জন মিলটন
শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০১৯
Comment
বিশ্বসাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের একজন জন মিলটন। ইংরেজি সাহিত্যে শেক্সপিয়ারের পরেই তার স্থান। কালজয়ী মহাকাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’-এর জন্য তিনি অমর হয়ে আছেন। ১৬০৮ সালের ৯ ডিসেম্বর জন মিলটন লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।
জন মিলটনের পূর্বপুরুষরা ছিলেন রোমান ক্যাথলিক। বাবা জন মিলটন সিনিয়র কিন্তু প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মমত গ্রহণ করে পরিবার থেকে আলাদা হয়ে যান।
স্কুলের ছাত্র থাকাকালে মিলটন নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি লাতিন, গ্রিক, হিব্র“ ভাষা ও সাহিত্য অধ্যয়ন করেন। সে সঙ্গে কাব্যচর্চাও শুরু করেন।
১৬২৬ সালে কলেজে পড়ার সময় তার প্রথম কবিতা প্রকাশিত হয়।
১৬৩৮ সালে মিলটন ইউরোপ ভ্রমণে বের হন। তৎকালীন ইউরোপের শিল্প-সাহিত্যের কেন্দ্রবিন্দু ইতালিতে কয়েক মাস কাটিয়ে তিনি ১৬৩৯ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন এবং লন্ডনে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে থাকেন।
১৬৪৩ সালে তিনি ম্যারি পাওয়েল নামে এক মহিলার সঙ্গে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন। কিন্তু তার এ বিয়ে সুখের হয়নি।
১৬৪২ সালে পার্লামেন্ট এবং রাজার মতবিরোধের কারণে ইংল্যান্ডে গৃহযুদ্ধ শুরু হলে মিলটন পার্লামেন্টের সমর্থনে গদ্য রচনা শুরু করেন।
এ সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতা বিষয়ে লিখিত তার Areopagitica (১৬৪৪) গ্রন্থটি বিশেষ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
গৃহযুদ্ধের পর ইংল্যান্ডের রাজা প্রথম চার্লসকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে মিলটন এর আলোকে Kings and Magistrates (১৬৪৯) শিরোনামে বিখ্যাত রাজনৈতিক পুস্তিকাটি রচনা করেন।
এতে রাজার করুণ পরিণতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন জনগণই দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।
এরপর ক্রমওয়েল কাউন্সিল অব স্টেটের পক্ষ থেকে মিলটন দেশের বিদেশি ভাষাবিষয়ক সচিব নিযুক্ত হন।
১৬৫১ সালে তিনি কমনওয়েলথ নিউজপেপার কর্তৃক প্রকাশিত Mercurius Polilicus পত্রিকার প্রধান সম্পাদক পদে যোগ দেন।
কিন্তু তখন থেকে কঠোর কর্তব্যপরায়ণতার কারণে অত্যধিক পরিশ্রম করার ফলে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসতে থাকে।
তিনি ১৬৫২ সালে পুরোপুরি অন্ধ হয়ে যান। দৃষ্টিশক্তি হারানোর পর মিলটন কিন্তু তার অন্ধত্বকে মেনে নেননি।
সব প্রতিকূলতা তুচ্ছ করে তিনি সাহিত্যসাধনা চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে তার শ্রেষ্ঠ কাব্য ‘প্যারাডাইস লস্ট’ লেখা হয়।
১৬৫৮ সালে তিনি এই কাব্য রচনা শুরু করে ১৬৬৩ সালে শেষ করেন। ১৬৬৭ সালে এটি প্রথম গ্রন্থাকারে প্রকাশিত হয়।
মিলটন ১৬৭৪ সালের ৮ নভেম্বর লন্ডনে মারা যান। ১৬০৮-১৬৭৪ জন মিল্টন সপ্তদশক শতাব্দীর ইংরেজ কবি, গদ্য লেখক এবং ইংরেজ কমনওয়েলথের একজন সরকারি কর্মচারী।
তার প্রসিদ্ধ কাব্য প্যারাডাইজ লস্ট-এর কারণে তিনি সমধিক পরিচিত। কয়েক শতাব্দী শীর্ষ ইংরেজ কবির অবস্থানে থাকার পর বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি টিএস ইলিয়ট ও এফআর লেভিসের জনপ্রিয়তার কাছে তার শীর্ষস্থান হুমকির মুখে ছিল।
কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক ও সাহিত্য জার্নালের কল্যাণে মিলটনের অবদান একুশ শতাব্দীতেও অটুট রয়েছে। তার মৃত্যুর পর থেকে আজ পর্যন্ত মিলটনের জীবন নিয়ে বিস্তর গবেষণা হয়েছে।
১৬৫৮ থেকে ১৬৬৪ সালের মধ্যে মিলটন তার মহাকাব্য প্যারাডাইজ লস্ট রচনা করেন। সে সময় তিনি অন্ধ এবং দরিদ্র ছিলেন। ১৬৭৪ সালে কাব্যটির ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
মহাকাব্যটি তার নিজের জীবনের হতাশা এবং ব্যর্থতা তুলে ধরে, একই সঙ্গে মানুষের সুপ্ত ক্ষমতাকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে। ২৭ এপ্রিল ১৬৬৭ সালে স্যামুয়ের সিমন্স নামক একজন প্রকাশকের কাছে তিনি ৫ পাউন্ডে প্যারাডাইজ লস্টের গ্রন্থস্বত্ব বিক্রি করেন (২০০৮ সালের ৭৪০০ পাউন্ডের সমতুল্য)।
সঙ্গে চুক্তি ছিল প্রতি ১৩০০ থেকে ১৫০০ কপি বিক্রির জন্য লেখক ৫ পাউন্ড করে পাবেন। ১৬৬৭ সালে প্রথম সংস্করণ ছাপা হয়, প্রতিটি ৩ শিলিং করে বিক্রি হয় এবং ১৮ মাসে সব বিক্রি হয়ে যায়।
প্যারাডাইজ লস্ট: ১৬৫৮ থেকে ১৬৬৪ সালের মধ্যে মিলটন তার মহাকাব্য প্যারাডাইজ লস্ট রচনা করেন। সে সময় তিনি অন্ধ এবং দরিদ্র ছিলেন। ১৬৭৪ সালে কাব্যটির ২য় সংস্করণ প্রকাশিত হয়।
মহাকাব্যটি তার নিজের জীবনের হতাশা এবং ব্যর্থতা তুলে ধরে, একই সঙ্গে মানুষের সুপ্ত ক্ষমতাকে নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে। ২৭ এপ্রিল ১৬৬৭ সালে স্যামুয়ের সিমন্স নামক একজন প্রকাশকের কাছে তিনি ৫ পাউন্ডে প্যারাডাইজ লস্টের গ্রন্থস্বত্ব বিক্রি করেন যা ২০০৮ সালের ৭৪০০ পাউন্ডের সমতুল্য।
সঙ্গে চুক্তি ছিল প্রতি ১৩০০ থেকে ১৫০০ কপি বিক্রির জন্য লেখক ৫ পাউন্ড করে পাবেন। ১৬৬৭ সালে প্রথম সংস্করণ ছাপা হয়, প্রতিটি ৩ শিলিং করে বিক্রি হয় এবং ১৮ মাসে সব বিক্রি হয়ে যায়।
মিলটন ১৬৭১ সালে প্যারাডাইস লস্টের পরবর্তী অংশ প্যারাডাইজ রেগেইনড রচনা করেন, একই সময় স্যামসন অ্যাগনিস্টস নামক একটি ট্র্যাজেডি রচনা করেন।
১৯৭৩ সালে মিলটন তার ১৬৪৫টি কাব্য এবং তার চিঠির সংগ্রহ পুনরায় প্রকাশ করেন। একই সময় তিনি ক্যামব্রিজে থাকাকালীন ল্যাটিন ভাষায় লেখা খসড়াগুলোও প্রকাশ করেন।
১৬৬৮ সালের প্যারাডাইজ লস্টের একটি সংস্করণ যা মিলটনের ব্যক্তিগত কপি ওয়েস্টার্ন অন্টেরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "জন মিলটন"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন