আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?

ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?


প্রচলিত একটি কথা আছে, প্রতিকার থেকে প্রতিরোধ উত্তম। ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে আপনাকে আগে জানতে হবে ব্রণ কি, কেন হয়, কাদের হয়, কি করনীয়, চিকিৎসা কি।

প্রথমেই আমরা জানবো ব্রণ কি?

সেবাসিয়াস গ্রন্থি সেবাম নামে একপ্রকার তৈলাক্ত পদার্থ নিঃসরণ করে যা ত্বককে মসৃণ রাখে। কোনো কারণে সেবাসিয়াস গ্রন্থির নালির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে সেবাম নিঃসরণের বাধার সৃষ্টি হয় এবং তা ভেতরে জমে ফুলে উঠে যা ব্রণ (acne) নামে পরিচিত। ব্রণ তৈরি হওয়ার পর্যায়ে এর মুখ বন্ধ থাকায় সাদাটে দেখায়। বন্ধ নালির মুখে জমাকৃত কোষগুলি আস্তে আস্তে কালো হয়ে গেলে তাকে কালো ফোঁটা বলে। প্রায়ই ব্রণের চারপাশে প্রদাহ শুরু হয় এবং এর রং লাল দেখায়। এর উপর জীবাণু সংক্রমণ ঘটলে পুঁজ তৈরি হয়। বাইরে থেকে এদের ছোট দেখালেও এরা বেশ গভীর হতে পারে। এজন্য ব্রণে সংক্রমণ সেরে গেলেও মুখে দাগ থেকে যেতে পারে।

তেরো বছর থেকে উনিশ বছর বয়স পর্যন্ত শতকরা নব্বই জনের এ রোগটি কমবেশি হয়ে থাকে। বিশ বছর বয়সের পর থেকে নিজে থেকেই এ রোগটি ভাল হয়ে যেতে থাকে। তবে এর ব্যতিক্রম যে হয় না তা নয়। কখনও কখনও বিশ থেকে তিরিশ বছর বয়সেও এটি দেখা দিতে পারে এবং অনেক বয়স পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।

ব্রণ কেন হয়?

ব্রণের সুনির্দিষ্ট কারণ সম্পর্কে বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত না হলেও সাধারণত দেখা যায় হজমের গোলমাল, সুরাপান, বয়ঃসন্ধিকালে কিংবা অন্যান্য কারণে অনেকের মুখে ব্রণ হয়। আবার অনেকেই বিশেষজ্ঞ মনে করেন, ব্রনের অনেকগূলো কারণের ভিতর বংশগত কারণ একটি অন্যতম কারণ। প্রোপাইনি ব্যাকটেরিয়াম একনিস নামক এক ধরনের জীবাণু স্বাভাবিকভাবেই লোমের গোড়াতে থাকে। এন্ড্রোজেন হরমনের প্রভাবে সেবাম-এর নিঃসরণ ( মাথা, মুখ, ইত্যাদি জায়গায় তেলতেলে ভাব ) বেরে যায় এবং লোমের গোড়াতে উপস্থিত জীবাণু সেবাম থেকে ফ্রী ফ্যাটি অ্যাসিড তৈরি করে। অ্যাসিডের কারণে লোমের গোড়ায় প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং লোমের গোড়ায় কেরাটিন জমা হতে থাকে।

ব্রণের প্রকারভেদঃ 
ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?
১) ট্রপিক্যাল একনি– অতিরিক্ত গরম এবং বাতাসের আর্দ্রতা বেশি হলে পিঠে, উরুতে ব্রণ হয়ে থাকে।

২) প্রিমিন্সট্রুয়াল একনি– কোনো কোনো মহিলার মাসিকের সাপ্তাহ খানেক আগে ৫-১০টির মতো ব্রণ মুখে দেখা দেয়।

৩) একনি কসমেটিকা– কোনো কোনো প্রসাধনী লাগাতার ব্যবহারে মুখে অল্প পরিমাণে ব্রণ হয়ে থাকে।

৪) একনি ডিটারজিনেকস– মুখ অতিরিক্ত ভাবে সাবান দিয়ে ধুলেও ( দৈনিক ১/২ বারের বেশি ) ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায়।

৫) স্টেরয়েড একনি– স্টেরয়েড ঔষধ সেবনে হঠাৎ করে ব্রণ দেখা দেয়। মুখে স্টেরয়েড, যেমন– বটানোবেট ডার্মোভেট জাতীয় । ঔষুধ একাধারে অনেকদিন ব্যবহারে ব্রণের পরিমান বেড়ে যায় ।

ব্রণ-অ্যাকনি ভালগারিস
অ্যাকনি ভালগারিস ইংরেজি: Acne vulgaris বা Acne) বা ব্রণ হলো মানব ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ যা বিশেষত লালচে ত্বক, প্যাপ্যুল, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষতচিহ্ন বা কাটা দাগ ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। ভীতি, দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ণতা উদ্রেকের পাশাপাশি, এটির প্রধান পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে আত্ম বিশ্বাস কমে যাওয়া। অতিরিক্ত পর্যায়ে মানসিক অবসাদ এবং আত্মহত্যার মত অবস্থার উদ্ভব হতে পারে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ব্রণের রোগীদের আত্মহত্যার পরিমাণ ৭.১%।
বয়ঃসন্ধিকালে লিঙ্গ নির্বিশেষে টেস্টোস্টেরন এর মত অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির ফলে ব্রণ হতে পারে। ত্বকের উপর তৈলাক্ত গ্রন্থির মাত্রার উপর ব্রণ হওয়া নির্ভর করে। এমন সব স্থান হল-মুখ, বুকের উপর অংশ ও পিঠ। অনেকসময় ব্রণ অনাক্রম্যতা (asymptomatic) প্রদর্শন করে। ত্বকে উপস্থিত লোম রন্ধ্র (hair follicle)
এবং সিবেসিয়াস গ্রন্থির (sebaceous gland) সংখ্যা অ্যান্ড্রোজেন সংবেদনশীলতার হার নির্ধারণ করে।
ব্রণের অনেক ধরনের চিকিৎসা আছে। স্বল্প পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট যেমন চিনি খাওয়া যেতে পারে। ঔষধের মধ্যে আছে: বেনজইল পারঅক্সাইড, অ্যান্টিবায়োটিক, রেটিনয়েড, হরমোন চিকিৎসা, স্যালিসাইলিক এসিড, আলফা হাইড্রক্সি এসিড, নিকোটিনামাইড, কেরাটোলাইটিক সাবান ইত্যাদি। দ্রুত চিকিৎসা ব্রণের দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবকে বিনাশ করে।
বয়ঃ সন্ধিকালে ব্রণ বেশি হয়, পাশ্চাত্যে যার পরিমাণ ৮০-৯০%। গ্রাম্য সমাজে এর মাত্রা কম। ২০১০ সালে সারা বিশ্বব্যাপী ৬৫০ মিলিয়ন মানুষের ৮ম সাধারণ রোগ হিসেবে এটি নির্ণীত হয়েছে। সময়ের সাথে সাথে অধিকাংশ মানুষের ব্রণ কমে যায় এবং ২৫ বছরের মধ্যে একেবারে নির্মুল না হলেও একদমই কমে যায়। ফলে, ব্রণ কবে একেবারে শেষ হয়ে যাবে, তা পূর্বানুমান করা যায় না। কিছু কিছু মানুষের ৩০-৪০ বছরের পরেও ব্রণ থাকতে দেখা যায়।
লক্ষণ
সিস্টিক ব্রণ
পিঠে সিস্টিক ব্রণ
বিভিন্ন রকম ব্রণ: A: মুখে সিস্টিক ব্রণ B: মধ্যদেহে ব্রণ C: বুক এবং ঘাড়ে বিস্তীর্ণ ব্রণ
কারণ 
হরমোন
মাসিক চক্র এবং বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের মাত্রাধিক্যের কারণে ব্রণ হয়। বয়ঃসন্ধিকালে, অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত সিবাম তৈরি হয়। গর্ভকালীন সময়েও অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির কারণে অতিরিক্ত সিবাম তৈরি হয়। এছাড়াও কিছু হরমোন ব্রণের সাথে সম্পর্কযুক্তঃ টেস্টোস্টেরন, ডিহাইড্রোএপিএন্ডোস্টেরন।
পরবর্তী জীবনে ব্রণ হওয়া অস্বাভাবিক, যদিও ব্রণের মতই আরেক ধরনের উপস্থিতি থাকতে পারে। প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর ব্রণের পেছনে কারণ হিসেবে গর্ভধারণের মত স্বাভাবিক বিষয় থেকে শুরু করে পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা কুশিং সিন্ড্রোম থাকতে পারে।
জেনেটিক
কিছু ব্যক্তির ব্রণের পেছনে জেনেটিক উপাদান যেমন TNF-আলফা, IL-1 আলফা ইত্যাদি দায়ী বলে মনে করা হয়, যা যমজ গবেষণা দ্বারা সমর্থিত। এসব প্রচলিত মেন্ডেলের বংশগতির পোষকের প্যাটার্নকে অনুসরণ করে না।
মানসিক
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে ব্রণ বাড়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব হেলথদুশ্চিন্তাকে ব্রণ বৃদ্ধিকারক একটি এজেন্ট বলে উল্লেখ করেছে।
সংক্রমণ
Propionibacterium acnes একটি অবায়বিয় (Anerobic) ব্যাক্টেরিয়ার প্রজাতি যা ব্রণের পেছনে অনেকাংশে দায়ী, যদিও শুধুমাত্র P. acnes দ্বারা কলোনী সৃষ্টির পর Staphylococcus aureus কেও
দায়ী করা হয়। তারপরেও, P. acnes এর বিশেষ কিছু জাত দীর্ঘমেয়াদি ব্রণের সমস্যার সাথে সম্পর্কযুক্ত।
acnes এর অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধ দিন দিন বাড়ছে। Demodex নামক পরজীবির দ্বারা সংক্রমণের ফলেও ব্রণ হতে পারে।
খাদ্য প্যাথোফিজিওলজি রোগ নির্ণয়
ব্রণের মাত্রা নিরূপণের কিছু পন্থা আছে, যা নিম্নোক্ত:
লিডস গ্রীডিং : সংক্রামতা এবং অসংক্রামতা নির্ধারণ করে (বিস্তার ০–১০)।
কুকস গ্রেডিং স্কেল: ছবি ব্যবহার করে মাত্রা নির্ধারণ করে (সবচেয়ে কম ০,সবচেয়ে বেশি ৮)।
পিলসবারি স্কেল: মাত্রা নির্ধারণ করে ১ (সবচেয়ে কম) - ৪ (সবচেয়ে বেশি)।
পরিণতি
ব্রণ সচরাচর বিশ বছরের আশেপাশেই শেষ হয়ে যায়, তবে প্রাপ্তবয়স্কদের ও থাকতে পারে। স্থায়ী দাগও থেকে যেতে পারে।
চিকিৎসা 
বেনজইল পারঅক্সাইড 
অ্যান্টিবায়োটিক 
স্যালিসাইলিক এসিড 
হরমোন 
টপিক্যাল রেটিনয়েড 
ওরাল রেটিনয়েড 
সমন্বিতকরণ প্রক্রিয়া রোগতত্ত্ব
২০১০ সালে সারা বিশ্বব্যাপী ৬৫০ মিলিয়ন মানুষের ব্রণ হয়েছিল, যা মোট জনসংখ্যার ৯.৪%। পাশ্চাত্যে প্রায় ৯০% মানুষের কৈশোরকালে ব্রণ হয়ে প্রাপ্তবয়স পর্যন্ত বিরাজ করে। বয়ঃসন্ধির পর থেকে শুরু করে ২৫ বছরের মধ্যে ৫৪% নারীর এবং ৪০% পুরুষের ব্রণ হয়। ৮৫% ব্যক্তির জীবন ব্যাপী ব্রণ রয়েছে, যেখানে ২০% মানুষের মারাত্মক অবস্থায় বিদ্যমান। গ্রাম্য সমাজে এর মাত্রা কম। পাপুয়া নিউ গিনি ও প্যারাগুয়েতে ব্রণ প্রায় হয় না বললেই চলে। ছেলেদের থেকে মেয়েদের ব্রণ বেশি হয় (মেয়ে = ৯.৮% বনাম ছেলে = ৯.0%)। ৪০ বছরের বেশি মানুষের মধ্যে ১% পুরুষ ও ৫% নারীর সমস্যা থেকে যেতে পারে। সকল বয়সের মানুষই আক্রান্ত হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪০-৫০ মিলিওন মানুষের ব্রণ হয় (১৬%) এবং অস্ট্রেলিয়াতে এ সংখ্যা ৩-৫ মিলিওন (২৩%)।
ইতিহাস
প্রাচীন মিশর, গ্রীস, রোমে ব্রণের চিকিৎসায় সালফার ব্যবহৃত হত।
১৯২০ সাল: বেনজইল পারঅক্সাইড ১৯৭০ সাল: মূলত ট্রেটিনইন, তবে মাইনোসাইক্লিনের মত অ্যান্টিবায়োটিকও ব্যবহৃত হত।
১৯৮০ সাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাকুটেন ব্যবহৃত হত, যা পরবর্তীতে টেরাটোজেন বলে প্রতীয়মান হয়, যা গর্ভধারণের সময় ভ্রূণের মারাত্মক ক্ষতি করে। সেখানে ১৯৮২ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ২০০০ এর অধিক নারী এই উপাদান গ্রহণ করে গর্ভবতী হন, যার অধিকাংশই গর্ভপাতে পর্যবসিত হয়। জন্মগত ত্রুটি নিয়ে ১৬০ টিরও বেশি শিশু জন্মগ্রহণ করে।


ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় :

কিছু নিয়ম অবলম্বন করলেই ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। অনেকের ধারণা, কোনো বিশেষ খাবার খেলেই ব্রণ হয়ে থাকে। আসলে এটি ঠিক নয়। কোনো খাবার খেলে যদি ব্রণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকে তবে সে খাবারটি বাদ দিতে হবে। তবে প্রচুর ফলমূল ও পানি খেতে হবে। মুখে বেশি ব্রণ থাকলে রাসায়নিক কোনো উপাদান বা কসমেটিক ব্যবহার করা ঠিক নয়, যথাসম্ভব প্রাকৃতিক বা হারবাল জিনিস ব্যবহার করা ভালো কারণ এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বেশির ভাগ ব্রণ নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমে সেরে ফেলা সম্ভব।

ব্রণ হলে কী করবেন:

দুই-তিনবার হালকা সাবান বা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোবেন।

ব্রণে হাত লাগাবেন না।

তেল ছাড়া অর্থাৎ ওয়াটার বেসড মেকআপ ব্যবহার করবেন।

মাথা খুশকিমুক্ত রাখার চেষ্টা করুন।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন এবং নিজের জন্য আলাদা তোয়ালে রাখুন।

রাতে ঠিকমতো ঘুমানোর চেষ্টা করুন।

মানসিক চাপ পরিহার করুন।

প্রচুর পরিমাণে ফল, সবজি খান ও প্রচুর পানি পান করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে তা দূর করতে হবে।

ঝাল-মশলাযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলতে হবে।

পুষ্টিহীনতায় ভুগলে প্রোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।

তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।

ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।

চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।

ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।

বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়।

এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।

কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।

আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়।

তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

ব্রণ হলে কী করবেন না:

রোদে বেরুবেন না, রৌদ্র এড়িয়ে চলুন।

তেলযুক্ত ক্রিম বা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করবেন না।

ব্রণে হাত লাগাবেন না। ব্রণ খুঁটবেন না।

চুলে এমনভাবে তেল দেবেন না যাতে মুখটাও তেলতেলে হয়ে যায়।

ব্রণ হলে একেবারেই আচার খাবেন না। তবে মিষ্টি চাটনি খেতে পারেন।

বেশি পরিমাণে নিরামিষ খাবার খান। আমিষ খাবার যতটা সম্ভব না খাওয়ার চেষ্টা করুন।

ডেইরি প্রোডাক্টসের মধ্যে হরমোনাল উপাদান বেশি পরিমাণে থাকে বলে তা খুব সহজে রক্তের সঙ্গে মিশে যায়। এ কারণেই পনির, দুধ এবং দই কম খান।

কোল ড্রিঙ্কস খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিন।

আয়ুর্বেদের মতে অতিরিক্ত ক্রোধের ফলে শরীরে পিত্ত সঞ্চিত হয়। তাই ক্রোধ থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখুন।

কেন ব্রণের চিকিৎসা করাবেন:

ব্রণ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। কারণ চিকিৎসা না করালে অনেক সময় ব্রণ ত্বকের মারাÍক ক্ষতি করতে পারে। ত্বকে গভীর প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর ব্রণ হলে চেহারা খারাপ দেখানোর কারণে অনেকে হতাশ হয়ে যায়।

চিকিৎসা ব্যবস্থা ব্রণের প্রকারভেদের ওপর নির্ভর করে।

ব্রণের পরিমাণ যদি খুব বেশি হয় তবে টেট্রাসাইক্লিন বা ইরাইথ্রোমাইসিন থেতে হয়। এ জাতীয় ওষুধ একাধারে অনেক দিন খেতে হয়। পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে বলে এসব ওষুধ একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের অধীনে খাওয়াই মঙ্গল।

তবে সাধারণভাবে রেটিন-এ ক্রীম অথবা পেনক্সিল ২.৫% জেলটি নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সূর্য ডোবার পর ( সন্ধার পর ) শুধু গোটাগুলোতে ১/২ দিন ব্যবহারের পর ঠিক হয়ে যায়। লালভাব বা এলার্জি যদি খুব বেশি হয় তবে ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়াই ভাল।


ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?ব্রণ দূর করার ছয়টি ঘরোয়া উপায়

এসব ব্যবহার করে ঘরোয়া উপায়ে ব্রণ দূর করুন।

ব্রণের সমস্যায় আমরা অনেকেই ভুগি। সাধারণত ত্বকের তৈলগ্রন্থি বা ওয়েল গ্ল্যান্ড ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে সংক্রমিত হলে ব্রণ হয়। ত্বকের উজ্জ্বলতা, সৌন্দর্য নষ্ট করতে ব্রণ অনেকাংশেই দায়ী। সুস্থ-সুন্দর ব্রণমুক্ত ত্বক দেখতে কার না ভালো লাগে? তাই ঘরে বসে ব্রণ দূর করতে হেলথ ডটকম দিয়েছে কিছু পরামর্শ।

এসপিরিন

নিউইয়র্কের ডার্মাটোলজিস্ট এবং স্কিন রুলস বইয়ের লেখক ডেবরা জেলিমান জানান, এসপিরিন হলো এক ধরনের সলিসিলিক এসিড। একনি বা ব্রণ দূর করার পণ্যগুলোতে এই উপাদান ব্যবহার করা হয়। এসপিরিন গুঁড়ো করে পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তুলার মধ্যে লাগিয়ে এই পেস্ট সরাসরি ব্রণের মধ্যে ১০ মিনিট রাখুন। এর পর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

চা-গাছের তেল

চা-গাছের তেলের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-সেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। কয়েক ফোঁটা চা-গাছের তেল তুলার মধ্যে লাগিয়ে খুব নরমভাবে ব্রণ ও দাগে লাগান। দেখবেন কয়েক দিনের মধ্যে ব্রণ সেরে উঠেছে।

বরফ

ড. জেলিমান জানান, গোড়ালি মচকে গেলে এর ফোলা কমাতে বরফ কাজ করে। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতেও বেশ কার্যকর। একটি বরফের ছোট টুকরো পরিষ্কার কাপড়ের মধ্যে নিয়ে এক মিনিটের জন্য ব্রণের মধ্যে রাখুন। এই পদ্ধতি ব্রণের লাল হওয়া ও ফোলাভাব কমাবে।

লেবুর রস

লেবুর রসের মধ্যে রয়েছে সাইট্রিক এসিড। রয়েছে এল-এসকোরোবিক এসিড, যা প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্টের উৎস। একটি তুলোর টুকরোর মধ্যে লেবুর রস মিশিয়ে ব্রণে লাগান। সারা রাত রাখুন। ব্রন দূর করতে এই পদ্ধতিও বেশ কার্যকর।

রসুন

রসুনের গন্ধ হয়তো আপনার বিরক্ত লাগতে পারে। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান; যা ব্রণ দূর করে। রসুন দেহের বিভিন্ন রোগ-প্রতিরোধেও উপকারী। এটি ক্যানসার প্রতিরোধ করে। রসুনে রয়েছে এলিসিন ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। রসুন কেটে পানির সঙ্গে পেস্ট করুন। এরপর ব্রণের মধ্যে পাঁচ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মধু

ব্রণ দূর করতে মধুও খুব উপকারী। মিষ্টি স্বাদের এই খাবারটি আপনি মাস্কের মতো মুখে লাগাতে পারেন। পাঁচ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ধুয়ে ফেলুন। এর ভেতর আছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি সেপটিক উপাদান। তবে নিয়মিতি মধু ব্যবহারে ব্রণ একেবারেই সারবে কি না, সেটা নিয়ে গবেষকরা এখনো দ্বন্দ্বে রয়েছেন। তাঁদের পরামর্শ, চেষ্টা করুন অপ্রক্রিয়াজাত বা টাটকা মধু ব্যবহার করতে।




ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?একদিনে ব্রণ থেকে মুক্তির উপায়

মুখে ব্রণ বা ফুসকুড়ি হলে তা যেমন বিরক্তিকর, তেমনই মুখের সৌন্দর্যকে বহুলাংশে কমিয়ে দেয়। অনেকের ক্ষেত্রে ব্রণ সেরে গিয়ে বারবার হয়। অনেকের ক্ষেত্রে একবার ব্রণ হলে তা আর সারতে চায় না। তাই জেনে নিন, মাত্র একদিনে মুখের ব্রণ বা ফুসকুড়ি থেকে মুক্তি পাবেন কীভাবে?

সরিষা

মুখে ব্রণ বা অন্য কোনও সমস্যা হলে সরিষা দারুণ কাজ করে। এতে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে যা সংক্রমণকে ধ্বংস করে দেয়। তাই টেবিল চামচের এক-চতুর্থাংশ সরিষা গুড়া নিয়ে তাতে মধু মিশিয়ে নিন। মুখে এই মিশ্রণটি ভালো করে মিশিয়ে ১৫ মিনিট রেখে মুছে ফেলুন।

সবুজ চা

বেশি করে সবুজ চা ফুটিয়ে সেই পানি ঠান্ডা করে তা মুখে ব্রণের উপরে মাখুন।

টমেটো


ত্বকের যেকোনো সংক্রমণ কমাতে টমেটো বিশেষ সাহায্য করে। টমেটো কেটে তার টুকরা বা রস বানিয়ে মুখে মাখুন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

রসুন

রসুনের রস ব্রণের উপরে লাগান। চাইলে অনেকক্ষণ লাগিয়ে রাখতে পারেন। পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

ডিমের সাদা অংশ

ডিমের সাদা অংশ ব্রণের উপরে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।

ভিনেগার


ভিনেগারও ব্রণের সমস্যায় দারুণ কাজ করে। তুলোয় ভিনেগার লাগিয়ে ব্রণে লাগান। ৫ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পুরো মুখে ভিনেগার লাগাবেন না।

লেবুর রস

রাতে শোওয়ার আগে তুলার বল লেবুর রসে ভিজিয়ে সারারাত মুখের ব্রণে লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে উঠে দেখবেন ব্রণ সমস্যা অনেক কমেছে।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "ব্রণ কি? কেন হয়? ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় ও হোমিও চিকিৎসা?"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel