আজকে প্রকাশিত চাকরির পরীক্ষার নোটিশ গুলো পাবেন

রাঙ্গামাটি জেলা

রাঙ্গামাটি জেলা


রাঙ্গামাটি জেলা

রাঙ্গামাটি জেলা


রাঙ্গামাটি জেলা(মোট আয়তন)☞☞৬১১৬.১৩ কিমি২ (২৩৬১.৪৫ বর্গমাইল)।
রাঙ্গামাটি জেলা(নামকরণ)☞☞রাঙামাটি জেলা নামকরণ সম্পর্কে বিলু কবীরের লেখা 'বাংলাদেশ জেলা : নামকরণের ইতিহাস' বই থেকে জানা যায় তা হলো- এই এলাকায় পর্বতরাজি গঠিত হয়েছিল টারশিয়রি যুগে। এই যুগের মাটির প্রধান ব্যতিক্রম এবং বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর রঙ লালচে বা রাঙা। এই এলাকার গিরিমৃত্তিকা লাল এবং মাটিও রাঙা বলেই এই জনপদের নাম হয়েছে রাঙামাটি। প্রকৃতি সূচক এই নামকরণটির বিষয়ে অন্য প্রচলিত কথাপরম্পরা হলো- বর্তমান রাঙামাটি জেলা সদরের পূর্বদিকে একটি ছড়া ছিল, যা এখন হ্রদের মধ্যে নিমজ্জিত। এই হ্রদের স্বচ্ছ পানি যখন লাল বা রাঙামাটির উপর দিয়ে ঢাল বেয়ে প্রপাত ঘটাতো, তখন তাকে লাল দেখাতো। তাই এই ছড়ার নাম হয়েছিল 'রাঙামাটি'। এই জেলা সদরের পশ্চিমে আরও একটি ছাড়া ছিল। অনুরূপ কারণে তার নাম দেয়া হয়েছিল 'রাঙাপানি'। এই দুই রাঙা ছড়ার মোহনার বাঁকেই গড়ে উঠেছে বর্তমান জেলা শহর। যা মূলত ছিল অনাবাদী টিলার সমষ্টি এবং বহু উপত্যকার এক নয়নাভিরাম বিস্ময়ভূমি। এই দুটি ছড়া রাঙামাটি ও রাঙাপানি হতে 'রাঙামাটি' জেলার নামকরণ হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। 
রাঙ্গামাটি জেলা(প্রতিষ্ঠা  সাল)☞☞১৯৮৩ সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা গঠন করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা(ভৌগোলিক সীমানা)☞☞উত্তরে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, দক্ষিণে বান্দরবান জেলা, পূর্বে ভারতের মিজোরাম রাজ্য ও মায়ানমারের চিন প্রদেশ, পশ্চিমে খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রাম জেলা।
                                       রাঙ্গামাটি জেলা
রাঙ্গামাটি জেলা(মৌজা )☞☞সর্বমোট ১৫৯টি  মৌজা।
রাঙ্গামাটি জেলা(পৌরসভা)☞☞সর্বমোট ০২টি পৌরসভা☞রাঙ্গামাটি,বাঘাইছড়ি। 

রাঙ্গামাটি জেলা(ইউনিয়ন)☞☞ সর্বমোট ৫০টি ইউনিয়ন।
রাঙ্গামাটি জেলা(গ্রাম)☞☞ সর্বমোট ১৩৪৭টি গ্রাম।
রাঙ্গামাটি জেলা(উপজেলা)☞☞ সর্বমোট ১০টি উপজেলা☞                                   কাউখালী,কাপ্তাই,জুরাছড়ি,নানিয়ারচর,বরকল,বাঘাইছড়ি, বিলাইছড়ি,রাঙ্গামাটি সদর,রাজস্থলী,লংগদু।
  
রাঙ্গামাটি জেলা(বিখ্যাত খাবার)☞☞আনারস,কাঠাল,কলা।

 রাঙ্গামাটি জেলা(সড়কপথ)☞☞চট্টগ্রাম থেকে রাঙ্গামাটিতে বাস যোগে আসা যায়। রাঙ্গামাটিতে যাওয়ার সরাসরি দুইটি বাস আছে।এছাড়া অনেক ধরনের লোকাল বাস সার্ভিসের ব্যবস্থা রয়েছে, তবে সেসব বাস সার্ভিস রাস্তার যেকোন জায়গা থেকে যাত্রী উঠানামা করায়, ফলে বাসে সবসময় যাত্রীদের ভীড় লেগে থাকে এবং গন্তব্যে ৪-৫ ঘন্টা সময় ব্যয় হয়। রাজধানী ঢাকা থেকেও রাঙ্গামাটি যাওয়ার কিছু বাস সার্ভিস রয়েছে। এই বাস সার্ভিসগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয়।

 রাঙ্গামাটি জেলা(নদনদী)☞☞রাঙ্গামাটি জেলার প্রধান নদী কর্ণফুলি। এ নদী ভারতের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে রাঙ্গামাটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত দিয়ে ঠেগা নদীর মোহনা হয়ে এ অঞ্চলে প্রবেশ করেছে। কর্ণফুলি নদীর উপনদীগুলো হল কাচালং, চেঙ্গী, ঠেগা, বড়হরিণা, সলক, রাইনক্ষ্যং। এছাড়া এ জেলায় রয়েছে বাংলাদেশের বৃহত্তম কাপ্তাই হ্রদ। এ উপনদীগুলো বর্ষাকালে যথেষ্ট খরস্রোতা থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতাসহ পানির পরিমাণ প্রায় থাকেনা।

রাঙ্গামাটি জেলা(ভাষা ও সংস্কৃতি)☞☞
সরকারি ভাষা হিসেবে বাংলা প্রচলিত। স্থানীয় বাঙ্গালিরা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। এছাড়াও অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর ভাষা হিসেবে চাকমা, মারমা, ম্রো, ত্রিপুরা, বম, লুসাই, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, খেয়াং, খুমী, পাংখুয়া ইত্যাদি প্রচলিত।
পার্বত্যাঞ্চলে চাকমাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বিঝু উৎসব। বাংলা মাসের চৈত্র সংক্রান্তির শেষ দুদিন ও পহেলা বৈশাখ এই তিনদিন ধরে চলে বিঝু উৎসব।এছাড়া প্রত্যেক ধর্মের লোকেরা আলাদা আলাদা ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকে।

রাঙ্গামাটি জেলা(কৃতী ব্যক্তিত্ব)☞☞
জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা (সন্তু লারমা) –– প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম।
দীপংকর তালুকদার –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী।
কামিনী মোহন দেওয়ান (১৮৯০-১৯৭৬) –– পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সর্বপ্রথম প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচিত সদস্য।
রাজমাতা বিনীতা রয় (১৯০৭-১৯৯০) –– কথা সাহিত্যিক।
সুবিমল দেওয়ান (১৯১৬-২০০৯) –– জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবী সমাজকর্মী।
কল্প রঞ্জন চাকমা –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও প্রথম পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।
বিনয় কুমার চাকমা –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী।
চাইথোয়াই রোয়াজা (১৯৩০-১৯৯৪) –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা (১৯৩৯-১৯৮৩) –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য।
মণি স্বপন দেওয়ান –– প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপমন্ত্রী।

রাঙ্গামাটি জেলা(দর্শনীয় স্থান)☞☞
কাপ্তাই হ্রদ
কর্ণফুলি পানিবিদ্যুত কেন্দ্র
রাজা জং বসাক খানের দীঘি ও মসজিদ
রাজা হরিশ চন্দ্র রায়ের আবাসস্থলের ধবংসাবশেষ
কর্ণফুলি কাগজ কল
ঝুলন্ত সেতু
রাজবন বিহার
সুবলং ঝর্ণা
সাজেক ভ্যালী
বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র
উপজাতীয় জাদুঘর
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান
পেদা টিং টিং
টুকটুক ইকো ভিলেজ
যমচুক
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্সনায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি ভাস্কর্য
নৌ বাহিনীর পিকনিক স্পট
চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার
বনশ্রী পর্যটন কমপ্লেক্স
প্যানোরমা জুম রেস্তোরা
ওয়াজ্ঞা চা এস্টেট
ডলুছড়ি জেতবন বিহার

☞ এই পোষ্ট সম্পর্কে যদি আপনার কোন প্রশ্ন☞জিজ্ঞাসা☞সমস্যা☞তথ্য জানার থাকে তাহলে আপনি☞কমেন্ট করলে আপনাকে আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করব☞☞☞ "রাঙ্গামাটি জেলা "

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Iklan Atas Artikel

Iklan Tengah Artikel 1

Iklan Tengah Artikel 2

Iklan Bawah Artikel