আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

ঢাকা জেলা

ঢাকা জেলা


বাংলাদেশের রাজধানীঢাকা জেলা।

ঢাকা জেলা


ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ এর আটটি প্রশাসনিক বিভাগের অন্যতম। এটি বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে অবস্থিত। বর্তমানে ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের সাথে সীমান্তবর্তী কোন জেলা নেই ৷
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারন করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ঢাকা নামের উৎপত্তি সম্পর্কে স্পষ্ট করে তেমন কিছু জানা যায় না। এ সম্পর্কে প্রচলিত মতগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপঃ
►একসময় এ অঞ্চলে প্রচুর ঢাক গাছ (বুটি ফুডোসা) ছিল।
►রাজধানী উদ্বোধনের দিনে ইসলাম খানের নির্দেশে এখানে ঢাক অর্থাৎ ড্রাম বাজানো হয়েছিল।
►‘ঢাকাভাষা’ নামে একটি প্রাকৃত ভাষা এখানে প্রচলিত ছিল।
►রাজতরঙ্গিণী-তে ঢাক্কা শব্দটি ‘পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র’ হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে অথবা এলাহাবাদ শিলালিপিতে উল্লেখিত সমুদ্রগুপ্তের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ডবাকই হলো ঢাকা।
 ঢাকা জেলা(ইতিহাস)☞☞বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা মোঘল-পূর্ব যুগে কিছু গুরুত্বধারণ করলেও শহরটি ইতিহাসে প্রসিদ্ধি লাভ করে মোঘল যুগে। ১৬১০ খ্রীষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করেন জাহাঙ্গীরনগর। প্রশাসনিকভাবে জাহাঙ্গীরনগর নামকরণ হলেও সাধারণ মানুষের মুখে ঢাকা নামটিই থেকে যায়। নদীপথের পাশে অবস্থানের কারণে ঢাকা প্রাক-মোঘল যুগেই স্থানীয় বাণিজ্যের কেন্দ্র ছিল। এখানে উচ্চমান সম্পন্ন সূতিবস্ত্র উৎপাদিত হত যা মসলিন নামে পরিচিত। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২, ১৯৬৬, ১৯৭০ সংগ্রামের ফসল হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং পরিচিতি লাভ করে। একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে ঢাকা রাজনৈতিক,প্রশাসনিক কার্যকলাপ এবং অর্থনৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্ররূপে মর্যাদা লাভ করে।
বৃহত্তর ঢাকা জেলা ১৯৮৪ সালের পূর্বে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ মহকুমা নিয়ে গঠিত বাংলাদেশের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ছিল। ১৯৮০ পরবর্তী সময়ে প্রশাসনিক সংস্কারের মাধ্যমে মহকুমা প্রথা বিলুপ্ত হয়। এতে মানিকগঞ্জ, গাজীপুর, নারায়নগঞ্জ, নরসিংদী ও মুন্সিগঞ্জ মহকুমা জেলায় পরিণত হয় এবং তৎকালীন ঢাকা জেলা বর্তমান রূপ লাভ করে।

 ঢাকা জেলা(মোট আয়তন)☞☞১৪৬৩.৬০ কিমি২ (৫৬৫.১০ বর্গমাইল)

 ঢাকা জেলা(নামকরণ)☞☞কথিত আছে যে, সেন বংশের রাজা বল্লাল সেন বুড়িগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভ্রমণকালে সন্নিহিত জঙ্গলে হিন্দু দেবী দুর্গার বিগ্রহ খুঁজে পান। দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ রাজা বল্লাল সেন ঐ এলাকায় একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। যেহেতু দেবীর বিগ্রহ ঢাকা বা গুপ্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাই রাজা মন্দিরের নাম ঢাকেশ্বরী মন্দির। মন্দিরের নাম থেকেই কালক্রমে স্থানটির নাম ঢাকা হিসেবে গড়ে ওঠে।আবার অনেক ঐতিহাসিকদের মতে, মোঘল সম্রাট জাহাঙ্গীর যখন ঢাকাকে সুবা বাংলার রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করেন, তখন সুবাদার ইসলাম খান আনন্দের বহিঃপ্রকাশ স্বরূপ শহরে 'ঢাক' বাজানোর নির্দেশ দেন। এই ঢাক বাজানোর কাহিনী লোকমুখে কিংবদন্দির রূপ ধারণ করে এবং তা থেকেই এই শহরের নাম ঢাকা হয়ে যায়। এখানে উল্লেখ্য যে, ১৬১০ খ্রিষ্টাব্দে ইসলাম খান চিশতি সুবাহ বাংলার রাজধানী রাজমহল থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করেন এবং সম্রাটের নামানুসারে এর নামকরণ করে জাহাঙ্গীরনগর।

ঢাকা জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ঢাকা মিউনিসিপ্যালিটি গঠিত হয় এবং ১৯৬০ সালে এটিকে টাউন কমিটিতে রূপান্তর করা হয়। ১৯৭২ সালে টাউন কমিটি বিলুপ্ত করে পৌরসভায় রূপান্তর করা হয় এবং ১৯৮৩ সালে একে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে উন্নীত করা হয়। ১৯৯০ সালে ঢাকা শহরকে সিটি কর্পোরেশন রূপান্তর করা হয়।

ঢাকা জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞উত্তরে গাজীপুর ও টাঙ্গাইল জেলা, দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলা, পূর্বে নারায়ণগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে মানিকগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলা।
                                                 ঢাকা জেলা

ঢাকা জেলা(মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি)☞☞ ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বটতলা থেকে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ঐতিহাসিক ভাষণ দান করেন। ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ধানমন্ডি বাসভবন থেকে পাকবাহিনীর হাতে বন্দি হন। ওই দিন রাতের প্রথম প্রহরে পাকবাহিনী সেনানিবাসে বাঙালি সেনা সদস্য, পিলখানাস্থ পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসের (ইপিআর) সদর দফতর, রাজারবাগ পুলিশ ব্যারাক, খিলগাঁয়ের আনসার সদর দফতর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বাসভবন ও ছাত্রদের আবাসিক হলগুলিতে হামলা চালায়। এতে কয়েক শত ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারি নিহত হয়। অগ্নিসংযোগ করা হয় হিন্দু অধ্যুষিত শাখারী পট্টি ও তাঁতী বাজারের অসংখ্য ঘরবাড়িতে। ঢাকার অলিগলিতে বহু বাড়িতেও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ২৭ মার্চ মালাকারটোলা নামক স্থানে ১৩ জন লোককে পাকবাহিনী নির্মমভাবে হত্যা করে। জুলাই মাসে মুক্তিযোদ্ধারা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নিকটে এজিবি কলোনির পাওয়ার হাউজটি ধ্বংস করে পাকসেনাদের বিপদগ্রস্ত করে তোলে। ৯ ডিসেম্বর জোয়ার সাহারায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে বহুসংখ্যক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর সাভার উপজেলায় নাসিরউদ্দিন ইউসুফের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম দস্তগীর টিটো শহীদ হন। ১৪ ডিসেম্বর পাকবাহিনী রাজাকার ও আলবদরদের সহযোগিতায় এ দেশের বুদ্ধিজীবীসহ অনেক লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। মাদারটেক এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকবাহিনীর লড়াইয়ে ১১ জন পাকসেনা নিহত হয়। মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকবাহিনী বাড্ডা ও ভাটারার বিভিন্ন স্থানে নির্যাতন, লুটপাট চালায় এবং সলমইদ গ্রামে ২ জনকে হত্যা করে। পাকবাহিনী কেরানীগঞ্জ উপজেলার কোণাখোলা, বাস্তা, ব্রাহ্মণকীর্তেহ, গোয়ালখালী, ওয়ালিতিয়া, খাগাইল খোলামোড়া গ্রামে অধিকাংশ বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনীর পাল্টা আক্রমণে পাকসেনারা বিতাড়িত হয়। ধামরাই উপজেলার ধামরাই বাজার থেকে পাকবাহিনী ১৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে কালামপুর বাজারের কাছে নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৬ ডিসেম্বর রেসকোর্স ময়দানে পাকবাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়।

ঢাকা জেলা(জলাশয়)☞☞ পদ্মা, বুড়িগঙ্গা, ইছামতি, ধলেশ্বরী, তুরাগ, বংশী, কালীগঙ্গা, গাজীখালী, কলমাই নদী; তুলসী খলকী খাল, আওনার খাল, ভাঙাভিটা খাল এবং রঘুনাথপুর বিল ও বেতলাই বিল উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা জেলা(মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিসৌধ)☞☞২ টি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিসৌধজাতীয় স্মৃতিসৌধ, সাভার; মীরপুর বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ।

ঢাকা জেলা(গণকবর )☞☞১০ টি গণকবরজাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের গণকবর, সাভার; কালামপুর বাজারের পাশে, ধামরাই; দক্ষিণ কমলাপুর, ঢাকা; রায়ের বাজার বধ্যভূমি।

ঢাকা জেলা(স্মৃতিস্তম্ভ)☞☞ ১০ টিস্মৃতিস্তম্ভজাতীয় শহীদ মিনার, ঢাকা; অমর একুশে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়,উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা জেলা(ভাস্কর্য )☞☞ ১০ টি ভাস্কর্য(অপারাজেয় বাংলা, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, স্বাধীনতার সংগ্রাম (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), সোহরাওয়ার্দী উদ্যান (রেসকোর্স ময়দান), শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, সংপ্তক (জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) উল্লেখযোগ্য।

ঢাকা জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ০৩টি পৌরসভা।

ঢাকা জেলা(মহল্লা )☞☞
সর্বমোট ৮৪১টি মহল্লা।

ঢাকা জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ১৪২+৫৯ (আংশিক) ইউনিয়ন।

ঢাকা জেলা(গ্রাম)☞☞
সর্বমোট ১৮৬৪টি গ্রাম।

ঢাকা জেলা(মেট্রোপলিটন থানা)☞☞ সর্বমোট ৪১ টি মেট্রোপলিটন থানা ☞ আদাবর,উত্তরখান,উত্তরা,কদমতলী,বিমানবন্দর,মতিঝিল,মিরপুর মডেল,মোহাম্মদপুর,যাত্রাবাড়ী,রমনা,রামপুরা,লালবাগ,শাহ আলী,শাহবাগ,শেরে-বাংলা,শ্যামপুর,সবুজবাগ,সূত্রাপুর,হাজারীবাগ,কলাবাগান,কাফরুল,কামরাঙ্গীরচর,ক্যান্টনমেন্ট,কোতোয়ালী,খিলক্ষেত,খিলগাঁও,গুলশান,গেন্ডারিয়া,কবাজার,ডেমরা,তুরাগ,তেজগাঁও,তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকা,দক্ষিণখান,দারুস সালাম,ধানমন্ডি,নিউ মার্কেট,পল্টন,পল্লবী,বংশাল,বাড্ডা।

ঢাকা জেলা(সিটি কর্পোরেশন)☞☞ সর্বমোট ০২ টি সিটি কর্পোরেশন।

ঢাকা জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ৬টি উপজেলা☞ কোতোয়ালি উপজেলা,কেরানীগঞ্জ উপজেলা,দোহার উপজেলা,ধামরাই উপজেলা,নবাবগঞ্জ উপজেলা এবং সাভার উপজেলা।

ঢাকা জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ 
পুরান ঢাকার বাকরখানি 
শাহী বিরিয়ানি
বিউটির লাচ্ছি
মোহাম্মদপুরের চাপ
ধানমন্ডি ৫ এর ফুসকা

ঢাকা জেলা(বিখ্যাত স্থান)☞☞
বাহাদুর শাহ পার্ক
বলধা গার্ডেন
ওসমানি উদ্যান ও বিবি মরিয়ম কামান
বোটানিক্যাল গার্ডেন
রমনা পার্ক
ধানমন্ডি লেক
গুলশান লেক পার্ক
শিশুপার্ক
শ্যামলী শিশুমেলা
চিড়িয়াখানা
লালবাগ কেল্লা
জিনজিরা প্রাসাদ
আহসান মঞ্জিল
কার্জন হল
বড়কাটরা
ছোটকাটরা
নিমতলীর কুঠিবাড়ি
রোজ গার্ডেন
তারা মসজিদ
সাতগম্বুজ মসজিদ
ঢাকেশ্বরী মন্দির
আর্মেনীয় গির্জা
শহীদ মিনার
বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধ
জাদুঘর
জাতীয় সংসদ ভবন
ভাসানি নভোথিয়েটার
ফ্যান্টাসী কিংডম
নন্দন পার্ক
বিজ্ঞান জাদুঘর
মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘর
শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থান
সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ

ঢাকা জেলা(পিকনিক স্পট)☞☞
ঢাকার আশেপাশে যে সমস্ত পিকনিক স্পট রয়েছে এর মধ্যে মৌচাক, গাজীপুর, ভাওয়াল পুষ্পদাম (পিকনিক স্পট ও শুটিং স্পট, বাঘর বাজার গাজীপুর), রাজেন্দ্রপুর, মধুপুর, শফিপুর, শ্রীপুর, বোটানিক্যাল গার্ডেন, চন্দ্রা, সালনা, কুমিল্লার বার্ড, লালমাই পাহাড়, কোটবাড়ী ইত্যাদি স্থান উল্লেখ্যযোগ্য।

ঢাকা জেলা(বিখ্যাত বশ্র)☞☞
বেনারসী পল্লির শাড়ি
মসলিন শাড়ি

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "ঢাকা জেলা "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel