আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

বগুড়া জেলা

বগুড়া জেলা


বগুড়া জেলা

বগুড়া জেলা


 বগুড়া জেলা(মোট আয়তন)☞☞২৮৯৮.২৫ কিমি২(১১১৯.০২ বর্গমাইল)।

বগুড়া জেলা (নামকরণ)☞☞১২৮১-১২৯০ খ্রিস্টাব্দে দিল্লরি সুলতান গিয়াসউদ্দীন বলবনের ২য় পুত্র সুলতান নাসিরউদ্দীন বগরা খান বাংলার শাসনকর্তা নিযুক্ত হন। তাঁর নামানুসারে বগুড়া জেলার নামকরণ করা হয়েছে।

বগুড়া জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞বগুড়া জেলা ১৮২১ সালে জেলা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বগুড়া জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞৮৮.৫০ ডিগ্রী পূর্ব থেকে ৮৮.৯৫ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমাংশে এবং ২৪.৩২ ডিগ্রী উত্তর থেকে ২৫.০৭ ডিগ্রী উত্তর অক্ষাংশে বগুড়া সদর উপজেলা অবস্থিত। বগুড়া জেলার উত্তরে গাইবান্ধা ও জয়পুরহাট জেলা, দক্ষিণে সিরাজগঞ্জ ও নাটোর জেলা, পূর্বে জামালপুর জেলা ও যমুনা নদী এবং পশ্চিমে নওগাঁ জেলা অবস্থিত ।
                                                   বগুড়া জেলা

বগুড়া জেলা(মৌজা )☞☞সর্বমোট টি  মৌজা।

বগুড়া জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ১২টি পৌরসভা। 

বগুড়া জেলা
(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ১০৮টি ইউনিয়ন।

বগুড়া জেলা
(গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ২৬৯৫টি গ্রাম।

বগুড়া জেলা(গণকবর)☞☞ ৫টি গণকবর (তালোড়া দুপচাঁচিয়া সড়কের পাশে পদ্মপুকুর নামক স্থান, শাজাহানপুরের বিবির পুকুর, নন্দীগ্রামের বামন গ্রাম, সোনাতলার হারিয়াকান্দি, ধুনট থানার পাশে)।

বগুড়া জেলা(বধ্যভূমি)☞☞ ১টি বধ্যভূমি (শেরপুরের বাঘড়া কলোনী গ্রাম)।

বগুড়া জেলা(স্মৃতিস্তম্ভ)☞☞ ৩টি স্মৃতিস্তম্ভ (কাহালু উচ্চ বিদ্যালয় স্মৃতিসৌধ, আদমদীঘির শ্মশানঘাট স্মৃতিস্তম্ভ, ধুনট শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ)।

বগুড়া জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ১২টি উপজেলা সোনাতলা উপজেলা,আদমদিঘী উপজেলা,বগুড়া সদর উপজেলা,ধুনট উপজেলা,দুপচাঁচিয়া উপজেলা,গাবতলী উপজেলা,কাহালু উপজেলা,নন্দীগ্রাম উপজেলা,সারিয়াকান্দি ।

বগুড়া জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ দই।

বগুড়া জেলা(রেল যোগাযোগ)☞☞বগুড়া জেলার সর্ব পশ্চিমে রয়েছে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন। বাংলাদেশ রেলওয়ের ব্রডগেজ লাইন নাটোর থেকে জয়পুরহাট পর্যন্ত সান্তাহাররের উপর দিয়ে চলে গেছে। এছাড়া সান্তাহার থেকে একটি মিটারগেজ লাইন আদমদিঘী, তালোড়া, কাহালু, বগুড়া শহরের মধ্যদিয়ে রংপুর, গাইবান্ধা, লালমনিরহাটকে সংযুক্ত করেছে।

বগুড়া জেলা(আকাশ পথ)☞☞বগুড়ার একমাত্র বিমানবন্দরটি কাহালু উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে অবস্থিত। তবে বিমান বন্দরটি সাধারণত বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হয়।

বগুড়া জেলা(নদনদী)☞☞বগুড়া জেলায় ছোট বড় অনেক নদী দেখতে পাওয়া যায়। জেলার মধ্যভাগ দিয়ে করতোয়া এবং অন্যান্য নদীগুলো পূর্ব ও পশ্চিম ভাগের উপর দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে প্রবাহিত। পূর্বভাগের নদীগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-যমুনা, বাঙ্গালী, ইছামতি, হলহলিয়া, সুখদহ, মহিষাবান ইত্যাদি এবং পশ্চিমভাগের নদীগুলোর মধ্যে নাগর, চন্দ্রাবতী, ভাদাই ইত্যাদি। এছাড়া এ জেলায় বেশ কিছু সংখ্যক বিল ও দীঘি রয়েছে যেমন বেতগাড়ী, কিগাড়া, সুবিল, এরুলিয়া, জিয়াদহ, পোড়াদহ বিল, নুরুলের বিল, কাচিয়ার বিল, আদমদীঘি, শহরদীঘি বাদলা দীঘি ইত্যাদি। এসব জলাশয় জেলার অর্থনীতিতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

বগুড়া জেলা(পোড়াদহ মেলা)☞☞
বগুড়ার ঐতিয্যবাহী মেলার মধ্যে পোড়াদহ মেলা উল্লেখযোগ্য। বগুড়া শহর হতে ১১ কিলোমিটার পূর্বদিকে ইছামতি নদীর তীরে পোড়াদহ নামক স্থানে সন্ন্যাসী পূজা উপলক্ষে প্রতি বছর এ মেলা হয়ে আসছে। মেলার নাম পোড়াদহ মেলা। পোড়াদহ নামক স্থানে মেলা বসে তাই নাম হয়েছে পোড়াদহ মেলা। কথিত আছে প্রায় সাড়ে চারশত বছর পূর্বে থেকে সন্ন্যাসী পুজা উপলক্ষে এই মেলা হয়ে আসছে। পূজা পার্বন হিন্দুদের উৎসব হলেও এই মেলা ধর্মের গন্ডি পেরিয়ে হয়ে উঠছে পূর্ব বগুড়ার সকল ধর্মের মানুষের মিলন মেলায়। প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ দিনের কাছের বুধবারে এই মেলা হয়ে আসছে। মেলার প্রধান আকর্ষন বড় মাছ আর বড় মিষ্টি। এছাড়াও থাকে নারীদের প্রসাধন, ছোটদের খেলনা ও দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। কাঠ ও স্টিলের আসবাব পত্রও সুলভ মুল্যে পাওয়া যাবে এ মেলায়। এছাড়াও আছে নাগড়দোলা, সার্কাস, মটরসাইকেল খেলার মত মজার সব ব্যবস্থা। মেলা উপলক্ষে দুর দুরন্ত হতে আত্বীয়রা এসে ভরে যায় প্রতিটি বাড়ি। মেয়েরা জামাই সহ বাপের বাড়িতে বেড়াতে আসে। ঈদ, দূর্গা পুজার মত বড় উৎসবের পাশাপাশি এই মেলা পরিনত হয়েছে মানুষের মিলন মেলায়। মেলা প্রধানত একদিনের হলেও উৎসব চলে তিনদিন ব্যাপি। বুধবার মুল মেলার পরদিন বৃহস্পতিবার একই স্থানে এবং একই সাথে আশেপাশের গ্রামে গ্রামে চলে বউ মেলা। যেহেতু অনেক মেয়েরা মুল মেলায় ভিরের কারণে যেতে পারেনা তাই তাদের জন্যই এই বিশেষ আয়োজন। বউ মেলায় শুধু মেয়েরা প্রবেশ করতে পারে এবং কেনাকাটা করতে পারে।


বগুড়া জেলা(কৃতী ব্যক্তিত্ব)☞☞ 
মেজর জিয়াউর রহমান (১৯৩৬-১৯৮১) বীর উত্তম, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের প্রধান, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
প্রফুল্ল চাকী (১৮৮৮-১৯০৮), ব্রিটিশ বিরোধী আন্দলনের নেতা ।
মোহাম্মদ আলী বগুড়া (মৃত্যু ১৯৬৯), কূটনীতিক এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ।
খাদেমুল বাশার (১৯৩৫-১৯৭৬), বীর উত্তম, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার এবং বিমান বাহিনী প্রধান ।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭), সাহিত্যিক ও গল্পকার ।
গাজিউল হক (১৯২৯-২০০৯), ভাষা সৈনিক ।
এম. আর. আখতার মুকুল (১৯২৯-২০০৪), লেখক এবং সাংবাদিক ।
মুশফিকুর রহিম, জাতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় ।
শফিউল ইসলাম সুহাস- একজন বাংলাদেশী ক্রিকেটার
রোমেনা আফাজ, সাহিত্যিক ।
আবু সাইয়িদ, চলচিত্র নির্মাতা
তরুণ মজুমদার - চিত্রপরিচালক
আনোয়ার হোসেন এস.এফ.এ (২০০০)
ডা. মো: রেজাউল আলম জুয়েল - সহকারি অধ্যক্ষ, শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

বগুড়া জেলা(বিখ্যাত স্থান)☞☞
মহাস্থানগড়, ৪০০ খৃস্টপূর্বাব্দ। গোকুল মেধ, ৭০০ খৃস্টাব্দ। ভাসু বিহার, ৪০০ খৃস্টাব্দ। যোগীর ভবণ, ১৫০০ খৃস্টাব্দ। ‍‍‌বিহার, ৮০০ খৃস্টাব্দ। ভীমের জাঙ্গাল, ১১০০ খৃস্টাব্দ। খেরুয়া মসজিদ, শেরপুর। নবাব বাড়ী (সাবেক নীল কুঠির)।
►ভাসু-বিহার
►গোকুল মেধ
►শাহ্ সুলতান বলখি মাহী সাওয়ারের মাজার
►ভবানীপুর শিবমন্দির
►ভবানী মন্দির
►খেড়ুয়া মসজিদ
►মোহাম্মদ আলী প্যালেস মিউজিয়াম
►গ্রায়েন বাঁধ
►ওয়ান্ডারল্যান্ড
►মহাস্থান প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘর
►বাবা আদমের মাজার ও আদমদিঘীর প্রখ্যাত দিঘী
►ঐতিহাসিক যোগীর ভবনের মন্দির
►পাঁচপীর মাজার কাহালু

মহাস্থানগড়☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞☞



মহাস্থানগড়ের বিস্তীর্ণ ধবংসাবশেষ প্রাচীর পুন্ড্রবর্ধনভূক্তির রাজধানী পুন্ড্রনগরের সুদীর্ঘ প্রায় আড়াই হাজার বছরের গৌরবোজ্জল ইতিহাসের এক নীরব স্বাক্ষী। এ ধবংসাবশেষ বগুড়া জেলা শহরের ১৩ কিঃমিঃ উত্তরে করতোয়া নদীর পশ্চিম তীরেঅবস্থিত। সমগ্র বাংলার সর্বপ্রধান ও সর্বপ্রাচীন এ দূর্গনগরী পর্যায়ক্রমে মাটি ও ইটের বেষ্টনী প্রাচীর দ্বারা সুরক্ষিত যা উত্তর দক্ষিনে ১৫২৫ মিঃদীর্ঘ এবং পূর্ব পশ্চিমে ১৩৭০মিঃ প্রশস্থ ও চতুপার্শ্বস্থ সমতল ভূমি হতে৫মিঃ উচু। বেস্টনী প্রাচীর ছাড়াও পূর্ব দিকে নদী ও অপর তিনদিকে গভীর পরিখা নগরীর অতিরিক্ত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছে। প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন হতে জানা যায় যে, কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত এ স্থান পরাক্রমশালী মৌর্য , গুপ্ত এবং পাল শাসক বর্গের প্রাদেশিক রাজধানী ও পরবর্তীকালে হিন্দু সমান্ত রাজাগণের রাজধানী ছিল। দূর্গের বাইরে উত্তর , পশ্চিম , দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিম ৭/৮ কিলোমিটারের মধ্যে এখনও বিভিন্ন ধরণের বহু প্রাচীন নিদের্শন রয়েছে যা উপ-শহরের সাক্ষ্য বহন করে। উল্লেখ্য, বিখ্যাত চীনা পরিব্রাজক হুয়েন সাঙ ভারতবর্ষ ভ্রমণকালে (৬৩৯-৬৪৫) পুন্ড্রনগর পরিদর্শন করেন।প্রখ্যাত বৃটিশ প্রত্নতত্ববিদ স্যার আলেকজান্ডার কানিংহাম ১৮৭৯ খৃষ্টাব্দে মহাস্থান গড়ের ধ্বংসাবশেষকে ফুয়েন সাঙ বর্ণিত পুন্ডু নগর হিসেবে সঠিক ভাবে সনাক্ত করে

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "বগুড়া জেলা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel