কম্পিউটার ল্যাপটপ কি
রবিবার, ১৯ মে, ২০১৯
Comment
ল্যাপটপের কি☞☞বোর্ডের নিচেই থাকে যন্ত্রাংশ। বেশির ভাগ কি–বোর্ড পানিরোধী না হওয়ায় ল্যাপটপের কাছে তরল কিছু পান না করাই ভালো। আর করতেই হলে থাকতে হবে সাবধান।
: বালিশ বা নরম কিছুর ওপর রেখে ল্যাপটপ চালাবেন না। ল্যাপটপের বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা সাধারণত নিচে এবং পাশে থাকে। নরম কিছুর ওপর রাখলে বায়ুপ্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়ে ল্যাপটপ গরম হয়ে যেতে পারে, যা যন্ত্রাংশের জনয ক্ষতির কারণ। এ ক্ষেত্রে ল্যাপটপ কুলার ব্যবহার করতে পারেন।
: খালি হাতে ল্যাপটপ বহন না করে ব্যাগে ভরে বহন করুন।
: স্মার্টফোনের মতো ল্যাপটপ হারিয়ে গেলে সেটির অবস্থান বের করতে আছে ট্র্যাকিং সফটওয়্যার। এ ক্ষেত্রে দ্য ল্যাপটপ লক সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।
: খুব গরম কোনো জায়গায় ল্যাপটপ ব্যবহার করতে বিশেষজ্ঞরা নিষেধ করেন।
ল্যাপটপ ব্যাটারির যত্ন☞☞
ল্যাপটপ কম্পিউটারের ব্যাটারি একসময় কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলতে শুরু করে। নিচে ব্যাটারির কিছু সাধারণ যত্নের কথা তুলে ধরা হলো☞☞☞☞
ব্যাটারির চার্জ ২০ থেকে ৩০ শতাংশ অবশিষ্ট থাকলে তখনই এটি চার্জ করে নেওয়া ভালো। ল্যাপটপের চার্জের স্তর ১০০% হলে ব্যাটারি চার্জ নেওয়া বন্ধ করে সরাসরি বিদ্যুৎ থেকে শক্তি নিয়ে চলতে থাকে।
ল্যাপটপের ব্যাটারি পুরো চার্জ করে কমপক্ষে ২ ঘণ্টা সময় দিয়ে ব্যাটারিকে ঠান্ডা করে নিন। দুই ঘণ্টা পর আবার ল্যাপটপ চালু করে ডেস্কটপের ডান পাশে নিচে ব্যাটারির আইকনে ডান ক্লিক করে Power Option চালু করুন। এখানে পাওয়ার প্ল্যান থেকে Balanced (recommended)-এর Change plan settings-এ ক্লিক করুন। আবার Change Advanced power settings-এ ক্লিক করে সেটি খুলুন। এবার Battery-তে ক্লিক করে Critical battery action-এর on battery-তে Hibernate নির্বাচন করে দিন। এটি আগে থেকেও করে দেওয়া থাকতে পারে। তখন নতুন করে আর করার দরকার নেই। Critical battery level-এর on battery এবং Plugged in-এ ৫% নির্ধারণ করে দিন।
কম্পিউটার হাইবারনেটে চলে যাওয়ার আগেই অন্য যেকোনো কাজ করে ব্যাটারির চার্জকে নিঃশেষ করে নিন। হাইবারনেট বিশেষ পাওয়ার সংরক্ষণ সুবিধা আছে। কাজ শেষে কম্পিউটার বন্ধ হলে ঘণ্টা খানেক পর আবারও চার্জ করে ব্যবহার করুন।
উইন্ডোজ ভিস্তা এবং ৭ অপারেটিং সিস্টেমের কিছু ছবিভিত্তিক আবহ ও থিম ব্যাটারির স্থায়িত্ব কমায়। তাই যাঁদের ল্যাপটপে চার্জ কম থাকে, তাঁরা Windows 7 Basic Theme থিম ব্যবহার করুন। এটি ডেস্কটপে ডান ক্লিক করে Personalize-এ পাওয়া যাবে।
ল্যাপটপ কেনার আগে গুরুত্বপূর্ণ ৭ বিষয়☞☞☞☞
গত কয়েক বছরে ল্যাপটপের নকশা ও প্রযুক্তিতে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এখন সাধ্যের মধ্যে প্রয়োজনীয় ল্যাপটপ বেছে নেওয়াটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ল্যাপটপ কেনার সময় কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনার সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হতে পারে।
১ টাচস্ক্রিন☞☞
আপনি যদি টাচ বা স্পর্শ করে পণ্য চালাতে পছন্দ করেন, তবে টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনার জন্য ভালো হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, উইন্ডোজ ৮ ইন্টারফেসের টাইল ও জেশ্চার আপনার টাচস্ক্রিন অভিজ্ঞতাকে উন্নত করবে এবং তা সহজে ব্যবহার করতে পারবেন। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপগুলোতে ওয়েব পেজ ব্যবহার করা সহজ। এ ছাড়াও ছবি ও ডকুমেন্টস দেখতেও সুবিধা হয়। টাচস্ক্রিন ল্যাপটপ আপনি কিবোর্ডযুক্ত ল্যাপটপ হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে ৫০ হাজার টাকার মধ্যে টাচস্ক্রিন সুবিধার ল্যাপটপ পাবেন। সাধারণত সিনেমা দেখা, গান শোনা, ইন্টারনেট ব্যবহার করাসহ ছোটখাটো কাজের জন্য কম দামের ল্যাপটপ কেনাই যথেষ্ট। এ ক্ষেত্রে ১৫ ইঞ্চি পর্দার মনিটরসহ ল্যাপটপ কিনতে পারেন।
২ নকশা ও ওজন☞☞
আপনি যদি বেশি বেশি ভ্রমণ করেন তখন আপনার জন্য হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক ভালো হবে। ১২ থেকে ১৩ ইঞ্চি মাপের যে ল্যাপটপে দীর্ঘক্ষণ চার্জ থাকে সেটি কিনবেন। যদি বাড়ি বা অফিসের কাজের জন্য ল্যাপটপ কিনতে চান তবে ১৪ ইঞ্চি বা ১৫.৬ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনুন। আপনি যদি গেমার বা ছবি ও ভিডিও সম্পাদনার কাজের জন্য ল্যাপটপ চান তবে আপনাকে শক্তিশালী ল্যাপটপ বেছে নিতে হবে। এ জন্য ১৫.৬ বা ১৭ ইঞ্চি মাপের ডিসপ্লেযুক্ত ল্যাপটপ কিনতে পারেন। আপনি যদি সব সময় সঙ্গে করে ল্যাপটপ নিয়ে ঘোরেন তবে আপনার জন্য ধাতব কাঠামোর ল্যাপটপ যুত্সই হবে। আপনার ল্যাপটপ যদি বাড়ির সকলেই ব্যবহার করে তবে তা ধাতব কাঠামো ও করপোরেট মডেলের হলে ভালো হবে। প্রচলিত প্রায় সব ল্যাপটপের ব্যাটারি লিথিয়াম আয়নের হয়ে থাকে। এতে যত বেশি সেল (৪-১২) থাকবে, ব্যাটারি তত বেশি সময় চার্জ ধরে রাখতে পারবে।
৩ তথ্য ধারণ ক্ষমতা☞☞
ল্যাপটপ কেনার সময় খেয়াল রাখবেন তাতে কতটুকু তথ্য আপনি সংরক্ষণ করতে পারবেন। এখনকার দিনে ১৫.৬ ইঞ্চি ল্যাপটপ ছাড়া অপটিক্যাল ড্রাইভের ব্যবহার কম দেখা যায়। এখন হার্ডড্রাইভের পরিবর্তে ফ্ল্যাশ ভিত্তিক ড্রাইভ এসএসডিও ব্যবহার হতে দেখা যাচ্ছে। ফ্ল্যাশ স্টোরেজ দামি হলেও এর নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম। এর আকার ছোট এবং কাজ করে দ্রুত।
৪ অপারেটিং সিস্টেম☞☞
অনেকেই অল্প কিছু অর্থ সাশ্রয়ের জন্য প্রি-লোডেড অপারেটিং সিস্টেমনির্ভর ল্যাপটপ কেনেন না। কিন্তু নিজে থেকে ওএস এবং অন্যান্য সফটওয়্যার ইনস্টল করা কঠিন ও সময় সাপেক্ষ। ল্যাপটপ কেনার সময় আপনি যে অপারেটিং সিস্টেমে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন সেটি ইনস্টল করুন।
৫ ল্যাপটপের আকার☞☞
যদি বাড়ি বা অফিসের জন্য ল্যাপটপ কেনার কথা ভাবেন তবে ল্যাপটপের আকার বড় হওয়া ভালো। এতে চোখের সুবিধা হবে এবং কাজের জন্য সুবিধা পাবেন। যদি কোনো প্রেজেন্টেশন দেওয়ার জন্য ল্যাপটপ কিনতে হয় তবে তা হালকা-পাতলা ও ছোট স্ক্রিনের হলে ভালো হয়।
৬ ফিচার☞☞
ভালো একটি ল্যাপটপে ইনটেল বা এএমডির মাল্টিকোর সিপিইউ থাকলে ভালো। ৩-৪ টি ইউএসবি পোর্ট এবং ল্যাপটপটি দ্রুতগতির কিনা তা দেখে নেওয়া বাঞ্চনীয়। সাধারণত উচ্চ রেজ্যুলেশনের গেম খেলা, ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য উচ্চ গতির ল্যাপটপ কেনা জরুরি। এ জন্য প্রসেসরের ক্লক স্পিড ৩.০ গিগাহার্টজ বা এর বেশি হলে ভালো হয়। প্রসেসর কোন সিরিজের (কোর আইথ্রি, ফাইভ, সেভেন) তা জেনে নেওয়াও জরুরি। কেনার আগে অবশ্যই গ্রাফিকস সক্ষমতা কেমন দেখে নেবেন। ভিডিও সম্পাদনা এবং গ্রাফিকসের কাজের জন্য কমপক্ষে ৪ গিগাবাইটের ডিডিআরথ্রি র্যাম হলে ভালো হবে।
৭ ব্র্যান্ড☞☞
পুরোনো ল্যাপটপ কেনার সময় সতর্ক থাকুন। ওয়ারেন্টি দেখে নিন। পরিচিত ব্র্যান্ডের ওপর আস্থা রাখতে পারেন। ডিলার ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ কেনার আগে তাদের বিক্রয় পরবর্তী সেবা ও অতীতে তাদের ল্যাপটপ বিক্রির রেকর্ড সম্পর্কে জানা থাকলে ভালো হবে। কেনার সময় অবশ্যই ওয়ারেন্টি কার্ড, চার্জার, ব্যাগ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র যা আপনার ল্যাপটপের সঙ্গেই পাচ্ছেন তা বুঝে নেবেন। এ ছাড়া সব সময় অনুমোদিত ডিলার, আমদানিকারক, বিশ্বস্ত মাধ্যম বা দোকান থেকে ল্যাপটপ কিনুন।
ল্যাপটপ ব্যবহারের টিপস☞☞
বর্তমানে বাংলাদেশে এখন ল্যাপটপের ব্যাপক চাহিদা। বিভিন্ন সুবিধার কারনে অনেকেই এখন ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত। তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন, তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক। যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন। আর অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে। আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভাল থাকবে।
ল্যাপটপ ব্যবহারের টিপস☞☞☞☞
☞☞☞কিছু নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপের পারফরমেন্স ভালো হয়।
☞ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও ২/৩ সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
☞ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
☞মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার করুন।
☞ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
☞দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ করে রাখুন।
☞হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ সিডি/ডিভিডি র্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
☞এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন, সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
☞শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ করুন।
☞ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
☞হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
☞অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
☞মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner, Ram Optimi“er, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
☞আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।
☞☞☞☞কেমন গেল এ বছরের ল্যাপটপের বাজার?
গত বছর গুলো দেশে দুর্দান্ত ছিল ল্যাপটপের বাজার। প্রতিযোগিতামূলক দামে বিক্রি হয়েছে ল্যাপটপ। বাজার ঘুরে ক্রেতারা কিনেছেন তাঁদের পছন্দের মডেল। ২৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামের ল্যাপটপ বাজারে ছিল। তবে বাজারে বেশি চলেছে মিডরেঞ্জ বা মাঝারি দামের ল্যাপটপগুলো।
এ বছর বাংলাদেশে ল্যাপটপের বাজার বেশ চাঙা ছিল বলে জানান একাধিক ল্যাপটপ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। দেশের বাজারে বেশ কিছু নতুন ল্যাপটপ এসেছে এ বছর।
অ্যাপল, আসুস, এসার, এইচপি, ডেল, লেনোভো, ফুজিৎসুসহ কয়েকটি মডেলের ল্যাপটপ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের বাজারে এসেছে। ব্যবহারকারীদের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে নতুন নতুন মডেলের ল্যাপটপ বাজারে এনেছে প্রতিষ্ঠান। ল্যাপটপের নকশা, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যারসহ বিভিন্ন ফিচার বিশ্লেষণ করে ল্যাপটপ কিনেছেন ক্রেতারা।
আসুস কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রচুর আসুস ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে। যে পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল, তার চেয়েও বেশি বিক্রি হয়েছে ল্যাপটপ। মাঝারি দামের ল্যাপটপগুলোর চাহিদা ছিল বেশি। আসুসের ভিভোবুক নামের ল্যাপটপ বেশি কিনেছেন ক্রেতারা।
ডেল কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ বছর তাদের জন্য অনেক ভালো ছিল। ২০ থেকে ৩০ মডেলের ল্যাপটপ এ বছর বাজারে এসেছে। অনেকেই নকশার দিক বিবেচনা করে ল্যাপটপ কিনেছেন এবার। এর মধ্যে ভালো চলেছে ইন্সপায়রন সিরিজের কোর আই৫-এর ৫৫৫৯ মডেলটি।
এইচপির সূত্র জানায়, গত বছরের চেয়ে এ বছর খুবই ভালো গেছে তাদের। ল্যাপটপের বিক্রি ছিল অনেক বেশি। বাংলাদেশের ল্যাপটপের বাজারে এইচপি এ বছর শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে। এ বছর এইচপির ১৪ ও ১৫ ইঞ্চি মাপের ল্যাপটপের চাহিদা ছিল বেশি। এর মধ্যে প্রোবুক ৪৪০ ও ৪৫০ মডেল বেশি চলেছে।
আসুস ছাড়াও বাজারে এইচপি, এসার, লেনোভোর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিক্রি হয়েছে বেশি।
ডিসেম্বরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক্সপো মেকার আয়োজিত ল্যাপটপ মেলার এসার, আসুস, ডেল, এইচপি, লেনোভো ব্র্যান্ড অংশ নেয়। মেলায় এসব ব্র্যান্ডের ল্যাপটপে তরুণদের বেশ আগ্রহ দেখা যায়। মেলা থেকে প্রায় চার হাজার ল্যাপটপ বিক্রি হয়।
এ বছরের কিছু ল্যাপটপ☞☞☞☞
আসুস☞☞এ বছর যেসব ল্যাপটপ বাজারে বিক্রি হয়েছে, তার মধ্যে চমক বলতে ছিল ৬৪ জিবি র্যামের জি ৭০০-ভিও নামের গেমিং ল্যাপটপ। আসুসের গেমিং সিরিজের এ ল্যাপটপে ইনটেল কোর আই৭ প্রসেসর, জিটিএক্স ৯৮০ গ্রাফিকস থাকায় গেম খেলার জন্য এটি অনেকেই কিনেছেন এ বছর। এ বছর হালকা-পাতলা ল্যাপটপ বা আলট্রাবুক হিসেবে আসুস এনেছিল ‘জেনবুক ৩’। অ্যালুমিনিয়াম কাঠামোর এই ল্যাপটপে রয়েছে সাড়ে ১২ ইঞ্চির ফুল এইচডি ডিসপ্লে। ৯১০ গ্রাম ওজনের ল্যাপটপটি ১১ দশমিক ৯ মিলিমিটার পুরু। ইনটেল কোর আই৭ প্রসেসরের ল্যাপটপটির দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।
অ্যাপল:চারটি মডেলে ধূসর ও রুপালি রঙে ২০১৬ সংস্করণের ম্যাকবুক প্রো বাজারে আসে। ১৩ দশমিক ৩ ও ১৫ দশমিক ৪ ইঞ্চি পর্দার এই ম্যাকবুকে প্রথমবারের মতো টাচবার ও টাচ আইডিসুবিধা যোগ করা হয়েছে। টাচবার ছাড়া ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি পর্দার ম্যাকবুক প্রোর (কোর আই৫/২৫৬ গিগাবাইট এসএসডি) দাম ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। টাচবারসহ ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি পর্দার ম্যাকবুক প্রো (কোর আই৫/২৫৬ গিগাবাইট এসএসডি), ১৩ দশমিক ৩ ইঞ্চি পর্দার ম্যাকবুক প্রো (কোর আই৫/৫১২ গিগাবাইট এসএসডি) এবং ১৫ দশমিক ৪ ইঞ্চি পর্দার ম্যাকবুক প্রো (কোর আই৭/৫১২ গিগাবাইট এসএসডি/২ গিগাবাইট রেডিয়ন গ্রাফিকস) ল্যাপটপের দাম যথাক্রমে ১ লাখ ৭০ হাজার, ১ লাখ ৯০ হাজার এবং ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
এইচপি: এ বছর বাজারে আসে এইচপি প্যাভিলিয়ন সিরিজের ১৫-একে০২১টিএক্স মডেলের গেমিং ল্যাপটপ। এতে আছে ৩.৫ গিগাহার্টজ পর্যন্ত গতির ষষ্ঠ প্রজন্মের কোর আই৭ প্রসেসর, ৮ গিগাবাইট র্যাম, ২ টেরাবাইট হার্ডডিস্ক, ৪ গিগাবাইট গ্রাফিকস কার্ড এবং ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি পর্দা। এর কি-বোর্ড অন্ধকারেও দেখা যায়। এর দাম ৮৩ হাজার ৭০০ টাকা।
এইচপি স্পেক্টর ১৩ নামে সবচেয়ে পাতলা ল্যাপটপ আনে এইচপি। এ ছাড়া স্পেক্টর এক্স৩৬০, এনভি, প্যাভিলিয়ন ও এইচডি প্যাভিলিয়ন সিরিজের ল্যাপটপও ঘোষণা দেয় এইচপি। এইচপি স্পেক্টর ১৩ মডেলের ল্যাপটপটি ১০ দশমিক ৪ মিলিমিটার পুরু, ওজন ১ কেজি ১১০ গ্রাম। এর দাম ১ লাখ ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া কোর আই থ্রি ও কোর আই৫-এর ৪৪০ মডেলের প্রোবুক ও ৪৫০ মডেলের প্রোবুক বাজারে এসেছে। এর দাম ৪২ হাজার থেকে ৫৬ হাজার টাকার মধ্যে
লেনোভো☞সপ্তম প্রজন্মের ইনটেল প্রসেসরের লেনোভো আইডিয়াপ্যাড ৩১০ ল্যাপটপ বাজারে আসে এ বছর। কোর আই৩, ৪ গিগাবাইট র্যাম ও কোর আই৫-এর ৮ জিবি র্যাম দুটি সংস্করণে এটি বাজারে আসে। দুটি ল্যাপটপে ১৫ দশমিক ৬ ইঞ্চি পর্দা, এক টেরাবাইট হার্ডডিস্ক ড্রাইভ, ডলবি মিউজিক ও এনভিডিয়া ৯২০ এমএক্স গ্রাফিকস কার্ড আছে। কোর আই ৩ সংস্করণটির দাম ৪১ হাজার ৯০০ টাকা। কোর আই৫ সংস্করণের মূল্য ৫২ হাজার ৫০০ টাকা।
ডেল☞ ইন্সপায়রন ৫৫৬৭ মডেলের ল্যাপটপ বাজারে আসে। এতে ইনটেলের সপ্তম প্রজন্মের কোর আই৩, কোর আই৫ ও কোর আই৭ প্রসেসর রয়েছে। সংস্করণভেদে দাম ৪৩ হাজার ৫০০ থেকে ৭১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া ল্যাটিচিউড সিরিজের ই৭৪৭০ মডেলের কোর আই৭ ল্যাপটপ বাজারে আসে। এর দাম ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা। ডেল এক্সপিএস আল্ট্রাবুকের দাম ১ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এ বছর ভস্ট্রো-১৪ ৫৪৫৯ মডেলের নতুন স্টাইলিশ ল্যাপটপ আনে ডেল। মনেট নামে পরিচিত ইনটেল ষষ্ঠ প্রজন্মের কোর আই৭ প্রসেসরযুক্ত এই ল্যাপটপে ৮ জিবি র্যাম, ১ টেরাবাইট হার্ডড্রাইভ, ১৪ ইঞ্চি ডিসপ্লে, এনভিডিয়া জিফোর্স ৯৩০ এম মডেলের ৪ জিবি গ্রাফিকস কার্ড, ব্লুটুথ ও ওয়েবক্যাম রয়েছে। ল্যাপটপটির দাম ৭৫ হাজার ৫০০ টাকা।
এসার☞এ বছর ই-সিরিজের কয়েকটি মডেলের ল্যাপটপ দেশের বাজারে আনে এসার। এর মধ্যে প্রিডেটর সিরিজের জি৯ মডেলের একটি ল্যাপটপের দাম ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
ওয়ালটন☞ চলতি বছর থেকে ল্যাপটপের বাজারে এসেছে দেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটন। প্রাথমিকভাবে চারটি সিরিজের মোট ২০টি মডেলের ল্যাপটপ বাজারে এনেছে। ২৯ হাজার ৫০০ থেকে ৯৫ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায় ওয়ালটনের ল্যাপটপ।
BIPLOB
কপি করবেন না☞☞করলে সোর্স উল্লেখ্য করে করবেন। ধন্যবাদ।
☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "কম্পিউটার ল্যাপটপ কি"
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন