কৃষি/ মৃত্তিকা বিজ্ঞান
বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯
Comment
কোন বিষয় নিয়ে আপনি পড়াশুনা করবেন । আসুন জেনে নেওয়া জাক।
আজকে "কৃষি/ মৃত্তিকা বিজ্ঞান ও অন্যান্য কৃষি সম্পর্কিত বিষয়" সম্পর্কে জানি। Agriculture is the root of all culture অর্থাৎ কৃষ্টির মূল- রুশো। রুশো আরো বলেন, যদি শহরকে ধ্বংস করে গ্রাম তৈরী করা হয় তবে এক সময় শহর গড়ে উঠবে। কিন্ত গ্রাম ধ্বংস করে যদি শহর গড়ে উঠে তবে ঐ শহর এক সময় ধ্বংস হবে। এই চিরন্তন বক্তব্যটিই গ্রামীণ অর্থনীতি তথা কৃষির মূল বক্তব্য।
কৃষি ক্ষেত্রের এই দিকটির প্রতি যাদের শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে, এইচএসসিতে যাদের পরীক্ষার ফলাফল ভালো তারা বাংলাদেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিভিন্ন অনুষদে ভর্তি হতে পারেন। কৃষি শিক্ষার ক্ষেত্রে এ দেশের প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠান হলো শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সবচেয়ে বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ-এ মোট ৬টি অনুষদ (Faculty) আছে।
এগুলো হলো-
✦ (ক) কৃষি অনুষদ
✦ (খ) মৎস বিজ্ঞান অনুষদ
✦ (গ) পশু পালন অনুষদ
✦ (ঘ) পশু চিকিৎসা অনুষদ
✦ (ঙ) কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ এবং
✦ (চ) কৃষি প্রকৌশল ও কারিগরি অনুষদ।
বর্তমানে ১টি মাত্র ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে পছন্দক্রম অনুযায়ী যেকোন অনুষদে ভর্তি হওয়া যায়।
এখন Grading পদ্ধতিতে GPA 3 হলে আবেদন করতে পারেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষি শিক্ষার জন্য উচ্চতর প্রতিষ্ঠান। এছাড়া সিলেট ও চট্রগ্রামে ভেটিরিনারী কলেজ আছে, যেখানে শুধুমাত্র পশু চিকিৎসা অনুষদে মোট আসনের ১০ গুন প্রার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারে।
লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তির পূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়। আবেদনের জন্য এইচএসসি-তে গণিত এবং জীববিজ্ঞান থাকা জরুরি। কৃষি শিক্ষা সাধারণত ৪ বৎসরের কোর্স। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বৎসরে মোট ৮টি সেমিস্টারে কোর্স শেষ করা হয়। প্রাতি কোর্সের ফলাফল চূড়ান্ত হিসাবে বিবেচিত। জিপিএ 4 এর মধ্যেই grading করা হয়।
৪বৎসরের অনার্স শেষ করে কোন শিক্ষার্থী দুই বৎসরের জন্য MS কোর্স করতে পারেন। MS কোর্সের পর দেশে বা বিদেশে PhD করা সহজ এবং ফলাফল গ্রহণযোগ্য।
কৃষি সম্পর্কিত যে কোন অনুষদে অধ্যয়নে সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো অধ্যয়ন শেষে যেকোন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করা যায়। বিশেষ করে BCS সহ যে কোন চাকুরির সাক্ষাৎকার খুব ভালো হয়। কারন ছাত্রজীবনে বারবার মৌখিক পরীক্ষা দেবার কারণে ছাত্রদের মধ্যে এক ধরনের প্রত্যয় (confidence) জন্মে যার সুফল প্রার্থী বরাবরই পেয়ে থাকে।
এদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কৃষির অবদানের কারনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও কৃষি অনুষদ চালু হয়েছে। কৃষি ও কৃষির বিভিন্ন অনুষদের পাশাপাশি মৃত্তিকা বিজ্ঞান (Soil Science) এবং জীববিজ্ঞান (উদ্ভিদ বিজ্ঞান ও প্রাণীবিজ্ঞান) বিষয়ের ছাত্ররা কৃষি সম্পর্কিত (Agriculture related) কর্মে চাকুরি করার সুযোগ পাচ্ছে। বিসিএস (পশুপালন/পশুসম্পদ), বিসিএস (মৎস), বিসিএস (কৃষি) সম্পর্কিত পদগুলো শুধুমাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ছাত্রদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
সুতরাং কৃষি সম্পর্কিত বিষয়ে অধ্যয়ন অনেকটা লাভজনক এবং আধুনিকও বটে। এছাড়া বিভিন্ন এনজিওক-তে চাকুরির ক্ষেত্রে কৃষিবিদদের চাহিদা অনেক বেশি। এদেশের প্রটিতি উপজেলার কৃষিবিদদের জন্য অনেকগুলো প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার পদ রয়েছে। এছাড়া অনেক কৃষিবিদ আত্ম কর্মসৎস্হানের মাধ্যমে নিজেরা উদাহারণ সৃস্টি করতে পেরেছেন। প্রাণ পণ্য তন্মধ্যে অন্যতম।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "কৃষি/ মৃত্তিকা বিজ্ঞান"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন