আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

বান্দরবান জেলা

বান্দরবান জেলা


বান্দরবান জেলা

বান্দরবান জেলা


বান্দরবান জেলা(মোট আয়তন)☞☞৪৪৭৯.০৩ কিমি২ (১৭২৯.৩৬ বর্গমাইল)।

বান্দরবান জেলা(নামকরণ)☞☞বান্দরবন জেলার নামকরণ নিয়ে একটি কিংবদন্তি আছে, এলাকার বাসিন্দাদের মুখে প্রচলিত রূপকথায় অত্র এলাকায় এ সময় অসংখ্য বানর বাস করত। আর এ ই বানরগুলো শহরের প্রবেশ মুখে ছড়ার পাড়ে প্রতিনিয়ত লবণ খেতে আসত। এক সময় অতি বৃষ্টির কারণে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পেলে বানরের দল ছড়া পাড় থেকে পাহাড়ে যেতে না পারায় একে অপরকে ধরে সারিবদ্ধভাবে ছড়া পার হয়। বানরের ছড়া পারাপারের এই র্দশ্য ধেকতে পায় এই জনপদের মানুষ। এই সময় থেকে জায়গাটি "ম্যাঅকছি ছড়া" হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। মার্মা ভাষায় ম্যাঅক শব্দটির অর্থ হল বানর আর ছিঃ শব্দটির অর্থ হল বাধঁ। কালের প্রবাহে বাংল ভাষাভাষির সাধারণ উচ্চারণে এই এলাকার নাম বান্দরবন হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। তবে মার্মা ভাষায় বান্দরবনের প্রকৃত নাম "রদ ক্যওচি চিম্রো'।

বান্দরবান জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞ ১০ অক্টোবর ১৯৮১ সালে বান্দরবান জেলা গঠিত হয়। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার মধ্যে বান্দরবান জেলার অবস্থান তৃতীয়।

বান্দরবান জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞উত্তরে রাঙ্গামাটি জেলা, দক্ষিণে আরাকান (মায়ানমার), পূর্বে চিন প্রদেশ (মায়ানমার) এবং রাঙ্গামাটি জেলা, পশ্চিমে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলা।
                                        বান্দরবান জেলা
বান্দরবান জেলা(মৌজা )☞☞সর্বমোট ৯৬টি  মৌজা।

বান্দরবান জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ০২টি পৌরসভা।

বান্দরবান জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ৩৩টি ইউনিয়ন।

বান্দরবান জেলা(গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ১৪৮২টি গ্রাম।

বান্দরবান জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ০৭টি উপজেলা☞আলীকদম,থানচি,নাইক্ষ্যংছড়ি,বান্দরবান সদর,রুমা,রোয়াংছড়ি,লামা


বান্দরবান জেলা(রেল যোগাযোগ)☞☞ঢাকা থেকে সরাসরি বান্দরবান রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা নেই। ঢাকা থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর সেখান থেকে পূরবী বা পূবার্নী বাসযোগ সরাসরি বান্দরবান যাওয়া যায়।

বান্দরবান জেলা(আকাশ পথ)☞☞ঢাকা থেকে বান্দরবান এর সরাসরি বিমান যোগাযোগ নেই। প্রথমে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখান থেকে পূরবী বা পূর্বাণী বাস যোগে বান্দরবান যাওয়া যায়। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের একাধিক ফ্লাইট প্রতিদিন ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে।

বান্দরবান জেলা(সড়কপথ)☞☞বান্দরবান যাওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বাস। ঢাকা থেকে বাসে বান্দরবান বাসে যেতে সাধারণত ৬ঘন্টা - ১০ঘন্টা সময় লাগে। নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা অথবা গাড়ি ভাড়া করেও বান্দরবান যাওয়া সম্ভব। এছাড়া ঢাকা থেকে ট্রেনযোগে চট্টগ্রাম গিয়ে সেখানে থেকে বাসে করেও বান্দরবান যাওয়া যায়। এছাড়াও রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার থেকেও বান্দরবান যাওয়া যায়।

বান্দরবান জেলা(নৌপথ )☞☞এখানে কোন আন্তঃজেলা নৌ যোগাযোগ নেই।

বান্দরবান জেলা(নদনদী)☞☞এই জেলার অন্যতম নদী সাঙ্গু নদী, যা সাংপো বা শঙ্খ নামেও পরিচিত। এই নদীর বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এটি বাংলাদেশের একমাত্র নদী যা দক্ষিণ থেকে উত্তরে প্রবাহিত হয়। অন্যান্য নদীর মধ্যে রয়েছে মাতামুহুরী নদী এবং বাঁকখালী নদী।

বান্দরবান জেলা(ভাষা ও সংস্কৃতি)☞☞
সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা প্রচলিত। স্থানীয় বাঙ্গালিরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা হিসেবে মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বম, লুসাই, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, খেয়াং, খুমী, পাংখুয়া ইত্যাদি প্রচলিত।বান্দরবানের মারমাদের বর্ষবরণ উৎসবের নাম সাংগ্রাই। এছাড়া বড় উৎসবের মধ্যে রয়েছে ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে বা প্রবারণা পূর্ণিমা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা, দূর্গা পূজা ইত্যাদি ধর্মীয় উৎসব।

বান্দরবান জেলা(দর্শনীয় স্থান)☞☞
তাজিংডং (১২৮০ মিটার); জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
সাকা হাফং (১০৫২ মিটার)
কেওক্রাডং (৮৮৩ মিটার); জাতীয়ভাবে স্বীকৃত বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ।
রাইখিয়াং খাল; বাংলাদেশের দীর্ঘতম খাল।
নীলাচল
নীলগিরি
মেঘলা
নাফাখুম জলপ্রপাত; বাংলাদেশের বৃহত্তম জলপ্রপাত।
সাফাখুম জলপ্রপাত
আমিয়াখুম জলপ্রপাত
সাতভাইখুম জলপ্রপাত
বগা লেক
বুদ্ধ ধাতু জাদি
জাদিপাই ঝর্ণা
ডাবল ফলস
আলীকদম গুহা
চিম্বুক পাহাড় ও উপজাতীয় গ্রাম
রেমাক্রী
শৈলপ্রপাত
রাজবিহার এবং উজানিপাড়া বিহার
প্রান্তিক লেক
জীবননগর
কিয়াচলং লেক

বান্দরবান জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞হিল জুস
বান্দরবান জেলা(কৃতী ব্যক্তিত্ব)☞☞
ইউ কে চিং; বীর বিক্রম।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বান্দরবান জেলা "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel