোন কারনে জায়গা করে নিয়েছে। প্রতিটি দিন সাক্ষী হচ্ছে নতুন নতুন ইতিহাসের। পৃথিবীর এত মানুষের মাঝে কারো কাছে আজকের দিনটি বিশেষ কারো কাছে চাওয়ার / পাওয়ার / কষ্টের / সুখের। যাই হোক আসুন দেখে নিই আজকের এই দিনে ঘটে যাওয়া উল্লেখযোগ্য ঘটনা, বিশিষ্টজনের জন্ম-মৃত্যুদিনসহ গুরুত্বপূর্ণ আরও কিছু বিষয়।

১৪ ডিসেম্বর গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে বছরের ৩৪৮তম (অধিবর্ষে ৩৪৯তম) দিন। বছর শেষ হতে আরো ১৭ দিন বাকি রয়েছে।

ঘটনাবলি:
১১২৪ - থিওবাল্ড বুক্কাপেকাস পোপ নির্বাচিত হন।
১৫৬৮ - রাজকুমারী মেরী স্টুয়ার্ট স্কটল্যান্ডের রাণী হন।
১৫৭৫ - ইস্টভান বাথোরি পোল্যান্ডের রাজা নির্বাচিত হন।
১৬৫৬ - প্রথম কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হয়।
১৮০৫ - ফসিল জ্বালানী হিসেবে পাথুরে কয়লার তীব্র তাপ শক্তি উৎপাদনের ক্ষমতার বিষয়টি আবিষ্কৃত হয়।
১৯০১ - বিজ্ঞানী ম্যাক্স প্ল্যাংকের কোয়ান্টাম তত্ত্ব উপস্থাপন।
১৯০৩ - বিমান আবিষ্কারকারী রাইট ভাতৃদ্বয় উত্তর ক্যারোলিনায় প্রথম আকাশযান উড্ডয়নের প্রচেষ্টা নেন।
১৯১১ - নরওয়েজিয়ান অভিযাত্রী রোল্ড আমুন্ডেসন ওলাভ জালান্ড, হেলমার হ্যানসেন, স্ভেরে হ্যাসেল ও অস্কার উইস্টিংকে নিয়ে গড়া তার দল নিয়ে প্রথম দক্ষিণ মেরুতে পা রাখে।
১৯১৫ - জ্যাক জনসন কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবে প্রথম হেভিওয়েট মুষ্টিযুদ্ধে চ্যাম্পিয়ন হন।
১৯১৮ - ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে মহিলাদের সর্বপ্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগ।
১৯৪৬ - আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা ( আইএলও ) জাতিসংঘের সহায়ক সংস্থা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করে ।
১৯৪৬ - জাতিসংঘের জেনারেল এসেম্বলী নিউ ইয়র্কে সদর দপ্তর স্থাপনের পক্ষে ভোট দেয়।
১৯৪৭ - রুমানিয়া প্রজাতন্ত্রী দেশে পরিণত।
১৯৫৫ - আলবেনিয়া, অস্টৃয়া, বুলগেরীয়া, ক্যাম্বোডিয়া, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরী, আয়ারল্যা ন্ড, ইতালী, জর্দান, লাওস, লিবিয়া, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্পেন ও শ্রীলংকা জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৬০ - সোমালিয়ার সঙ্গে চীনের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয় ।
১৯৬১ - তাঞ্জানিয়া জাতিসংঘে যোগ দেয়।
১৯৭১ - মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার, আল বদর, আল শামস বাহিনী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বরেণ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের রাতের আঁধারে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধে আলবদর বাহিনী বাংলাদেশের অগণিত বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। নিহত ও নিখোঁজ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক ড. গোবিন্দ চন্দ্র দেব, অধ্যাপক ড. মুনির চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, অধ্যাপক ড. আনোয়ার পাশা, অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের, অধ্যাপক ড. জ্যোতির্ময় গুহঠাকুরতা, অধ্যাপক ড. সিরাজুল হক খান, অধ্যাপক ড. এ এন এম ফাইজুল মাহী, হুমায়ূন কবীর, অধ্যাপক রাশিদুল হাসান, সাজিদুল হাসান, ফজলুর রহমান খান, এন এম মনিরুজ্জামান, এ মুকতাদির, শরাফত আলী, এ আর কে খাদেম, অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য, এম এ সাদেক, এম সাদত আলী, সন্তোষ চন্দ্র ভট্টাচার্য, গিয়াসউদ্দিন আহমদ, ডা. এম মর্তুজা, ড. হবিবুর রহমান, ড. সুখারঞ্জন সমাদ্দার, মীর আবদুল কাইউম, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, অধ্যাপক ডা. আলিম চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. শামসুদ্দীন আহমেদ, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আলিম চৌধুরী, ডা. হুমায়ুন কবীর, ডা. আজহারুল হক, ডা. সোলায়মান খান, ডা. আয়েশা বদেরা চৌধুরী, ডা. কসির উদ্দিন তালুকদার, ডা. মনসুর আলী, ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা, ডা. মফিজউদ্দীন খান, ডা. জাহাঙ্গীর, ডা. নুরুল ইমাম, ডা. এস কে লালা, ডা. হেমচন্দ্র বসাক, ডা. ওবায়দুল হক, ডা. আসাদুল হক, ডা. মোসাব্বের আহমেদ, ডা. আজহারুল হক, ডা. মোহাম্মদ শফী, সাংবাদিক শহীদুল্লাহ কায়সার, সাংবাদিক নিজামুদ্দীন আহমেদ, সাংবাদিক সেলিনা পারভীন, সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন, সাংবাদিক আ ন ম গোলাম মুস্তফা, সাংবাদিক খন্দকার আবু তালেব, সাংবাদিক শহীদ সাবের, সৈয়দ নাজমুল হক, গীতিকার ও সুরকার আলতাফ মাহমুদ, রাজনীতিবিদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, সমাজসেবক ও দানবীর রণদাপ্রসাদ সাহা, শিক্ষাবিদ ও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক যোগেশ চন্দ্র ঘোষ, লেখক ও চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান, কবি মেহেরুন্নেসা, শিক্ষাবিদ ও গণিতজ্ঞ ড. আবুল কালাম আজাদ, আইনজীবী নজমুল হক সরকার, সমাজসেবক ও আয়ূর্বেদিক চিকিৎসক নূতন চন্দ্র সিংহসহ ।

১৯৮১ - ইহুদিবাদী ইসরাইলের সংসদ অধিকৃত গোলান মালভূমিকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইলের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে।
১৯৯৪ - সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে চীনের তখনকার রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী লি ফেং সারা বিশ্বের কাছে “ইয়াংসি নদীর তিনগিরিখাত প্রকল্পের নির্মাণকাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু ” হবার কথা ঘোষণা করেন।
১৯৯৫ - প্যারিসে বসনীয় শান্তিচুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত হয়।
১৯৯৫ - প্যারিসে এক সম্মেলনে ডেইটন চুক্তি চূড়ান্ত করা হয় এবং একই বছরের ২১ শে নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডেইটন নামক স্থানে মার্কিন কর্মকর্তাদের চাপের মুখে বসনিয়ার মুসলমান, সার্ব ও ক্রোয়াট নেতৃবৃন্দ এ চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
১৯৯৬ - বাংলাদেশে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল বিলে প্রেসিডেন্টের স্বাক্ষর।
১৯৯৯ - কিরিবাতি, নাউরু, টোঙ্গা জাতিসংঘে যোগ দেয়।

জন্ম:
১৫০৩ - ফরাশী ভবিষ্যৎবক্তা নস্তারদামুস।
১৫৪৬ - ড্যানিশ জোত্যির্বিদ ও রসায়নবিদ টাইকো ব্রাহে।
১৬২৬ - জাপানের সম্রাট গো-সুজাকো।
১৯১২ - সঙ্গীতশিল্পী ও সুরকার হেমাঙ্গ বিশ্বাস।
১৯৪৬ - ইংরেজ ঐতিহাসিক এন্টনি বিভোর।

মৃত্যু:
১১৩৬ - নরওয়ের সম্রাট চতুর্থ হেরাল্ড।
১৫৪২ - স্কটল্যান্ডের রাজা পঞ্চম জেমস।
১৭৯৯ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন ভার্জিনিয়ার মাউন্ট ভারননে।
১৯৭০ - কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক।
১৯৮৪ - সুরকার, সংগীত পরিচালক ধীর আলী মিয়া।
১৯৮৯ - সোভিয়েত ইউনিয়নের পরমাণু বিজ্ঞানী, ভিন্নামতাবলম্বী এবং মানবাধিকার কর্মী আন্দ্রে শাখারভ।
১৯৯৯ - ভাষা সৈনিক আবদুল লতিফ।
১৯৭১ - মহিউদ্দীন জাহাঙ্গীর, বীরশ্রেষ্ঠ, মুক্তিযোদ্ধা।
২০১৮ - আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশের অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্রকার।


১৯৭১ বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড
  • শহীদুল্লাহ কায়সার, লেখক।
  • মুনীর চৌধুরী, ভাষাবিজ্ঞানী।
  • মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, মননশীল প্রবন্ধকার, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের গবেষক, শিক্ষাবিদ।
  • এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী - চিকিৎসক।
  • আবুল খায়ের - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যপক।
  • ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাবিজ্ঞানের শিক্ষক ও চিকিৎসক।
  • ড. ফয়জুল মহী - শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের গবেষক।
  • গিয়াসউদ্দীন আহমদ - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সিনিয়র অধ্যাপক।
  • আ ন ম গোলাম মোস্তফা - দৈনিক পূর্বদেশ-এর সাংবাদিক।
  • আনোয়ার পাশা - কবি, কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ।
  • ডা. মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি - চিকিৎসক ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রফেসর।
  • সেলিনা পারভীন - সাংবাদিক।
  • সিরাজুল হক খান - শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
  • এস. এম. এ. রাশীদুল হাসান - শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক।
  • সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য - ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক।







১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে

  • বগুড়া :
আজকের এই দিনে পাকসেনাদের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে এ্যাডওয়ার্ড পার্কে ওড়ে বিজয়ের পতাকা। এর আগে হানাদার বাহিনী বগুড়া শহরের দখল নিতে ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কয়েক দফা আক্রমণ চালায়। কিন্তু মুক্তি সেনারা বীরত্বের সঙ্গে ওই আক্রমণ প্রতিহত করেন।

  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ:
এদিনেই মুক্ত হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জ। চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রামকে স্মরণীয় করে রাখতে বীরশ্রেষ্ঠের শহীদ হওয়ার স্থানে মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত সেতুর নাম রাখা হয়েছে শহীদ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর (বীরশ্রেষ্ঠ) সেতু, মহানন্দা নদীর অপর প্রান্তে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ যোদ্ধাদের নাম ফলক, সোনামসজিদে গণকবর এবং সোনামসজিদ প্রাঙ্গণে করা হয়েছে ক্যাপ্টেন জাহাঙ্গীরের সমাধিসৌধ।

  • জয়পুরহাট :
১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে পাক হানাদারদের হটিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে শত শত মুক্তিযোদ্ধা ভোরের আকাশ রাঙিয়ে ওঠার আগেই শীতের কুয়াশা ছিন্নভিন্ন করে ফাঁকা গুলি বর্ষণ ও উল্লাসের মধ্য দিয়ে জয়পুরহাটের ডাকবাংলোতে প্রবেশ করেন। পাকিস্তানি সৈন্য বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার-আলবদররা তখন পালিয়ে বগুড়া ও ঘোড়াঘাটের দিকে ছুটে যায় জীবন বাঁচাতে। জয়পুরহাটের ডাকবাংলো প্রাঙ্গণে প্রথম স্বাধীনতার বিজয় কেতন সোনালি বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার খন্দকার আসাদুজ্জামান বাবলু (বাঘা বাবলু)।

  • সিরাজগঞ্জ :
৯ ডিসেম্বর ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধাদের সমবেত করে সিরাজগঞ্জ মুক্ত করার জন্য মুক্তি বাহিনী শপথ গ্রহণ করে। মুক্তিবাহিনীর নিজস্ব রণকৌশলে চারিদিক থেকে একযোগে আক্রমণ শুরু করে সিরাজগঞ্জ মুক্ত করার জন্যে। সকল মুক্তিযোদ্ধাদের সমবেত করার জন্য সিরাজগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসেন ভুলু ও আমিনুল ইসলাম চৌধুরী (মুজিব বাহিনীর গেরিলা) উদ্যোগ গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে ১৩ ডিসেম্বর মধ্যরাতে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী রেলযোগে ঈশ্বরদী অভিমুখে পালিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ভোরে হাজার হাজার জনতা ও বিজয়ী মুক্তিবাহিনী জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে সিরাজগঞ্জ শহর দখল করে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার মাটিতে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। দিবসটি পালনে আজ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

  • সুজানগর (পাবনা) :
১৯৭১ সালের আজকের এইদিনে পাকসেনারা স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে পরাজিত হলে এখানে স্বাধীনতার পতাকা উড়ানো হয়।

  • পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) :
১৯৭১-এর ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা পাঁচবিবির আকাশে উড়িয়েছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয় পতাকা। খুব সকালে খন্দকার আসাদুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে দেড়শ’ মুক্তিযোদ্ধার একটি দল ভারত থেকে আসেন সীমান্ত ঘেঁষা এ উপজেলার ভূঁইডোবা গ্রামে। অবরুদ্ধ গ্রামবাসীরা মুক্তির আনন্দে উদ্বেল চিত্তে বরণ করেন মুক্তিযোদ্ধাদের। এই দলটি সকাল ১০টার দিকে সদরে আসে। উপজেলায় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে দেন আসাদুজ্জামান বাবলু।

  • তাড়াইল (কিশোরগঞ্জ) :
১৯৭১ সালের ১৩ ডিসেম্বর গভীর রাতে উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুর রহমান খান সেনা মিয়ার নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা উপজেলা সদরের তিন দিক থেকে পাক হানাদার বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। দীর্ঘ চার ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর পাক হানাদার ও তাদের দোসররা ওই রাতেই তাড়াইল বাজারের দক্ষিণ দিক দিয়ে নরসুন্দা নদী পার হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিকামী জনতা তাড়াইল উপজেলা সদরে উত্তোলন করে বিজয়ের লাল-সবুজ পতাকা।


  • মোরেলগঞ্জ (বাগেরহাট) :
মুজিব বাহিনীর প্রধান ডা. মোসলেমউদ্দিনের নেতৃত্বে ১১ জনের একটি দল ১৩ ডিসেম্বর শেষ রাতে উপজেলার পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করে। এ সময় তারা পালিয়ে যায়। পরদিন ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় মোরেলগঞ্জকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মুজিব বাহিনীর সদস্যরা।


আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস


বিপ্লব, বিপ্লব পার্বতীপুর, বিপ্লব হলদিবাড়ী পার্বতীপুর, বিপ্লব হলদিবাড়ী পার্বতীপুর দিনাজপুর,

পোস্টটি লিখেছেন☞☞মোঃ-বিপ্লব পার্বতীপুর ০১৭৮৭৯১৮৮৮
                               BIPLOB
কপি করবেন না☞☞করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "আজ ১৪ ডিসেম্বর: ইতিহাসের আজকের এই দিনে "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel