আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা

আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা


প্রতিযোগিতার এই যুগে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কোন বিকল্প নেই। কিছু ব্যাপার চর্চা করার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলা সম্ভব। 

আত্মবিশ্বাস অর্জন করা কোন রাতারাতি ব্যাপার নয়। দীর্ঘদিনের চর্চা এবং অভ্যাসে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠে। আত্মবিশ্বাস কেউ কাওকে দিতে পারে না, নিজে নিজেই অর্জন করতে হয়। যেকোনো কাজে সফল হতে হলে আত্মবিশ্বাসী হওয়া জরুরী। আমাদের প্রায়ই বিভিন্ন কাজে বা ভাইভা বোর্ডে শুনতে হয় আত্মবিশ্বাসের অভাব রয়েছে। ক্ষতি কি যদি আমরা নিজেদের একটু আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া দিতে পারি।


সফলতার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদানটি হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। অনেকে আছেন যারা আত্মবিশ্বাসের অভাবেই নিজেকে তুলে ধরতে পারেন না। জীবনের লক্ষ্য অর্জনের শেষ বিন্দুতে পৌঁছাতে হলে আত্মবিশ্বাস অর্জনের কোনো বিকল্প নেই।



নিজেকে আত্মবিশ্বাসী হিসেবে উপস্থাপন করুনঃ

(১) স্মার্ট পোষাক, পরিচ্ছন্নতা, হালকা সুগন্ধী আপনার স্মার্টনেস কেবল অন্যের চোখেই না আপনার নিজের চোখেও নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। সকালে অফিসে যাবার আগে ১০ মিনিট বেশি ব্যয় করুন নিজের পেছনে। দেখবেন, সারাদিন নিজেকে প্রেজেন্টেবল আর আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে।

অঙ্গভঙ্গীতে আত্মবিশ্বাসী ভাব ফুটিয়ে তুলুনঃ

(২) মেরুদণ্ড সোজা ও মাথা উচু করে হাঁটুন। মাথা নিচু করে কুজো হয়ে হাঁটবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে অন্যদের ধারণা খারাপ হবে।

(৩) সহকর্মী বা বসের নেতিবাচক কথা মনে ধরে রাখবেন না। একটি প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ কেউ প্রশংসা করে আবার কেউ ভুল ধরিয়ে দিয়ে কাজ আদায় করতে চেষ্টা করেন। বুঝতে চেষ্টা করুণ আপনার বসের মানসিকতা কেমন।হয়তো তিনি আপনার সম্পর্কে নানা নেতিবাচক কথা বলছেন আপনার কাছ থেকে তার প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজ আদায় করতে। আর সেটা কি আপনার যোগ্যতার কারণেই নয়? চেষ্টা করুন নিজের ভুলগুলো শুধরে নেবার। 
আবার সহকর্মীরা হয়তো অনেক সময় আপনার নামে নেতিবাচক কথা বলে থাকে, আপনার কাজের দক্ষতাকে ঈর্ষা করে বলেই এমনটা হয়!

কথা বলুন চোখে চোখ রেখেঃ

(৪) যখনই কারো সাথে কথা বলবেন তার চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, কথা বলার সময় এদিক ওদিক তাকাবেন না বা অন্য কিছু করবেন না। এটি আত্মবিশ্বাসী হবার একটি অন্যতম চিহ্ন।

মনোযোগ দিয়ে শুনুন, তারপর বলুনঃ
(৫) কেউ যাখন আপনার সাথে কথা বলছেন তখন তার কথার মাঝখানে কথা বলবেন না বা প্রশ্ন করবেন না। আগে শুনুন। এতে তিনি ভাববেন আপনি তাকে গুরুত্ব দিচ্ছেন এবং তখন তিনিও আপনার কথা শুনতে আগ্রহী হবেন। কেউ যখন আপনার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

নিজের ব্যাপারে নেতিবাচক কথা বলবেন নাঃ

(৬) আমি খুব অগোছালো, ডেডলাইন ছুঁতে পারি না, ধীরে কাজ করি, অন্যদের মত ভালো প্রেজেন্টেশন করতে পারি না, ইত্যাদি নিজের নেতিবাচক দিকগুলো কখনোই কর্মস্থলে বলতে যাবেন না। নিজের ইতিবাচক দিকগুলো বলুন, এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে আবার সহকর্মী বা বসের কাছেও আপনি গ্রহণযোগ্যতা পাবেন।

মানুষজনের সাথে মিশুন ও নেটওয়ার্ক বাড়ানঃ

(৭) পরিচিতির গণ্ডি বাড়ানোর পাশাপাশি এটি আপনার মানুষের সাথে যোগাযোগ স্থাপন, ব্যক্তিত্ব ও জ্ঞানের পরিধি বাড়াবে। আশেপাশে মানুষের একটি বড় বৃত্তে আপনি অনেক বেশি নিরাপদ ও আত্মবিশ্বাসী বোধ করবেন।

নিজের প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তিগুলো লিখে ফেলুনঃ

(৮) মানুষজনের কথায় কেবল নিজের অপ্রাপ্তি নিয়ে হতাশায় ভুগবেন না। বরং ভাবুন নিজের প্রাপ্তিগুলো নিয়েও। লিখে ফেলুন একটি ডায়েরিতে আগামীর লক্ষ্যও। দেখবেন হারানোর চেয়ে অর্জন আর সম্ভাবনায়ই ভরে উঠেছে আপনার খাতা ও মন।

আগ্রহের জায়গায় দক্ষতা বাড়ানঃ

(৯) ভাষা, পড়াশোনা বা প্রযুক্তি, যেখানেই আপনার আগ্রহ থাকুক না কেন, দক্ষতা বাড়ান, আপনার পেশাদারী আত্মবিশ্বাসে একটি নতুন পালক যুক্ত হবে, সন্দেহ নেই।

অন্যদের সাহায্য করুনঃ

(১০) যতটা সম্ভব অন্যদের সাহায্য করুন। সমাজসেবা জাতীয় সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যের উপকার করার মধ্য দিয়ে আপনি নিজের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে উঠবেন। নিজেকে নিজে বড় ভাবতে না পারলে আপনার আত্মবিশ্বাস কখনোই বাড়বে না।

ক্ষতিকর মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুনঃ

(১১) যারা কেবল আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক কথাই বলে ও সুযোগ পেলে আপনার ক্ষতি করতেও দ্বিধা করবে না, হোক বন্ধু বা সহকর্মী, এদের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। আপনার কনফিডেন্স লেভেল কমাতে এদের জুড়ি নেই।


সাফল্য প্রত্যাশা করুন, ততটুকুই কাজ নিন, যতটা শেষ করতে পারবেনঃ

(১২) নিজেকে দায়িত্বশীল প্রমাণ করতে গিয়ে অতিরিক্ত কাজ কাঁধে নিয়ে ভালোভাবে না করতে পারলে সেই ব্যর্থতা আপনার আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেবে। এর চেয়ে যতটুকু সম্ভব ততটুকু কাজ আর ভালো দক্ষতাকে মূলমন্ত্র করেই সফলতার দিকে এগিয়ে যান।
আপনি জন্মেছিলেন আত্মবিশ্বাস নিয়েই, হয়তো নানা কারণে তা কমে যাচ্ছে। কিন্তু আপনিই পারেন আপনার হারানো আত্মবিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনতে।

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন:

(১৩) কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমেই আপনার দিন শুরু করুন। খুব ছোটখাটো বিষয়েও আপনি আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারেন (যেমন এটা হতে পারে ছোট কোনো উপহার, কিংবা কারো প্রশংসা )। আপনি যদি দিনের শুরুতেই এসব বিষয় আপনার দৃষ্টিভঙ্গীতে প্রবেশ করাতে পারেন, তাহলে তা নিঃসন্দেহে আপনার সারা দিনের কার্যক্রমে ভালো প্রভাব ফেলবে। সেই সাথে আপনার মনে হবে, দিনটি আপনার ভালই যাবে। বাস্তবেও তাই ঘটে থাকে।

উত্থান-পতনের জন্য প্রস্তুত থাকুন:

(১৪) কাজে ব্যর্থতাই আমাদের আত্নবিশ্বাস নষ্ট করার জন্য দায়ী। সেক্ষেত্রে হাল ছেড়ে দিয়ে বসে থাকলে চলবে না। আবারও নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করুন। কারণ একটি কাজে যখন আমরা ব্যর্থ হয় তখন একটু চিন্তা করলেই আমরা আমাদের ব্যর্থতার কারণগুলো খুব ভালভাবে ধরতে পারি। আর ব্যর্থতাগুলো থেকেই আমরা আমাদের জীবনকে ভালভাবে বোঝার শিক্ষা নিতে পারি। জীবনে যত বেশি উত্থান-পতন ঘটবে, মনে রাখবেন, আপনার লক্ষ্য ততই নিকটে। আর এতে করে আপনার আত্মবিশ্বাস আবারও নতুন করে গড়ে উঠবে।

পরামর্শদাতার সন্ধান করুন:

(১৫) যে কোনো কাজেই সফল হতে চাইলে অবশ্যই একজনকে আদর্শ মানতে হয়। কারণ নিজে নিজে সব ক্ষেত্রে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। তখন পরামর্শদাতাই আপনাকে সঠিক পথের সন্ধান দিবে। তাই আগেই একজন পরামর্শদাতার খোঁজ করুন। কারণ পরামর্শদাতার পরামর্শই আপনার আত্নবিশ্বাসকে বাড়াতে অনেক বেশি সাহায্য করবে।

আদর্শ সঙ্গী বাছাই করুন:

(১৬) জীবনে চলার পথে অনেক মানুষের সাথেই মিশতে হয়। সেক্ষেত্রে আদর্শ সঙ্গী বাছাই করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কারণ কিছু লোকের নেতিবাচক কথাবার্তা আপনার আত্নবিশ্বাসকে নষ্ট করে দিতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধান হোন। যেসব মানুষ আপনাকে উৎসাহ দেয় এবং উচ্চ স্থানে যেতে উৎসাহিত করে তাদের সঙ্গে সবসময় চলাফেরা করুন। তাতে বরং আপনার আত্নবিশ্বাসের ঘাটতি হবে না।

প্রতিদিন অন্তত একবার নিজের গণ্ডীর বাইরে যান:

(১৭) প্রতিদিন অন্তত একবার নিজের গণ্ডীর বাইরে বের হলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। কারণ জ্ঞাণের পরিধি যত বেশি সমৃদ্ধ হবে আপনার আত্নবিশ্বাসই নিজে থেকে ততটাই বেড়ে যাবে। তাই ঘরে বসে না থেকে আপনার প্রয়োজনের তাকিদেই প্রতিদিন অন্তত একবার বাড়ির বাইরে যান।

সমালোচনা মেনে নেওয়ার মানসিকতা তৈরি করুন:

(১৮) আপনি শুধু সামনের দিকে এগোতে থাকলে বিরোধী পক্ষ আপনাকে প্রশ্ন, সমালোচনা, সন্দেহ করবে। সেক্ষেত্রে চিন্তার কোনো কারণ নেই। পিছে লোকে কিছু বলে-এই নীতিতে কান না দিয়ে এগিয়ে চলুন। তাতে আপনার আত্নবিশ্বাস আরও বাড়বে। সবসময় মনে রাখবেন, আপনি ভাল কিছু করছেন বলেই লোকেরা আপনাকে নিয়ে এত কিছু বলাবলি করছে। তাই পিছনের দিকে না তাকিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন, সফলতা আসবেই।

সামান্য গড়মিল থাকলেও এগিয়ে চলুন:

(১৯) কোনো কাজ করতে গেলে সব যোগ্যতাই যে আপনার মাঝে থাকতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং নিজের দক্ষতা আর আত্নবিশ্বাসের জোরেই যে কোনো কাজে সফলতা লাভ করা যায়। কাজেই আপনার কোনো যোগ্যতা কম থাকলেও আত্নবিশ্বাসের জোরেই এগিয়ে যান। দেখবেন, সফলতা আপনার হাতে এসে ধরা দিবেই।

পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও অনুশীলন করুন:

(২০) পর্যাপ্ত ঘুম, অনুশীলন ও পর্যাপ্ত পুষ্টিসম্পন্ন খাবার আপনার মুড ভালো করবে। একইসাথে আপনার কর্মক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসকেও বাড়িয়ে তুলবে। আবার প্রতি সপ্তাহে তিনবার মাত্র ২০ মিনিটের শারীরিক অনুশীলন আপনাকে শুধু বিষণ্ণতা থেকেই মুক্তি দিবে না, বরং অ্যালঝেইমার্সের মতো রোগ থেকে দূরে রাখবে।

বড় করে শ্বাস নিন:


(২১) বড় করে শ্বাস নিলে আপনার রক্তের মাধ্যমে মস্তিষ্কে অক্সিজেন প্রবেশ করে। এতে আপনার মস্তিষ্কের চেতনা বৃদ্ধি পায়। ফলে যে কোনো কাজ করতে গেলে এতে করে আপনার আত্নবিশ্বাস বেড়ে যাবে। এমনকি কোনো শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতেও বড় করে শ্বাস নেওয়া এ কারণে গুরুত্বপূর্ণ।

কাজের আগেই প্রস্তুতি নিন:

(২২) প্রত্যেক পরিস্থিতিতেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখলে আত্মবিশ্বাস অনেক গুণ বেড়ে যায়। আবার অনেকবার অনুশীলন করা, রেকর্ড করা ও শুনলেও আত্নবিশ্বাস বেড়ে যায়। তাই যে কোনো কাজেই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন তাহলে উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি আপনি মোকাবেলা করতে পারবেন।


ইতিবাচক চিন্তা করা শুরু করুন

(২৩) জীবনে সব সময়ই যে সুখ থাকবে তা কিন্তু নয়। জীবন সুখ দুঃখ মিলিয়েই। আপনার কিছু অপূর্ণতার জন্য হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়লে আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। দুঃখ যাবে না।‘আমাকে দিয়ে কিছু হবে না, কিছুই করতে পারলাম না’ তাহলে শুধু নিজেকে কষ্টই দেয়া হবে। আজকে থেকে ইতিবাচক চিন্তা শুরু করুন। ‘কিছুই হবে না আমাকে দিয়ে’ এই ধরনের চিন্তার বদলে ‘আমাকে দিয়ে অনেক কিছুই হওয়া সম্ভব’ এই ধরনের চিন্তা করুন। নেতিবাচক ঘটনাকেও ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন। আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

জ্ঞান বাড়ান

(২৪) কুয়োর ব্যাঙের মত জীবন যাপন করলে আত্মবিশ্বাসহীনতায় ভুগতে পারেন অনেকেই। নিজের গণ্ডির বাইরে চিন্তা করুন। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর সব চাইতে ভালো উপায় হচ্ছে নিজের জ্ঞান বাড়ানো। গবেষণা করে নতুন নতুন জিনিষ জানার চেষ্টা করুন। নিজেকে যত বেশি জ্ঞানী করে তুলতে পারবেন ততই আত্মবিশ্বাস বাড়বে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে পৃথিবীর মুখোমুখি হতে পারবেন।

মানুষের জন্য কিছু করুন

(২৫) সুবিধাবঞ্চিত কিংবা বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করার মনোভাব তৈরি করুন। আত্মবিশ্বাস পুনরায় ফিরে পেতে অথবা আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এটি অনেক কার্যকরী একটি উপায়। সুবিধাবঞ্চিত কিংবা দুর্যোগ/ দুর্ঘটনার শিকার বিপদে পড়া মানুষকে সাহায্য করলে মন থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায়। মনের ভেতরে নিজেকে নিয়ে গর্ব সৃষ্টি হয়। এইরকম স্বেচ্ছাসেবা মূলক কাজে নিয়োজিত করেই দেখুন না নিজেকে কতটা আত্মবিশ্বাসী লাগে।

বদলে ফেলুন নিজের দৈনন্দিন কিছু কাজ

(২৬) নিজের দৈনন্দিন কিছু কাজে পরিবর্তন এনেও আপনি নিজেকে আরও আত্মবিশ্বাসী করতে পারেন। প্রতিদিনের রুটিন বদলে ফেলুন। গৎবাঁধা কাজ গুলোতে পরিবর্তন আনুন। প্রতিজ্ঞা করুন দিনে অন্তত একটি ভালো কাজ করবেন, অথবা অন্তত একজনকে সাহায্য করবেন নিজের সাধ্য অনুযায়ী। এমনকি কারো সাথে কিছুক্ষণ হাসিমুখে কথা বললেও নিজেকে অন্যরকম মনে হবে।

ব্যায়াম করুন

(২৭) সকাল শুরু করুন স্নিগ্ধ আলোয় শারীরিক কিংবা যোগ ব্যায়ামের মাধ্যমে। সারাদিনের কাজের জন্য নিজেকে কর্মক্ষম করে নিলে পুরো দিনেই নিজেকে আত্মবিশ্বাসী পাবেন। ডাক্তারদেরও একই অভিমত। সকালে মাত্র ১০/১৫ মিনিটের যোগ ব্যায়াম মানুষের মনকে প্রফুল্ল রাখে ও আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে সাহায্য করে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। মনের গ্লানি অনেকাংশেই দূর হবে।

পারকিনসন্স ল

(২৮) সিরিল নর্থকোট পারকিনসন বলেছিলেন, শেষ মিনিট পর্যন্ত আপনার অপেক্ষার অর্থ হলো আরো এক মিনিট বেশি সময় নেওয়া। আমাদের সবার জীবনে প্রতিনিয়ত এই নিয়মের প্রয়োগ ঘটে। খেয়াল করে দেখুন, এক মাস আগে যে প্রজেক্টটি শুরু করেছিলেন, হয়তো তার আসল কাজটুকু হয়েছে শেষতম সপ্তাহে। অর্থাৎ, বাকি সময়টুকু পুরোই জলে গেছে। পারকিনসনের এই বিখ্যাত ল-এর মাধ্যমে কাজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ নৈপুণ্য আনা হয়েছে।

সক্ষমতার সর্বোচ্চ বিন্দুতে পৌঁছানো

(২৯) অ্যাথলেটরা সক্ষমতার এই অংশকে বলেন 'ইন দ্য জোন'। এই পর্যায়ে আপনি এতটাই মনোযোগী থাকেন যে বিপুল ধ্বংসযজ্ঞ আপনাকে একচুলও টলাতে পারে না।

একটিমাত্র কাজ

(৩০) একযোগে বহু কাজের বিষয়ে অনেক নেতিবাচক দিক রয়েছে। অর্থাৎ একসঙ্গে বহু কাজ নয়, বরং এক কাজ থেকে অন্য কাজে চলে যাওয়া। আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল বলেছিলেন, সূর্যরশ্মি কখনো পোড়ায় না, যদি না তা একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করা হয়।

দুই মিনিটের নিয়ম

(৩১) ই-মেইলে ইনবক্স পরিষ্কার করা, ভয়েস মেইল চেক করে নেওয়া বা কোনো অনুরোধের অনুমোদন দেওয়ার মাধ্যমে আগামীর বড় বড় কাজের অনেকাংশ শেষ করে ফেলা যায়।

জৈবিক চক্রের তালে তাল মেলানো

(৩২) আমাদের মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলো সার্কাডিয়ান রিদম নিয়ন্ত্রণ করে। এটি এমন এক জৈবিক প্রক্রিয়া যা নির্দিষ্ট সময় পর পর চক্রাকারে ঘুরে আসে। কাজের সময় মানসিকতার সবচেয়ে ইতিবাচক অধ্যায় নির্ভর করে এই জৈবিক চক্রের বিভিন্ন সময়ের ওপর।

পাল্টা প্রকৌশল

(৩৩) নির্দিষ্ট কাজের পেছনে যে প্রকৌশল ব্যবহার করা হয়, এর বিপরীত কৌশলগুলোকেও ভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যেতে পারে। কর্মদক্ষতা শুধু কাজের প্রক্রিয়া জানার মাধ্যমেই আসে না, যন্ত্র বিগড়ে গেলে তাকে বাগে আনার মাধ্যমেও এর প্রমাণ মেলে।


অপরিসীম ইচ্ছাশক্তি

(৩৪) স্ট্যানফোর্ডের প্রফেসর কেলি ম্যাকগোনিগাল বলেন, ইচ্ছাশক্তির তিনটি ভিন্ন প্রায়োগিক দিক থেকে সফলতা বাগিয়ে আনা যায়। এগুলো হলো- আমি শক্তির প্রয়োগ ঘটাব না- এর মাধ্যমে লোভ সংবরণ করা হয়। আমি শক্তির প্রয়োগ ঘটাব- এর মাধ্যমে মূল কাজের সঙ্গে বিকল্প উপায় অবলম্বন করা হয়। আমি শক্তির প্রয়োগ ঘটাতে চাই- এর মাধ্যমে আপনার লক্ষ্য, গন্তব্য, ক্যারিয়ারকে এগিয়ে নেওয়া ইত্যাদি বিষয় বারবার মনে আসে। ইচ্ছাশক্তি অনেকটা পেশিশক্তির মতো। সফল না হলে এটি নিজেই 'আমি শক্তির প্রয়োগ ঘটাব না' উপায় গ্রহণ করে। কিন্তু ইচ্ছাশক্তিকে জাগিয়ে তুলে আবার পেশিকে বলশালী করে তোলা যায়।

৫৭ মিনিট চালু, ১৭ মিনিট বিশ্রাম

(৩৫) বিশ্রামে উদ্যম ফিরে আসে। বিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, মানুষের মনোযোগী থাকার সহজাত প্রবণতার চক্রটি মস্তিষ্কে টানা ৯০ মিনিট স্থায়ী হয়। এরপর ২০ মিনিটের বিশ্রামের দরকার হয় মস্তিষ্কের।

অঙ্গভঙ্গি শক্তির আধার

(৩৬) মানুষের অঙ্গভঙ্গির সামান্য পরিবর্তনে ব্যাপক কিছু ঘটে যেতে পারে। বিশেষজ্ঞ অ্যামি কাডি বলেন, মানসিক দ্বন্দ্ব এবং স্নায়বিক চাপের উদ্ভব হতে পারে অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে। উদ্দীপনার সঙ্গে কোনো দৈহিক বিন্যাসের কারণে দেহ-মনের শক্তি বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে টেস্টোসটেরনের মাত্রা বাড়ে, যা আত্মবিশ্বাসের জন্ম দেয়।

স্থায়ী অর্জন

(৩৭) বিশেষজ্ঞ এরিক রিয়েস জানান, ভুল কোনো পণ্য দক্ষতা ঢেলে তৈরির চেষ্টার অর্থ হলো, আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি চালিয়ে গ্যাস পুড়িয়ে আস্ফালন করার মতো। বিশেষ করে প্রযুক্তি পণ্য তৈরিতে আমাদের শ্রমের দিকে দৃষ্টি দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট কোনো পদ্ধতি এবং লক্ষ্য বেঁধে দেওয়া হয় না। এটাই এই দুনিয়ার কৌশল। এর মাধ্যমে পুরোদমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য না নিয়ে উৎপাদনশীলতার চূড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্য নেওয়া হয়। আসলে অর্জনকে স্থায়িত্ব দিতে হলে সেখানে সফলতা আসবেই।
--বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার

তাদের স্থানে আপনার চিন্তাটা নিয়ে নিন

(৩৮) গড়ে প্রত্যেক মানুষ প্রতিদিন ৬৫ হাজার চিন্তা করে থাকে। ব্ল্যালক বলেন, এসব চিন্তার ৮৫ থেকে ৯০ ভাগই নেতিবাচক। এগুলো হতে পারে কোনো ভয়ের বিষয়বস্তু বা সম্ভাবনার কথা কল্পনা। কোনো আগুন ধরলে আপনার হাত যদি পুড়ে যায়, তাহলে মস্তিষ্ক পরবর্তীতে এ ধরনের পরিস্থিতি এড়িয়ে চলার জন্য খুবই সতর্ক হয়ে যায়। এ সতর্ক হওয়ার ফলে তৈরি হয় ভয়ের। যা পরবর্তীতে নিজের বিপক্ষে কাজ করা শুরু করে।
কিন্তু আপনি যদি বুঝতে পারেন, মস্তিষ্ক এভাবে কাজ করে এবং সেই নেতিবাচক ভাবনাকে সরিয়ে রাখেন তাহলে তা সত্যিই কাজের হয়। এজন্য আপনাকে বুঝতে হবে যে, এগুলো শুধুই চিন্তা। এগুলো সবসময় সত্যিকার অবস্থা তুলে ধরে না। 

শেষের মাঝে শুরু

(৩৯) ‘আপনি কি করতে চান?’ বা ‘আপনি কি হতে চান?’ বহু মানুষকে এমন জিজ্ঞাসা করলে তারা পরিষ্কার করে কোনো উত্তর দিতে পারে না। কিন্তু এটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, যার উত্তর জানা উচিত। আপনি যেখানে যেতে চান, তার একটি পথনির্দেশ থাকা উচিত আপনার।

থামানো গাড়িকে কেউ তাড়া করে না

(৪০) আপনি যদি এগিয়ে যেতে থাকেন তাহলে বিরোধী পক্ষ আপনাকে প্রশ্ন, সমালোচনা, সন্দেহ এবং নানাভাবে তাড়া করবে। এটা হতে পারে একটা ভালো বিষয় যে, আপনি এগিয়ে যাচ্ছেন। তবে পাশাপাশি আপনার সমালোচনাকে গ্রহণ করতে হবে এবং সে অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে হবে।

কারো সাহায্য চাইতে ভুলবেন না

(৪১) আপনি যা চাইছেন, তা মানুষকে অনুমান করতে দেবেন না। এ বিষয়ে আপনার অনুমান করতে হবে বিষয়টি কী। কোনো বিষয়ে মানুষের সাহায্য চাইলে তাদের আগ্রহ দেখে আপনি অবাক হবেন। বেশিরভাগ মানুষই সাহায্য করার জন্য আগ্রহী থাকেন এবং খুব কম মানুষই ‘না’ বলেন।

অন্য কারো জন্য অর্থ ব্যয় করুন
(৪২) সাইকোলজিক্যাল বুলেটিনে প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফলে বলা হয়, ‘নিজের জন্য টাকা খরচ করার এক ধরণের আনন্দ রয়েছে তা কেউ অস্বীকার করতে পারবেন না। কিন্তু অন্য কারো জন্য অর্থ খরচ করার আনন্দ তার চাইতেও বেশি’। গবেষণায় দেখা যায় তারাই অনেক বেশি সুখী যারা অন্য মানুষকে দিতে পছন্দ করেন।

ভালো ঘটনা এবং ভালোবাসা পাওয়ার ঘটনার হিসাব রাখুন

(৪৩) সত্যি সত্যি এই কাজটিই করুন। ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার প্রোফেসর মার্টিন সেলিগম্যান প্রমাণ করেন, যিনি দিনে অন্তত নিজের সাথে ঘটা ৩ টি ঘটনা রাতে লিখে রাখেন তিনি বৈজ্ঞানিকভাবেই অনেক বেশি সুখী

নতুন কিছু করুন

(৪৪) মানুষ একঘেমে জীবন যাপন করলে সুখ খুঁজে পান না। একঘেয়েমি কাটানোর সব চাইতে ভালো উপায় হচ্ছে নতুন কিছু করা। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত।

নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন

(৪৫) ইউনিভার্সিটি অফ সেক্সাসের গবেষকগণ প্রকাশ করেন যিনি নিজের ভেতরে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলতে পারবেন তিনি ততোই নিজের দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ঝেড়ে ফেলে সুখী মানুষ হয়ে উঠতে পারবেন।

নিজের লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন

(৪৬) সাইকোলজিস্ট জনাথন ফ্রিডম্যান বলেন, ‘যে মানুষের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য রয়েছে এবং যিনি নিজের জন্য একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করতে পারেন তিনি বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সব ক্ষেত্রেই সুখী থাকতে পারেন’। ইউনিভার্সিটি অফ ওয়িসকনসিনের নিউরোসায়েন্টিস্ট রিচার্ড তার গবেষণায় পান যারা নিজের একটি লক্ষ্য নির্দিষ্ট করে সে অনুযায়ী কাজ করে চলেন তিনি জীবনের প্রতি ততো বেশি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে পারেন এবং সুখী হন।

নিজেকে সব সময় সঠিক ভাবা বাদ দিন


(৪৭) ‘দ্য আল্টিমেট হ্যাপিনেস প্রেসক্রিপশনঃ সেভেন কী টু জয় অ্যান্ড এনলাইটমেন্ট’এর লেখক ডঃ দীপক চোপড়া বলেন, ‘নিরপেক্ষ থাকার মনোভাব জীবনকে সহজ এবং সুন্দর করে, যা সুখী জীবনের জন্য প্রয়োজনীয়’।

সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করুন

(৪৮) ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্নের এসোসিয়েট প্রোফেসর ব্রুস হেইডে গবেষণায় দেখতে পান ২৫ বছর বয়সি মানুষের মধ্যে তারাই বেশি সুখী যারা নিয়মিত চার্চে যান। এর অর্থ হচ্ছে আপনি যতোটা নিজের সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করবেন ততোটাই মান্সিক শান্তি খুঁজে পাবেন।

প্রতি রাতে অন্তত ৬ ঘণ্টা ঘুমান

(৪৯) ব্রিটিশ কোম্পানি ওইও ভ্যালীর একটি গবেষণায় দেখা যায় রাতে কোনো সমস্যা ছাড়া ৬ ঘণ্টা ১৫ মিনিটের টানা ঘুম মানুষকে সুখী করে তোলে।

অন্তত ১০ জন ভালো বন্ধু বানান


(৫০) নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় পাওয়া যায় যাদের অন্তত ১০ জন ভালো বন্ধু রয়েছে তারা মানুষ হিসেবে অনেক বেশি সুখী।

সুখে থাকার অভিনয় করুন

(৫১) আশ্চর্যজনক হলেও এটি সত্যি যে আপনি যদি সুখে থাকার অভিনয় করেন তা আপনার মানসিক শান্তি ধীরে ধীরে বাড়িয়ে তুলবে। এবং একটা সময় অভিনয়টাই সত্যি হয়ে যাবে।

নিজেকে প্রশ্ন করুন

(৫২) নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার খারাপ দিকটি কি? হতে পারে আপনি মানসিক বা শারীরিক ভাবে দুর্বল। কিন্তু আমি দূর্বল এটা ভেবে সময় নষ্ট করার চেয়ে কি করে দূর্বলতা কাটানো যায় সেটা চিন্তা করতে হবে।

নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করুন

(৫৩) আত্মবিশ্বাসী হওয়ার লক্ষ্যে জীবন বাজি রাখার প্রয়োজন নেই। নিজের সাধ্যমতো চেষ্টা করুন। নিজের ভুলগুলোকে মেনে নিন এবং পরবর্তীতে সংশোধনের জন্য চেষ্টা করুন।

অপরকে লক্ষ্য করুন

(৫৪) অপরকে লক্ষ্য করুন। আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে অন্যের কাছ থেকে শেখার চেষ্টাও আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠার অন্যতম উপায়।

সুযোগটা কাজে লাগান

(৫৫) জীবনটাকে একটা ঝাকি দিন। সুযোগটা কাজে লাগান। একটা নতুন কিছু করুন। হতে পারে, নতুন কোন একটা খেলা শিখতে পারেন, বা ভালো কোন একটা বই পড়তে পারেন…। যাকিছু ভালো একটা কিছু করুন। এতে আপনার মনের উপর চাপ কমবে। মনের উপর চাপ রেখে আত্মবিশ্বাসী হওয়া যায় না।


অন্যকে দিন

(৫৬) অন্যকে দিন। মনে রাখবেন আপনি যতটুকু দিবেন ঠিক ততটুকুই ফেরত পাবেন। এটাই প্রকৃতির নিয়ম। অন্যর প্রতি নিজের বিশ্বাস ও আস্থা রাখুন। বিনিময়ে আপনার প্রতি তার বিশ্বাসটুকু ঠিকই ফেরত পাবেন।

আমি কতটুকু আত্মবিশ্বাসী

(৫৭) নিজেকে প্রশ্ন করুন, আমি কতটুকু আত্মবিশ্বাসী। এবং এই আত্মবিশ্বাসটুকুর কারণ কি? সততার সাথে নিজেকে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিন। খুজেঁ পাবেন আপনার আত্মবিশ্বাসী হওয়ার পথে আপনার ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো। এবার নেতিবাচক দিকগুলো সংশোধনের চেষ্টা করুন। আর ইতিবাচক দিকগুলো আরো শক্তিশালী করার চেষ্টা করুন।

কারো ব্যাক্তিত্বকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করুন

(৫৮) কারো ব্যাক্তিত্বকে আদর্শ হিসাবে বিবেচনা করুন। হতে পারে সেটা আপনার আপনজন, বা অনেক দুরের কেউ। তার ব্যাক্তিত্বের ইতিবাচক দিকগুলো ভাবুন। তার আত্মবিশ্বাসের ভিত্তি খুজেঁ বার করুন। তারপর নিজের সাথে তুলনা করুন। চেষ্টা করুন তার ইতিবাচক দিকগুলোকে গ্রহন করার।

নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন

(৫৯) নিজের ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন। হতে পারে আপনি ভালো ক্রিকেট খেলতে পারেন, হতে পারে আপনি ভালো গান গাইতে পারেন, হতে পারে আপনি ভালো অংক করতে পারেন, হতে পারে আপনি একজন ভালো বন্ধু, আরো অনেক কিছু হতে পারে। তার মানে আপনার মাঝে অনেক ভালো বিষয় আছে। সেগুলোর উপর জোর দিন। সেগুলোকে ভিত্তি করে হয়ে উঠুন আত্মবিশ্বাসী।

নিজের লাইফ স্টাইল বদলে ফেলুন

(৬০) নিজের লাইফ স্টাইল বদলে ফেলুন। হতে পারে এটা আপনার পোশাক-পরিচ্ছদের পরিবর্তন, হতে পারে পোশাকের রঙ পরিবর্তন, হতে পারে চুলের ষ্টাইল পরিবর্তন। অর্থাৎ নিজেকে বদলানোর ইচ্ছাটা যেমন ভিতরে ভিতরে প্রয়োজন, তেমনি সেটার বহিঃপ্রকাশও প্রয়োজন।

কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না

(৬১) কখনোই বিষন্নতায় ভুগবেন না। বিষন্নতা আপনার নিজেরই সৃষ্ট একটি মানসিক রোগ। যার প্রতিকার একমাত্র আপনার হাতেই। তাই বিষন্নতা এড়িয়ে এগিয়ে চলুন সামনের দিকে।

ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশুন


(৬২) ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশুন। তাতে করে আপনার মনেও তার ছোঁয়া পরবে। আর যদি নেতিবাচক মনোভাবাপন্ন মানুষের সাথে মিশেন তাহলে তার ছোঁয়াও আপনার উপর পরবে। তাই বেছে নিন আপনার ইতিবাচক বন্ধুকে।

অতীতকে ভুলে যান

(৬৩) অতীতকে ভুলে যান। অতীতটা শুদ্ধ হোক বা ভুল, তাকে কিছু আসে যায় না। কারণ অতীতকে আপনি বদলাতে পারবেন না। বরং অতীতের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে আজ থেকেই নতুন করে শুরু করুন, নতুন এক ভবিষ্যতের জন্যে।

সফলতা না আসা পযন্ত তারা চেষ্টা চালিয়ে যায়

(৬৪) বাস্তব জীবনে সফল হতে কে না চায়। এর জন্য তারা জীবন ভর পরিশ্রমও করে যায়। কিন্তু এ পরিশ্রমটি যদি ভূল পথে হয় তাহলে কঠোর পরিশ্রম করলেও তা অর্থহীন। আমাদের লুকায়িত শক্তি অর্জনে, সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করনে আমাদের প্রতিটি বিষয়ে চেষ্টা করতে হবে , হতে হবে অধ্যবসায়ী । যে কোন শক্তি অর্জনে আমাদের ঐ শক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে । তবেই হবে , হওয়া যাবে সেই চেষ্টায় সফল। যথেষ্ট মেধা এবং দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও গৌরবময় ক্যারিয়ার গঠনের নিশ্চয়তা নেই। সেক্ষেত্রে বর্তমান অবস্থা মেনে নিয়ে আরও চেষ্টা সাধনা করাটাই অধিকতর যৌক্তিক। হতাশা থেকে মানুষের মধ্যে আস্তে আস্তে নিজের উপর অনাস্থা বৃদ্ধি পেতে থাকে।নির্দিষ্ট সময়ে কাঙ্খিত অবস্থানে পৌছাতে না পারলেও হাল ছেড়ে দেওয়াটা চরম বোকামি। বরং বারবার প্রচেষ্টা এবং অধ্যাবসায় একজনকে পৌছে দিতে পারে সাফল্যের স্বর্নশিখরে।এক্ষেত্রে ধৈর্য্যের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া চাই। মহামনীষিদের মূল মন্ত্রই ছিল চেষ্টা এবং অধ্যাবসায়।এই মন্ত্র বুকে ধারণ করে এগিয়ে যায় সফলতা অর্জনে ব্যাকুল ব্যাক্তিরা।

সফল ব্যাক্তিরা কখনো অভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখেঃ

(৬৫) অনেকেই নিয়তী কিংবা প্রকৃতিকে দোষারোপ করে থাকেন। কোনঅবস্থাতেই প্রকৃতির সাথে বিবাদে লিপ্ত হওয়া কাঙ্খিত নয়। কোনরকম অধ্যাবসায় না করে শুধুমাত্র নিয়তীর উপর ভরসা করে বসে থাকলে যেমন সফল হওয়া যায় না, তেমনি একমাত্র চেষ্টা সাধনার মাধ্যমেও সফলতা লাভের কোন নিশ্চয়তা নেই। চেষ্টা সাধনার পাশাপশি সর্বাবস্থায় প্রয়োজন নিয়তীর উপর নির্ভর করা। তাতে পরিপূর্ণ সফলতা না আসলেও ভেঙ্গে পড়ার কোন সম্ভবনা থাকে না। বরং নতুন উদ্যমে নতুন করে শুরু করার তীব্র সাহস জাগ্রত হয় মনে।সফলতা লাভে নিজের ইচ্ছা-অনিচ্ছার সাথে সাথে সমাজের অবস্থা এবং সময়ের দাবীর প্রতি লক্ষ্য রাখাটাও অত্যন্ত জরুরী। সমকালীন সময়ে প্রচলিত ধারাকে এড়িয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই। তাইতো সফল ব্যাক্তিরা কখনোঅভিযোগ করে না।সব পরিস্থিতি মোকাবেলা করে হাসি মুখে।

নিজের ওপর আস্থা হারাবেন না 

(৬৬) জীবনযুদ্ধে জয়ী হওয়ার জন্য নিজের আআত্মবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বাড়িয়ে তুলে সফল ব্যাক্তিরা। নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করে যেন সবসময় তাদের আত্মবিশ্বাসী দেখায়। যখন আত্মবিশ্বাস সম্পর্কে কেউ নিজেকে ভালভাবে জানে তখন সহজাতভাবে নিজের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটি আরও বেশি মজবুত হয়ে যায়।এটি এক জাদুকরি শক্তি যা নিজের কর্মকাণ্ড এবং নিজের শক্তি-সামর্থের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখে সামনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। বলা হয়- আত্মবিশ্বাসই সফলতার মূল শর্ত। আত্মবিশ্বাসীরা নিজের স্বপ্ন পূরণে ব্যাকুল থাকে সবসময়। হোক তা সময় সাপেক্ষ তারপর ও নিজের স্বপ্নে থাকেন অটুট ও এগিয়ে যান আপন গতিতে। সম্মান করেন নিজের মনে পুষে রাখা স্বপ্নটুকু কে । জাগ্রত হওয়ার অনুপ্রেরণা পান এই স্বপ্ন থেকেই।


সব সময় বিশ্বস্ত থাকুন

(৬৭) আশপাশের মানুষের প্রতি আপনি যদি বিশ্বস্ত থাকেন তাহলে তারা আপনাকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে এবং একজন নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে। মানুষ আপনার কাছে জানতে চায় তাদের প্রতি আপনি বিশ্বস্ত কি না। সততা ও স্বচ্ছতা আপনার গুরুত্বের তালিকায় সর্বাগ্রে রয়েছে, এমনটা প্রকাশ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা যদি বুঝতে পারে যে, আপনি তাদের প্রতি বিশ্বত্ব তাহলে তারাও আপনার এ মনোভাবকে সম্মান করবে।

পেশাদারি বজায় রাখুন

(৬৮) টিমের সদস্যদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে খুবই কাছাকাছি চলে গেলে আপনার প্রতি তাদের মনে যে ইমেজ তৈরি হয়েছে তা নষ্ট হবে। ফলে পেশাদারি কাজের বদলে সম্পূর্ণ বিষয়টা ব্যক্তিগত বা পারিবারিক হয়ে যাবে। এ কারণে সব সময় পেশাদারি বজায় রয়েছে কি না, তা লক্ষ করতে হবে। অভিজ্ঞতা শেয়ার করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এসব থেকে ব্যক্তিগত বিষয়গুলো সযত্নে দূরে রাখতে হবে।

লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখুন

(৬৯) আপনার সব কাজের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য আছে। সেই লক্ষ্যের দিকে দৃষ্টি রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাইরের বিভিন্ন শক্তি আপনাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করবে কিন্তু আপনি তা হতে দেবেন না। কারণ অন্য বিষয়গুলোর দিকে মনযোগ দিলে তা আপনার লক্ষ্য অর্জনে বাধা দেবে।

শিক্ষার অভ্যাস রাখতে হবে

(৭০) শিক্ষা এমন একটি বিষয় যা কখনোই শেষ হয় না। শিক্ষার্থীর এ মনোভাব সাফল্যের জন্য ধরে রাখতে হবে সব সময়। আপনার আশপাশে সব সময় নানা বিষয়ে জ্ঞানী মানুষ পাবেন। তাদের কাছ থেকে কোনোকিছু শিখে নিতে দ্বীধা করবেন না। আপনার প্রতি প্রসারিত তাদের হাতকে ফিরিয়ে দেবেন না। শিক্ষা গ্রহণকে না করে দিলে আপনি অহংকারী হিসেবে পরিচিত হবেন। ফলে নেতা হিসেবে আপনার অগ্রযাত্রা ব্যাহত হবে।

নিজের ইচ্ছার প্রাধান্য দিন

(৭১) নিজের ইচ্ছার প্রাধান্য দিন সবসময়েই। নাহলে মন থেকে কখনোই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। আপনার মন যদি কোনো ব্যাপারে সায় দেয় এবং সেটা যদি কোনো অন্যায় কাজ না হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই মনের কথা শুনুন। প্রয়োজনে গতানুগতিক নিয়ম ভেঙে ফেলুন।

নিজের জন্য সময় রাখুন

(৭২) নিজের জন্য কিছুটা সময় রাখুন সবসময়েই। জীবনের হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও একটুখানি সময় সবসময়েই নিজেকে দেয়ার চেষ্টা করুন। এই সময়টা নিজেকে না দিলে সারাজীবন আফসোস থেকে যাবে। নিজের জন্য বিশেষ এই সময়টাতে শুধু নিজের পছন্দের কাজ করুন। নিজেকে নিজেই উপভোগ করুন এই সময়ে।

নতুন নতুন বিষয় শিখুন

(৭৩) শেখার মধ্যে আছে আনন্দ। নতুন কিছু শিখলে জীবনের একঘেয়েমি অনেকটাই দূর হয়ে যায়। তাই প্রতিনিয়তই নতুন নতুন বিষয় শেখার চেষ্টা করুন। নিজেকে ব্যস্ত রাখুন নানান কোর্সে। নিজের শখের বিষয়গুলোতেও আরেকটু এক্সপার্ট হয়ে নিন কিছু কোর্সের মাধ্যমে। এতে জীবনটাকে অনেকটাই উপভোগ্য মনে হবে।

বদ অভ্যাস ত্যাগ করুন

(৭৪) নিজের অভ্যাসগুলোর দিকে তাকান। আপনি কি একটি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন? সময়ের অভাবকে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে দেবেন না। তাড়াহুড়ো করে খাবার গ্রহণ বা সময় কম বলে দোকানের অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করবেন না। মানসিক চাপ কমাবে এই ভেবে ধূমপান করবেন না। নিজের জীবনের রুটিনে ছোট ছোট পরিবর্তন নিয়ে আসুন। এতে বদঅভ্যাসগুলো ধীরে ধীরে দূর হয়ে যাবে।

বলুন 'না'

(৭৫) অনেক সময় কাউকে 'না' বলা বা মানা করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলস্বরূপ, সাধ্যের চেয়ে বেশি কাজ করতে হয়। আর সেকারণে চাপের পরিমাণও যায় বেড়ে। নিজের সীমাবদ্ধতা বোঝার চেষ্টা করুন। এমন কোনো দায়িত্ব নেবেন না যা আপনি করতে পারবেন না।

বিরক্তির বিরুদ্ধে লড়াই

(৭৬) যখন আপনি কোনো কারণে বিরক্ত থাকবেন, তখন তা আপনার কাজের ওপরেও প্রভাব ফেলবে। যদি আপনি অতিরিক্ত কাজ বা বিরক্তিকর সহকর্মীদের কারণে অধিক চাপের মুখোমুখি হন, তাহলে আপনার ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলুন। যতটা সম্ভব অপ্রয়োজনীয় বিরোধ এড়িয়ে চলুন এবং ততটাই কাজ করুন যতটা আপনি পারবেন।

মেনে নিতে শিখুন

(৭৭) আমাদের মানিয়ে চলার অক্ষমতা চাপ বৃদ্ধির অন্যতম একটি কারণ। যখন আপনি এটা মেনে নিতে পারবেন যে কোনো বিষয় আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তখন আর এটা নিয়ে বিক্ষ্বুদ্ধ থাকবেন না। মাঝে মাঝে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে কারো সঙ্গে কথা বললে তা অন্য দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ভাবতে আপনাকে সাহায্য করবে।


পরিস্থিতি বুঝুন

(৭৮) একেক মানুষ একেক পরিস্থিতিতে চাপ অনুভব করে। যেসব পরিস্থিতি আপনাকে চাপের মুখে ফেলে সেগুলো বোঝার চেষ্টা করুন। এসব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে কাজ করতে শিখুন।

প্রকৃতির কাছাকাছি পৌঁছান

(৭৯) খুব বেশি মানসিক চাপ অনুভব করছেন? নিজেকে জোর করে হলেও নিয়ে যান প্রকৃতির খুব কাছাকাছি। দেখবেন অনেকটাই স্বস্তি লাগছে!

আগে থেকেই শুরু করুন

(৮০) স্বপ্ন সফল করার অন্যতম উপায় হলো দেরি না করে আগে থেকেই সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে থাকা। কজ শেখ করার জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আর এজন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত সময়ের। সময় নষ্ট করলে স্বপ্ন সফল করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

নিজেকে বিশ্বাস করুন

(৮১) স্বপ্ন সফল করার জন্য নিজের ওপর বিশ্বাস রেখে কাজ করে যেতে হবে। সুযোগ সব সময় আপনার পায়ে এসে ধরা দেবে না। এজন্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। সফল মানুষেরা নিজেদেরই সুযোগ নিজেরাই তৈরি করে নেয়। ভাগ্যের আশায় থাকা মানে বোকামি করা

ঝুঁকি নিতে হবে

(৮২) স্বপ্ন সফল করতে গেলে একটা পর্যায়ে কিছু ঝুঁকি নিতে হতেই পারে। ঝুঁকি ছাড়া সফলতা পাওয়া কঠিন। এ কারণেই বলা হয়- ‘ঝুঁকি নেই তো সফলতাও নেই।’

বাস্তববাদী হতে হবে

(৮৩) স্বপ্ন যদি হয় অলিক কিংবা অবাস্তব, তাহলে তা সফল হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না। এ কারণে বাস্তবজ্ঞান থাকা অতি প্রয়োজন। অন্যথায় শুধুই পরিশ্রম ও সময় নষ্ট হবে। আপনার হাতেই রয়েছে স্বপ্ন সফল করার সাতটি উপায়

লক্ষ্য অর্জনে আন্তরিকভাবে কাজ করুন

(৮৪) স্বপ্ন সঙ্গে সঙ্গে সফল হয় না। এজন্য সময়ের প্রয়োজন। আর এ সময় লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হয়ে গেলে স্বপ্ন কোনোভাবেই সফল হবে না। তাই লক্ষ্য অর্জনে সব সময় আন্তরিক থাকতে হবে।

পরিষ্কার পোশাক পরিধান

(৮৫) আমাদের দেশে প্রচলিত আছে ‘আগে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী’। পোশাক আপনার আত্মবিশ্বাসকে অনেক প্রভাবিত করে থাকে। চেষ্টা করুন পরিষ্কার এবং মার্জিত পোশাক পরিধান করার, এটি আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অন্যের চোখে আপনার ভাল একটি ভাবমূর্তি তৈরি করবে।

নিজের মত থাকুন

(৮৬) মনে রাখুন আপনি অন্যকে বা অন্যদের চিন্তাকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। Wayne Dyer বলেন ‘আপনি যদি ৩০ জন মানুষের মতামত গ্রহণ করেন, ৩০ রকম ভিন্ন ভিন্ন মত পাবেন, এতে আপনি আরো বেশি বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। তাই অন্যের সিদ্ধান্তকে নিজের সিদ্ধান্ত করে তুলবেন না। নিজস্ব মতামত তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন।

নিজের দুর্বলতাকে জানুন

(৮৭) নিজের দুর্বলতাকে জানুন। ভয়কে জয় করার পূর্ব শর্ত হল ভয়ের কারণ খুঁজে বের করা। নিজের দুর্বলতাগুলো একটি লিস্টে লিখে রাখুন। এবার একটি একটি করে দুর্বলতা থেকে বের হওয়ার উপায় খুঁজে বের করুন। দেখবেন এক সময় আপনার দুর্বলতাই আপনার শক্তিতে পরিণত হয়েছে।

লক্ষ্য স্থির রাখুন

(৮৮) নিজের সঙ্গে অন্য কারোর তুলনা করা থেকে বিরত থাকুন। এটি আপনার জীবন, অতএব আপনার জীবনের সমস্যা আপনাকেই সমাধান করতে হবে। অন্য কেউ তা করতে পারবে না। তাই নিজের লক্ষ্য স্থির রেখে সামনের দিকে এগিয়ে চলুন। দেখবেন সাফল্য আপনার হাতের মুঠোয় চলে আসবে।

ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া

(৮৯) মানুষ মাত্রই ভুল করবে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে দিবে অনেকখানি।

যা মন চায় তাই করুন :

(৯০) আপনি কখনই ভাববেন না যে আপনার অনেক বয়স হয়ে গেছে। ছোট্ট বেলার সেই শিশুটির মতই নিজেকে বিবেচনা করুন। ভাবুন আপনি কাল্পনিক জগতের ডানাযুক্ত সেই ছোট্ট শিশুটি যে দিগন্ত জুড়ে দৌড়ে বেড়াতে পারে, অকারণে যতসব ইচ্ছা নিমেষেই পূরণ করতে পারে। এভাবেই নিজের মনে যখন যা আসে তাই পূরণ করার চেষ্টা করুন।

বাচ্চাদের সাথে বেশি করে মিশুন :

(৯১) বাচ্চাদের মনটা অনেক বেশি পবিত্র। তাদের সাথে মিশলে আপনার মনটিও অনেক বেশি পবিত্র হয়ে যাবে। কোনো ধরনের জটিলতা আপনার মাঝে কাজ করবে না। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি জেগে উঠবে আর বাচ্চাদের মতই আপনার মনটি হয়ে উঠবে পবিত্র।

অসম্ভব কিছু করে ফেলুন :

(৯২) সবসময় ভাববেন কোনো কিছুই অসম্ভব না। আপনার পক্ষে সবকিছুই সম্ভব। এই ভেবে এমন কিছু অসম্ভব কাজ করে ফেলুন যা দেখে আপনি নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এর ফলেও আপনি অনেক বেশি সুস্থ থাকতে পারেন।

সৃজনশীল কোনো কাজ করুন :

(৯৩) যারা ফিক্সট কোনো কাজ করেন তারা নিজের সত্ত্বাটিকে বিকাশের কোনো সুযোগই পেয়ে থাকেন না। এ কারণে আপনি পারলে কিছু সৃজনশীল কাজ করে ফেলুন। আপনার যে কাজগুলো করতে অনেক বেশি ভালো লাগে সেই কাজগুলো করুন।

ভালোলাগার জায়গাগুলোতে ঘুরতে যান :

(৯৪) মন ভালো থাকলে সৃজনশীল কাজ করতে ভালো লাগবে। আর তাই মনকে প্রফুল্ল রাখতে ঘুরে আসতে পারেন আপনার পছন্দের জায়গাগুলোতে। এর ফলে আপনার ভেতরের সত্ত্বাটি কাজ করতে থাকবে, নিত্যদিনের কাজের চাপে তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে থাকবে না। সার্বিকভাবে আপনি সুস্থ থাকবেন।

মনোযোগ নষ্টকারী বিষয়গুলো দূর করুন

(৯৫) আপনার মনোযোগ নষ্ট করে এমন বিষয়গুলো দূরে সরিয়ে দিন। ই-মেইল, ফেসবুক ও টুইটারের মতো অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, মোবাইল ফোন ইত্যাদি থাকতে পারে এ তালিকায়। আলোর ঝলকানি দেয় এমন ডিভাইস, জোরে শব্দ করে বা ভাইব্রেট করে এমন যন্ত্র দূরে সরিয়ে দিন। সুযোগ থাকলেও একসঙ্গে অনেক কাজ থেকে বিরত থাকুন।

প্রতিদিন একই সময়ে ওঠা

(৯৬) নিয়মিত কোনো কাজ করলে তা আপনার দেহের হরমোনকে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে চালিত করে। এতে দেহের উদ্যম বাড়বে এবং সকাল থেকেই কোনো একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে দৃষ্টি নিবদ্ধ করা সম্ভব হবে।

মনিটরে নয়, বাস্তবে বই পড়ুন

(৯৭) বই পড়ার অভ্যাস আপনাকে কোনো একটি বিষয়ে দীর্ঘ সময় মনোযোগ দিতে আগ্রহী করে তুলবে। কিছু ক্ষেত্রে ডিজিটাল বিশ্ব আপনার জন্য ভালো কিছু নিয়ে আসে না।

বড় কাজকে ছোট ছোট ভাগ করে নিন

(৯৮) বড় কাজ করতে সমস্যা হলে তা ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিন। এতে প্রতিটি ভাগ সম্পন্ন করার জন্য পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারণ করা যাবে। কাজও সহজ হবে।

অন্যদের সব মতামত বিষয়ে ভয়

(৯৯) আপনি যদি অন্যদের মতামত বিষয়ে সব সময় চিন্তিত থাকেন, অন্যরা কি চিন্তা করছে সে ভয়ে ভীত থাকেন তাহলে তা আপনাকে বাস্তবে অকর্মণ্য করে তুলবে। অন্যদের মতামত কিছু ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হলেও সেজন্য সব সময় ভয়ে থাকলে তা আপনার কর্মক্ষমতা নষ্ট করবে। এ কারণে আপনার জীবন বিষয়ে অন্যদের মতামত থাকলেও আপনার নিজের মতামতই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অন্য কাউকে তা নিয়ন্ত্রণ করতে দেবেন না আর এ বিষয়ে ভয় থেকেও দূরে থাকতে হবে।


অতিরিক্ত ভয়

(১০০) বিভিন্ন বিষয় সম্বন্ধে অনেকের অতিরিক্ত ভয় থাকে। এ ভয় থেকে বাস্তবে কোনো অর্জন আসে না আর এ ভয় কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়ও নয়। শুধুই সময় নষ্ট করার এমন ভয় থেকে দূরে থাকাই ভালো। ভবিষ্যৎ বিষয়ে পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন কিন্তু যে বিষয়ের ওপর আপনার নিয়ন্ত্রণ নেই সে বিষয়ে ভয় পাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

নিজেকে ঘৃণা


(১০১) প্রত্যেকের জীবনেই কিছু ক্ষেত্র থাকে দুর্বল বা অনুন্নত, যেসব ক্ষেত্রে উন্নতি করা সম্ভব। কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সেসব বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন এবং নিজের ভুলগুলোকে তুলে ধরেন তাহলে তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনে না। নিজের দোষ-ত্রুটি ইত্যাদিকে ছাপিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ঘৃণা করার কোনো প্রয়োজন নেই। নিজেকে ভালোবাসতে হবে এবং তাহলে অন্যদের ভালোবাসাও পাওয়া যাবে।

নিজের জন্য নয়, অন্যদের জন্য

(১০২) নিজেকে পরিবর্তন করার মাধ্যমে আপনি যদি অন্য কারো মনমতো হওয়ার চেষ্টা করেন তাহলে তা কোনো ইতিবাচক অবস্থার সৃষ্টি করে না। আপনি যেমন, তেমনই থাকুন কিংবা নিজের প্রয়োজনীয়তার নিরিখে পরিবর্তিত হওয়ার চেষ্টা করুন। কিন্তু অন্য কারো পছন্দ-অপছন্দের ওপর সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করার কোনো প্রয়োজন নেই।

ওছিলা

(১০৩) আপনি নিজের ওজন কমাতে চান কিংবা বাড়াতে চান, স্কুলে যেতে চান কিংবা বিশ্বভ্রমণ করতে চান। কিন্তু এসব বিষয় নিজেই যদি নানা ওছিলায় বাদ দিয়ে দেন তাহলে তা নিজেরই ক্ষতি। কারণ নিজের ওজর-আপত্তিতে আপনি কাজগুলো থেকে বিরত থাকলেন এবং বাস্তবে কোনো অগ্রগতি হলো না। এক্ষেত্রে নিজে যতোটা ওজর-আপত্তি দেখাবেন, ততোই নিজের ক্ষতি করবেন।

অতীতের ভুল

(১০৪) মানুষ মাত্রই ভুল করে। পৃথিবীতে কেউই সম্পূর্ণভাবে নিখুঁত নয় এবং এ ভুল করাও অস্বাভাবিক নয়। এ কারণে নিজের অতীত ভুলকে স্বীকার করে নেওয়াই সবচেয়ে ভালো। এরপর লক্ষ্য রাখার বিষয় হলো, এ ভুল যেন আর না হয়।

সবাই আপনার চেয়ে সহজেই অর্জন করেছে

(১০৫) অন্য কারো অর্জন দেখে মনে হতে পারে যে, তা খুব সহজেই সে অর্জন করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার পেছনের কাহিনী হতে পারে অনেক কঠিন, যা প্রকাশিত হয়নি। তাদের তুলনায় আপনার পরিশ্রম ও কষ্ট বেশি বলে মনে করার কোনো কারণ নেই। প্রত্যেকের জীবনেই নানা প্রতিবন্ধকতা আসে। এ প্রতিবন্ধকতাগুলো কাটিয়ে উঠে সবাইকেই সামনে এগিয়ে যেতে হয়।

নিজেকে তুলনা করা

(১০৬) অন্যকারো সঙ্গে নিজেকে তুলনা করা একটি যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজয়ের মতো বিষয়। অন্য মানুষের যা আছে তা আপনার নেই, আবার আপনার যা আছে তা অন্য মানুষের নেই। এ কারণে সব বিষয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করে নিজের অবমাননা করার কোনো প্রয়োজন নেই।

মনের কথা শুনুন

(১০৭) নিজের সহজাত বুদ্ধি-বিবেকের ওপর নির্ভর করুন। কারণ এসব আপনাকে কখনো ভুল পথে পরিচালিত করে না। অনেক কাজই আছে যা করতে গেলে মনের মধ্যে অস্বস্তি কিছু কাজ করে। মনের এই অস্বস্তি ধরার চেষ্টা করুন।

সময়ের সঙ্গে থাকুন

(১০৮) ত্বরিত গতিতে যে সিদ্ধান্তগুলো নেওয়া হয়, সেখানেই ভুল হওয়ার সুযোগ থাকে। বিশেষ করে যে সকল কাজে দুই পক্ষ ক্রিয়াশীল থাকে সে সকল ক্ষেত্রে দ্রুত করার কাজের তাগাদা থেকেই যায়। ভালো সিদ্ধান্ত নিতে দৃষ্টিভঙ্গীর প্রয়োজন হয়। কাজেই সময় নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করুন।

ভুল মানুষের সঙ্গে সময় নষ্ট করবেন না


(১০৯) ক্যারিয়ার গঠনের ক্ষেত্রে অনেক মানুষের সঙ্গে উঠা-বসার প্রয়োজন পড়ে। এ সকল ক্ষেত্রে ভুল মানুষের সঙ্গে সময় দিলে হিতে বিপরীত হবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে সময় দিতে গেলে বিবেচনা করে নিবেন মানুষগুলো ঠিক আছে কিনা। নয়তো ভুল মানুষের সঙ্গে সময়ের অপচয় হবে।

আপনি যতোই চান, অনেক কিছু নাও হতে পারে


(১১০) অনেক কিছু রয়েছে যা আপনি মনে-প্রাণে চাইবেন। এ জন্য সবকিছু দিয়ে কাজও এগিয়ে নিয়ে যাবেন আপনি। কিন্তু যতোই ঠেলুন, কিছু কাজ হয়তো কখনোই হবে না। এ বিষয়টি উপলব্ধি করতে হবে। কিছু কাজ কখনোই হওয়ার নয়। তার পেছনে অতিমাত্রায় শ্রম দিয়ে লাভ নেই।

একটি ফোন করুন

(১১১) যেকোনো কিছু করতে হলে যোগাযোগের কোনো বিকল্প নেই। মোবাইলের এই যুগে চাইলেই মুহূর্তে কল করতে পারছেন দুনিয়ার যেকোনো প্রান্তে। ইমেইল দিয়েও অনেক সময় কাজ হয় না সময়মতো। কাজেই বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকলে ফোন তুলে নিন, একটা কল করুন। সব কাজের আগে যতোটা পারেন পরিষ্কার হয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। যতো ব্যস্ততার মাঝেই থাকুন না কেনো, আপনার পুরোটা জেনে নেওয়াটা জরুরি। আর এ জন্য ফোনের একটি কলই যথেষ্ট। কাজেই ফোনটিকে ব্যবহার করুন। কাজে এগিয়ে যান।

কখনো বলবেন না- ‘কিন্তু’

(১১২) অত্যন্ত সফল এক নারী বলছিলেন, তিনি তাঁর পেশাদার জীবন থেকে ‘কিন্তু’ কথাটা বাদ দিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে তিনি তাঁর ধারণার ওপর অনেক বেশি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছেন। এর ফলে তাঁর টিম মেম্বাররাও ভালো সহযোগিতা করছেন।

না চাওয়া পর্যন্ত কিছুই পাবেন না

(১১৩) ইউনিভার্সিটির এক প্রফেসর প্রথম বিষয়টা নজরে আনেন। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি কোনো কিছু না চান, তাহলে উত্তর হবে সবসময়- না।’

অভিযোগ করার আগে আরেকবার ভাবুন

(১১৪) অনেকে বলেন ‘অভিযোগ করবেন না’। খুব সমস্যা ছাড়া কারো নামে অভিযোগ করা উচিত নয়। এটা নেতিবাচক মনোভাবের বহির্প্রকাশ এবং আপনার কোনো কাজে আসবে না।

নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়ই নিয়েই কাজ করুন

(১১৫) জীবনের কাজে সবসময় আপনার নিয়ন্ত্রণযোগ্য বিষয়গুলো নিয়েই সময় ব্যয় করুন। যে বিষয় আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, তা নিয়ে কাজ করে কোনো লাভ নেই।

দুর্ভাগাদের সাহায্য করুন

(১১৬) যারা আপনার মতো সৌভাগ্যবান নয় বরং নানা সমস্যায় জর্জরিত, তাদের সাহায্য করুন। এটা আপনার জীবনের নেতিবাচকতা দূর করতে সাহায্য করবে। আপনি যখন কোনো দুর্ভাগাকে সাহায্য করবেন তখন আপনার মনে পড়বে এ অবস্থা আমারও হতে পারতো। এরপর এ অবস্থা না হওয়ার জন্য আপনি নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে করবেন।

ইতিবাচক বন্ধুদের খুঁজে বের করুন

(১১৭) ইতিবাচক বন্ধুরা হতে পারে আপনার জীবনের নেতিবাচকতা দূর করার বড় শক্তি। নেতিবাচক বন্ধুদের বাদ দিয়ে ইতিবাচক বন্ধুদের সঙ্গে সময় দেওয়া শুরু করুন। এতে কী লাভ হবে? তারা আপনাকে উৎসাহ দেবে এবং আপনার জীবনের ভালো বিষয়গুলো সামনে তুলে আনবে।

আদর্শ খুজে বের করুন

(১১৮) আপনি যদি ইতিবাচকতার দিকে সবেমাত্র যাত্রা শুরু করে থাকেন, তাহলে একজন আদর্শ অনুসরণ করতে পারেন। আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণীয় একজন ইতিবাচক ব্যক্তিতে খুঁজে বের করে অনুসরণ করতে পারেন। তাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও কৌশল বিষয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। এভাবে অনেকেই ইতিবাচক হতে পেরেছেন।

ইতিবাচকতা শেখান

(১১৯) জীবনে ইতিবাচকতা ফিরিয়ে আনার একটি উপায় হতে পারে অন্যদের তা শেখানো। কীভাবে ইতিবাচক হতে হবে, সে বিষয়ে আপনার সন্তান ও পরিচিত গণ্ডিকে শেখানো শুরু করুন। এতে সফল হলে কিছুদিনের মধ্যেই আপনার পরিচিত গণ্ডিতে এর প্রভাব দেখতে পাবেন। ইতিবাচকতা শেখানো শুধু আপনার জীবনেই সুফল বয়ে আনবে না, অন্যদেরও ইতিবাচক হতে সাহায্য করবে।

আচরণে কৃতজ্ঞ হোন

(১২০) জীবনের সবকিছুর জন্য কৃতজ্ঞ থাকতে হবে এবং তা সব আচরণে মনে রাখতে হবে। যখন জীবনের কোনো ভালো বিষয়ের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ হই তখনই আমরা ইতিবাচক হওয়া শুরু করি এবং সব নেতিবাচকতাকে দূরে সরিয়ে দেই। এভাবে আপনি বুঝতে পারবেন জীবনের ভালো দিকগুলোকে ভালোবাসা দারুণ একটি ব্যাপার।

আমি‬ নিজেকে অনেক ভালোবাসি


(১২১) সব থেকে সুন্দর ও শান্তিময় একটি কথা ‘আমি নিজেকে অনেক ভালোবাসি’! এই কথাটি নিজেকে উপহার দিন প্রতিদিন। এতে করে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস পাবেন প্রতিদিনই। নতুন ভাবে বেঁচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবেন জীবনে। নিজেকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা করা প্রত্যেক মানুষের মানসিক প্রশান্তির জন্য অত্যন্ত জরুরী। ভালোবাসুন নিজেকে বাস্তব জীবনেও। প্রতিদিনই নিজের প্রশংসা করুন, নিজের জন্য করুন কিছু কাজ।

আমি যেমন আছি বেশ ভালো আছি

(১২২) নিজের অবস্থানকে স্বীকার করে নেয়ার চেয়ে বড় উপহার আপনি নিজেকে দিতে পারবেন না। আপনি যখন নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট থাকবেন তখন আপনার মনে আসবে অনাবিল শান্তি। যদি আপনি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলতে থাকেন ‘আমি আর একটু সুন্দর হলাম না কেন?’, কিংবা নিজের পকেটে হাত দিয়ে মনে মনে ভাবেন ‘আমি একটু বড়লোক হলাম না কেন?’- তাহলে আপনি জীবনে কখনই সুখী হতে পারবেন না। নিজের অবস্থানে সন্তুষ্ট থেকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যান। সুখী হবেন।

আমি অনেক কিছুই করতে পারি

(১২৩) আমাকে দিয়ে কিছু হবে না! এই ধরণের নেতিবাচক কথা সব চাইতে ক্ষতিকর। কারণ এই কথায় কোনো কাজ করার ইচ্ছা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। তখন ক্ষমতা থাকলেও কাজটি করা সম্ভব হয় না। তাই নিজেকে প্রতিদিন বলুন ‘আমি অনেক কিছুই করতে পারি’ বা ‘আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করা সম্ভব’! ফিরে পাবেন কাজ করার ইচ্ছা। জীবনে আসবে সফলতা।

আজকের দিনটি সব থেকে ভালো দিন

(১২৪) দিনের শুরুতে কোনো কারনে আশাহত কিংবা রাগ উঠলে যে কথাটি সবার আগে মুখ থেকে বের হয় তা হলো ‘আজকের দিনটাই খারাপ’! কিন্তু দিনের শুরুতেই আপনি এই ধরণের কথা নিজেকে বললে আপনার মন ভেঙে যায় নিজের অজান্তেই। তখন দিনটিতে ভালো কিছু ঘটার থাকলেও আপনার চোখ এড়িয়ে যায় কিংবা ভালো কিছু ঘটলেও আপনি তা ভালো চোখে দেখেন না। তাই সকালে উঠে প্রথমেই নিজ মনে বলুন ‘আজকের দিনটি সব থেকে ভালো দিন’! বাকিটা আপনাআপনিই ভালো যাবে।

নিজেকে‬ দোষারোপ করা বন্ধ করুন 

(১২৫) মনে রাখবেন, আপনি আপনার সাধ্যের অতিরিক্ত কখনই কিছু করতে পারবেন না। পরিস্থিতি নাগালের বাইরে চলে গেলে নিজেকে দোষ দিবেন না বরং ভাবুন আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ কি হতে পারে

চাপ‬ মুক্ত থাকুন

(১২৬) বের করুন কোন জিনিসটা আপনাকে চাপে ফেলছে। আপনি কি খুব বেশি কাজ করছেন। নিজের কাজকে বোঝা হতে দিবেন না। কার্যতালিকায় এমন কিছু কাজ অন্তর্ভূক্ত করুন যা আপনাকে আনন্দ দিবে।

পুরানো‬ বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন

(১২৭) এমন কোন বন্ধুকে ফোন করুন যার সাথে অনেকদিন আপনার কোন যোগাযোগ হয়নি। পুরানো সম্পর্কে নতুন করে ফিরিয়ে আনলে আপনার ভিতর সামাজিক বন্ধনের চেতনা গড়ে উঠবে। নিজেকে সকলের সাথে যুক্ত করলে আপনার মনও সতেজ হবে এবং আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।

আপনজনদের‬ সাথে সময় কাটান

(১২৮) কাছের মানুষদের সাথে কিছু ভাল সময় কাটান। যা জীবনের কঠিন সময়েও আপনি মনে করতে পারবেন এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার শক্তি দিবে।এটা আপনার ভিতরে আত্মসম্মান গড়ে তুলবে।

ছোট‬ এবং সহজ লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

(১২৯) কাজের এমন মানদন্ড- বের করুন যা আপনি অর্জন করতে পারবেন। লক্ষ্য অর্জনের পর একটু থামুন এবং ভেবে দেখুন আপনি কতটুকু অর্জন করতে পারলেন।নিজের সাফল্য শনাক্ত করতে পারলে তা আপনার মনোভাবে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

শরীরচর্চা‬ করুন

(১৩০) নিয়মিত কিছু শরীরচর্চা আপনাকে চিন্তামুক্ত এবং শরীর গঠনেও সাহায্য করবে। কিছু ভাল ব্যায়াম আপনাকে চাপমুক্ত করবে এবং সতেজ করবে। এসব আপনার আত্মবিশ্বাস গঠনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

মনের‬ খোরাক যোগান

(১৩১) কিছু ভাল বই পড়ুন বা ভাল গান শুনুন যা আপনার চিন্তাজগৎকে আরও সমৃদ্ধ করবে। নিজেকে শিল্পচর্চায় ব্যস্ত রাখুন যা আপনাকে পূর্ণতা এনে দিবে।এতে করে আপনার মন ভালো থাকবে যা আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর প্রধান সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।

মন‬ পরিষ্কার করে ফেলুন

(১৩২) এতো দিন যত ঈর্ষা করেছেন, অন্যের সাথে নিজের যত তুলনা করেছেন, সব মন থেকে ধুয়ে মুছে ফেলুন। একদিন সকালে হঠাৎ করেই ভাবা শুরু করে দিন আপনি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষদের মধ্যে একজন। একবার নিজেকে সুখী ও সম্পূর্ণ ভাবা শুরু করলে এরপর মনে কোনো নেতিবাচক চিন্তা ঢুকতে দিবেন না। প্রথমে একটু কষ্ট হলেও ধীরে ধীরে এই অভ্যাসটা গড়ে উঠবে যা আত্মসন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অত্যন্ত জরুরী।


তুলনা‬ করা বন্ধ করুন

(১৩৩) আপনার কি নেই সেটা ভাবার আগে ভাবুন আপনার কি আছে। অন্যের জীবনের সাথে নিজের জীবনকে তুলনা করবেন না। অন্যের কি আছে, আপনার কি নেই- এটা নিয়ে ভাবা বন্ধ করাই আত্মসন্তুষ্টি অর্জনের জন্য ভালো উপায়। প্রথমেই এই অভ্যাস রপ্ত করতে না পারলে নিয়মিত প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে অভ্যাস হয়ে যাবে।

বর্তমান‬ কে উপভোগ করুন

(১৩৪) বেশিরভাগ মানুষই অতীতে কি হয়েছে কিংবা ভবিষ্যতে কি হতে পারে এটা নিয়ে ভেবে ভেবে সুন্দর বর্তমানটাকে ভুলে যায়। আমরা চাইলেই আমাদের অতীত বদলাতে পারবো না। আবার ভবিষ্যতে কি হবে তাও আমরা জানিনা। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো বর্তমানকে মন থেকে উপভোগ করা। প্রতিদিন একবার করে নিজেকে সুখী ভাবুন। ধীরে ধীরে মন থেকেই নিজেকে সুখী ও পরিপূর্ন একজন মানুষ মনে হবে।

আনন্দ‬ খুঁজে বের করুন

(১৩৫) প্রতিদিনই ছোট ছোট বিষয়ে আনন্দ নেয়ার চেষ্টা করুন। নিজের পরিবারের কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে এমন কি বাগানে ফোটা ছোট্ট একটি গোলাপ ফুল থেকে আনন্দ খুঁজে নিন। নিজের যা আছে তাতেই আনন্দ খুঁজে নিতে পারলে অন্যের কি আছে সেটা নিয়ে ভাবার সময়ই পাবেন না। ফলে মানসিক সন্তুষ্টি অর্জন হবে এবং আপনি নিজেকে স্বয়ংসম্পূর্ন ভাবা শুরু করবেন মনের অজান্তেই।

আত্মবিশ্বাস‬ বাড়ান

(১৩৬) আত্মসন্তুষ্টি অর্জনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হলো আত্মবিশ্বাস। আপনার যদি নিজের উপর এবং নিজের জীবনের উপর আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে অন্যের সুখ বা সম্পদ দেখে আপনার মনে হিংসা জন্মাতে পারে। কারো তুচ্ছ-তাছিল্যেও মন খারাপ হয়ে যেতে পারে যে কোনো সময়ে। আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকলে নিজের না পাওয়ার গ্লানি পেয়ে বসতে পারে আপনাকে। তাই আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলুন। নিজের মনকে নিজেই বোঝান যে আপনার যা আছে তাই নিয়ে আপনি অনেক সুখী।

মনোযোগী হওয়ার চর্চা করা :

(১৩৭) আমরা সাধারণত প্রতিদিনকার কাজ করি নিয়ম বাধা ছকে ,কি পরবো ,কি খাব। কি যাব সব কাজ গুলোই আমাদের মনে আগে ঠিক করে রাখা এবং আমরা সে ভাবে করে যাই আর কিছু ভাবি না। কিন্তু একটু ভেবে দেখেনতো এতে কি আপনে একঘেয়ে একটা জীবন যাপন করছেন না? আপনার কি মনে হয় যে আপনি নাস্তার টেবিলে কেন ভাত খাচ্ছেন কেন রুটি ডিম খাচ্ছেন না? আসলে আমি বলতে চাই আমাদের জীবনটা যদি একটু বৈচিত্রময় না হয় সবকিছু একটা পর্যায় বিরক্তিকর হয়ে যাবে তাই নিজের দিকে একটু মন দিন, এ মন দিয়ার চর্চাটা করুন দেখবেন জীবনটা এত সাদা মাঠা নয় যতটা আপনি ভাবছেন।

নিজের সাথে কথা বলা:

(১৩৮) বেশিভাগ মানুষ নিজেকে যখন আয়নায় দেখে তো কি দেখে ভাবুনতো? সে দেখে যে তার নাকটা আরো সরু হলে তাকে চমৎকার দেখাত ,ইশ আর একটু যদি লম্বা হতাম ! আমার যদি লম্বা চুল হত ! আমার যদি তার মতো মাসেল থাকত ! আরো কত কি। কিন্তু আমরা কি এ ভাবে ভাবি একবারো যে আর কারো থেকে আমি নিজে কতটা সুন্দর অথবা লম্বা অথবা ভালো আছি !
নাহ এ গুলো কিন্তু আমরা সাধারণত ভাবি না , এ না ভাবাটাই আমাদের সম্যসা। এ না ভাবাটাই আমাদের আত্ম তৃপ্তি দেয় না। তাহলে আজ থেকে আয়নার সামনে দাঁড়ান নিজের ক্ষুত বের করতে না বরং আপনার কি কি গুন আছে সেটা বের করতে , নিজেকে বলুন আপনি আর দশ জনের থেকে কত ভালো আছেন। এ বলাটা কিন্তু আপনার ইচ্ছা শক্তিকে আরো বাড়িয়ে দিবে ,নিজের প্রতি আত্ম বিশ্বাস আরো প্রবল হবে ,জীবনের প্রতি একটি স্পষ্ট ধারণা দিবে।

অনুপ্ররেণা খোঁজা:

(১৩৯) জীবনে চলার পথে কিছু বা কেউ আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায় থাকে এর মুল্য দিয়া কঠিন কিন্তু এ প্রেরণা টুকু না পেলে অনেক সময় আমাদের চলার পথে থমকে যেতে হয়। এ প্রেরণাটি যে কারো জন্য তার ইচ্ছা শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আপনার উচিত হবে এমন কিছু করা বা এমন কারো কথা শুনা বা এমন কারো সাথে মেলা মেশা করা যে আপনাকে প্রেরণা জোগায়।

লক্ষ্য অর্জনের পথকে ভাগ করে নেয়া :

(১৪০) ছোটবেলায় অনেকেরই বিভিন্ন কিছু হবার শখ থাকে কিন্তু আমরা সবাই কি সেটাকে অর্জন করতে পারি? অনেকেই কিন্তু পারে। তার কারণ একটাই সে তার লক্ষ্যকে স্থির রাখে এবং তাকে অর্জন করার জন্য যা করতে হবে সেই কাজটিকে ভাগ করে নেয়। আপনি নিজে শুধু পারেন নিজেকে পরিবর্তন করতে। কেউ চলার পথে আপনার অনুপ্রেরণা হতে পারে কিন্তু আগবাড়িয়ে কাজটি করতে আপনাকে হবে। আর যখন দেখবেন কাজটি করতে পেরেছেন আপনার আত্মবিশ্বাস, ইচ্ছা শক্তি অনেক গুন বেড়ে যাবে। হতাশ হবেন না, যে কোনো কাজ অনেক কঠিন হতেই পারে কিন্তু অসম্ভব নয়।

স্বপ্নকে সত্যি করার প্রচেষ্টা

(১৪১) নিজের স্বপ্নকে সবসময় সত্যি মনে করতে হবে। কোন কাজের ফলে আমি কি পাব তা সব সময় আপনার চোখের সামনে কল্পনা করতে হবে। এতে করে আপনার স্বপ্নই আপনাকে প্রেরণা যোগাবে কাজটি করতে। তখন যে কোন কাজ করে আপনি শান্তি পাবেন। কাজে করার সময় কোন চাপ মনে হবে না। একজন সুখী মানুষ হতে হলে চাপ ছাড়া কাজে নিমগ্ন থাকতে হবে যা আপনাকে এনে দেবে সাফল্য।

চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করুন

(১৪২) ‘সমস্যা’ শব্দটিকে ‘চ্যালেঞ্জ’-এ পরিবর্তন করুন। তখন দেখেবেন আপনার সামনে অসংখ্য সুযোগের দরজা খুলে গেছে। এই ছোট একটি বিবর্তনের ফলে আপনি আপনার মেধা ও দক্ষতা প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। সেই কাজের বাধা না হয়ে সমাধানের একটি অংশ হয়ে উঠবেন আপনি। সত্যিকারের সুখী মানুষ বিপদের সময় অষ্ট্রিচ পাখির মত বালিতে নিজের মাথা গুঁজে রাখে না। তারা জয়ের জন্য যুদ্ধ করতে সদা প্রস্তুত থাকে।

নিজের পর্যালোচনা করুন

(১৪৩) সবকিছুরই ভালো ও মন্দ উভয় দিক রয়েছে। মানুষেরও খারাপ ও ভালো দিক রয়েছে। সুখী মানুষ তার নিজের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে সচেতন থাকেনে। একজন মানুষ জানেন কোন কাজে তিনি দক্ষ আর কিসে অদক্ষ। তাই সবসময় নিজের সোয়াট (SWOT)করা উচিত। এতে আপনার সামর্থ্য(স্ট্রেন্থ),দুর্বলতা(উইকনেস),সুযোগ(অপরচুনিটি),হুমকি (থ্রেটস)ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারনা হবে, ফলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।


উদার মনমানসিকতা

(১৪৪) উদার মনোভাব আপনার দিনটিকে করে তুলতে পারে একটি হাস্যোজ্জ্বল দিনে। মানুষের সাথে কথা বলার সময় একটু হাসি দিয়ে কথা বলুন। সদা হাস্যোজ্জল চেহারা আপনাকে করে তুলবে সবার প্রিয় মানুষে।

আশাবাদী হওয়া :

(১৪৫) সবার শেষে যে বিষয়টি লক্ষ্য রাখতে হবে, সবসময় নিজের সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করতে হবে। হতাশা বৃদ্ধি করে এমন সব ব্যক্তি বা বস্তুর সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকাটাই নিরাপদ।

নিজের সবলতা এবং দুর্বলতা সম্পর্কে ধারণা রাখা :

(১৪৬) নিজের শক্তিশালী এবং দুর্বল দিকগুলো জানতে পারলে দুর্বল দিকের উন্নয়ন ঘটানো সম্ভব। নিজেকে যতক্ষণ সম্পূর্ণভাবে না জানতে পারা যাবে ততক্ষণ ভেতরের সুপ্ত প্রতিভা কখনই জেগে উঠবে না।

কঠিন সময়ে হাসা :

(১৪৭) হাসিকে বলা হয় সর্বোত্তম ওষুধ। তবে কষ্টের মুহূর্তগুলোতে মানুষ হাসতে পারে না। সেই সময় আমাদের সুখের সময়গুলোর দিকে মনযোগ দেওয়া উচিৎ। নেতিবাচক ধারণা বদলাতে পারলে সে সময়ও ভেঙে পড়ে না মানুষ। তাই মনের মধ্যে নিজের সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা রাখা উচিৎ।

শেখার আগ্রহ তৈরি করা :

(১৪৮) প্রতিদিনের দৈনন্দিন জীবনে আমরা কিছু না কিছু শিখি। ব্যক্তিত্ব গঠনে সবচেয়ে কার্যকর শিক্ষা অর্জন করা। আত্মবিশ্বাস তৈরি হতে পারে যদি ব্যক্তির ভুল থেকে শিক্ষার্জন করার অভ্যাস থাকে। তাই জীবন থেকে শিক্ষা অর্জনের লক্ষ্যে অবশ্যই নোট রেখে ভুলগুলোকে চিহ্নিত করে নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করার মানসিকতা তৈরি করতে হবে।

পরিবর্তন হওয়া :

(১৪৯) নোট করে প্রতিদিনের কাজগুলো থেকে ভুল চিহ্নিত করে তা থেকে শিক্ষা নেওয়া জরুরি। এভাবে প্রতিদিন একটি করে ভুল শুধরাতে থাকলে নিজের মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই পরিবর্তন আসতে থাকবে। তাই নতুন নতুন বাধা আসলে তাকে মোকাবেলা করার জন্য নিজের মধ্যেই পরিবর্তন আনতে পারা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির একটি ভালো উপায়।

প্রভাবিত করতে পারে এমন উক্তি পরুন

(১৫০) একমাত্র সেই কোন ভুল করে না, যে কিছুই করে না। (বাংলাতে রুপান্তরিত) এই উক্তিটা পড়ার পর আমার মনে হয় সবার ভিতরে একটাই অনুভুতি আসবে যে ভুল করাটাই স্বাভাবিক। এটার জন্য ভেঙ্গে পড়ার কিছু নেই। এরকম হাজারো উক্তি পাওয়া যাবে যা নিয়মিত পরলে আপনি উপলন্ধি করতে পারবেন, যারা সফল হয়েছে অথবা ছিল তারা সবাই আপনার আমার মত সাধারন মানুষ ছিলেন। আপনার আমার মতই সমস্যা এবং ভুল এর মধ্যে থেকেই তারা এগিয়ে গিয়েছে। তাই আপনি এবং আমিও পারবো এগিয়ে যেতে। কি আত্মবিশ্বাস কি একটু বাড়ছে?

সাক্ষাতকার

(১৫১) আমি সবসময় সাক্ষাতকার দেখতে পছন্দ করি। এটার মুল কারন হচ্ছে, সাক্ষাতকার এর মাধ্যমে অনেক লুকায়িত সত্য এবুং দিকনের্দেশনা পাওয়া যায়। আমি এখন ব্লগ পোষ্ট লিখছি, আমি তাই লিখছি যা আমি লিখতে চাচ্ছি। কিন্তু সাক্ষাতকার এ মানুষ তাই বলে যা উপস্থাপক জানতে চায়। এটা হয়ত সরাসরি কোন দিক নির্দেশনা দেয় না, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে অনেক সহায়তা করে।

না কে না বলুন


(১৫২) পারব না, এই কথাটাকে না বলুন। সমস্যা আসবে। প্রতিটা সমস্যা অনেক কষ্ট দিবে। সফলতাটাকে দূরে ঠেলে দিবে। কিন্তু সমস্যাটা আপনাকেই অতিক্রম করতে হবে। বসে থাকলে সমস্যার সমাধান হবে না। আপনার সমস্যা এবং আপনার সপ্ন দুইটাই আপনার। তাই না কে না বলতে শিখুন। দেখবেন আত্মবিশ্বাস চলে আসবে অনায়াসে।

নিজের সিদ্ধান্তে থাকুন

(১৫৩) মনে রাখুন আপনি অন্যকে বা অন্যদের চিন্তাকে পরিবর্তন করতে পারবেন না। Wayne Dyer বলেন ‘আপনি যদি ৩০ জন মানুষের মতামত গ্রহণ করেন, ৩০ রকম ভিন্ন ভিন্ন মত পাবেন, এতে আপনি আরো বেশি বিভ্রান্ত হয়ে পড়বেন। তাই অন্যের সিদ্ধান্তকে নিজের সিদ্ধান্ত করে তুলবেন না। নিজস্ব মতামত তৈরি করুন এবং সেটি অনুসরণ করুন।

ভুল থেকে শিক্ষা নেয়া

(১৫৪) মানুষ মাত্রই ভুল করবে। আপনিও তার ব্যতিক্রম নন। ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করুন। একবার করা ভুল দ্বিতীয়বার করা থেকে বিরত থাকুন। আর এই ছোট বিষয়টি আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। নিজের প্রতি বিশ্বাস অটুট রাখুন। নিজের প্রতি বিশ্বাস আপনার আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করে দিবে অনেকখানি।

অফিশিয়াল পোশাক পরিধান করা

(১৫৫) মানতে কষ্টকর হলেও এটা সত্যি যে, সাধারণ পোশাকের চাইতে অফিশিয়াল বা ফরমাল পোশাক, যেমন- কোট, টাই আর শু-তে মানুষ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসীভাবে ব্যবহার করে। কারণ, এক্ষেত্রে পোশাক মানুষের চিন্তাকে প্রভাবিত করে। অন্যদের সামনে নিজেকে সপ্রতিভ করে তুলতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় যে, অন্যদের চাইতে ফরমাল পোশাকে ইন্টারভিউ দিতে আসা প্রার্থীরা বেশি বিস্তৃতভাবে ভাবতে ও পরিপক্কভাবে উত্তর দিতে সক্ষম হয়।

সুগন্ধী ব্যবহার করা

(১৫৬) অনেকটা পোশাকের মতোই সুগন্ধীও মানুষকে অনেক বেশি নিজের সম্পর্কে ভালো ধারণা দিতে সাহায্য করে। ফলে সুগন্ধীযুক্ত স্প্রে ব্যবহার করুন। এতে করে নিজেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী লাগবে আপনার। সেই সঙ্গে অন্যদের সামনেও আরো বেশি শক্তিশালী হিসেবে উপস্থাপন করতে পারবেন আপনি নিজেকে।

নিজস্ব বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরা

(১৫৭) ব অস্বস্তি লাগছে? হাত-পা ঘেমে যাচ্ছে? মাথা কাজ করছে না? বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন পন্থা সম্পর্কে কথা বলা হলেও খুব অদ্ভূতভাবে আপনি এর একেবারে উল্টো ব্যাপারটিকে দিয়েও ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনার ভেতরের হারিয়ে যাওয়া শক্তিকে। নিজের ক্ষমতা সম্পর্কে নিজস্ব ধারণা শক্তিশালী করে তুলতে নিজস্ব বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করুন। হতে পারে সেটা একটা লাকি চার্ম কিংবা সামান্য কোনো শারীরিক কসরত। গবেষণায় দেখা যায় যে, লাকি চার্ম নিয়ে ইন্টারভিউ কক্ষে প্রবেশ করা প্রার্থীরা অন্যদের চাইতে বেশি স্মৃতিশক্তির অধিকারী ছিলেন।
নিজেকে অন্যদের সামনে ভালোভাবে, সঠিকভাবে এবং আরো একটু শক্তিশালীভাবে তুলে ধরতে কে না চায়? কিন্তু তবুও সামান্য একটু অস্বস্তি শেষ সময়ে এসে গোলমাল করে দিয়ে যায় আমাদের সব সাজিয়ে রাখা ভাবনাগুলোকে। তাই এই উপায়গুলোকে দেখে নিন আর নিজেকে গড়ে তুলুন আত্মবিশ্বাসী।

সামাজিকতা বাড়িয়ে ফেলুন

(১৫৮) আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার জন্য সামাজিকতা বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। সামাজিক অনুষ্ঠান গুলোতে নিয়মিত যাওয়ার চেষ্টা করুন। নতুন নতুন মানুষজনের সাথে নিজেই পরিচিত হয়ে নিন। নিজেকে প্রকাশ করুন সমাজের সব ধরণের মানুষের সামনে। তাহলে নিজের আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে অনেক খানি।

নিজেকে গুছিয়ে রাখুন

(১৫৯) আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে নিজেকে গুছিয়ে রাখা জরুরি। নিজের পরিচ্ছন্নতার দিকে খেয়াল রাখুন সব সময়। ভালো সুগন্ধি ব্যবহার করুন। যেখানেই যাবেন খেয়াল রাখুন যেন আপনার মুখ থেকে দুর্গন্ধ না আসে। এছাড়াও পরিষ্কার ও রুচিশীল পোশাক পরুন সবসময়।

সাধ্যমত সমাজ সেবা করুন

(১৬০) আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তোলার আরেকটি হাতিয়ার হলো সমাজ সেবা করা। নিজের সাধ্যমত সমাজের অবহেলিত মানুষদেরকে সাহায্য সহযোগীতা করলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে বহুগুণে। সেই সাথে আত্মতৃপ্তিও পাবেন।

নেতিবাচক মানুষ থেকে দূরে থাকুন

(১৬১) আত্মবিশ্বাস বাড়িতে তুলতে হলে নেতিবাচক মানুষদের সঙ্গ ত্যাগ করুন। যেসব মানুষ পদে পদে আপনার ভুল ধরে, আপনাকে নিরুৎসাহিত করে তাদের থেকে যত দূরে থাকা যায় ততই আপনার জন্য ভালো। কারণ এধরনের মানুষজন আত্মবিশ্বাস কমিয়ে দেয়।

নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন

(১৬২) নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হলে নিজেকে খুশি রাখার চেষ্টা করুন। আমরা অনেকেই অন্যকে খুশি রাখার ব্যস্ততায় নিজের খুশির বিষয়গুলোকে ভুলে যাই। অন্যকে খুশি রাখার চেষ্টা না করে বরং নিজের জন্য যেটা ভালো সেটাই করুন। নিজের মনের ইচ্ছার গুরুত্ব দিন সবসময়। তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস অনায়েসেই বেড়ে যাবে অনেকখানি।

উদ্দীপনামূলক গান শোনা

(১৬৩) উদ্দীপনামূলক গান বলতে বোঝানো হচ্ছে, প্রচণ্ড ঝাঁঝালো আর উত্তেজনাকর সুর এবং শক্তি ও প্রেরণাদায়ক কথার গান। সামনে কোনো ইন্টারভিউ বা কাজ থাকলে মনে মনে দূর্বল হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। তাই নিজের ভেতরে জোর ফিরিয়ে আনতে শুনুন এমনই কিছু গান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যেসব শিক্ষার্থী এমন উদ্দীপনামূলক গান শুনে থাকেন, অন্যদের চাইতে অনেক বেশি সপ্রতিভ আচরণ করে থাকেন তারা।

সৃজনশীল কাজে মনোনিবেশ করুন

(১৬৪) গঠনমূলক কাজে যোগ দিন। যেসব কাজে আপনার দক্ষতা আছে সেসব কাজ করুন। গান, নাচ, ছবি আঁকা, বই লেখা ইত্যাদি কাজে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন। নিজের পরিচয় গঠন করুন। মনে রাখবেন, মানুষ চেহারা দিয়ে মানুষকে মনে রাখে না। বরং তার কাজে মনে রাখে। সুন্দরের পিছনে লুকিয়ে থাকা ধ্বংসাত্মক কাজের চেয়ে, অসুন্দরের ভেতরে থাকা গঠনমূলক কাজের মূল্য বেশি। আপনি আপনার চেহারা নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগে আপনার ভেতরকার সৃজনশীল ও উন্নত মনকে সব কিছু থেকে গুতিয়ে রাখবেন না। নিজেকে সফল মানুষ হিসেবে পরিচিতি পেতে দেখলে আপনা আপনিই আত্মবিশ্বাস বাড়বে।

নিজেকে সময় দিন

(১৬৫) নিজেকে বোঝার সময় দিন। নিজেকে কিভাবে সফলতা উপহার দিতে পারবেন সে কথা ভাবুন। সব সময় নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করে হীনমন্যতায় পরে থাকবেন না। আপনি নিজে যেমন সমাজে ঠিক তেমন ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করুন। প্রথমে নিজেকে সম্মান করতে শিখুন। নিজের ব্যক্তিত্বকে ভালবাসতে শিখুন। কারো প্রশংসা কুড়ানোর জন্য তার কথা মত নিজেকে তৈরি করবেন না। আপনার ভেতরের আলোকিত সৌন্দর্য কাউকে বোঝাতে যাবার কোন প্রয়োজন নেই। মনে রাখবেন, যে আপনাকে বোঝে তাকে আপনি কী তা নতুন করে বোঝানোর প্রয়োজন নেই, আর যে আপনাকে বোঝে না তাকে বোঝাতে যাওয়ারও কোন প্রয়োজনীয়তা নেই। তাই এইসবে সময় নষ্ট না করে নিজেকে সময় দিন।

ব্যস্ত থাকুন


(১৬৬) নিজেকে একটি ছকে বেঁধে ফেলুন। জীবনে ব্যস্ততা বাড়ান। কারন অলস ভাবে বসে থাকলেই নানান অপ্রাসঙ্গিক চিন্তা মাথায় ঘোরে ফলশ্রুতিতে আপনি নিজেকে নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করে হতাশ হয়ে পড়েন। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকুন। সফলতার লক্ষ্যে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যান। নিজের কাজে ব্যস্ত থাকুন। অন্যের কথায় কান দেয়ার মত সময়ই পাবেন না। আশেপাশের মানুষ আপনার বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে কী বলল তা নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। যে মানুষগুলি বর্তমানে আপনার চেহারা নিয়ে কথা বলছেন ভবিষ্যতে আপনার সফলতার কথা বলবেন।

আত্মবিশ্বাসী হন

(১৬৭) নিজেকে ভালবাসুন। নিজের মনকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করুন। আত্মবিশ্বাস বাড়ান। অন্যের কথা কান দিয়ে নিজেকে ছোট করবেন না। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন। মন থেকে সকল হীনমন্যতা ঝেড়ে ফেলে নতুন করে সব কিছু শুরু করুন। আত্মবিশ্বাসী হয়ে নিজের পায়ে দাড়াতে শিখুন। হীনমন্যতা নিয়ে বসে থাকলে কোন কাজেই সফলতা পাবেন না। নিজেকে সফল ব্যক্তিদের কাতারে দাঁড় করাতে শিখুন। যে আপনাকে পছন্দ করবে সে আপনার সব কিছুকেই পছন্দ করবে এইরকম ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন।

নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান

(১৬৮) যারা একাকী জীবনযাপন করেন তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাসহীনতা এবং হীনম্মন্যতা দেখা যায়। নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ান। আপনি আর দশজন মানুষ থেকে আলাদা। আপনার জন্য নিশ্চয়ই ভালো কিছু রয়েছে। সে কারণেই আজ আপনি একা আছেন। আপনি একা এই কারণটাকে নিজের হাতিয়ার হিসেবে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠুন।

ক্যারিয়ার সচেতন হোন

(১৬৯) নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন। যখন দেখবেন আপনি একজন সফল মানুষ তখন আপনার নিজেরই একাকিত্বের যন্ত্রণাকে আর যন্ত্রণা মনে হবে না। বরং অনেক বেশি সুখী জীবনযাপন করতে পারবেন।

সময় পেলেই ঘুরতে চলে যান

(১৭০) একাকী জীবনটাই ঘুরতে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে সঠিক সময়। দূরে কোথাও না গেলেও একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে পছন্দের খাবার খান, কোথাও বেরোতে চলে যান একটি ক্যামেরা নিয়ে, যা মনে চায় তাই করুন।কারণ একাকী জীবনের এটাই তো বড় সুবিধা।

নিজেকে ভালোবাসুন

(১৭১) সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে নিজেকে ভালোবাসা। আপনি যদি নিজেকে ভালোবাসতে শেখেন তাহলে নিজেকে সম্পূর্ণ একজন হিসেবে দেখতে পারবেন। আপনার কাছে মনে হবে আপনাকে পূরণ করার জন্য অন্য কারও প্রয়োজন নেই। আপনি নিজে নিজেই খুশি থাকতে পারবেন তখন।

নিজেকে নিজে সাহস দিনঃ
(১৭২) কি, কথাটা শুনেই হাসি পাচ্ছে তো? আপনারা হয়তো জানেন না, কিন্তু নিজের সাথে আপনি যেমন ব্যবহার করবেন, সেটাও আপনার মন-মানসিকতার উপরে প্রভাব ফেলবে। তাই আপনি যতটুকুই কাজ করে থাকেন না কেন, নিজেকে সর্বদা বাহবা দিবেন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।

না জানলে প্রশ্ন করুনঃ

(১৭৩) প্রশ্ন করতে ভয় পাবেন না। কোনো বড়সড় ভুল করার থেকে ভালো যে আপনি আগেই জেনে নিন কোন কাজটা কিভাবে করতে হবে। সব কথা পরিষ্কার করে তবেই কোমর বেঁধে কাজে নামুন। এতে করে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।

নিজেকে সর্বদা চ্যালেঞ্জ করুনঃ

(১৭৪) আপনি যেই কাজ করে অভ্যস্ত, চেষ্টা করুন ধীরে ধীরে এক ধাপ করে এগিয়ে যেতে। নিজেকে আরেকটু কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলুন। তারপর যখন আপনি সফলভাবে সেই পরিস্থিতি অতিক্রম করবেন, তখন আপনার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস অনেকগুণ বেড়ে যাবে।


☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "আত্মবিশ্বাস নিয়ে কিছু কথা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel