আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

লক্ষীপুর জেলা

লক্ষীপুর জেলা


লক্ষীপুর জেলা

লক্ষীপুর জেলা


লক্ষীপুর জেলা(মোট আয়তন)☞☞১৩৬৭.৫৯ কিমি২ (৫২৮.০৩ বর্গমাইল)।

লক্ষীপুর জেলা(নামকরণ)☞☞লক্ষ্মীপুর জেলার নামকরণ নিয়ে কয়েকটি মত প্রচলিত রয়েছে।
লক্ষ্মী, হিন্দু ধর্মানুসারে ধন-সম্পদ ও সৌভাগ্যের দেবী (দুর্গা কন্যা ও বিষ্ণু পত্নী) এবং পুর হল শহর বা নগর। এ হিসাবে লক্ষ্মীপুর এর সাধারণ অর্থ দাঁড়ায় সম্পদ সমৃদ্ধ শহর বা সৌভাগ্যের নগরী। ঐতিহাসিক কৈলাশ চন্দ্র সিংহ রাজমালা বা ত্রিপুরার ইতিহাস লিখতে গিয়ে তৎকালীন নোয়াখালীর পরগণা ও মহালগুলোর নাম উল্লেখ করেছেন। এতে দেখা যায়, বাঞ্চানগর ও সমসেরাবাদ মৌজার পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর নামে একটি মৌজা ছিল। আজকের পশ্চিম লক্ষ্মীপুর মৌজাই তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজা।
আবার অন্যমতে, সম্রাট শাহজাহানের পুত্র শাহ সুজা আরাকান পলায়নের সময় ১৬২০ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি ধাপা ও শ্রীপুর হয়ে ৯ মে লক্ষ্মীদাহ পরগনা ত্যাগ করে ভুলুয়া দুর্গের ৮ মাইলের মধ্যে আসেন। ১২ মে ভুলুয়া দুর্গ জয় করতে না পেরে আরাকান চলে যান। সেই লক্ষ্মীদাহ পরগনা থেকে লক্ষ্মীপুর নামকরণ করা হয়েছে বলে কেউ কেউ ধারণ করেন। লক্ষ্মীপুর শহরের পূর্ব পাশে শাহ সুজার নামানুসারে একটি সড়কের নামকরণ করা হয় সুজা বাদশা সড়ক। বিখ্যাত সাংবাদিক ও সাহিত্যিক সানা উল্লাহ নূরী সুজা বাদশা সড়ক নামে একটি ইতিহাস গ্রন্থও রচনা করেছেন।
১৬১৪ খ্রিস্টাব্দে মগ ও ফিরিঙ্গীদের মিলিত বাহিনী ভুলুয়া, ভবানীগঞ্জ ও ইসলামাবাদ আগুন দিয়ে পুড়ে দেয়। স্যার যদুনাথ সরকার এ সংক্রান্ত বর্ণনায় লিখেছেন, ইসলামাবাদ চাটগাঁ শহর নয়। ভুলুয়ার পশ্চিমে একটি দুর্গ সমৃদ্ধ শহর। ঐতিহাসিক ড. বোরাহ ইসলামাবাদকে লক্ষ্মীপুর বলে ধারণা করেছেন। এভাবে প্রতিষ্ঠিত হয় যে, তৎকালীন লক্ষ্মীপুর মৌজার অংশ মেঘনা পাড়ের দুর্গ সমৃদ্ধ কামানখোলাই ইসলামাবাদ নামের মগ ও ফিরিঙ্গীদের আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু ছিল।
শ্রী সুরেশ চন্দ্রনাথ মুজমদার রাজপুরুষ যোগীবংশ নামক গবেষণামূলক গ্রন্থে লিখেছেন দালাল বাজারের জমিদার রাজা গৌর কিশোর রায় চৌধুরী ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী থেকে রাজা উপাধি পেয়েছেন। তাঁর পূর্বপুরুষরা ১৬২৯ থেকে ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে দালাল বাজার আসেন। তাঁর বংশের প্রথম পুরুষের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ রায় (বৈষ্ণব) এবং রাজা গৌর কিশোরের স্ত্রীর নাম লক্ষ্মী প্রিয়া। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, লক্ষ্মী নারায়ণ রায় বা লক্ষ্মী প্রিয়ার নাম অনুসারে লক্ষ্মীপুরের নামকরণ করা হয়।

লক্ষীপুর জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞ লক্ষ্মীপুর মহকুমা গঠিত হয় ১৯৭৯ সালে এবং মহকুমাকে জেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৪ সালে।

লক্ষীপুর জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞উত্তরে চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে ভোলা ও নোয়াখালী জেলা, পূর্বে নোয়াখালী জেলা, পশ্চিমে বরিশাল ও ভোলা জেলা এবং মেঘনা নদী।
                                                         লক্ষীপুর জেলা
লক্ষীপুর জেলা(মৌজা )☞☞সর্বমোট ৪৪৫টি  মৌজা।

লক্ষীপুর জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ০৪টি পৌরসভারামগঞ্জ,রামগতি,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর।

লক্ষীপুর জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ০৪টি ইউনিয়ন।

লক্ষীপুর জেলা(গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ৫৩৬টি গ্রাম।

লক্ষীপুর জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ০৫টি উপজেলাকমলনগর,রামগঞ্জ,রামগতি,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর সদর।

লক্ষীপুর জেলা(থানা)☞☞ সর্বমোট ০৬টি থানাকমলনগর,চন্দ্রগঞ্জ,রামগঞ্জ,রামগতি,রায়পুর,লক্ষ্মীপুর সদর।

লক্ষীপুর জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ সুপারি। 

লক্ষীপুর জেলা(সড়কপথ)☞☞লক্ষ্মীপুর জেলায় সাধারনত সড়ক পথেই ভ্রমণ করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্য যেসব গাড়ি ছেড়ে যায় সেগুলোর মধ্যে ঢাকা এক্সপ্রেস, ইকোনো সার্ভিস, গ্রামীণ সার্ভিস, জননী পরিবহন অন্যতম। দিনে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এবং রাতে ঝিগাতলা/মোহাম্মদপুর থেকে গাড়ি ছেড়ে যায়।

লক্ষীপুর জেলা(নদনদী)☞☞মেঘনা, ডাকাতিয়া ও কাটাখালী নদী এবং হোরাখালী খাল ও ছাগলচিরা খাল উল্লেখযোগ্য।

লক্ষীপুর জেলা(বিখ্যাত স্থান)☞☞ 
►খোয়া সাগর দীঘি
►মটকা মসজিদ
►দালালবাজার জমিদারবাড়ি
►কামানখোলা জমিদারবাড়ি
►তিতা খাঁ জামে মসজিদ
►জ্বীনের মসজিদ
►মজু চেীধুরী ঘাট

লক্ষীপুর জেলা(কৃতী ব্যক্তিত্ব)☞☞
অনন্ত মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
অরণ্য আনোয়ার –– লেখক, নাট্যকার ও চলচিত্র পরিচালক।
আজিম শাহ্ –– ইসলামী ব্যক্তিত্ব ও প্রতিষ্ঠাতা, লক্ষ্মীপুর আলিয়া মাদ্রাসা (১৮৫৭)।
আবু হেনা আবদুল আউয়াল –– নজরুল গবেষক, কবি ও সাহিত্যিক।
আবুল আহসান –– সাবেক সার্ক মহাসচিব।
আব্দুল মতিন চৌধুরী –– পদার্থবিজ্ঞানী ও প্রাক্তন উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
আব্দুল হাকিম এডভোকেট –– গণপরিষদ সদস্য ১৯৪৭।
এ. এস. এম. আবদুর রব –– রাজনীতিবিদ।
এম. এম. রুহুল আমিন –– বাংলাদেশের ১৬ তম প্রধান বিচারপতি।
এটিএম শামসুজ্জামান –– অভিনেতা।
খালেদ মোহাম্মদ আলী –– অল পাকিস্তান ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ১৯৬৯, গণপরিষদ সদস্য ১৯৭০, এমএলএ।
গোরকিশোর রায় –– জমিদার রাজা।
তারিন জাহান –– অভিনেত্রী।
ত্রপা মজুমদার –– অভিনেত্রী।
দিলারা জামান –– অভিনেত্রী।
নাছির আহম্মদ ভূঁইয়া –– প্রতিষ্ঠাতা, লক্ষ্মীপুর পৌরসভা।
নাজিম উদ্দিন মাহমুদ –– লেখক, শিক্ষাবিদ ও বাংলা একাডেমির আজীবন সদস্য।
নিশাত মজুমদার –– প্রথম বাংলাদেশী নারী এভারেষ্ট বিজয়ী।
পূর্ণশশী চৌধুরাণী –– দালাল বাজার জমিদার পত্নী ও লক্ষ্মীপুর টাউন লাইব্রেরী ও টাউন হল এর প্রতিষ্ঠাতা।
বলরাম মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
বিশ্বম্ভর শূর –– আদিশূরের ৯ম পুত্র, ভুলুয়া রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা।
মফিজুল্লাহ্‌ কবীর –– ইতিহাসবিদ।
মমতাজ উদ্দিন চৌধুরী –– ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য।
মাহফুজ আহমেদ –– অভিনেতা।
মুজতবা আল মামুন –– কবি ও সাহিত্যিক।
মুজাফফর আহমদ চৌধুরী –– শিক্ষাবিদ ও প্রাক্তন মন্ত্রী পরিষদ সদস্য।
মোহাম্মদ তোয়াহা –– ভাষা সৈনিক।
মো: মাইন উদ্দিন পাঠান –– শিক্ষাবিদ, নাট্যকার, লেখক ও গবেষক।
মোহাম্মদ উল্লাহ –– বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও গণপরিষদের প্রথম স্পিকার।
মোঃ বদিউজ্জামান –– দুদক চেয়ারম্যান।
মোঃ রুহুল আমিন –– বাংলাদেশের ১৫ তম প্রধান বিচারপতি।
রামেন্দু মজুমদার –– অভিনেতা।
রোজী আফসারী –– অভিনেত্রী।
লক্ষণ মানিক্য –– ভুলুয়া নরপতি (বাংলার বার ভূঞাদের অন্যতম)।
শাহ্‌ মিরাণ বোগদাদী –– বড়পীর আবদুল কাদের জিলানীর নাতি, কাঞ্চনপুর দরগাহ বাড়ী।
সাইয়্যেদ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন তাহের জাবেরি আল মাদানী –– আওলাদে রাসূল (স:)।
সানাউল্লাহ নূরী –– সাংবাদিক।
সেলিনা হোসেন –– কথা সাহিত্যিক।
হাফেজ্জী হুজুর –– রাজনীতিবিদ ও ইসলামী ব্যক্তিত্ব।
হোসনে আরা শাহেদ –– ঔপন্যাসিক ও ছোট গল্পকার।

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "লক্ষীপুর জেলা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel