আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

কিশোরগঞ্জ জেলা

কিশোরগঞ্জ জেলা


কিশোরগঞ্জ জেলা 

কিশোরগঞ্জ জেলা

কিশোরগঞ্জ জেলা (মোট আয়তন)☞☞কিশোরগঞ্জের ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার। এই আয়তনে ১৩টি উপজেলা রয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা (নামকরণ)☞☞১৮৬০ খ্রিস্টাব্দে কিশোরগঞ্জ মহকুমার জন্ম হয়। মহকুমার প্রথম প্রশাসক ছিলেন মিঃ বকসেল। বর্তমান কিশোরগঞ্জ তৎকালীন জোয়ার হোসেনপুর পরগনার অন্তর্ভক্ত ছিল। অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষ দিকেও কিশোরগঞ্জ এলাকা 'কাটখালী' নামে পরিচিত ছিল। ইতিহাসবিদদের ধারণা ও জনশ্রুতি মতে এ জেলার জমিদার ব্রজকিশোর মতান্তরে নন্দকিশোর প্রামানিকের 'কিশোর' এবং তাঁর প্রতিষ্ঠিত হাট বা গঞ্জের 'গঞ্জ' যোগ করে কিশোরগঞ্জ নামকরণ করা হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞১৯৮৪ সালে এটি জেলায় রূপান্তরিত হয়। কিশোরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয় ১৮৬৯ সালে।
                                             কিশোরগঞ্জ জেলা
কিশোরগঞ্জ জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা জেলা ও ময়মনসিংহ জেলা, দক্ষিণে নরসিংদী জেলা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা, পূর্বে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা, পশ্চিমে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা।

কিশোরগঞ্জ জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ০৪টি পৌরসভা।

কিশোরগঞ্জ জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ১০৫ টি ইউনিয়ন।

কিশোরগঞ্জ জেলা(গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ১৭৯৪ টি গ্রাম।

কিশোরগঞ্জ জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ১৩টি উপজেলা কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা,অষ্টগ্রাম উপজেলা,ইটনা উপজেলা,করিমগঞ্জ উপজেলা,কটিয়াদি উপজেলা,কুলিয়ারচর উপজেলা,তাড়াইল উপজেলা,নিকলী উপজেলা,পাকুন্দিয়া উপজেলা,বাজিতপুর উপজেলা,ভৈরব উপজেলা,মিটামইন উপজেলা,হোসেনপুর উপজেলা।

কিশোরগঞ্জ জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ বালিশ মিষ্টি।

কিশোরগঞ্জ জেলা(মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি)☞☞   ১৯৭১ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে পাকসেনারা নিকলি উপজেলার শ্বশানঘাটে প্রায় অর্ধশত নিরীহ লোককে হত্যা করে। ১৪ আগস্ট কুলিয়ারচর উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং ২৮ জন রাজাকার অস্ত্রসহ মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে। ৩ সেপ্টেম্বর পাকসেনারা স্থানীয় রাজাকারদের সহায়তায় অষ্টগ্রামের ইকরদিয়া গ্রামে ৩৫ জন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ৫ সেপ্টেম্বর একই উপজেলার সাভিয়ানগর গ্রামে পাকসেনারা আরও ২৫ জন লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ৬ সেপ্টেম্বর নিকলি উপজেলার গুরুই গ্রামে পাকসেনারা ২৫ জন নিরীহ লোককে হত্যা করে। ১৯ অক্টোবর নিকলি উপজেলায় পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন এবং ২০ অক্টোবর নিকলি শত্রুমুক্ত হয়। ২৬ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধারা বাজিতপুর উপজেলা শত্রুমুক্ত করে। ১ নভেম্বর পাকসেনারা মিটামইন উপজেলার ধুবাজুরা গ্রামের ১৮ জন এবং তেলিখাই গ্রামের ৩ জন লোককে হত্যা করে। ১৮ নভেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা হোসেনপুর থানা এলাকায় একটি সেতু ডিনামাইটের সাহায্যে উড়িয়ে দেয় এবং রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ করে রাইফেলসহ ১৪ জন রাজাকারকে বন্দি করে। মুক্তিযুদ্ধের সময় কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদলের বরইতলায় পাকসেনারা ৩৬০ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করে। ভৈরব উপজেলার হালগড়া নামক স্থানে পাকসেনারা তিন শতাধিক লোককে হত্যা করে এবং ১৩ ডিসেম্বর পাকসেনারা ভৈরব রেলসেতুটি বিধ্বস্ত করে দেয়। হোসেনপুর থানায় মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে ৩৯ জন পাকসেনা নিহত হয় এবং এ অভিযানে প্রচুর গোলাবারুদ মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের সময় করিমগঞ্জ উপজেলার কাজলা, আয়লা, সাকুয়া, বালিয়াবাড়ি প্রভৃতি স্থানে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াই সংঘটিত হয়।

কিশোরগঞ্জ জেলা(ভাষা)☞☞ প্রমিত ভাষা রীতির বাইরে অঞ্চলভেদে প্রত্যেক দেশেই একটি নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। কিশোরগঞ্জ জেলার এমন অনেক উপজেলা আছে যেগুলোতে আঞ্চলিক ভাষার ক্ষেত্রে অনেক বৈপরিত্য লÿ্য করা যায়। অর্থাৎ সব মিলিয়ে কিশোরগঞ্জের নিজস্ব ভাষা রীতি এ অঞ্চলের মানুষকে একটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য দান করেছে।
এ জেলার ভাষা রীতির একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এখানে কথা বলতে গিয়ে অনেক সময় মানুষেরা অতীতকালের শব্দ বর্তমান কালের বাক্যে ব্যবহার করে থাকে। যেমন-খাইতামনা, যাইতামনা, ধরতামনা, করতামনা ইত্যাদি। এসকল শব্দ শুদ্ধ ভাষায় সাধারনতঃ অতীতকালে ঘটিত অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন-(সাধু ভাষায়) ‘আমি বাড়ীতে খাইতামনা’ (চলিত ভাষায়) ‘আমি তার বাড়ীতে খেতামনা’। কিন্তু কিশোরগঞ্জ অঞ্চলে এই সকল শব্দ বর্তমানকালে ঘটমান অর্থে কথ্য ভাষায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেমন-আমি খাইতামনা (আমি খাবোনা), আমি যাইতামনা (আমি যাবোনা)।
কিশোরগঞ্জের আঞ্চলিক ভাষার পাশাপাশি জেলার দূরবর্তী হাওররর উপজেলা অষ্টগ্রামের স্থানীয় অধিবাসীদের একটি নিজস্ব ভাষা আছে, যা একমাত্র স্থানীয় অধিবাসী ব্যতীত অন্যের পক্ষে বুঝে উঠা কঠিন। এ ভাষার স্থানীয় নাম ‘ছহুম ভাষা’। ছহুম ভাষার কিছু উদাহরণ নিম্নরুপ-টাইঙ্গা-সিগারেট বা বিড়িঃ ‘সাইর‌যারে টাইঙ্গা বেড়অ’ অর্থাৎ আমাকে একটা সিগারেট বা বিড়ি দাও। এছাড়াও জেলার অনেক কাপড়ের দোকান ও জুতোর দোকানগুলোতে মালিক-কর্মচারীরা একটি দুর্বোধ্য সাংকেতিক ভাষা ব্যবহার করে থাকে। মূলতঃ ব্যবসায়িক গোপনীয়তা রক্ষার তাগিদ থেকেই এ ভাষার উদ্ভব। কবে এবং কিভাবে এ সাংকেতিক ভাষার সৃষ্টি তার কোন সঠিক তথ্য পাওয়া না গেলেও সুদীর্ঘকাল ধরে পুরুষানুক্রমিকভাবে দোকানগুলোতে এ ভাষার প্রচলন বলে জানা যায়।

কিশোরগঞ্জ জেলা(চিত্তাকর্ষক স্থান)☞☞ 
মানব বাবুর বাড়ি☞☞মানব বাবুর বাড়ি হোসেনপুর উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গাঙ্গাটিয়া গ্রামে অবস্থিত। ১৯০৪ সালে জমিদারির পত্তন হলে ব্রিটিশ জেপি ওয়াইজের কাছ থেকে জমিদারি কিনে নেন গাঙ্গাটিয়ার ভূপতিনাথ চক্রবর্তী। সেখানেই তিনি এই বাড়িটি নির্মাণ করেন।
শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান☞☞কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব প্রান্তে প্রায় ৬.৬১ একর জমিতে অবস্থিত বাংলাদেশ তথা উপমহাদেশের সর্ববৃহৎ ও ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতিবছর এ ময়দানে ঈদ-উল-ফিতর ও ঈদ-উল-আযহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। কালের স্রোতে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানটি পরিণত হয়ে উঠেছে একটি ঐতিহাসিক স্থানে। ইসলামের ঐশী বাণী প্রচারের জন্য সুদূর ইয়েমেন থেকে আগত শোলাকিয়া 'সাহেব বাড়ির' পূর্বপুরুষ সুফি সৈয়দ আহমেদ তার নিজস্ব তালুকে ১৮২৮ সালে নরসুন্দা নদীর তীরে ঈদের জামাতের আয়োজন করেন। ওই জামাতে ইমামতি করেন সুফি সৈয়দ আহমেদ নিজেই। অনেকের মতে, মোনাজাতে তিনি মুসল্লিদের প্রাচুর্যতা প্রকাশে 'সোয়া লাখ' কথাটি ব্যবহার করেন। আরেক মতে, সেদিনের জামাতে ১ লাখ ২৫ হাজার (অর্থাৎ সোয়া লাখ) লোক জমায়েত হয়। ফলে এর নাম হয় 'সোয়া লাখি' । পরবর্তীতে উচ্চারণের বিবর্তনে শোলাকিয়া নামটি চালু হয়ে যায়। আবার কেউ কেউ বলেন, মোগল আমলে এখানে অবস্থিত পরগনার রাজস্বের পরিমাণ ছিল সোয়া লাখ টাকা। উচ্চারণের বিবর্তনে সোয়া লাখ থেকে সোয়ালাখিয়া_ সেখান থেকে শোলাকিয়া। পরবর্তিতে ১৯৫০ সালে স্থানীয় দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁ এই ময়দানকে অতিরিক্ত ৪.৩৫ একর জমি দান করেন।
 জঙ্গলবাড়ি দূর্গ☞☞জঙ্গলবাড়ি দূর্গ ছিল বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁর দ্বিতীয় রাজধানী। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে অবস্থিত। দূর্গের ভিতরে ঈসা খাঁ কয়েকটি স্থাপনা গড়ে তোলেন। ১৮৯৭ সালে ভুমিকম্পে দুর্গের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এগারসিন্দুর দূর্গ☞☞এগারসিন্দুর দূর্গ পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামে অবস্থিত। গ্রামটি ব্রহ্মপুত্র নদীর পূর্ব তীরে অবস্থিত। ইতিহাসবেত্তা আবুল ফজল রচিত আকবরনামা গ্রন্থে এই গ্রামের নাম উল্লেখ রয়েছে। এটি ছিল অহম শাসকদের রাজধানী। ১৫৩৮ সালে মুঘলরা অহমদের পরাজিত করে এ অঞ্চল দখল করে। এখানেই ১৫৮০ সালে বার ভূঁইয়াদের প্রধান ঈসা খাঁ মুঘল সম্রাট আকবরের সেনাপতি মান সিংহকে পরাজিত করে।
চন্দ্রাবতী মন্দির☞☞চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির ষোড়শ শতাব্দীতে নির্মিত প্রথম বাঙালি মহিলা কবি স্মৃতিবিজরিত শিবমন্দির। এটি কিশোরগঞ্জ শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে অবস্থিত।
দিল্লীর আখড়া☞☞দিল্লীর আখড়া মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের শাসনামলে নির্মিত। এটি মিঠামইন উপজেলায় অবস্থিত।

কিশোরগঞ্জ জেলা(বিখ্যাত স্থান)☞☞ 
►ঈশা খাঁর জঙ্গলবাড়ি
►এগারসিন্ধুর দুর্গ
►কবি চন্দ্রাবতীর শিবমন্দির
►দিল্লির আখড়া
►শোলাকিয়া ঈদগাহ
►পাগলা মসজিদ
►ভৈরব সেতু
►হাওরাঞ্চল
►সুকুমার রায়ের বাড়ি
►জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ
►দুর্জয় স্মৃতিভাস্কর্য
►নিকলীর হাওর
►সালংকা জামে মসজিদ (পাকুন্দিয়া)
►কুতুব শাহ মসজিদ (অষ্টগ্রাম)
►জাওয়ার সাহেব বাড়ী (তাড়াইল)
►নিরগিন শাহর মাজার
►শাহ গরীবুল্লার মজার (পাকুন্দিয়া)
►হযরত শামছুদ্দীন বোখারীর মাজার (কটিয়াদী )
►মঠখলা কালী মন্দির (পাকুন্দিয়া)
►শ্রীশ্রী শ্যাম সুন্দর লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া (সদর)
►প্রামাণিক বাড়ী
►গাঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ী
►হিলচিয়া সহয়নী বৌদ্ধ (বাজিতপুর)

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "কিশোরগঞ্জ জেলা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel