আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

মুন্সীগঞ্জ জেলা

মুন্সীগঞ্জ জেলা


মুন্সীগঞ্জ জেলা


মুন্সীগঞ্জ জেলা
মুন্সীগঞ্জ জেলা(মোট আয়তন)☞☞৯৫৪.৯৬ কিমি২ (৩৬৮.৭১ বর্গমাইল)। মোট আয়তন ২৩৫৯৭৪ একর যার মধ্যে ১৩৮৪৭২ একর চাষযোগ্য এবং ৫৬০৯ একর নিচু জমি। মুন্সিগঞ্জ সমতল এলাকা নয়। জেলার কিছু কিছু অঞ্চল যথেষ্ট উচু যদিও জেলায় কোনো পাহাড় নেই। মুন্সিগঞ্জের বেশির ভাগ এলাকা নিম্নভূমি বলে বর্ষায় পানিতে অধিকাংশ এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা(নামকরণ)☞☞মুন্সিগঞ্জে প্রাচীন নাম ছিল ইদ্রাকপুর। মোঘল শাসনামলে এই ইদ্রাকপুর গ্রামে মুন্সী হায়দার হোসেন নামে একজন ব্যক্তি ছিলেন। তিনি মোঘল শাসক দ্বারা ফৌজদার নিযুক্ত ছিলেন। অত্যন্ত সজ্জন ও জনহিতৈষী মুন্সী হায়দার হোসেনের নামে ইদ্রাকপুরের নাম হয় মুন্সীগঞ্জ। কারো কারো মতে জমিদার এনায়েত আলী মুন্সীর নামানুসারে মুন্সীগঞ্জে নামকরণ করা হয়
মুন্সীগঞ্জ জেলা(ইতিহাস)☞☞প্রাচীনকালে নিঃসন্দেহে মুন্সিগঞ্জ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কেন্দ্র ছিল। অঞ্চলটি খ্রিস্টীয় দশ শতকের শুরু থেকে তেরো শতকের প্রথম পর্যন্ত চন্দ্র, বর্মন ও সেন রাজাদের রাজধানী ছিল। মুন্সিগঞ্জ উল্লেখ ‘স খলু শ্রী বিক্রমপুর সমাবাসিত শ্রীমজ্জয়স্কন্ধবারাত’ (বিজয় অথবা রাজধানীর রাজকীয় স্থান যা মুন্সিগঞ্জে অবস্থিত)-রূপে শ্রীচন্দ্রের তাম্রশাসনে সর্বপ্রথম দেখা যায় এবং পরবর্তী বর্মন ও সেন রাজবংশের শাসনামলে ম এ মর্যাদা অব্যাহত ছিল। এমনকি সেনদের শাসনামলে, যাঁরা বলতে গেলে প্রায় সমগ্র বঙ্গের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করেছিলেন, মুন্সিগঞ্জ তাঁদের রাজধানী রূপে বলবৎ ছিল এবং নদীয়ায় মুসলমান আক্রমণকারী বখতিয়ার খলজীর হাতে পরাজিত হওয়ার পর লক্ষ্মণসেন এ অঞ্চলে এসেছিলেন। তাঁর দুই পুত্র বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেন স্বল্পকালের জন্য এ অঞ্চল শাসন করেছিলেন। বিশ্বরূপসেন ও কেশবসেনের তাম্রশাসনগুলিতে রাজধানী রূপে মুন্সিগঞ্জের উল্লেখ না থাকলেও তাঁরা যে ভূমি দান করেছিলেন তার অবস্থান ছিল মুন্সিগঞ্জ ভাগে। এতে এ অঞ্চলের ওপর তাঁদের কর্তৃত্বের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। মুন্সিগঞ্জের খ্যাতি ১২৮০ খ্রিস্টাব্দের প্রথম দিক পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। এসময় দনুজমাধব দশরথদেব কিংবা জিয়াউদ্দীন বরনীর দনুজ রায় সুবর্ণ গ্রামের (সোনারগাঁও) সন্নিকটে তাঁর রাজধানী স্থানান্তর করেন। তখন থেকে সমগ্র সুলতানি আমলে এ অঞ্চলটি বিস্মৃতির পাতায় থেকে যায়। এরপর মুগল যুগে রাজস্ব তালিকায় শুধু পরগনা হিসেবে এর নামের উল্লেখ পুনরায় দেখা যায়। মুগল আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুন্সিগঞ্জের জমিদার চাঁদ রায় ও কেদার রায়এর (বাংলার বারো ভূঁইয়াদের উল্লেখযোগ্য দুজন) বীরোচিত প্রতিরোধ মুন্সিগঞ্জকে কিছুটা স্বল্পস্থায়ী গৌরব প্রদান করে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা(প্রাচীন বৌদ্ধ বিহার)☞☞মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রামপাল ইউনিয়নের রঘুরামপুর গ্রামে মাটির নিচে চাপা পড়ে থাকা হাজার বছরের পুরনো বৌদ্ধ বিহারের সন্ধান মিলেছে। প্রত্নসম্পদ ও ঐতিহাসিক নিদর্শন উদ্ধারে চালানো খনন কাজের মাধ্যমে এ বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কৃত হয়। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য জানিয়েছেন বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতত্ত্ব খনন ও ঐতিহাসিক নিদর্শন আবিষ্কার নিয়ে গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এরই মধ্যে বৌদ্ধ বিহারের পাঁচটি ভিক্ষু কক্ষ উন্মোচিত হয়েছে। একেকটি ভিক্ষু কক্ষের পরিমাপ ৩ দশমিক ৫ মিটার (দৈর্ঘ্য) ও ৩ দশমিক ৫ মিটার (প্রস্থ)। ধারণা করা হচ্ছে, বৌদ্ধ ধর্মের জ্ঞান তাপস অতীশ দ্বীপঙ্করের সঙ্গে এ বৌদ্ধ বিহারের সম্পর্ক রয়েছে।
আবিষ্কৃত বৌদ্ধ বিহারের নকশা অনুযায়ী এর একটি প্রাচীর দেয়াল উত্তর দিকেও অপর আরেকটি দেয়াল পশ্চিম দিকে ধাবমান বলে নিশ্চিত হয়েছেন খননকারীরা। যেসব ভিক্ষু কক্ষ উন্মোচিত হয়েছে তা বৌদ্ধ বিহারের দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত।মুন্সীগঞ্জ-বিক্রমপুর অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মের পণ্ডিত ও বিশ্বের দ্বিতীয় বুদ্ধ অতীশ দ্বীপঙ্করের বাস্তুভিটার কাছে সদর উপজেলার বজ্রযোগিনী ও রামপাল অঞ্চলে প্রাচীন নিদর্শন ও প্রত্নতাত্ত্বিক সম্পদ উদ্ধারে ২০১১ সাল থেকে প্রত্নতত্ত্ব জরিপ ও খনন কাজ হাতে নেয়া হয়। অগ্রসর বিক্রমপুর নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে বিক্রমপুর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্প এখন কাজ করে আসছে। প্রত্নতত্ত্ব খনন কাজের গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. সুফি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল প্রত্ন-খননকারী এ খনন কাজ করে আসছেন।
বৌদ্ধ বিহার আবিষ্কারের ফলে বিক্রমপুর অঞ্চলের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্বের দরবারে আরো একধাপ এগিয়ে গেল বলে মনে করা হয়েছে। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বে জায়গা করে নেবে আবিষ্কৃত এ বৌদ্ধ বিহার এমনটাই জানিয়েছেন অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।
                                            মুন্সীগঞ্জ জেলা
মুন্সীগঞ্জ জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞পূর্বে-কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি ও হোমনা উপজেলা, চাঁদপুর জেলার মতলব উপজেলা যা মুন্সিগঞ্জের সাথে প্রবাহিত মেঘনা নদীর দ্বারা বিভাজিত।পশ্চিমে-শরিয়তপুর ও মাদারীপুর জেলাকে পদ্মা নদী বিভাজিত করেছে।উত্তরে-ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ ও দোহার উপজেলা এবং নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলা।দক্ষিণে-পদ্মা নদী যার অপর পাশে শরিয়তপুর জেলা।

মুন্সীগঞ্জ জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ৬৭ টি ইউনিয়ন।

মুন্সীগঞ্জ জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ৬ টি উপজেলা। 
মুন্সীগঞ্জ জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞ ভাগ্যকুলের মিষ্টি।


মুন্সীগঞ্জ জেলা( বিখ্যাত স্থান)☞☞
 বল্লাল সেনের দীঘি
 হরিশ্চন্দ্র রাজার দীঘি
 রাজা শ্রীনাথের বাড়ি
 রামপাল দীঘি
 কোদাল ধোয়া দীঘি
 শ্রীনগরের শ্যামসিদ্ধির মঠ
 সোনারংয়ের জোড়া মঠ
 হাসারার দরগাহ
 ভাগ্যকূল রাজবাড়ি
 রাঢ়ীখালে জগদীশচন্দ্র বসুর বাড়ি
 কুসুমপুরে তালুকদার বাড়ি মসজিদ
 তাজপুর মসজিদ
 পাথরঘাটা মসজিদ
 কাজীশাহ মসজিদ
 পোলঘাটার ব্রিজ
 পাঁচ পীরের দরগাহ
 সুখবাসপুর দীঘি
 শিকদার সাহেবের মাজার
 বার আউলিয়ার মাজার
 শহীদ বাবা আদমের মসজিদ
 ইদ্রাকপুর কেল্লা
 অতীশ দীপঙ্করের পন্ডিতভিটা
 হরগঙ্গা কলেজ গ্রন্থাগারে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আশুতোষ গাঙ্গুলীর আবক্ষ মার্বেল মূর্তি
 পদ্মা রিসোর্ট

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "মুন্সীগঞ্জ জেলা"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel