প্রিন্টার কি
সোমবার, ২০ মে, ২০১৯
Comment
কম্পিউটারের ফলাফল কাগজে ছাপা আকারে নেওয়ার জন্য জনপ্রিয় আউটপুট ডিভাইস হলো প্রিন্টার। প্রিন্টার এর মাধ্যমে কাগজে যে আউটপুট পাওয়া যায় তাকে হার্ড কপি বলা হয়।
প্রিন্টারকে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায়ঃ
(ক) ক্যারেক্টার প্রিন্টার: একসাথে একটি ক্যারেক্টার প্রিন্ট করে। অল্প আউটপুট এর ক্ষেত্রে পিসিতে ব্যবহৃত এ ধরনের প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ডে ৩০ থেকে ৬০০ ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারে। যেমন – ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টা, ডেইজি হুইল প্রিন্টার।
(খ) লাইন প্রিন্টার : একসাথে এক লাইন টেক্সট প্রিন্ট করে। অধিক পরিমানের আউটপুট এর ক্ষেত্রে ব্যবহৃত এ ধরনের প্রিন্টার প্রতি মিনিটে ৩০০ থেকে ৩০০০ লাইন প্রিন্ট করতে পারে। মিনি ও মেইনফ্রেম কম্পিউটারে এ ধরনের প্রিন্টার ব্যবহার করা যায়। যেমনঃ চেইন প্রিন্টার, ড্রাম লাইন প্রিন্টার।
(গ) পেজ প্রিন্টার : একসাথে এক পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে। এ ধরনের প্রিন্টার প্রতিমিনিটে ১০ থেকে ৩০০ পৃষ্ঠা প্রিন্ট করতে পারে। যেমন- লেজার প্রিন্টার।
টেকনোলজির উপর ভিত্ত করে প্রিন্টার আবার দুই প্রকারঃ
(ক) ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ ধরনের প্রিন্টারে একটি ইলেকট্রোমেকানিক্যাল প্রিন্টিং হেড থাকে। যাহার হাতুরি বা পিন রিবন ও পেপারের উপর আঘাত করে টেক্সট প্রিন্ট করে। যেমনঃ ডট-মেট্রিক্স প্রিন্টার, ডেইজি হুইল প্রিন্টার, চেইন প্রিন্টার , ড্রাম প্রিন্টার, বল প্রিন্টার।
(খ) নন-ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এ প্রিন্টারে কোন প্রিন্টিং হেড থাকেনা। এধরনের প্রিন্টার টেক্সট প্রিন্ট করার জন্য তাপীয়, রাসায়নিক, ইলেকট্রোষ্ট্যাটিক, লেজার বিম বা ইঙ্কজেট টেকলোজি ব্যবহার করে। ইঙ্ক জেট প্রিন্টার,
প্রচলিত প্রিন্টার সমূহঃ ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার ঃ ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার হিসেবে ডট্ মেট্রিক্স প্রিন্টার সবচেয়ে সস্তা।
কিন্তু বেশ জনপ্রিয়। প্রিন্ট করার জন্য এ প্রিন্টারে একটি প্রিন্ট হেড থাকে, প্রিন্ট হেডে সাধারণত ৭, ৯, ১৮ অথবা ২৪ টি ছোট ছোট পিনের গ্রিড ব্যবহার করা হয়। ঐ পিনগুলি হতে কতগুলি পিনের মাথা রিবনের উপর আঘাত করে কাগজের উপর নির্দিষ্ট সংখ্যক
বিন্দু বসিয়ে ক্যারেক্টার তৈরী করে। এ প্রিন্টারে ছাপানো ছবি বা ক্যারেক্টার স্মুথ বা সাবলীল হয়না। এ প্রিন্টার প্রতি সেকেন্ড ৩০ থেকে ৩০০ ক্যারেক্টার প্রিন্ট করতে পারে।
বল প্রিন্টারঃ বল প্রিন্টার আর এক ধরনের ইমপ্যাক্ট প্রিন্টার এতে একটি ঘূর্ণায়মান বল থাকে।
যার গায়ে প্রতিটি ক্যারেক্টার থাকে এবং এখান থেকে রিবনে আঘাত করে টাইপরাইটারের মত ছাপা হয়।
অপর এক ধরনের প্রিন্টার, ডেইজী হুইল প্রিন্টারও একই ধাচের। এদের উভয়ের প্রিন্টিং এর মান বেশ উন্নত কারণ এতে টাইপরাইটারের মত প্রতিটি ক্যারেক্টারের আলাদা ছাচ থাকে । আর এদেরকে টাইপরাইটার হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
ইঙ্কজেট প্রিন্টারে কালির কার্টিজের ভিতরে একটি তরল কালির উৎস থাকে। কালির এ উৎস থেকে ৩০০-৬০০টি নজল প্রিন্ট হেডের উপর বসানো থাকে। নজল গুলির ব্যাস আমাদের চুলের ব্যাসের চেয়েও কম। যে কাগজে প্রিন্ট হবে তার উপর দিয়ে প্রিন্ট হেডের আসা যাওয়ার সময় নজল গুলোর মাধ্যমে কালির ফোঁটা এসে কাগজের উপর পড়ে। এই ফোটা কোথায় পড়বে তা কম্পিউটার নির্দিষ্ট করে দেয়।
লেজার প্রিন্টার☞☞☞
উন্নত মানের প্রিন্টিংয়ের জন্য লেজার প্রিন্টারের বিকল্প নেই। বেশী পরিমাণ, ছাপার উন্নত মান, স্পষ্ট আউপুট এসবের জন্য
লেজার প্রিন্টার সর্বাধিক পরিচিত। অন্যান্য প্রিন্টার থেকে এ প্রিন্টারটির প্রযুক্তিগত পার্থক্য রয়েছে। ফটোকপি মেসিনে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয় লেজার
প্রিন্টারেও সেই প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়। এতে কোনো রিবন বা তরল কালি ব্যবহৃত হয়না। তার পরিবর্তে টোনার নামে একটি বিশেষ ব্যবস্থায়
পাউডার কালি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে একটি ফটোইলেকট্রিক বেল্ট বা ড্রামে লেজার বিম ফোকাস করা হয়, যার ফলশ্র“তিতে ইলেকট্রিক্যাল চার্জ উৎপন্ন হয়। ড্রামটি ঘুরতে ঘুরতে ডেভেলপার ইউনিটে প্রবেশ করে।
ডেভলপার ইউনিট টোনারকে কিছু চার্জ দেয় ফলে ড্রামের অনাহিত অংশ আকর্ষণ করে। কাগজে দেওয়া হয় তার চেয়েও বেশী চার্জ।
ফলে ড্রামের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় টোনার কাগজে স্থানান্তরিত হয়ে যায়।
সবশেষে কাগজে লেগে থাকা টোনারকে বসাতে কাগজকে দুটি উত্তপ্ত ঘুর্ণায়মান সিলিন্ডারের মধ্য দিয়ে চালিয়ে দেওয়া হয় ফলে ইমেজ কাগজের উপর বসে পড়ে।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "প্রিন্টার কি "
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন