আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

নতুন কম্পিউটার যেভাবে সাজাবেন

নতুন কম্পিউটার যেভাবে সাজাবেন


কম্পিউটার সাজানোর আগে জানতে হবে অপারেটিং সিস্টেম কি?


 কম্পিউটার সম্পর্কে ধারনা,

কম্পিউটারের প্রাণঃ অপারেটিং সিস্টেম কি
কম্পিউটারের প্রাণশক্তি হচ্ছে সফটওয়্যার। সাধারণত কম্পিউটার দ্বারা কোন কাজ করতে হলে সেখানে সফটওয়্যার বিশেষ প্রয়োজন হয়। সফটওয়্যার কম্পিউটার পরিচালনা করে থাকে। এটি কম্পিউটারকে দিয়ে কাজ করায়।বস্তুত সফটওয়্যার হচ্ছে কম্পিউটারের নির্দেশমালা। আপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অপারেটিং সিস্টেম না থাকলে কম্পিউটারের যন্ত্রপাতি দিয়ে অথবা কোন প্রোগ্রাম দিয়ে কাজ করা যেত না। অপারেটিং সিস্টেমের জন্য মানুষ খুব সহজেই কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারছে। সুতরাং কম্পিউটার শিক্ষার ক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেম অত্যন্ত গুরুত্ববহ। অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের প্রোগ্রাম পরিচালনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে থাকে। কম্পিউটার পরিচালনায় অপারেটিং সিস্টেম হল মূলতঃ একটি সিস্টেম সফটওয়্যার। অর্থাৎ যে সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করে কম্পিউটারের সামর্থ্যকে কাজে লাগিয়ে এপ্লিকেশন সফটওয়্যার গুলোকে চালনা করে তাহাই হচ্ছে আপারেটিং সিস্টেম। অন্যভাবে বলা যায় কম্পিউটারের নিজস্ব যে সব প্রোগ্রাম ব্যবহ্রিত হয় তাকেই অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কম্পিউটারের সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম কি☞☞
মূলতঃ কম্পিউটার সফটওয়্যার হচ্ছে একটি অদৃশ্য শক্তি। আমরা মানুষের দেহকে হার্ডওয়্যার ধরলে সফটওয়্যার হচ্ছে তাঁর প্রাণ। হার্ডওয়্যার সত্যিকার অর্থে কম্পিউটিং কাজ করে এবং সফটওয়্যার কম্পিউটার চালায়। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের কার্য ক্ষমতাকে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম সমুহকেই সফটওয়্যার বলা হয়। সফটওয়্যার ব্যবহারকারী এবং হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। উপযুক্ত সফটওয়্যারের প্রভাবে কম্পিউটার জড় পদার্থ হতে গানিতিক শক্তিসম্পন্ন বুদ্ধিমান যন্ত্রে রূপ নেয়। বিভিন্ন ধরনের প্যাকেজ প্রোগ্রাম, উচ্চতর ভাষায় লিখিত প্রোগ্রাম পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট প্রোগ্রাম সফটওয়্যারের আওতায় পড়ে। ব্যবহারিক গুরুত্বের উপর ভিত্তি করে কম্পিউটারের সফটওয়্যারকে প্রধানত দু’টো শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায়। যেমন-

ক. সিস্টেম সফটওয়্যার  (System Software)

খ. প্যাকেজ বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার (Application Software)

উল্লেখ্য আমরা নতুনদের কথা চিন্তা করে খুব সহজে এবং সংক্ষেপে এই বিষয় গুলো তুলে ধরছি যাতে করে নতুনরা কঠিন মনে করে কম্পিউটার শেখার ব্যপারে আগ্রহ হারিয়ে না ফেলে। তাই আমরা শুধু বেসিক তথ্য গুলো তুলে ধরার চেষ্টা করছি যাতে করে নতুনরা আমাদের এই পর্ব গুলোর মাধ্যমে সহজে কম্পিউটারকে আয়ত্তে নিয়ে আসতে পারে। যখন আপনি এর মজা পেয়ে যাবেন এবং পরবর্তীতে কম্পিউটার সম্পর্কে আরো ভালো করে শিখতে চাইবেন! তখন আমরা আমাদের জন্য আরো বিস্তারিত নিয়ে নতুন ভাবে অন্য একটি প্রোজেক্ট উপস্থাপন করবো, যার মাধ্যমে আপনি কম্পিউটারের গভীর থেকে গভীর পর্যন্ত সকল বিষয়ে জেনে নিতে পারবেন।

উইন্ডোজ কি☞☞
কম্পিউটারের সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম এর কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই আসে উইন্ডোজ। উইন্ডোজ কম্পিউটারের একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম (অপারেটিং সিস্টেম) যার দারা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার (Hardware)বা যান্ত্রিকসরঞ্জ্রাম কে পরিচালনা করা হয়।যেমন আমরা যখন একটি স্মার্ট ফোন ক্রয় করি তাঁর সাথে ব্যাটারি থাকে এবং এর ভিতর আরো অনেক যন্ত্রাংশ রয়েছে, সেই যন্ত্রাংশ গুলোকে বলা হয় হার্ডওয়্যার এবং স্মার্ট ফোনটি আমরা যার মাধ্যমে পরিচালনা করি তাকে বলা হয় প্রোগ্রাম। যেমন আপনারা আইফোন এর কথা সবাই শুনেছেন সেই আই ফোন পরিচালিত হয় আইওএস নামক একটি প্রোগ্রাম দিয়ে এবং আপনারা বাজারে স্যামসাঙ গালাক্স্যি ফোন এর কথা শুনেছেন এখানে স্যামসাঙ গালাক্স্যি ফোন এর জন্য ব্যবহার করা হয় অ্যানড্রইড নামক একটি প্রোগ্রাম ঠিক তেমনি কম্পিউটার এর জন্য রয়েছে উইন্ডোজ নামক প্রোগ্রাম। সর্বাপেক্ষা আলোড়ন সৃষ্টিকারী এবং ব্যবসা সফল সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম হল উইন্ডোজ ৯৫ , এর পরে বের হয় উইন্ডোজ ৯৮, তারপর উইন্ডোজ মি(Me), উইন্ডোজ ২০০০, উইন্ডোজ এক্সপি(XP), উইন্ডোজ ভিস্তা(Vista), উইন্ডোজ ৭ ও সর্বশেষ সিরিজ উইন্ডোজ ৮,  তবে এদের মদ্ধে সব চাইতে বহুল প্রচলিত এবং সহজ ভাবে আয়ত্তে আনার উইন্ডোজ হচ্ছে উইন্ডোজ এক্সপি(Xp). তবে বর্তমানে উইন্ডোজ এক্সপির সকল সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এর প্রতিষ্ঠাতা মাইক্রোসফট থেকে ,কাজেই আমরা উইন্ডোজ ৭ নিয়ে সব কিছু শিখবো কেননা বর্তমানে এটিই সবচাইতে জনপ্রিয় সবার কাছে।

নতুন একটি কম্পিউটার সদ্য কেনা কোনো গাড়ির মতো নয় যে চাবি ঘোরানো মাত্রই সেটা চলতে শুরু করবে। বরং প্রাথমিক পর্যায়ের কয়েকটা কাজ ধাপে ধাপে করে ফেললে এই নতুন কম্পিউটার চলবে নিজের প্রয়োজনমতো।

অপারেটিং সিস্টেম হালনাগাদ☞☞
যে কাজটা প্রথমেই সারতে হবে সেটা হলো উইন্ডোজ আপডেট বা কম্পিউটার সিস্টেম হালনাগাদ। ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরোপুরি নিজের কম্পিউটারটি সর্বশেষ হালনাগাদে উন্নীত করবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আপনি একরকম অনিরাপদই থাকবেন। এতে হয়তো সময় লাগতে পারে কিন্তু ধৈর্য ধরে কাজটা শেষ করলে এর সুফল অনলাইন, অফলাইন—দুই ধরনের পরিবেশেই পাবেন। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে Settings>Update and security>Check for Updates আর উইন্ডোজ ৭ বা ৮ অপারেটিং সিস্টেমের ক্ষেত্রে উইন্ডোজের কন্ট্রোল প্যানেল খুলে System and Security>Windows Update>Check for Updates ক্লিক করুন। এভাবে উইন্ডোজ সিস্টেম তার প্রয়োজনীয় হালনাগাদ খুঁজে নেবে, ইনস্টল করবে, নিজে থেকে কম্পিউটার বন্ধ বা রিস্টার্ট নেবে এবং এ ধাপগুলো অনেকবার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

পছন্দের ব্রাউজার ইনস্টল☞☞
অনলাইন অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ করতে নিজের প্রিয় ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা ব্রাউজার ইনস্টল করা ছাড়া বিকল্প নেই। উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন এজ ব্রাউজারটি যদিও খুব শক্তিশালী এবং দ্রুতগতিসম্পন্ন, ভালো না লাগলে জনপ্রিয় গুগল ক্রোম, ফায়ারফক্স বা অপেরা ব্রাউজার ইনস্টল করে নিন। এসব ব্রাউজারে অতিরিক্ত অনেক সুবিধা এবং ছোট ছোট প্রোগ্রাম, এক্সটেনশন বা অ্যাড-অন ব্যবহার করা যায়।

উইন্ডোজের নিজস্ব নিরাপত্তা☞☞
উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেমে এখন আগে থেকেই উইন্ডোজ ডিফেন্ডার নামে বেশ কাজের এক নিরাপত্তাব্যবস্থা যুক্ত রয়েছে। উইন্ডোজ ৭ অপারেটিং সিস্টেমে অবশ্য সেটা মাইক্রোসফট সিকিউরিটি এসেনশিয়ালস নামে আছে, যা ইন্টারনেট থেকে আগে নামিয়ে ইনস্টল করে নিতে হবে। উভয় সফটওয়্যারেই ভাইরাস ডেটাবেইস সর্বশেষ হালনাগাদ করে নিতে হবে। যথেষ্ট শক্তিশালী হওয়ায় সাধারণ ব্যবহারের জন্য তৃতীয় পক্ষের অ্যান্টিভাইরাস বা ইন্টারনেট সিকিউরিটি সফটওয়্যার ব্যবহারের প্রয়োজন নেই।

অপ্রয়োজনীয় সফটওয়্যার মোছা☞☞
নতুন কম্পিউটারের সঙ্গে প্রায়ই এমন অনেক সফটওয়্যার জুড়ে দেওয়া থাকে, যেগুলো নিজের কাজের জন্য একেবারেই প্রয়োজন নেই। এর মধ্যে বেশ কিছু সফটওয়্যার থাকে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানের বা বেশ অনেক আগের সংস্করণের, যার তেমন কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। এসব সফটওয়্যার বেছে বেছে কন্ট্রোল প্যানেল থেকে আনইনস্টল করে দিন। আর উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম হলে সম্পূর্ণ নতুন করে রিসেট করে নিতে পারেন https://goo.gl/G1Fyjj ওয়েবসাইট থেকে। এই টুলের মাধ্যমে সব অদরকারি অ্যাপ আপনাআপনি আনইনস্টল করে নেওয়া যাবে।

চালক সফটওয়্যার হালনাগাদ☞☞
নতুন কম্পিউটার হলে বা কম্পিউটারে নতুন করে কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল এবং নতুন যন্ত্রাংশ যুক্ত করলে এর চালক সফটওয়্যার বা ড্রাইভার ফাইলগুলো ইনস্টল করে নিতে হয়। আর এসব ড্রাইভার ফাইলের সর্বশেষ হালনাগাদ নামিয়ে বা ইনস্টল করে নিলে সেগুলোর কার্যকারিতা অনেক বেড়ে যায়, পাওয়া যায় বাড়তি সুবিধা। উইন্ডোজ ৭, ৮ বা ১০ অপারেটিং সিস্টেমে কি-বোর্ডের উইন্ডোজ কি চেপে লিখুন Device Manager এবং Enter বোতাম চাপুন। এবার তালিকায় থাকা কোনো যন্ত্রাংশের নামের পাশে হলুদ আশ্চর্যবোধক চিহ্ন থাকলে সেটিতে ডান ক্লিক করে Update Driver Software... অপশনে ক্লিক করে ইন্টারনেটে স্বয়ংস্ক্রিয়ভাবে হালনাগাদ করে নিন অথবা ইন্টারনেট থেকে নামিয়ে নিজে থেকে ইনস্টল করে নিন।

এ ছাড়া নিজের প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোর সর্বশেষ সংস্করণ তাঁদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে নামিয়ে নিলেই ভালো হয়। বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় এমন সফটওয়্যারগুলো গুচ্ছ আকারে একেবারে ইনস্টল করতে হলে www.ninite.com গিয়ে করা যাবে। এভাবে সময় বেঁচে যাবে অনেকটাই। এ ছাড়া নিজস্ব টাইমজোন বা সময় ও তারিখ ঠিক করে নিতে হবে। ডেস্কটপে সাধারণ আইকনগুলো না থাকলে কিবোর্ডের উইন্ডোজ কি চেপে common icons লিখে এন্টার চেপে সেগুলো ফিরিয়ে আনা যাবে।


পোস্টটি লিখেছেন☞☞মোঃ-বিপ্লব পার্বতীপুর ০১৭৮৭৯১৮৮৮
                               BIPLOB
কপি করবেন না☞☞করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "নতুন কম্পিউটার যেভাবে সাজাবেন"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel