আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা


কোন বিষয় নিয়ে আপনি পড়াশুনা করবেন । আসুন জেনে নেওয়া জাক।
আজকে "প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা" সম্পর্কে জানি। 


প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা

মানুষের জীবনে যে পাঁচটি মৌলিক অধিকার রয়েছে তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। শিক্ষাকে বলা হয়ে থাকে জাতির মেরুদন্ড।কোন জাতি নিজেকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত ও পরিচিত করতে চাইলে শিক্ষা ও গবেষণার কোন বিকল্প নেই। এই শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র সাক্ষরতাকে বুঝায় না বরং সামর্থনুযায়ী সর্বোচ্চ শিক্ষাকে বুঝায়।

বহুকাল আগে থেকে একথা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে বাংলাদেশের মানুষ সুযোগ পেলে অনেক বড় বড় কাজ করতে পারে, রাখতে পারে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশাল অবদান। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো কিছুদিন আগপর্যন্ত এ সুযোগ তথা উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেত অল্পসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী।জনসংখ্যার তুলনায় দেশের মধ্যে উচ্চশিক্ষালয় তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা কম থাকয় অনেক সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রী। গুটিকয়েক অর্থবিত্তশলী লোকের ছেলেমেয়েরা দেশের বাইরে যেত যার ফলে দেশ থেকে চলে যেত অনেক বেশি মুদ্রা।

এই দুই সমস্যার সমাধান ও দেশের মধ্যে সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে ১৯৯২ সাল থেকে এক বৈপ্লবিক অধ্যায়ের সূচনা হয়। সরকারের কলোপযোগী সিদ্ধান্ত ও কিছু মহৎ ও দুরদৃষ্টিসম্পন্ন লোকের উদ্যোগে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নামে অধিক পরিচিত। ১৯৯২থেকে ২০০৬ সাল,এই ১৪ বছরের মধ্যে দেশে প্রতিষ্ঠিত হয় ৫৭টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, যাতে বর্তমানে প্রায় লক্ষাধিক ছাত্র-ছত্রী পড়াশুনা করছে।

✦✦ কোন কোন বিষয় পড়ানো হয়

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষাখাতে এনেছে এক বিশেষ বিপ্লব। যেহেতু বাংলাদেশের মানুষ পড়াশুনা শেষে ভালো কর্মক্ষেত্রের সন্ধানে ব্যস্ত থাকে, সেহেতু এদেশের মানুষের জন্য দরকার যুগোপযোগি শিক্ষা ব্যবস্থা। এই চিন্তাকে মাথায় রেখে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলেছে সম্পূর্ণ বজারমুখি বিষয়সমূহ যেমন-বিবিএ, কম্পিউটার সায়েন্স, আইন, ইংরেজি সাহিত্য, ফার্মেসি, ইলোট্রিক্যাল-ইলেক্ট্রনিক্স,টেলিকমিউনিকেশন, এমবিএ,পাবলিক হেলথ ইত্যাদি। এসব বিষয় থেকে পাশা করার পর সহজে একজন ছাত্র বা ছাত্রী চাকুরি বাজারে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

✦✦ সিলেবাস ও কারিকুলম

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠিত বিষয়সমূহের সবচেয়ে বড় সুযোগ হলো তাদের সিলেবাস কারিকুলাম। যেহেতু প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে সর্বোচ্চ জ্ঞানে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়, সেহেতু এসকল বিশ্ববিদ্যালয়র সমস্ত বিষয়ের সিলেবাস প্রনয়ন করা হয়েছে সম্পূর্ণ আন্তর্জাতিক মানের। অধিকন্ত সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রয়োজনে প্রতিটি বিষয়ের সিলেবাসকে পরিবর্তন করা হয় যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানে আপডেটেড হয়ে থাকতে পারে। তবে দেশের কথা ভুলে যায়নি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ, দেশের কৃষ্টি-কালচার,ইতিহাস, সাহিত্য সংশ্লিষ্ট সাবজেক্ট। তাই একদিকে যেমনি প্রইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে, তেমনি দেশের ব্যাপারে পর্যপ্ত জ্ঞান অর্জন করেছে।

✦✦ শিক্ষার মাধ্যম,পরিবেশ ও সুযোগ-সুবিধা

যদিও এখন পর্যন্ত অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে তথাপি শিক্ষার মাধ্যমও পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখতে তারা সদা সচেষ্ট। এসকল বিশ্ববিধ্যালয়ে শিক্ষার মাধ্যম হিসাবে ইংরেজিকে বেছে নেয়া হয়েছে। শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষার লিখিত বই ও পরীক্ষার খাতয় নয়, বরং লেকচার প্রদান, আলোচনা, উপস্থাপনা, পরিবেশনাসহ সতল বিষয়ে ইংরেজি ব্যবহার করা হয়। ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারে আন্তর্জাতিক মানের।

এসকল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ ক্লাসরুম তাপানুকুল (এসি)হয়ে থাকে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে বিশাল লইব্রেরি যতে সংগৃহীত রয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যাপ্ত বইপত্র। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছত্রীদেরকে দেয়া হয়ে থাকে পর্যাপ্ত কম্পিউটার জ্ঞান তা সে যে বিষয়েই পড়াশুনা করুক না কেন। রয়েছে ইন্টারনেট সংযোগসহ পর্যাপ্ত কম্পিউটার ল্যাব, যা থেকে ছাত্র-ছাত্রীরা নিতে পারে বিনামূল্যে বিশেষ সুযোগ। সর্বক্ষেত্রে রয়েছে মাল্টিমিডিয়া ও ওভারহেড প্রজেক্টর ব্যবহার করে ক্লশ নেয়ার সুযোগ, তাই জটিল চিত্র প্রদর্শন ও আধুনিক মানের শিক্ষাপদ্ধতি খুব সহজেই উপস্থাপন করা হয় এসকল বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশুনা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel