আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

বারট্রান্ড রাসেল

বারট্রান্ড রাসেল



আত্নহত্যা নয় আত্নসমৃদ্ধিই জীবনের উদ্দেশ্য। আর তা কেবলমাত্র সম্ভব জীবন...

পিপড়ে আর বুনোরা আগন্তুককে অক্কা পাইয়ে ছাড়ে

মহান এই উক্তিগুলো হলো স্যার বারট্রান্ড রাসেলের, জন্ম ১৮৭২ সালের ১৮ মে বৃটেনের মনমাউথশায়ারে। পুরো নাম বারট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল।

গাণিতিক যুক্তিবিদ্যা ও বিশ্লেষণী দর্শনে অসামান্য অবদান তার। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান ১৯৫০ সালে। জগৎবিখ্যাত বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে সাথে নিয়ে তিনি পরমাণু অস্ত্রবিরোধী মেনিফেস্টো প্রকাশ করেন ১৯৫৫ সালে। যুদ্ধ ও পরমাণু অস্ত্রের বিরোধীতার দায়ে রাসেলকে কারাগারে যেতে হয় হয় দুইবার। ১৯৫৮ ও ১৯৬১ সালে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিরোধীতা করার কারণেও জেলে যেতে হয় একবার। একই কারনে বরখাস্ত হন ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপকের পদ থেকেও।

উপযোগবাদী দার্শনিক জন স্টুয়ার্ড মিল ছিলেন রাসেলের ধর্মপিতা। মিলের রচনার ব্যাপক প্রভাব ছিল রাসেলের জীবনে। এলিস পারসেল স্মিথ কে রাসেল বিয়ে করেন ১৮৯৪ সালে। ১৯২১ সালে তাদের এ বিয়ে ভেঙ্গে যায়। পরে লেডি অটোলাইন মোরের এবং অভিনেত্রী কনস্ট্যান্স ম্যালেসনের মতো নারীর সান্নিধ্য ঘটে তাঁর জীবনে।

ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হয়ে রাসেল মারা যান ১৯৭০ সালের ২ ফেব্রুয়ারী, ওয়েলসে।

বার্ট্রান্ড আর্থার উইলিয়াম রাসেল, ৩য় আর্ল রাসেল, ও এম, এফ আর এস (১৮ মে ১৮৭২ –২ ফেব্রুয়ারি ১৯৭০) ছিলেন একজন ব্রিটিশ দার্শনিক, যুক্তিবিদ, গণিতবিদ, ইতিহাসবেত্তা, সমাজকর্মী, অহিংসাবাদী, এবং সমাজ সমালোচক, যদিও তিনি ইংল্যান্ডেই জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন, তার জন্ম হয়েছিল ওয়েলস এ, এবং সেখানেই তিনি ৯৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।

রাসেল ১৯০০ সালের শুরুতে ব্রিটিশদের আদর্শবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তাকে বিশ্লেষণী দর্শনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা বিবেচনা করা হয়, এর অন্যান্য প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন তার শিষ্য ভিটগেনস্টেইন এবং পূর্বসূরি ফ্রেগে এবং তাকে ২০ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠতম যুক্তিবিদদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। রাসেল এবং হোয়াইটহেড একত্রে প্রিন্কিপিয়া ম্যাথমেটিকা নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন, যাতে তারা গণিতকে যুক্তির ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেন। তার দার্শনিক নিবন্ধ "অন ডিনোটিং" দর্শনশাস্ত্রে মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়। দুটো গ্রন্থই যুক্তি, গণিত, সেট তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব এবং দর্শনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে।

তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত যুদ্ধবিরোধী ব্যক্তিত্ব এবং জাতিসমূহের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি ছিলেন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী। রাসেল তার অহিংস মতবাদ প্রচারের জন্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জেলবন্দী হন, তিনি হিটলারের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান, সোভিয়েত টোটালিটারিয়ানিজম এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধে আমেরিকার অংশগ্রহণের সমালোচনা করেন এবং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে ছিলেন সর্বদা সোচ্চার।

রাসেল ১৯৫০ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন, যা ছিল "তার বহুবিধ গুরুত্বপূর্ণ রচনার স্বীকৃতিস্বরূপ যেখানে তিনি মানবতার আদর্শ ও চিন্তার মুক্তিকে ওপরে তুলে ধরেছেন।"

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যুদ্ধবিরোধীর ভূমিকা নেন, ফলস্বরূপ তাঁকে ছ'মাস কারাদণ্ড ভোগ করতে হয়। সেই সঙ্গে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের অধ্যাপক পদ থেকে বরখাস্ত হন। ১৯৫০ সালে পারমানবিক নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে আন্দোলন সংগঠিত করার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এই কারণে ১৯৬১ সালে তাঁকে আবার কারাদনণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

বারট্রান্ড রাসেল বক্তৃতা দিচ্ছিলেন ‘পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘুরছে’ সে সম্পর্কে। তখন একজন বৃদ্ধলোক তার কথার প্রতিবাদ করে বললেন- পৃথিবী যে চ্যাপ্টা আর তা কচ্ছপ পিঠে করে বয়ে বেড়াচ্ছে তা মনে করেছ আমরা জানিনা! রাসেল তখন বলেন, তাহলে ওই কচ্ছপটা কিসের ওপর দাঁড়ানো? তখন বৃদ্ধ বললেন আমি তোমাকে বলে দেই আর তুমি তা শিখে ফেল আর কী!

১৯০৬ সালে প্রকাশিত বারট্রান্ড রাসেলের কোন প্রবন্ধটি আধুনিক দর্শনশাস্ত্রের মডেল হিসেবে বিবেচিত?

ক. দ্য অ্যনালাইসিস অফ মাইন্ড (The Analysis of Mind)
খ. হোয়াট আই বিলিভ (What I Believe) 
গ. অন ডিনোটিং (On Denoting)
ঘ. ফ্যাক্ট এন্ড ফিকশন (Fact and Fiction)

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বারট্রান্ড রাসেল"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel