আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

গাজীপুর জেলা

গাজীপুর জেলা


গাজীপুর জেলা

গাজীপুর জেলা

গাজীপুর জেলা  (মোট আয়তন)☞☞১৭৭০.৫৮ কিমি২(৬৮৩.৬২ বর্গমাইল)।

গাজীপুর জেলা  (নামকরণ)☞☞মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনকালে জনৈক মুসলিম কুস্তিগির গাজী এ অঞ্চলে বসতি স্থাপন করেছিলেন এবং তিনি বহুদিন সাফল্যের সঙ্গে এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। এ কুস্তিগির/পাহলোয়ান গাজীর নামানুসারেই এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর বলে লোকশ্রুতি রয়েছে। আরেকটি জনশ্রুতি এ রকম সম্রাট আকবরের সময় চবি্বশ পরগনার জায়গিরদার ছিলেন ঈশা খাঁ। এই ঈশা খাঁরই একজন অনুসারীর ছেলের নাম ছিল ফজল গাজী। যিনি ছিলেন ভাওয়াল রাজ্যের প্রথম 'প্রধান'। তারই নাম বা নামের সঙ্গে যুক্ত 'গাজী' পদবি থেকে এ অঞ্চলের নাম রাখা হয় গাজীপুর। গাজীপুর নামের আগে এ অঞ্চলের নাম ছিল জয়দেবপুর। এ জয়দেবপুর নামটি কেন হলো, কতদিন থাকল, কখন, কেন সেটা আর থাকল না_ সেটিও প্রাসঙ্গিক ও জ্ঞাতব্য। ভাওয়ালের জমিদার ছিলেন জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী। বসবাস করার জন্য এ জয়দেব নারায়ণ রায় চৌধুরী পীরাবাড়ি গ্রামে একটি গৃহ নির্মাণ করেছিলেন। গ্রামটি ছিল চিলাই নদীর দক্ষিণ পাড়ে। এ সময় ওই জমিদার নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে এ অঞ্চলটির নাম রাখেন 'জয়দেবপুর' এবং এ নামই বহাল ছিল মহকুমা হওয়ার আগ পর্যন্ত। যখন জয়দেবপুরকে মহকুমায় উন্নত করা হয়, তখনই এর নাম পাল্টে জয়দেবপুর রাখা হয়। উল্লেখ্য, এখনো অতীতকাতর-ঐতিহ্যমুখী স্থানীয়দের অনেকেই জেলাকে 'জয়দেবপুর' বলেই উল্লেখ করে থাকেন। গাজীপুর সদরের রেলওয়ে স্টেশনের নাম এখনো 'জয়দেবপুর রেলওয়ে স্টেশন'। তবে বিস্তারিত আলোচনায় গেলে বলতেই হয়, গাজীপুরের আগের নাম জয়দেবপুর এবং তারও আগের নাম ভাওয়াল। গাজীপুরকে ১৯৮৪খ্রিস্টাব্দের ১ মার্চ জেলা এবং ২০১৩ খ্রিস্টাব্দের ৭ জানুয়ারী রোজ: সোমবার সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করা হয়।

গাজীপুর জেলা (প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞ ১৯৮৪ সালের ১ মার্চ গাজীপুর জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে।

গাজীপুর জেলা (ভৌগোলিক সীমানা)☞☞উত্তরে ময়মনসিংহ এবং কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী জেলা, পূর্বে নরসিংদী জেলা, পশ্চিমে ঢাকা ও টাঙ্গাইল জেলা।
                                                   গাজীপুর জেলা

গাজীপুর জেলা (সিটি কর্পোরেশন)☞☞সর্বমোট ১টি (গাজীপুর) সিটি কর্পোরেশন।
গাজীপুর জেলা (পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ৪টি পৌরসভা☞টঙ্গী, গাজীপুর, কালিয়াকৈর ও শ্রীপুর।
 গাজীপুর জেলা ( মৌজা )☞☞সর্বমোট ৮১৪ টি  মৌজা ।
গাজীপুর জেলা (ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ৪৭ টি ইউনিয়ন পরিষদ।
গাজীপুর জেলা (গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ১৩৩০টি  গ্রাম ।
গাজীপুর জেলা (উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ৫টি উপজেলা☞গাজীপুর সদর, কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর, কালীগঞ্জ ও শ্রীপুর।
গাজীপুর জেলা (থানা)☞☞সর্বমোট ৬টি থানা☞জয়দেবপুর, টঙ্গী (গাজীপুর সদর উপজেলাধীন), কাপাসিয়া, কালিয়াকৈর, শ্রীপুর ও কালীগঞ্জ।
গাজীপুর জেলা  (বিখ্যাত খাবার)☞☞ ►কাঁঠাল►পেয়ারা।

গাজীপুর জেলা  (ভাষা ও সংষ্কৃতি)☞☞☞☞☞☞☞☞
প্রাচীন কালে চীনা পরিব্রাজক যখন বাংলাদেশ ভ্রমন করেন তখন সারা বাংলায় আর্য ভাষার প্রচলন হয়। ভাওয়ালেও (গাজীপুর জেলা) তখন আর্য ভাষাসুপ্রতিষ্ঠিত হয় । বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত বাংলা ভাlv নামকগবেষণা গ্রন্থে বিশিষ্ট লেখক ডঃহুমায়ুন আজাদ বর্ণনা করেছেন আঠারো শতকেরত্রিশের দশকে ঢাকার ভাওয়ালে বসে পর্তুগীজপাদ্রি ম্যানুয়েলদা আসসম্পসাও রচনা করেছিলেন বাংলার দ্বিভাষিক অভিধান ও খন্ডিতব্যকরণ কাজটিনাগরীর গীর্জাতে বসে সম্পন্ন করেছেন। ভাওয়ালের কথ্য ভাষায় যা বাংলা একাডেমী ডঃ সুনীতি কুমার চট্টোপাধ্যায়সহ সকল গবেষকরা স্বীকৃতি দিয়েছেন ।

জেলার আঞ্চলিক ভাষার নমুনা☞☞অহনো এখনো কান্দস কাঁধ,অইলে হলে কতা কথা,বাংলাগদ্যের জন্মস্থান ভাওয়াল । বাংলা ভাষার ইতিহাসে আদি ও প্রথম গদ্যে রচিতপুস্তকটি ‘ব্রাষ্ফন রোমান ক্যাথলিক’ সংবাদ নামে বিশেষ পরিচিত ।

সংস্কৃতি☞☞ভাওয়াল সংগীতঃভাওয়াল জমিদারের পৃষ্ঠপোষকতায় ভাওয়াল সংগীত প্রতিষ্ঠা লাভ করে । বিশেষতঃসম্রাটআকবরের সভাসদ তানসেনের পুত্র বংশীয় রবাবীয়া, ধ্রুপদীয়াওওস্তাদকাশেম আলী খাঁ ভাওয়াল রাজবাড়ীতে সংগীতের চর্চা করে ভাওয়াল সংগীতকে প্রসিদ্ধ হতে সহায়তা করেন।

গাজীপুর জেলা(দোমঅন্থনির পালাগান)☞☞অতীতেগাজীপুর অঞ্চলে এ পালা গান প্রচলিত ছিল । ধর্ম প্রচারের জন্যগণমানুষদেরকথামালা নিয়ে এ পালাগান রচিত হত। ভাওয়ালের মানুষ ছিল পালাগান, জারী,সারি,ভাটিয়ালী গান প্রিয় । দোম অন্থনি দো রোজারিও এ পালগান রচনা করেনযা ধীরেধীরে ভাওয়াল ছাড়াও দেশে নানা স্থানে ছাড়িয়ে পড়ে ।

গাজীপুর জেলা(গাজীর গীত)☞☞পূর্বেসমগ্র গাজীপুর অঞ্চলে গাজীর গীতের প্রচলছিল । বাংলার সুলতান সিকান্দরশাহের প্রথম পুত্র গাজীর জীবন কাহিনী নিয়ে এই গীত রচিত হয়।

গাজীপুর জেলা(প্রাচীন পুঁথি সাহিত্য)☞☞পুঁথি সাহিত্য এ অঞ্চলে পূর্বে খুবই জনপ্রিয় ছিল । সোনাবানের পুঁথি, মোছন্দালীরপালা, গাজীর পালা, গফুর বাদশা, বানেছা পরীর পালা, ভাওয়ালসন্যাসীর পালা প্রভৃতি এঅঞ্চলের উল্লেখযোগ্য পুঁথি সাহিত্য।

গাজীপুর জেলা(লোকজসংস্কৃতি)☞☞গাজীপুর অঞ্চলে অলংকার শিল্প , আসন শিল্প , কাথা শিল্প, পাখা শিল্প, কাঠশিল্প ,মাদুরশিল্প, ধুপ শিল্প, খেজুর পাতার পাটি শিল্প ইত্যাদি কুটিরশিল্প প্রচলন রয়েছে ।

গাজীপুর জেলা(উৎসব)☞☞বিভিন্নপার্বনে বিভিন্ন ধরণের উৎসব উদযাপিত হয় এবং মেলার আয়োজন করেন । বৈশাখমাসে বৈশাখী মেলা, হেমন্তে নবান্ন উৎসব,চৈত্র সংক্রান্তিতে মেলার আয়োজনকরা হয়।

গাজীপুর জেলা(বিখ্যাত স্থান)☞☞ 
►ভাওয়াল রাজবাড়ী
►নুহাশ পল্লী
►জাগ্রত চৌরঙ্গী
►ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী
►ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান (National Park)
►আনসার একাডেমী, সফিপুর
►বলিয়াদী জমিদার বাড়ী
►নাগবাড়ী, চান্দনা, চৌরাস্তা।
►নাগরী, পাঞ্জুরা চার্চ
►রাংগামাটিয়া, তুমিলিয়া, কালীগঞ্জ
►বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
►মন পুড়া পার্ক, কাশিমপুর,গাজীপুর
►নাগরী টেলেন্টিনুর সাধু নিকোলাসের গীর্জা
►সিঙ্গার দীঘি (পাল রাজাদের রাজধানী নগরী)

গাজীপুর জেলা(বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ)☞☞ 
তাজউদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
মোঃ সামসুল হক, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি
আবু জাফর শামসুদ্দীন
আর্চবিশপ পৌলিনুস ডি কস্তা, বাংলাদেশের প্রাক্তন সর্বোচ্চ ক্যাথলিক ধর্মীয় নেতা।
আহসানউল্লাহ মাস্টার, রাজনীতিবিদ
এম জাহিদ হাসান - পদার্থবিদ, ভাইল ফার্মিয়ন কণার আবিষ্কারক।

গাজীপুর জেলা (প্রত্নসম্পদ)☞☞ 
ভাওয়াল রাজবাড়ী, জয়দেবপুর
ইন্দ্রাকপুর (প্রাচীন রাজধানী), শ্রীপুর
বলধার জমিদার বাড়ী, বাড়ীয়া
টোক বাদশাহী মসজিদ, কাপাসিয়া
পূবাইল জমিদার বাড়ী, পূবাইল
সেন্ট নিকোলাস চার্চ, কালীগঞ্জ
শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী, কালিয়াকৈর.
বলিয়াদী জমিদার বাড়ী, বলিয়াদি, কালিয়াকৈর.
ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী, জয়দেবপুর
শৈলাট, শ্রীপুর
কাশিমপুর জমিদার বাড়ী, গাজীপুর সদর
দত্তপাড়া জমিদার বাড়ী, টঙ্গী
কপালেশ্বর (ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তি), রাজা শিশু পালের রাজধানী
একডালা দুর্গ, কাপাসিয়া
মীর জুলমার সেতু, টঙ্গী
সাকাশ্বর স্তম্ভ, কালিয়াকৈর

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "গাজীপুর জেলা "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel